শীতকালে স্নান করতে চায় না এমন ছেলে পুলের সংখ্যাই বেশি। অতিরিক্ত একটু ঠাণ্ডা পড়া মানেই কম্বল লেপ চাপা দিয়ে বসিয়ে থাকার জোগাড়, ওঠবার একেবারেই জো নেই। তবে শীতকালে স্নান করার দরকার কিন্তু অনেক বেশি। কারণ গরমে মানুষ জল বেশি খায়, শরীরে ঘাম হয় সুতরাং হইড্রেশন সঠিক মাত্রায় থাকে। তবে শীতকালে জল খাওয়াও কম হয়, ঘামের কোনও প্রশ্ন নেই। সুতরাং এই সময় স্নান না করলে শরীর আরও কষে যেতে পারে।
তবে রয়েছে ছোট্ট সলিউশন! নিজের ইচ্ছেমত নয়, তবে বেশ কিছু ঘটনার পরবর্তীতে আপনি কিন্তু স্নান একদিনের জন্য স্কিপ করতে পারেন। যদিও বা ক্রনিক ঠান্ডা পড়লে এক আধ দিন অনেকেই স্নান করতে প্রয়োজন বোধ করেন না। তবে এটিও কিন্তু অস্বাস্থ্যকর। পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ ডা নীতিকা কোহলি বলছেন আয়ুর্বেদের ক্ষেত্রে কিছু স্বল্প ক্ষেত্রে এর ছার রয়েছে। তিনি জানাচ্ছেন স্নান না করা একেবারেই শিরোধার্য নয়, তবে প্রয়োজনে এটি অবশ্যই এড়িয়ে যাওয়াই উচিত। এমন পরিস্থিতি গুলো কী কী?
ভুল করে যদি একটু ভারী খাবার খেয়ে ফেলেন কিংবা যাদের সকাল সকাল স্নান করার অভ্যাস অত্যন্ত ভারী জলখাবার খাওয়ার পরে স্নান করবেন না। বিশেষ করে দুপুরবেলা খাওয়াদাওয়ার পরে স্নান করা খুব খারাপ। এতে শরীরের প্রদাহ কমে যায় তাই খাবার হজম হয় না।
খুব হাঁচি আর নাক দিয়ে জল পড়ছে? তবে আপনি স্নান অবশ্যই এক দিনের জন্য এড়িয়ে যেতে পারেন। আর যদিও করতে হয় তাহলে গরম জল ছাড়া নয়। ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান তাও আবার শীতকালে – অসুখ সঙ্গ ছাড়বে না।
চোখের সমস্যা কিংবা কানে নানান ধরনের গোলমাল? তাহলে সেইদিনের জন্য স্নান করা থেকে বিরত থাকুন। আবার অনেক সময় চিকিৎসকরা বলেন মানসিক সমস্যায় হঠাৎ করে ভুগলেও স্নান না করাই ভাল।
শীতকালে অনেক মানুষই রোদে বসে থাকতে পছন্দ করেন। সেই সাপেক্ষে রোদ গায়ে লাগানোর পর স্নান করবেন না। এতে মেলানিন আগের মত রূপ নিতে পারে না।
অত্যন্ত একজিমা দ্বারা ভুগছেন? তবে গরম জলে অনেক্ষণ ধরে স্নান করা বন্ধ করুন। এতে চামড়া আরও শুকিয়ে যায় এবং ইনফেকশন আরও বাড়তে থাকে।
অত্যন্ত শুকনো ত্বক? তবে সাবান এবং গরম জল থেকে বিরতি নিন। এটি আপনার জন্য ভাল নয়।
তবে ইচ্ছে হলেই নয়, প্রয়োজন বুঝে এটি করুন। স্নান না করলেই বেশি ক্ষতি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন