কিডনির সমস্যা এখন প্রচুর মানুষের। জল কম খাওয়া, খাবার দাবারের গাফিলতি এসব কারণেই যত মুশকিল। কিডনির সমস্যার ফলেই শরীরের রক্ত যেমন বিশুদ্ধ হয়ে ওঠে তেমনই তার প্রভাব গিয়ে পরে হার্টের ওপর। এবং দুটি অন্ত্রের চিকিৎসা একসঙ্গে করতে গেলে ধকল পরে সাংঘাতিক! বিশেষ করে কিডনির রোগীদের প্রচন্ড মাত্রায় সম্ভাবনা থাকে হার্টের রোগের সম্মুখীন হওয়ার। ওষুধ তো বটেই সঙ্গে রাখতে হবে বেশ কিছু নিয়ম নইলে মুশকিল।
Advertisment
বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, শরীরে যেমন ওষুধের প্রয়োজন আছে তেমনই প্রয়োজন নির্দিষ্ট নিয়ম এবং ভাল অভ্যাসের। ডায়াবেটিক কিংবা সুগার থাকলে কিডনির রোগ আরও চাগাড় দিতে থাকে, তাই সেইদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। অন্যত্র দেখলে হার্টের সঙ্গে ডায়াবেটিস এবং সুগারের মারাত্মক যোগ, প্রত্যেকটি পারস্পরিক ভাবে সম্পর্কিত! তাই মেনে চলতে হবে এই পাঁচটি উপদেশ, যেমন :-
দুই রোগের হাত থেকে বাঁচতে গেলেই, সবথেকে আসল এবং গুরুত্বপূর্ন বিষয় হল নিজেকে সক্রিয় রাখা। শরীরচর্চা করা। ব্যায়াম করা অবশ্যই প্রাণায়াম এবং যোগা করা। এতে শরীরে স্থূলতা দেখা দিতে পারে না, সঙ্গেই সুস্থ থাকতে সুবিধা হয়।
অবশ্যই খাওয়া উচিত পুষ্টিকর খাওয়া দাওয়া। সঠিক পরিমাণে খাবার খেতেই হবে। শুধু মাছ মাংস নয় ভিটামিন, মিনারেলস এগুলি খাওয়া অভ্যাস করতে হবে। তাহলে অনেকটা সুস্থ থাকবেন।
প্রতিদিন অন্তত একবার ব্লাড প্রেসার মেপে নেবেন, এতে শরীরের হাল হকিকত বুঝতে পারবেন। ব্লাড প্রেসারের ওষুধ নিতে ভুলবেন না।
ব্লাড সুগার আয়ত্বে রাখতে হবে। সুগার শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করে। এর থেকে সব আন্ত্রিক গোলযোগ নতুন করে দেখা দিতে পারে।
প্রচুর জল খান, জল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। শরীর হাইড্রেটেড রাখতেই হবে। যেহেতু শরীরের ৭০% জল তাই খেয়াল রাখুন। তবে কিডনির রোগীদের ভীষণ মিষ্টি জল কিংবা সর্বদা নুন চিনির জল না খেলেই ভাল।