নিজের ওজনের প্রতি ভীষণ নজর? একেবারেই একদিনের জন্যও ব্যায়াম কিংবা শরীরচর্চা ছাড়া থাকতে পারেন না? তবে এটুকু মাথায় রাখতেই হবে যে প্রতিদিন ব্যায়াম করার পরে নিজের শরীরকে ঠান্ডা রাখতে হবে। কারণ এই সময় শরীরের প্রদাহ বেড়ে যায়। তৎক্ষণাৎ কোনও কাজ করতে শুরু করলে দুর্বলতা অনুভূত হবে, যদি এই ভুল আপনি করে থাকেন, তবে আজ থেকেই অভ্যাস বদলান। প্রসঙ্গে জানাচ্ছেন, পুষ্টিবিদ নিধি।
তিনি বলছেন, অত্যধিক গরমে যারা ব্যায়াম করেন তারা কিন্তু প্রথম থেকেই হাঁপিয়ে যান। এরপর যদি দৈহিক শান্তি কিংবা নিজেকে সাধারণ তাপমাত্রায় নিয়ে না এলে এর থেকে হার্টের সমস্যা, পেশীর ব্যথা এগুলি প্রতিনিয়ত বেড়েই যাবে। এইসময় খুব শান্ত থাকা দরকার, বিশেষ করে মাটিতে বসা, ঠান্ডা জল খাওয়া এবং হাত পা টানটান করে পেশীর ব্যথা কমানো খুব দরকার।
যদি না আপনি এই কাজ করতে পারেন তবে মাথায় রাখতে হবে এর থেকে শারীরিক এবং মানসিক এক বিরাট বিপদ ঘটে যাবে। অনেক সময়ই শারীরিক গতি সক্রিয় থাকে না, তাই শরীরচর্চার পর কী করলে সবদিক থেকেই ভাল, জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদ।
হার্ট বিট স্বাভাবিক করুন :- এই সময় হার্ট বিট বেড়ে যাওয়া কিংবা হাঁপানো খুব স্বাভাবিক। অনেক সময় এটি অত্যধিক কমে যেতে পারে তখন মুশকিল। তাই ভাল করে ভেজা তোয়ালে দিয়ে নাক মুখ মুছে নিন, জল খান, নিজেকে স্বাভাবিক করুন।
পেশীকে স্ট্রেচ করুন :- ব্যায়ামের পর পেশী খুব শক্ত থাকে, হাত পা গরম থাকে। এই সময় স্ট্রেচিং খুব দরকার। একে সক্রিয় করে তুলতে গেলে হাত পা আসতে ধীরে সচল রাখুন। অনেক সময় পেশীতে উপস্থিত ফাইবার কষ্ট দিতে পারে, সুতরাং সেইদিকে নজর দিতে হবে।
মন শান্ত রাখুন :- শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক চাপ এইসময় ঘিরে ধরে। অস্থিরতা মনকেও গ্রাস করে, তাই খেয়াল রাখতে হয়, এই সময় সব ভাবনা দূরে ঠেলে দরকার পড়লে অন্ধকার ঘরেই নিজেকে শান্ত ভাবে বসিয়ে রাখুন। মন শান্ত না হলে হার্টবিট কমবে না।
শরীরচর্চা তো করলেন, তবে এরপর নিজেকে শান্ত করতে গেলে এই যোগাসন গুলি বেশ ভাল কাজে দেবে :
আধো মুখ সভাসন, শরীরের কোষ এবং পেশীর তন্তুকে সক্রিয় রাখতে অভ্যাস করুন।
পিজন পোজ অথবা এক পদ রাজাকাপতাসন স্ট্রেচিং এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয় এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
বলাসন, যেকোনও সমস্যায় খুব কাজে দেয়। এটি অভ্যাস করতেও সহজ তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে এটি অভ্যাস করুন।