আলোর উৎসব সামনেই। তবে এই প্রেক্ষিতে আলোর উৎসবের থেকে কিন্তু শব্দবাজির উৎসব এই উক্তি ব্যবহার করলে বেশি শ্রেও হবে। হাজার বারণ সত্ত্বেও দীপাবলি কিংবা কালীপুজোর রাত মানেই ঢের শব্দবাজির ছড়াছড়ি এবং তাতে মানবজাতির হুঁশ একেবারেই নেই। মানুষের অসুবিধে তো বটেই তার সঙ্গে আপনার সন্তান সম পোষ্যদের কিন্তু ব্যাপকহারে এই কদিন অসুবিধে হতে থাকে।
দূরে কোথাও একটা বাজি ফাটলেই ওরা আতঙ্কিত হতে থাকে, নয়ত বা চিৎকার করে নয়ত বা এদিক ওদিক লোকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তার পরেও লাভ কিছুই হয় না। ছোট বাচ্চা গুলি আবার আপনার কাছ থেকে একেবারেই নড়বে না। পশু চিকিৎসক প্রাঞ্জল খান্ডারে বলেন, বিশেষ করে এই সময় আপনার পোষ্যদের ক্ষেত্রে বেশ কয়েক টি বিষয় এই যেমন সোফার নিচে লুকিয়ে পড়া, কারণে অকারণে ভিত হওয়া এবং খাওয়াদাওয়া করতে না চাওয়া এগুলি খুব সাধারণ ব্যাপার।
তিনি বেশ কিছু টিপসের উল্লেখ করেছেন যেগুলি আপনার পোষ্যদের দিন যেমন ভাল রাখতে তেমনই আপনাকেও চিন্তা ফ্রি থাকতে সাহায্য করবে। আর একথা একেবারেই সঠিক যে, ওদের জন্য আপনাদেরই ভাবতে হবে।
প্রথমত, ভোরবেলা ওদের নিয়ে হেঁটে আসুন। ওইসময় কোনওরকম বাজি ফাটানো হয় না তাই পরিবেশ শান্ত থাকলে ওদের নিয়ে বেরোতে একেবারেই অসুবিধে নেই। তার সঙ্গেই ভোরবেলা হাঁটতে বেরোলে ওরা ক্লান্ত হয়ে পড়বে এবং ভালভাবে ঘুমাতে পারবে।
দ্বিতীয়ত, নিজেকে শান্ত রাখুন এবং একেবারেই ঘাবড়া বেন না। আপনার পোষ্য আপনার মনের কথা সবই বুঝতে পারে তাই আপনি ভাল না থাকলে মানসিকভাবে ওরাও দুঃখ পাবে। যখন চারিদিকে ভীষণ শব্দবাজির আওয়াজ হবে, নিজেও নরমাল থাকুন এবং ওদের এমনই আশ্বাস দিন যেন সবকিছুই ঠিক আছে।
তৃতীয়ত, আগে থেকে বেশ কিছু প্রিপারেশন রাখুন। এই যেমন দীপাবলির আগেই বাড়িতে একটু শব্দ বাড়িয়ে টিভি কিংবা কোনও একটিভিটি করা। ওদের শান্ত রাখতে চিকিৎসকদের থেকে পরামর্শ নিতে পারেন। ওদের জন্য বাজারে earmuffs পাওয়া যায়, সেটি কিন নিয়ে শান্ত গান চালিয়ে রাখতে পারেন।
চতুর্থত, উৎসব উপলক্ষে যদি আপনার বাড়িতে খুব বেশি লোক আসার বিষয় থাকে তবে ওদের অন্যত্র শান্ত কোনও জায়গায় পাঠিয়ে দিন যেখানে ওরা সুস্থ থাকবে এবং আওয়াজ খুব একটা পৌঁছাবে না।
পঞ্চমত, বাড়িতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনুন। ওদের শোয়ার জায়গায় নরম ব্লানকেট এবং পছন্দের খেলনা দিয়ে দিন যেন ওরা একলা বোধ না করে। বাড়ির সব দরজা জানলা বন্ধ রাখুন। যদি কাঁচের জানলা হয় তবে সেগুলিকে পর্দা দিয়ে আড়াল করে রাখুন। এতে শব্দ যেমন কম আসবে তেমনই নজরেও আসবে না কিছু। সাউন্ড প্রুফ একটি ঘর হলেও বেশি ভাল হয় তারপরেও অসুবিধে নেই।
মোটামুটি এই বিষয়গুলি একটু মাথায় রাখলেই কিন্তু ওদের আর অসুবিধে হবার কথা নয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন