Advertisment

লাভের জন্য নয়, ক্ষতির হিসেব করতেই খুলছে বইপাড়া

এ অবস্থায় বইপাড়া খুললেও, সেখানে ব্যবসা বাণিজ্য খুব বেশি হবে বলে মনে করছেন না দেজ পাবলিশিংয়ের কর্ণধার তথা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের কর্তা সুধাংশুশেখর দে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
College Street Book Market To Open

কলেজ স্ট্রিট সাধারণ ভাবেই নিচু অঞ্চল, সামান্য বৃষ্টিতেই সেখানে জল জমে যায় (ছবি- শশী ঘোষ)

দু মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার থেকে খুলে যাচ্ছে কলেজ স্ট্রিট বইপাড়া। কার্যত সোমবার থেকেই খোলার কথা থাকলেও ঈদের জন্য যাতায়াত অনেকটাই সীমাবদ্ধ থেকেছে। মঙ্গলবার কলেজ স্ট্রিট বইপাড়া এক অর্থে পুরো দমে খুলছে।

Advertisment

এক অর্থে, কেননা, যাতায়াতের নিষেধাজ্ঞা রাজ্যে এখনও অনেকটাই বহাল। বাস চলছে সীমিত। ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি। এ অবস্থায় বইপাড়া খুললেও, সেখানে ব্যবসা বাণিজ্য খুব বেশি হবে বলে মনে করছেন না দেজ পাবলিশিংয়ের কর্ণধার তথা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের কর্তা সুধাংশুশেখর দে। তিনি জানালেন, "সোমবার কেউ কেউ এসে পৌঁছিয়েছিলেন বইপাড়ায়। তাঁরা সকলেই দোকান মালিক। আমফানের দৌলতে ঝড়-বৃষ্টিতে জল ঢুকে কতটা ক্ষতি হয়েছে, তার হিসেব করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের কাছে এ বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছিল, সরকার অনুমতি দিয়েছে।" যতদিন না রাজ্যে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে, ততদিন ক্রেতা বা বিক্রেতাদের হাজিরা নগণ্যই থাকবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন, লকডাউনের আঁধারে বাংলার বই প্রকাশনার দুনিয়া

কলেজ স্ট্রিট সাধারণ ভাবেই নিচু অঞ্চল। সামান্য বৃষ্টিতেই সেখানে জল জমে যায়। সেখানে এই অবস্থায় কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা ভেবেই শিউরে উঠছেন বহু দোকানি, বিশেষ করে যাঁদের রাস্তার উপর দোকান। সুধাংশুবাবু জানালেন, "অনেকেরই হয়ত কিছু বই বাঁচানোর মত অবস্থা রয়েছে, তাঁরা যাতে সেটুকু পারেন, সে জন্যই এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।"

এদিকে করোনার জেরে লকডাউন ও আমফানের বিপর্যয়ে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড একটি ত্রাণ তহবিল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টেলিফোনে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুধাংশুবাবু। তিনি আরও জানান, এই তহবিলের জন্য মঙ্গলবারই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা হবে।

Publishers and Booksellers Guild Lockdown amphan
Advertisment