Advertisment

হিন্দোল ভট্টাচার্যের এক গুচ্ছ কবিতা

সাম্প্রতিক বাংলা কবিতায় যাঁরা স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন, হিন্দোল ভট্টাচার্য তাঁদের অন্যতম। বেশ কয়েকটি প্রকাশিত গ্রন্থের লেখক হিন্দোল। তাঁর একগুচ্ছ কবিতা, আজকের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Hindol Bhattacharya Poems

অলংকরণ- অরিত্র দে

দাবা

Advertisment

এসেছি,বহিরাগত, দুঃখ তার নিজের আগুনে

একাকী খুঁটিয়ে দেখে কত বেলা হ’ল!

যত আশাবাদ তত অন্ধকার আমাদের ঘিরে--

বোড়েও বদল করে। সমন পাঠায়।

ভাস্কর্য

মূক, পাথরের মূর্তি ছেনি হাতুড়ির কোনও আঘাত বোঝে না।

অথচ রক্তের দাগ লেগে থাকা দেহে।

কে কাকে লিখেছে তার ঠিকানাও লেখা নেই আর।

বলেছ চাবুক, তাই, সারা পিঠ রক্তে ঘেমে আছে।

আরও বাংলা কবিতা পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে

প্রস্তুতি

আগুনের কাছাকাছি যেতে হয়, সাড়ে চার লাইন

অন্ধকার লেখা হলে অন্ধকার হয়ে যায় না কিছু;

সামান্য পুড়েছ বলে জীবনকে অভিশাপ দিচ্ছ তুমি?

সবে তো হয়েছে ভোর-

দুপুরে তো সূর্য আসে মাথার উপর!

রাজনীতি

মানুষের গন্ধ পেয়ে লুকিয়ে মাংসাশী হয়ে আসে

মানুষের ছদ্মবেশে ভীষণ শ্বাপদ।

ছায়া ছায়া কিছু মুখ চেয়ে থাকে

পুরনো

পাড়ার মতো, বড় দুঃখময়

মানুষের গন্ধ পেয়ে

মানুষ নিজের ঘরে আলোটি নেভায়

দেবতা

এত আলো যেন তার কাছে কোনও মফস্বল আছে

একটি আশ্চর্য বই লিখে রাখছে গোপন জীবনী

তুমি তাকে কখনও লেখোনি

তোমাকে সে পড়ে গেছে নীরবে, যেন বা লুকিয়ে

কেউ কেউ লক্ষ্য করছে

কীভাবে তোমার সঙ্গে রাজনীতি হয়!

প্রেম

আমি তো লিখি না, তবু কে আমায় লেখে?

এ প্রশ্ন তোমার কাছে নিয়ে যায় আমাকে তখন-

জীবন, নাস্তিক; তবু আস্তিকের প্রেমে পড়ে আছে।

কেউ তো আসে না, তবু আমি কার অপেক্ষায় থাকি?

সংসার

তোমাদের সাইরেনেও বেজে ওঠে লোভের হৃদয়;

কে কার হাতের কাছে মাথা পেতে আছে?

একটি রাস্তার কোনও যাওয়ার উপায় নেই, তাই

নিজেকেই সে আবার পরিক্রমা করে

তোমাদের সাইরেনেও গন্ধ আছে, হাহা উল্লাসের

মন্ত্র

হে দেবী, গ্রহণ করো

যত জল ভাবি, আমি তত স্রোতে ভেসেছি গভীর

হে দেবী সুড়ঙ্গ খোল

বাঁশি তার সুর হয়ে বাজে

বাঁশি তার ভাষা লেখে হাওয়ায়, গোপনে

bengali poetry Bengali Literature
Advertisment