ফল এমন একটি খাবার যেটি খুব কম পরিসরে মানবদেহের ক্ষতি করতে পারে। হ্যাঁ একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে কিছু কিছু ফল বেশ কাজে দেয় কিন্তু সর্বমোট এর ক্ষতিকারক দিক খুব একটা নেই। ফল খাওয়া এমনিতে স্বাস্থ্যের পক্ষে দারুণ ভাল তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গোলমাল হলে কিন্তু আপনার একটু হলেও সমস্যা হতে পারে।
পুষ্টিবিদ রাশি চৌধুরী বলেন, ফলের সঙ্গে কারওর কোনও শত্রুতা থাকতেই পারে না। বরং এটি পুষ্টি আহরণের এক নিদারুণ খাদ্য বস্তু। ফল খেতে অনেকেই পছন্দ করেন, এবং সাধারণ খাবারের থেকে এটিই বেশি পরিমাণে খান এমন মানুষও আছেন। তবে বেশ কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখা দরকার, ফলের থেকে দূরত্ব না বাড়িয়ে দরকার পরলে নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে। যেমন :
দুপুরবেলা খাবার খাওয়ার পরে অনেকেই একবাটি ফল নিয়ে বসেন। এটি কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। অল্প খান, সেরকম হলে একটি খেজুর অথবা ছোট এক টুকরো চকোলেট খান, তবে একগাদা ফল নয়। কারণ দুপুরের খাবার থেকে কার্ব আগে থেকেই আপনার শরীরে বিদ্যমান। মিষ্টিমুখের জন্য অল্প ফল যথেষ্ট।
ফলের রস নয় এবং বাজার প্রাপ্ত ক্যান ফ্রুট জুস একেবারেই নয়। কারণ এর থেকে মুশকিলে পড়বেন আপনিই। এগুলি শরীরের পক্ষে লাভদায়ক নয় বরং শিশুরা এগুলি বেশি খেতে শুরু করলে বিপদ। তাই এগুলি হাতের নাগালের বাইরে রাখুন।
সারাদিনে কোন সময়ে ফল খাচ্ছেন সেই অনুযায়ী এর পরিমাণ নির্ধারণ করুন। স্ন্যাকস হিসেবে নাকি জলখাবার হিসেবে। তবে দুটির ক্ষেত্রেই কিন্তু বেশি খাওয়া হয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর থেকেই আপনার খিদে পেতে থাকবে, কারণ ফলে সমৃদ্ধ ফাইবার তাড়াতাড়ি হজম করিয়ে দিতে পারে।
সাত সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ফল খাওয়া একেবারে উচিত নয়। বিশেষ করে টক ফল তো নয়ই। কিন্তু শরীরের ধাত আলাদা, তাই নিজের মত খেয়ে দেখুন অনেকের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হতেই পারে।
ফল শুধু কার্ব হিসেবে নয় এর সঙ্গে যদি ভাল ফ্যাট আপনি পান, তাহলে সেটিকেও যোগ করুন। ফলের সঙ্গে অল্প ক্রিম কিংবা নুন ছাড়া মাখন অথবা পিনাট বাটার এগুলোর সঙ্গে খেতেই পারেন। একসঙ্গে ফ্যাট এবং কার্বর প্রয়োজন মিটে যাবে।
ফলের গুণ বেশি, তবে শরীর বুঝে তবেই খাওয়া অভ্যাস করুন। ব্লাড সুগার কিংবা কোলেস্টেরল থাকলে সবরকম ফল খাওয়া যায় না। তাই জেনে বুঝে, এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন