অসফল
কিস্যু যাদের হয় না তাদের বাঁদিক ঘেঁষে সময় পেতে বসি
মনের রোগ ? না অবিশ্বাসে
কান্না আসে
ডান-পা দিয়ে বাঁ-পার তলা ঘষি
কিস্যু যাদের হয় না
তারা এক সহস্র লোকের মধ্যে লুকোয় নিজের ভেতর
নিজের জন্যে বের করে নেয় অভাবী ভোর
একলা আতর
পাখি
আড়াল-প্রিয় কান্না, এসো, ততদিন এই অন্ধকারে
সুইসাইডের নকশা তৈরি রাখি
আরও বাংলা কবিতা পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে
প্যাকেজ
আমরা যারা বেড়াতে যাই চায়ের বাগান
পাহাড় ঘেরা
আমরা যার হাফ পেন্টুল হেডফোনে গান
রেব্যানমশাই
নিজের দেশে সাহেব হয়ে ঘুরে বেড়াই
প্যাকেজ ট্যুরে
পানাসক্ত মদ্যপুরে ঘুরতে থাকি
পাকদণ্ডীর ঘুর্ণিপাকে
কোথায় থাকে কোথায় থাকে উপর থেকে
নীচের থেকে পাহাড় বালক
অশান্ত চোখ
জলের জন্যে স্কুলের জন্যে
উঠতে উঠতে
হাঁটতে হাঁটতে হে দেশ আমার ক্লান্ত হল
হে দেশ আমার ষষ্ঠস্থান , অর্থে সেরা
খাড়াই বেয়ে নীচের থেকে উঠে আসছে পিঁপড়ে সারি
খাড়াই বেয়ে উঠে আসছে ভারতবর্ষ, দরিদ্রেরা
ইলেকট্রা
দুখানা বিষণ্ণ পদ্য , তার বাইরে ওড়াউড়ি করে
সমস্ত জীবন তার ভরে গেছে পাথরে পাথরে
মাঠ জুড়ে কুমিরের মতো রোদ , রোদের দুপুর
দুখানা শীতঘুম থেকে বেড়িয়েছি নীল শঙ্খচূড়
বেড়িয়ে বিষের চেরা জিভ বিক্রি করি দোরে দোরে
শীতের দোতলা থেকে পিশাচিনী নামে দ্বিপ্রহরে
দুখানা পদ্যের মতো পাতলা দুটো ঠোঁট দিই ভরে
অসংখ্য গোপন শব্দে , অনাচারে , আদিম পাথরে
রক্তমাখা চোখ পালটে বারবার বলে পিশাচিনী
ও আমার অজানা রে তোর কাছে জন্ম জন্ম ঋণী
অজানা তো নয় তোর শরীর আর অলিগলি জানে
আমারই মন্ত্রের জোরে তন্ত্রমতে এসেছি এখানে
অসমান হাত নিয়ে হলুদ রোদের খতিয়ান
মৌজা মৌজা বেহিসেবী মেপে নেব পেয়ারা বাগান
অসফল পিতা আমি ব্যর্থ , দূর আকাশে ঈশারা
জন্ম দেব কন্যাগর্ভে রক্তবীজ যে আমার ধারা
তোর গর্ভে জন্ম নেবে নদী, গাছ , ধানমাঠ, বন
রাগ
তোমাকে বোঝে না কেউ। নিজেও কি বুঝেছ কখনও ?
কোন হাওয়া শান্ত করে কোন হাওয়া হু হু বয় শোনো
বড়ো কথা বল তুমি আবেগের ক্রীতদাস বড়ো
এত প্রতিশ্রুতি তুমি এত কষ্টে, ভয়ে জড়োসড়ো
আবেগ তোমাকে বোঝে? ক্রোধ বোঝে দিনের অতীত?
পড়ন্ত রোদের ছায়া জানে আজ তীব্র ছিল শীত?
জানে না জানে না বলে সে শুধু তোমার রাগ দেখে
আগুন ধরায় মনে খুব দূরে চলে যেতে শেখে
কে কাকে শেখায় রাত কে কাকে মেপেছে কোন স্কেলে
এ কোন গভীর দেশে বিরহিনী ভুল করে এলে !
এসেছ যখন, প্রিয়, কীর্তিনাশা দাও অঞ্জলিতে
আশ্চর্য সান্ত্বনা আছে প্রকৃত কান্নার পৃথিবীতে !
আমি তো তোমাকে দেখি আমি তো আমাকে বেশ চিনি
আমি যে রাতের চাঁদ তুমি সে রাত্রির নিশীথিনী