সুন্দর, স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল চুল কে না চায়? এখন দূষণের যুগে চুলের নির্জীবতা, ঝরে পড়া এবং পুষ্টির অভাব খুব সাধারণ বিষয়। তবে চুল নিয়ে মানুষ সবসময়ই ভীষণ চিন্তিত। একটার জায়গায় দুটো চুল পড়লেই অনেকের কপালে ভাঁজ পড়ে যায়। শীতে হোক বা গরমে চুল কিন্তু নানাভাবে সমস্যায় ফেলে। এদিকে নানা ধরনের স্টাইলিং হোক কিংবা রাসায়নিক দ্রব্য চুলের ধাঁচ বেশিরভাগেরই কিন্তু খারাপ।
পুষ্টিবিদ এবং আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডা নিতিকা কোহলি বলছেন, চুলের উজ্জ্বল ভাব বজায় রাখতে যোগা যে দারুণ ভাবে কাজ করে এই সম্পর্কে এখনও অনেকেই জানেন না। চুল যদি ভাল না হয়, তাহলে কিন্তু মন মানসিক সমস্যার সূত্রপাত হতে পারে। বাহ্যিক সৌন্দর্য তো বটেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ দিকেও প্রভাব পড়ে। চুল সুন্দর রাখতেই যোগা নানাভাবে উপকার করে, জেনে নিন কোন গুলি অভ্যাস করবেন:-
বালায়াম যোগা মুদ্রা:- সহজ বাংলায় দুই হাতের আঙ্গুলের নখ ঘষা চুলের পুষ্টির পক্ষে বেশ ভাল। সবথেকে সহজ উপায়ে চুল পড়া কমানো যায়, প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট অভ্যাস করলেই অনেকটা উপকার পাবেন।
প্রসারিত পদত্তাসন:- দুই পা প্রসারিত করে, সামনের দিকে ঝুঁকে মাথা একদম মাটির সঙ্গে ঠেকিয়ে রাখতে হবে। এটি যেমন স্ট্রেস কমায় তেমনই স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল ভাল করে।
সাসঙ্গাসন:- এটিকে খরগোশের অবয়বে ব্যায়ামও বলা হয়ে থাকে। হাঁটু মুড়ে বসে, সামনের দিকে একেবারে ঝুঁকে যেতে হবে, এক্ষেত্রেও মাথা থাকবে মাটির সঙ্গে। হাত পেছনে পায়ের সঙ্গে ঠেকাতে হবে। এতে চুলের গোড়া শক্ত হয় সঙ্গেই স্ক্যাল্পের শক্তি বাড়ে।
উত্তাসন:- সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে তারপর ধীরে ধীরে সামনের দিকে ঝুঁকতে হবে। নাক ঠেকাতে হবে হাঁটুর কাছে। খেয়াল রাখবেন যেন পা, পিঠ এবং স্পাইনালে টান পরে হালকা। তাহলেই স্বস্তি!
বলাসন:- এটি অভ্যাস করাও সহজ সঙ্গেই বেশ কার্যকরী! এতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়, চুলের মজবুতি হয়।