শরীর সুস্থ রাখতে যেমন প্রয়োজন পুষ্টিকর এবং উপাদেয় খাবারের তেমনই দরকার শারীরিক অনুশীলন। শরীরচর্চার সঙ্গে সঙ্গেই যোগা কিন্তু প্রত্যেকটি মানবদেহের পক্ষে জরুরি। যোগায় মন শান্ত হয়, শরীর সুস্থ থাকে তার সঙ্গে দেহের হরমোনাল স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
Advertisment
এই প্রসঙ্গেই, যোগ প্রশিক্ষক জুহি কাপুর বলেন, হরমোন ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ শুধুমাত্র একটি সমাধান নয়। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি, ব্যায়াম এবং ইতিবাচকতার ক্ষেত্রে সামগ্রিক হওয়া দরকার। সেই কারণেই যোগসাধনা অবশ্যই প্রয়োজন।
বিকল্প নাসারন্ধ্র শ্বাস অনুশীলন: অনুলোম বিলোম সারা শরীরে ভারসাম্য অর্জন করতে সাহায্য করে। এটি আপনার শারীরিক সিস্টেমকে ডিটক্সিফাই করে, আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে। শারীরিক অঙ্গের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং হরমোনের ভাল উৎপাদনে সহায়তা করবে।
বজ্রাসন: রাতের খাবারের পর বজ্রাসন দারুন উপকারী। হজম এবং পুষ্টির শোষন উন্নত করতে এটি করা উচিত। এমনি সময়ও বজ্রাসনে বসে থাকা শারীরিক ভাবে কার্যকরী।
ভ্রমরী: ভ্রমরী অনুশীলনের মাধ্যমে শারীরিক উর্বরতা, হরমোনের ভারসাম্য, পাশাপাশি ঘুমের উন্নতি, এবং মাইগ্রেন কম করতে সাহায্য করে।
প্রসঙ্গত তিনি বলেন, মহিলাদের মধ্যে হরমোনাল পরিবর্তন বেশি হয়। সন্তান প্রসবের পর হোক কিংবা মাসিক ঋতুস্রাব মহিলাদের এই বিষয়ে বেশি সচেতন হওয়া উচিত। ডিম্বাশয় সঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা, পিটুইটারি এবং হাইপোথ্যালামাসের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলির দিকে নজর রাখা প্রয়োজন। মহিলাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভদ্রাসন, হালাসন, সর্বাঙ্গসন এগুলি নিয়মিত অনুশীলন করা উচিত।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নেতিবাচক চিন্তাভাবনা দূরে সরান। ইতিবাচক চিন্তা মানুষের শারীরিক এবং মানসিক শান্তি দুটোই বজায় রাখে। বিপরীত ফলাফল সম্পর্কে না ভেবে সবসময় ভাল কিছু ভাবুন। তবেই সুস্থ থাকবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন