বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল শরীরের ইমিউনিটি বজায় রাখা। এবং এর জন্য আকাশ পাতাল এক করে দিচ্ছেন মানুষ। হাজার রকম খাবার খেতে খেতে জীবন এখন অতিষ্ঠ প্রায়। তবে শুধু খাবার খেলেই হল না, এমন কিছু আছে যেগুলি বরং আপনি সেবন করলে রোগের প্রকোপ আরও বাড়তে পারে সেগুলি সম্পর্কেও জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিন্তু শুধুই খাবার খেলে বাড়ে না। প্রতিদিনের হেলদি হ্যাবিট এবং শারীরিক সক্রিয়তার ওপরেও নির্ভর করে। শুধু ভাল মন্দ খেলেই কাজ হবে এমন নয়। এতে স্থূলতা গ্রাস করতে পারে মানুষকে। প্রাকৃতিক টক্সিন মানুষের জন্য বেশ খারাপ। আর কিছুই নয়, এর থেকে মানুষের শরীর যেমন ভাঙতে শুরু করবে তেমনই মানসিক চাপ বাড়বে, অল্প বয়েসে আপনি বুড়িয়ে যেতে পারেন। তাই খাবারের সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে ধ্যান দেওয়া আবশ্যিক! যেমন ;
ধূমপান এবং মদ্যপান একেবারে ত্যাগ করা। শরীরের সঙ্গে কোনও অনিয়ম না করা। প্রতিদিন কম করে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো এগুলি মানা উচিত। ফ্লুইড জাতীয় খাবার সঙ্গেই ভাল পরিমাণে জল খাওয়া খুব দরকারী। তবে তার সঙ্গে কী খাবেন না তার ধারণা দিয়েছেন চিকিৎসক শালিনী গারউইন ব্লিস ( বিভাগীয় প্রধান, ডায়েটিশিয়ান- মনিপাল হসপিটাল )।
তিনি বলছেন প্যাকেটজাত খাবার কিংবা প্রসেসড ফুড খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে অটো ইমিউনিটি কমতে পারে। এবং প্যাকেটজাত খাবারে সবথেকে বেশি নুনের প্রয়োগ করা হয়, যেটি শরীরের পক্ষে খুব খারাপ। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়। তাই চিপস, কেক, কুকিজ এবং সোডা জাতীয় খাবার খাওয়া একেবারেই উচিৎ নয়।
অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। সাদা ভাত, ময়দা, কুকিজ, কেক এবং মিষ্টি পাউরুটি খাওয়া খুব একটা লাভদায়ক নয়। কারণ সাদা ময়দা দিয়ে বানানো সবকিছুই শরীরের জন্য ক্ষতিকর, প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে তাই সাবধান, এগুলি এড়িয়েই চলুন।
আর্টিফিসিয়াল মিষ্টি জাতীয় খাবার কিংবা গাম জাতীয় সবকিছুই এইসময় কম খাওয়া উচিত। এগুলি একধরনের নেশা সামগ্রী, তাই যতটা পারবেন কম খান। সেই জায়গায় পেঁপে, মাশরুম, ব্রকলি, টমেটো, এজাতীয় সবজি গুলি বেশি লাভদায়ক হতে পারে। চেষ্টা করবেন বিটা ক্যারোটিন এবং আস্কর্বিক অ্যাসিড যুক্ত খাবার যেন বেশি গ্রহণ করেন। তাই একটু সাবধানে, যতটা পারবেন খাবার দাবার ভেবে চিন্তেই খান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন