ফেরদৌস রহমান
সেপারেশন
ছাড়াছাড়ি হয়ে যাচ্ছে পিছনে নিঃশ্বাস পড়ে
ঘাড়ের কাছে ঠিক ঘাড়ের কাছে
ঘাস পৃথিবীর সব সবুজ চোখের জলে ডুবে
ভিখিরি সাজে, পাঠ নেয় অন্যকিছু অন্য অভিযানে
আজ, সব ছবি আঁকা হলে পুড়িয়ে ফেলছে হাত
অস্থির রান্না আয়োজনে। মন-টলা করে শেষে
চমৎকার বিষক্ষয় এপিঠ ওপিঠ ধাঁধা ধরে
পাশাপাশি ঝুঁকে আছে বৃত্তের খয়েরি মাটি
ঝুলে আছে গাছেদের বল্কল আদিম অভিমানে
ছাড়াছাড়ি হয়ে যাবে, হয়েই যাবে
নির্জন সময়ের মাপে
আরও পড়ুন, জয়শীলা গুহ বাগচীর তিনটি কবিতা
সন্দেহ
খুলে ফেল শরীর সংগীত গত জন্মের ব্যথা
মনে পড়া নিয়ে কোনো কৌশল নয় কেবলি
মনোরোগ নিয়মিত খেলা
নদী মেখলা
পাখি হলে অন্য কথা, হাসপাতাল ব্যথিত বালক
পুড়ে যাবার গান ধরে অযাচিত নিঃসঙ্গ আদল
তুমি দূরে বসে, কখনো শুয়ে শুয়ে গান শোনো
বোঝো না মানে তবু ওই গান শোনো রোজ
নক্সার মতো করে সাজিয়েছ ক্ষরণের ভাষা
বলেছ, ধারালো ছুরিতে গাঁথি শিষ
খুনের বিপরীতে আনকোরা আনমনা শোক
উদ্বাস্তু দিন শেষে শামুকের আবরণ-প্রহর
মুছে গেলে পিছুটান অবনত হয় সন্দেহ
সুদীপ বসু
ছবি চিন্ময় মুখোপাধ্যায়
জলের লেখা
(১)
হাতের শিরা বলেছে চলো
যাই
কে যেন ফের ঘাড়ের কাছে
যাই
বৃষ্টি দারুণ অথবা কাঠফাটা
আলোর ভেতর যাই
পুরনো ব্রিজ নড়ে উঠেছে শীতে
সোনার নদী টলে উঠেছে শীতে
আমার কেউ ছিল না কোনোখানে
কেউ কোথাও ছিল না কোনোদিন
আমার ঘর আগুন দিয়ে আঁটা
আরও পড়ুন, তিনটি কবিতা: সৌম্যদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
(২)
ভাষার ঘরে নামি
একলা মেয়ে, অবিবাহের
আগুন লাগা ঘর
কী নামে ডাকি তাকে
যে নামে ডাকি
অন্ধকার অবাক হয়ে থাকে
বারংবার
হারিয়ে যাই আমি
আরও পড়ুন, সুমন মান্নার দুটি কবিতা