দুটো জলভর্তি গ্লাস বসানো বেডসাইড টেবিলে। পাশে চেয়ারে বসে একটার পর একটা সাদা বড়ি স্ট্রিপ থেকে খুলে একটা ছোট বাটিতে রাখছিলেন অমরেন্দ্র। মুখোমুখি বিছানায় চুপ করে বসে পলকহীন চোখে তাই দেখছিলেন অনিতা। একটা স্ট্রিপ ফাঁকা করে দ্বিতীয় স্ট্রিপটা হাতে নিতে নিতে একবার চোখ তুলে তাকালেন অমরেন্দ্র। অনিতার মুখে কষ্টের ছাপ নেই, শুধু অস্বাভাবিক গম্ভীর! ব্যাথাটা কি কম আজকে? শুনেছেন মৃত্যুর আগে সব কষ্ট দূর হয়ে যায়।
কিছু ভাবছ, অনু?
ভাবছি ...তুমি... তুমি কেন...!
খানিকক্ষণ চুপ করে রইলেন অমরেন্দ্র। তারপর বললেন,
আমরা তো এ নিয়ে বহুবার কথা বলেছি অনু! তাও কি সংশয় কাটছে না তোমার?
ডাক্তাররা জবাব দিয়েছেন মাসদুই আগে। দুবছর আগে জানা গিয়েছিল, ফুসফুসের দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত অনিতা। তখনই খানিকটা ডালপালা ছড়িয়েছে শরীরের ভেতর। গত দুবছরে অনিতার চেহারা হয়েছে কঙ্কালসার। বেশ কয়েকবার কেমোথেরাপির পর মাথার চুল পড়ে গেছে। বেশীর ভাগ সময়েই তীব্র শ্বাসকষ্ট আর যন্ত্রণা। এই স্টেজে এ রোগের আর কোন চিকিৎসা নেই। যতদিন বাঁচবেন ওষুধ, অক্সিজেন দিয়ে শুধু যন্ত্রণাটা কমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হবে। রাতদিন মনে মনে সেই পরম করুণাময় মৃত্যুকেই আহ্বান করে চলেছেন অনিতা। হে মরণ এসো! পিতার মত, বন্ধুর মত, প্রেমিকের মত এসো হে মরণ! আশ্রয় দাও!
ইউথান্সিয়া। স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার। বিশ্বজুড়ে এ নিয়ে আলাপ আলোচনা, তর্কবিতর্ক। অমরেন্দ্রও স্বেচ্ছামৃত্যুর পক্ষে। যেখানে রোগের কোনও উপশম নেই, যন্ত্রণার কোনও প্রতিকার নেই সেখানে রোগী চাইলে যে নিজের জীবনে দাঁড়ি টানতে পারেন, তাঁর যে সে অধিকার থাকা উচিত, এ তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন। বিশেষ করে এই দু’বছরে অনিতার অপরিসীম যন্ত্রণা কাছ থেকে দেখে এ বিশ্বাস বদ্ধমুল হয়েছে তাঁর। আজ তাই মৃত্যুকে আবাহন করছেন অমরেন্দ্র। শুধু অনিতার জন্যেই নয়, তাঁর নিজের জন্যেও। তিনি নিজেও যে আজ কিছুকাল হল উপশমহীন এক মারণ রোগের শিকার!
আরও বাংলা ছোট গল্প পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে
অমরেন্দ্রর সে রোগের সূত্রপাত মাস ছয়েক আগে। অনিতার প্রত্যেক মাসে কেমো নেওয়া চলছে, সঙ্গে রয়েছে অগুন্তি ওষুধ আর প্রয়োজনমত অক্সিজেন। হসপিটালটা ততদিনে প্রায় ‘সেকেন্ড হোম’ হয়ে গেছে অনিতার। ডাক্তাররা জবাব দিয়ে দেননি তখনও। হাত পড়েছে আজীবনের সঞ্চয়ে। সেই সঞ্চয়ও প্রায় শেষের পথে। ছেলে বাবুল যথাসাধ্য করেছে, কিন্তু তার তো সঞ্চয় তেমন নেই। সবে জীবন শুরু করেছে সে। অমরেন্দ্র, অনিতা, কেউই চান নি বাবুল তার সামান্য সঞ্চয় মায়ের চিকিৎসার জন্য শেষ করে দিক। তাই বলে কি অনিতার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাবে? ...কলকাতার উপকণ্ঠে চার কাঠা জমির ওপর নিজস্ব একখানা দোতলা বাড়ি থাকতে?
শেষ প্রশ্নটির মুখোমুখি আগেও হয়েছেন অমরেন্দ্র, যদিও উপলক্ষ ছিল আলাদা। তখন নতুন বিয়ে হয়েছে বাবুলের। বৌমা পৌলমির এক দাদার বন্ধুর প্রোমোটিং এর ব্যাবসা। তার কাছ থেকেই এসেছিল প্রস্তাব, বাড়িটা ভেঙে যদি হাইরাইজ করা যায়। মুখোমুখি দুখানা থ্রি বেডরুম ফ্ল্যাট ফার্স্ট ফ্লোরে। স্মার্ট, ছিমছাম। সঙ্গে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা।
অমরেন্দ্র-অনিতাকে চুপচাপ দেখে পৌলমি বলেছিল,
মা, তোমরা যে একতলার ওই শ্যাবি ঘরটায় থাকো, আমার একটুও ভালো লাগে না।
ঠিকই। একতলার ঘরগুলো একটু অন্ধকার মত। সামনের বাগানে দু’য়েকটা বড় গাছ জানলার পাশে থাকায় দিনের বেলাতেও আলো কম লাগে। অনিতা যখন বউ হয়ে এসেছিলেন, তাঁর শাশুড়িও দোতলার বড় ঘরখানা তাঁকে ছেড়ে দিয়ে নীচের ঘরে নেমে এসেছিলেন। তারপর থেকে বত্রিশ বছর ওই ঘরে। তারপর বাবুলের বিয়ের সময় ছেলে-বউকে সেই ঘর ছেড়ে দিয়ে নীচের ঘরে চলে গিয়েছিলেন অনিতা। একটু যে মনখারাপ হয়নি তা নয়, তবু, এই তো নিয়ম।
অমরেন্দ্র বলেছিলেন,
তিন পুরুষের বাড়ি। এমন ছাদ, উঠোন, বাগান, বারান্দা তো পাবে না তোমার ফ্ল্যাটবাড়িতে! আরও পাঁচটা লোকের সঙ্গে মানিয়ে-গুছিয়ে থাকা! ...এখানে তোমার কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি?
মুখের আলোটা নিভে এসেছিল পৌলমির। বলেছিল,
নাহ, অসুবিধে আর কি? শুধু...অ্যাটাচড বাথ হলে...!
না, সে ব্যাপারে কিছু করতে পারেননি অমরেন্দ্র। দোতলার প্ল্যানটা এমনই যে নতুন করে ওদের ঘরের সঙ্গে অ্যাটাচড বাথের ব্যাবস্থা করাটা বেশ ঝামেলার। মনটা খুঁতখুঁত করেছিল অমরেন্দ্রর। বৌমা মুখ ফুটে অসুবিধার কথাটা জানাল অথচ তিনি কিছুই করতে পারলেন না।
এর কিছুদিন পর বাবুলের ব্যাবসা করার ঝোঁক হল। সফটওয়্যার এঞ্জিনিয়ার বাবুল চাকরি ছেড়ে ব্যাবসায় ঢুকতে চাইল। ক্যাপিটাল চাই। ছেলের উৎসাহ দেখে অমরেন্দ্র তাঁর যাবতীয় সঞ্চয় খতিয়ে দেখে জানালেন, লাখ দশেক টাকা তিনি বাবুলকে দিতে পারবেন।
ফুঃ! ওতে কি হবে? বাবুল যে ভাবে ভেবেছে তাতে অন্তত পঞ্চাশ লাখ লাগবে।
লোন নাও! আজকাল তো ব্যাঙ্ক লোন খুব সহজেই পাওয়া যায় শুনেছি।
বললেন অমরেন্দ্র।
লোন যে নেব, অ্যাসেট বলতে তো কিছু নেই আমার।
কেন? এই বাড়িটা তো আছে আমাদের।
সে তো তোমার আর মায়ের নামে বাবা! আমার আর কি আছে বল!
তুমি বললে আমি গ্যারান্টার হতে পারি। অথবা যদি বাড়ির একটা অংশ তোমার নামে দানপত্র করে দিই, তাতে কি সুবিধা হবে?
ঠিক জানি না। হতেও পারে। তবে ব্যাবসাটা না জমলে, লোনের ইন্টারেস্ট দিতে দিতে ফতুর হয়ে যেতে হবে। সব থেকে ভালো হত যদি ক্যাশ টাকা পাওয়া যেত।
বাড়িটা প্রোমোটার কে দেওয়ার কথা ভাবছ তো? এ বিষয়ে আমার মত তো তুমি জানো বাবুল!
তিক্ত হেসে বাবুল বলে,
এরকম একটা লোকেশনে এতটা জমির ওপর বাড়ি! শরিকি ঝামেলা নেই! লোকে ভাবে, আমি তো সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মেছি। সেই সোনার চামচ যে শুধুই শো-কেসে সাজিয়ে রাখার জন্য, তা তো আর কেউ জানে না! এই তো, পৌলমির পিসতুতো দাদা, সোনারপুরে পুরনো বাড়িখানা প্রোমোটারকে দিয়ে কি তোফা আরামে আছে! সাউথ-ফেসিং বিশাল ফ্ল্যাট পেয়েছে। টাকাও পেয়েছে অনেক। সপরিবারে ইউরোপ ঘুরে এল সদ্য।
অমরেন্দ্র খুশি হতেন, যথাসর্বস্ব দিয়ে ছেলের পাশে থাকতেন, যদি ব্যাবসাটা নিজের জোরে করতে চাইত বাবুল!
থমথমে হয়ে উঠল বাড়ির পরিবেশ। অমিতা কেঁদে পড়ে বললেন,
চল আমরা সব ছেড়েছুড়ে দিয়ে হরিদ্বারে গুরুদেবের আশ্রমে চলে যাই।
না অনু! ওই যে তুলসিতলার বেদীটা, যেখানে তুমি প্রতি পূর্ণিমায় নারায়ন পুজোর আল্পনা দাও, ওইখানটায় শেষবারের মত শুয়ে আমি এ বাড়ি ছেড়ে চিরকালের মত বের হতে চাই। শ্মশানে নিয়ে যাবার আগে আমার বাবাকে শোয়ানো হয়েছিল ওখানেই। মাকেও। তুমি তো সব জানো অনু!
জানেন বইকি অনিতা। নিজের হাতেই তো সাজিয়েছিলেন শাশুড়িকে, শ্বশুরকে। চোখে ভেসে উঠলো, লাল পাড় শাড়ি পরা শাশুড়িমা শুয়ে আছেন শেষ শয্যায়, তুলসিতলার লাল বেদিতে। কপালে ডগডগে সিঁদুর, পায়ে আলতা। পাশে বসে শূন্য দৃষ্টিতে চেয়ে আছেন শ্বশুরমশাই। হরিনাম সঙ্কীর্ত্তন হচ্ছে। শোকের স্তব্ধতা ছাপিয়ে, পরপারে পাড়ি দেওয়া মানুষটিকে যেন বিদায় অভিনন্দন জানানো হচ্ছে। এমন একটি শেষযাত্রার দৃশ্য কি নিজের জন্যেও বড় কাঙ্ক্ষিত মনে করেন না অনিতা?
কিন্তু অমরেন্দ্রই কি পারলেন শেষ পর্যন্ত তাঁর জেদ ধরে রাখতে? অনিতার ক্যান্সার ধরা পড়ার প্রায় বছর দেড়েক পর একদিন বাবুল মুখ কালো করে জানাল, আর সামর্থ্য নেই। আর পেরে উঠছে না সে। পেরে উঠছেন না অমরেন্দ্রও। তাহলে উপায়?
বাবুল নতমুখে জানাল,
বাকি আছে এই বাড়িটা। এ নিয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না বাবা। তবে, ...ভেবে দেখো, এমন বিপদে তো মানুষ ঘটি বাটি বিক্রি করেও...!
এবার আর বাবুল কে মুখের ওপর সরাসরি ‘না’ বলতে পারলেন না অমরেন্দ্র। প্রিয় মানুষটি যতদিন আছেন, যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে শেষ সম্বলটুকু দিয়ে।
অনেক টালবাহানা, আলাপ-আলোচনার পর শেষ অবধি বাড়িটা প্রোমোটারের হাতেই দেওয়া হল। বদলে পাওয়া যাবে দুটো দু কামরার ফ্ল্যাট আর বেশ কিছু টাকা। বছর দুয়েকের জন্য অন্য একটা ফ্ল্যাটে উঠে আসতে হল তাঁদের, যতদিন না বাড়ি ভেঙে নতুন ফ্ল্যাটবাড়ি তৈরি হয়। আকাশছোঁয়া ভাড়ায় দুখানা ঘরের ফ্ল্যাট। দমদম স্টেশনের কাছে একটা ঘিঞ্জি গলির মধ্যে। জানলা খুললে নর্দমার ভ্যাপসা পচা গন্ধ।
উঠোনের কোণে জুঁইফুলের কেয়ারীতে কুঁড়ি আসতে শুরু করেছে তখন। একগাছ ফুল ফুটিয়েছে চাঁপা। উঠোনে নামলেই গন্ধ পাওয়া যায়। অনিতার নিজের হাতে লাগানো। সেই জুঁইকে, চাঁপাকে, গন্ধরাজকে ছেড়ে চলে আসতে হল। সকাল-বিকেল পাখির কিচিরমিচিরে মুখর বাগানটুকুকে ছেড়ে চলে এলেন। পড়ে রইল তুলসিতলায় সমারোহের শেষযাত্রার স্বপ্ন।
অমরেন্দ্রর ক্ষত আরও গভীরে। চারপাশে গজিয়ে ওঠা উঁচু উঁচু বাক্স-বাড়িদের জঙ্গলে গাছপালায় ঘেরা তাঁদের ওই ছোট দোতলা বাড়িটা ছিল একটা বিচ্ছিন্ন সবুজ দ্বীপ। সে বাড়ির কোণায় কোণায় টুকরো টুকরো ছড়িয়ে ছিল তাঁর সমস্ত জীবন। সে জীবন ফেলে রেখে নিজের খণ্ডিত অস্তিত্ব নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। আর পিছু ফিরে তাকাবেন না ভেবেছিলেন। কিন্তু সে প্রতিজ্ঞা রক্ষা করতে পারেননি। চুপি চুপি একবার দেখতে গিয়েছিলেন। ফিরেছিলেন অন্তরে আহত, রক্তাক্ত হয়ে। নিজের অতি প্রিয়জনকে জেনেশুনে কসাইয়ের হাতে তুলে দিয়ে এসেছেন, রক্তক্ষরণ তো অনিবার্য! সেই রক্তক্ষরণ থামেনি আর।
রাতে ঘুমোতে পারতেন না বহুদিন। সেই হু হু হাওয়ায় ভেসে যাওয়া প্রশস্ত দক্ষিণের বারান্দাটা ডাকত তাঁকে! চাঁদের আলোয় ভেজা ছোটো বাগানখানা ডাকত! অমরেন্দ্র বুঝেছিলেন, এ যন্ত্রণার হাত থেকে আমৃত্যু মুক্তি নেই তাঁর। তারপর যখন শুনলেন, আর কোনও আশা নেই অনিতার সেরে ওঠার, কেমন যেন মুক্তির স্বাদ পেয়েছিলেন মনে মনে। তাঁর নিভৃত ক্ষতটির একমাত্র সাক্ষী, নির্জন কান্নার সঙ্গী অনিতাই যখন আর থাকবেন না তাহলে আর কেনই বা এই ক্লিষ্ট দীর্ণ অস্তিত্বকে টেনে নিয়ে চলা?
অনিতার সংশয় কাটেনি প্রথমে। আত্মহত্যা যে মহাপাপ, শুনে এসেছেন ছোটবেলা থেকে। কিন্তু অমরেন্দ্র তাঁর যুক্তিতে অনড়। আত্মাকে হত্যা নয়, মুক্তি দেবেন তাঁরা। যন্ত্রণাকাতর দুটি প্রাণ মুক্তি পেয়ে খোলা আকাশে পাখির মত উড়ে বেড়াবে, সমস্ত যন্ত্রণা, অবসাদ, হতাশাকে অতিক্রম করে। ক্ষতমুখ থেকে আর রক্ত নয়, অশ্রু নয়, শুধু ভালবাসা উথলে উছলে উঠবে। আহা, মৃত্যু! আহা, সুখ!
তোমার কোনও দুঃখ নেই তো? কোনও অভিযোগ? এইবেলা মনে যা আছে বলে ফেল অনু।
মমতায়, ভালবাসায় স্ত্রীর হাতদুটি ধরলেন অমরেন্দ্র। বুঝি বা শেষবারের মত। চোখ ভিজে উঠলো অনিতার। হাল্কা একটা হাসি ফুটে উঠলো ঠোঁটে। কথা বলতে কষ্ট হয় তাঁর। থেমে থেমে বললেন,
...দাও, আগে আমাকে.....
ছোট্ট কাঁসার বাটিখানির প্রায় অর্ধেক ভরে দিয়েছে সাদা বড়িগুলো। যেন একরাশ জুঁইফুল। তার থেকে একমুঠো তুলে গ্লাসে ঢেলে দিলেন অমরেন্দ্র। ধীরে ধীরে চূর্ণ হয়ে মিশে যাচ্ছে জলে। জল নাকি জীবনেরই এক নাম! জীবনের সঙ্গে মিশছে মৃত্যু! এখন গ্লাসের জল কেমন অস্বচ্ছ ঘোলাটে, যেন জীবনেরই রঙ। ওপরে ভেসে আছে কয়েকটা বুদবুদ, সাদা সাদা ফেনা, শূন্যগর্ভ, স্বল্পায়ু, যেন অর্থহীন কিছু অহং, ছাপোষা এ জীবনের চূড়ান্ত অর্জন!
ঘুম নেমে আসে চোখে। মৃত্যু নেমে আসে। কোল দেয়। জীবন আর মৃত্যু কেমন একাকার হয়ে যায় এই মোহনায়। জীবনকে মৃত্যু বলে ভ্রম হতে থাকে, মৃত্যুকে জীবন! নাকি ভ্রম নয়, আসলে একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ!