ছোঁয়াচে
কেন যে এমন হয়! সমান চলমান প্রবাহে কেমন যেন আনমনা ছোঁয়াচ...রোদ ফুটলেও দিনটির গায়ে আধো অন্ধকারের দাগ...যেন নুয়ে থাকা ফুলের মত ...নরম কোন আঘাতের বাতাসে কাতর বুক...ফোঁপানো গোপন কষ্টের আঁচ পেরিয়ে কোনমতে দাঁড়িয়ে... জানান দ্যায় তার সয়ে থাকা অস্তিত্বের ভাঙা চেহারা....তাতে সৌরভ নেই, গৌরবও নেই।
তবু থাকতে হয় সমস্ত ভাল না লাগাটুকু মেখে... ভ্রূক্ষেপহীন তরঙ্গের অভিঘাতে যেভাবে উজাড় হয় নদী....যেভাবে কান্নার সমবেত শব্দরা মুছে দ্যায় ধমনীর কলরব....নুয়ে আসে জীবনের ঝংকার...যেন সেভাবেই আলগা হয়ে যাওয়া তোমার স্পর্শের কাছে নুয়ে আসে আমার ছায়া... হিম সংকেতে ভরে যায় আমার ঘর...ভালোলাগার জানলায় পর্দা টেনে বইতে থাকি আবহমান তোমার
ছোঁয়াচে অসুখ....
শতাব্দীর খোলা জানলায়
নিপাট সরলরৈখিক দৌড়ে
নির্ভরতার রঙ নেই কোথাও
সাইকেডেলিকে মগ্ন রাত থেকে
সরে যাচ্ছে নিজস্ব শেকড়
ছেঁড়া ছেঁড়া আলিঙ্গনে
ভাসছে খৈ সকাল
যে কোন প্রশ্বাসের ইউ টার্ন মানেই
আরো একটু বেঁকে যাওয়া প্রবণতা
শতাব্দীর খোলা জানলায়
ফিনফিনে অস্তরোদের মনখারাপ ক্যালিডোস্কোপিক বিষণ্নতায়
আঁকা আমাদের ঘরবাড়ি
জন্মের আঁক কেটে কেটে
অথৈ ঘুরপাক
বিশ্বাসের সীমান্তে কোন অংকের
রাস্তা খোলা নেই
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলায় প্রকাশিত আরও বাংলা কবিতা পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে
অসুখের কথা
যেন সব হঠাৎ
রোদের আসা যাওয়া
মাঠ ঘেঁষা ছায়া
মেঠো ফুলে দূর আঁকা আলগোছ
আলো আলো কথার গায়ে
ভেঙে যাওয়া অনুনয়
আদলটি রক্তের ভেতর
আনমনা সব স্তনের সখ্যতায়
ঝুরো ঝুরো ঘাম
বৃষ্টিহীন শরীরের চাষ
এগুলি সব অসুখের কথা
কাছে এসে আমাকেই চায়
হাত
হাতের ভেতর হারিয়ে যায়
আর ও একটি হাতের প্রলাপ
বৃত্তান্তের নীল খামে
কুয়াশার ধ্যান
অলিগলি ছায়া ছায়া
আরো বিরলকথায় স্নান
দোলাচলে টুকরো টুকরো
পরস্পরকথা
একটি জারুলরঙা দিন
কশেরুকা ছুঁয়ে থাকে
জ্বর
একটি জ্বরের চিঠি এবং
উত্তর মেলে না চোখ
বেহুঁশ রক্তচাপ ছুঁয়ে থাকে
চিঠির হলুদ প্রলাপ
আমার জন্মমাস
আসার সম্মতিতে
সব অগোছালো
ভোরের ক্যালেন্ডারে
রঙীন আলগোছ
ঝলমলে রোদের চিবুকটি
যেন ছুটির ওড়না
রেলিংয়ে আহ্লাদী রং
আলো আলো ঠোঁটে
শিশিরের আনমনা ঘনিষ্ঠতা
টলটলে পদ্মজল
ভাসছে শুধুই তি র তি র
পলাশরঙা বসন্ত
আমার জন্মমাস