থাইরয়েডের সমস্যা এখন কার নেই? একটু খোঁজ করলে দেখা যাবে বেশিরভাগ মানুষ এর কবলে। কারওর মাত্রা বেশি তো কারওর কম। থাইরয়েড কিন্তু নানানভাবে মানবদেহে ক্ষতি করতে পারে। এবং সবকিছুর সঙ্গে সঙ্গেই থাইরয়েডের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা খুব দরকারী।
পুষ্টিবিদ রাশি চৌধুরী বলেন, আমাদের সকলের মধ্যেই এটি খুব সাধারণ একটি সমস্যা। বেশিরভাগ মানুষই শুধুই টিএসএইচ অথবা সাধারণ থাইরয়েড পরীক্ষা করে খান্ত থাকেন। বেশি গভীরে যান না। তবে চিকিৎসকদের অ্যান্টি-থাইরয়েড পারঅক্সাইড এবং অ্যান্টি থাইরোগ্লোবিউলিন নিয়ে একটু হলেও তৎপর হওয়া উচিত। এবং এর সঙ্গেই সম্পর্কিত থাইরয়েড অ্যান্টিবডি।
প্রসঙ্গেই রাশি বলেন, অ্যান্টিবডি পরীক্ষা না করলে আদৌ থাইরয়েডের মাত্রা সঠিক রয়েছে কিনা এই নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে যায়। বলা উচিত সারা শরীরে থাইরয়েডের এনজাইম হিসেবে কাজ করে এই দুটি হরমোন। মাত্রা বৃদ্ধি থেকে মানবদেহে এর বিস্তার সবেতেই গুরু ভূমিকা পালন করে। এই দুই অ্যান্টিবডি অথবা গোপন হরমোনের প্রভাবে কিন্তু আপনি বেজায় সমস্যায় ভোগেন। তাহলে কেন এই হরমোন গুলির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবেন এবং পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন সেই বিষয়ে তিনি বলেন,
অনেক সময় থাইরয়েডের সমস্যা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটায়। ফলেই আপনার অসুস্থতা বাড়তে থাকে। এমনিও থাইরয়েড শরীরে থাকলে অন্যান্য রোগের আগমন ঘটতে বেশি সময় লাগে না! তাই আগে থেকেই জেনে বুঝে নিন।
থাইরয়েডের টিস্যু গুলিকে রক্ষা না করে. রক্তকোষ দ্বারা সৃষ্ট অ্যান্টিবডিগুলি ক্ষতির প্রভাব বাড়াতে থাকে। শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। থাইরয়েডের সঙ্গে সঙ্গেই রিভার্স থাইরয়েড, T3, T4 ,এগুলি অবশ্যই পরিমাপ করা উচিত।
অ্যান্টিবডি - এর মাত্রা যদি বেশি থাকে তবে কিন্তু প্রথম থেকেই শরীরে ওষুধ সঠিকভাবে কাজ করে না। ইমিউনিটি একেবারেই বসে যায়, তাই প্রথম থেকেই অ্যান্টিবডি কম করার চিকিৎসা করতে হয়।
থাইরয়েড গ্রন্থির জন্যও এটি বেশ খারাপ। হরমোন ক্ষরণকে উজ্জীবিত করতে পারে এবং সেই থেকেই কিন্তু ফোলাভাব, কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া এগুলি দেখা দিতে পারে। তাই নিজেকে আগে থেকে ভাল রাখুন। চিকিৎসকের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলুন। আপনার সুস্থতা সবথেকে বেশি কাম্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন