নাটকীয়
দেওয়ালগুলোর রঙ কোনোদিনই সবুজ ছিল না
এখন তো আরো বেশি জরাজীর্ণ শরীর, বলিরেখা, বয়সকালীন মেদ!
শুকনো পাতা জমে নিকাশী নালাও
বুজিয়ে ফেলেছে
তোমার কাছে উন্মুক্ত হওয়ার পথ।
অনেক বছর কেটে গেছে।
অপরিহার্য সেট, কালো পর্দা, টুকিটাকি প্রপস
মনে করায়
একদিন আমাদেরও দিন ছ...
স্মারকের মতো তোমার ক্ষুধার্ত হাত
সুযোগ খুঁজে কাছে টানে ধ্বংসস্তূপ
আর প্রত্নজীবের কানে বলে ওঠে
‘হয়তো আমায় আর বিশ্বাস করো না
তবু তোমায় যে কি ভীষণ মিস করি!’
গৃহত্যাগ
যতই হিসেব করে চলো, বাধা পড়বেই
ছাতিমের গন্ধ ঘিরে ফেলবে নাছোড়বান্দা
আঁচল আঁকড়াবে নিষ্পাপ গোলাপচারা
এমনকি পায়ে ধরে বারণ করবে কচি ঘাস!
চোখ এড়িয়ে খিড়কি দুয়ার দিয়ে পালাবো ভাবলেও
ছায়াটুকু তুলে রাখবে কাকচক্ষু পুকুর।
ফিরে আসবার কথা কেউ বলবে না
বাড়ি ও বাগান জানে চুপি চুপি যে মেয়েটা
চলে যায়
তার শাড়িতে অজস্র স্মৃতি-চোরকাঁটা।
আরও বাংলা কবিতা পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে
বিদায় সম্বর্ধনা
এতদিনে ওর যাবার সময় হলো!
ঘর থেকে দূর করে দিয়ে কতবার
খিল এঁটেছি।
পায়ে মাথা ঠুকে বলেছি,
‘দূর হটো, চলে যাও,
মুছে যাও ক্যানভাস থেকে।’
নিষ্ঠুর উইপোকার মতো আমার সাদা হৃদয়ে
সে ক্ষতচিহ্ন এঁকে গেছে।
ইতিমধ্যে বাসাবদলের খবর এলো।
পরিচিত উঠোন, খিড়কি বাগান, ভিজে স্যাঁতস্যাঁতে কলতলা
আলো হয়ে উঠলো
সৌভাগ্যে, সম্প্রদানে।
যখন ওর ছবি আর কোনো দেওয়ালে নেই
ওর সুর নেই আকাশে
আর গন্ধ নেই শরীরে
যখন ও কোত্থাও নেই জীবনে, স্মৃতিচারণায়...
তখন ওর যাবার সময় হলো!
আপশোষ, আমার ঝোলায়
দেবার মতন কোনো সম্বর্ধনা বাকি নেই।
অবশেষে
দরজা যখন খুলেছিলাম তখন অনেক ভিড় ছিল,
অনেকগুলো সন্ধানী হাত আমার আকাশ ঘিরছিল।
খররোদের জাঁকজমকে ঝলসেছিল সবার চোখ,
কেউ একটু মোহয় ছিল, ঘৃণার দিকে কারোর ঝোঁক।
এখন শ্রাবণ যাবার পরে পরিচ্ছন্ন দালানঘর,
স্মৃতিগুলো ধুয়ে গেছে, স্বপ্নগুলো অবান্তর।
দরজা এখন বন্ধ রাখি, আসার মতো মানুষ নেই,
শূন্য ঘরে বুঝতে পারি পৌঁছে গেছি পূর্ণতেই।