অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চার অভাব, গ্যাজেট নির্ভর যাপন আধুনিক জীবনে এনে দিয়েছে ঘুম সংকট। ক্লান্তি আছে শরীরে, অথচ ঘুম নেই। আর ঘুম ভুলেছেন বলে নাওয়া খাওয়াও লাটে উঠেছে। অগত্যা চোখের নীচে কৃষ্ণ গহ্বর! তবে এসব থেকে বাঁচার উপায় আছে। আধুনিক গবেষণা বলছে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা খেলে শরীরে মেলাটোনিন এবং কর্টিসল হরমোন নিঃসরণ হয়।
ঘুমানোর আগে খাবার হতে হবে হালকা, কম ক্যালরিযুক্ত ও সহজ পাচ্য। শর্করা কম খাওয়াই ভালো। তেল, চর্বি বা ভাজাপোড়া খাবার খেলে পেটে গ্যাস হবে। এই খাবারে ট্রিপটোফেন (যেমন দুধ) থাকলে ভালো ঘুমের জন্য সাহায্য করে। খাবারের মান ১৫০ থেকে ২০০ ক্যালরি হলে ভালো। মূলত আমিষ ও সামান্য শর্করার হালকা মিশেলে খাবার বেছে নিন। প্রতিদিন একই খাবার হতে হবে—এমন কোনো কথা নেই। আদর্শ বেড টাইম স্ন্যাকস কী হতে পারে?
১) এক কাপ দুধ বা ১৫ গ্রাম ছানা বা আধা কাপ টক দই।
২) এক বাটি সবজির স্যুপ।
৩) এক টেবিল চামচ কর্নফ্লেক্স দিয়ে আধা কাপ দুধ।
৪) একটি আপেল বা একটি নাশপাতি।
৫) দুটি বা তিনটি ক্র্যাকার্স বিস্কুট বা টোস্ট, সঙ্গে এক টুকরো পনির।
৬) বাদাম, কিশমিশ ও অন্যান্য শুষ্ক ফলসহযোগে একমুঠো শুকনো খাবার।
এবার চটপট নিজের দৈনিক মেনুতে ঢুকিয়ে ফেলুন এ সমস্ত খাবার
আরও পড়ুন, নাক ডাকা মানেই কি ভালো ঘুম? জেনে নিন সত্যিটা
আমন্ড
ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর আলমন্ড মস্তিষ্কের বিশ্রামের জন্য খুব দরকার। শর্করা বা চিনি থাকে না বলে জলখাবারেও এটি বেশ কার্যকরী। রোজ ৩০ গ্রাম আলমন্ড খেলে রাতের ঘুম ভাল হতে বাধ্য।
গরম দুধ
ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামে ভরপুর গরম দুধেও প্রচুর পরিমাণ মেলাটোনিন থাকে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধ খেলে ঘুম গাঢ় হবে।
শামোমাইল টি
চা যে শুধু ঘুম কাড়তে নয়, ঘুম আনতেও অব্যর্থ, জানতেন না নিশ্চয়ই। তবে এ ক্ষেত্রে শ্যামোমাইল টি খেতে হবে। শুধু যে ভালো ঘুম হবে, তা নয়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।
ফল
র্যাস্পবেরি, জাম, কলা, আপেল, কমলালেবু, কিসমিস, আনারস, তাল এই সব ফল মেলাটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে।
নিয়মিত একটু শরীরচর্চা করে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসে অভ্যস্ত থাকলে এবং মানসিক অবসাদ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখলে ভালো ঘুম হতে বাধ্য।