ভাতে সুগন্ধ ছড়ানো থেকে খিচুড়ির স্বাদ পরিবর্তনে ঘি এর কিন্তু জুড়ি মেলা ভার। মাঝে মধ্যেই গরম ভাতে ঘি এর জন্য মন প্রাণ যেন উসখুস করে। কিন্তু ঘি অনেকেরই শারীরিকভাবে ক্ষতি করতে পারে। অনেকের আবার খাওয়ার তালিকা থেকে বারণ করা থাকে। কেউ কেউ আবার বলেন, এতে নাকি ভয়ানক ওজন বাড়ে আবার নাকি প্রেসার বাড়তে পারে।
Advertisment
কিন্তু কোনও কিছু সম্পর্কে সঠিকভাবে না জেনে বুঝেই একে ভুল খারাপের তালিকায় তোলা উচিত নয়। নির্দিষ্ট কিছু খাবারের সঙ্গে সঠিক মাত্রায় ঘি যোগ করলে কিন্তু শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা বেশ কম। শুধু কতটা পরিমাণ প্রযোজ্য সেটিই মেনে চলতে হবে। পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবাকর কি ধরনের খাবারে কতটা পরিমাণ ঘি ব্যবহার করা উচিত সেই নিয়ে একটি ধারণা দিয়েছেন।
ভিডিওতে শেয়ার করেন পরিমাণ বিষয়ে। বলেন, সাধারণত মিলেট জাতীয় খাবার যেমন রাগী এবং নাচ্নি এগুলির ক্ষেত্রে তুলনামূলক ডাল এবং ভাতের থেকে কম ঘি ব্যাবহর করা উচিত। আর কি বললেন তিনি!
অতিরিক্ত মাত্রায় ঘিয়ের পরিমাণ বলতে তিনি বলেন, এমন পরিমাণে এটি ব্যবহার করবেন না যাতে খাবারের নিজস্ব স্বাদ, সুগন্ধি এবং টেস্ট সব হারিয়ে যায়। তার মতে এটি আমাদের জীবনের একটি চিরন্তন খাবার যেটিকে বাদ দেওয়া সম্ভব নয় তাই একে আয়ত্বে রাখতে হবে। ডাল বাটি, সবজি, বাজরা রুটি ইত্যাদির পরিমাণ একটু বেশি হবে। আপনার বাড়ির বয়স্কদের থেকে এর ধারণা পেতে পারেন।
ঘি, কিছু নির্দিষ্ট ভিটামিন সমৃদ্ধ তাই এটি ইমিউনিটি ভাল রাখে। সপ্তাহে এক দুদিন এটি খাওয়া উচিত তবে শরীরে ক্ষতি হবে না এবং ভাল থাকবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন