Advertisment

ছোট গল্প: একটি কলোনিয়াল কিস্‌সা

কলকাতা শহরের বাইরে বাংলা ভাষার শক্তিশালী লেখালিখির চর্চা যাঁদের হাত ধরে জায়মান, বিপুল দাস তাঁদের অন্যতম। এবার তাঁর ছোটগল্প।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
bipul das short story ekti colonia kissa

সত্যি করে বলো তো, ওখানে সাপ ছিল ? নিজের চোখে দেখেছ ? (ছবি- চিন্ময় মুখোপাধ্যায়)

বিপুল দাস

Advertisment

সাপটা বেরলো জ্বালানি কাঠের বান্ডিলের ভেতর থেকে। খয়েরি বেসের ওপর সাদাকালো ডট, জ্বালানি কাঠের গোছার সঙ্গে মিলেমিশে ছিল। কালচে ডালপালা, শুকনো খয়েরি পাতা – এসবের আড়াল নিয়ে কুণ্ডলী পাকিয়ে ছিল। জলের ভেতরে মাছের সঙ্গে মিশে থাকার কথা যেমন খুব শোনা যেত একসময়, এও সে রকমই কায়দা। বেঁচে থাকার কৌশল। ফুলের সঙ্গে ফুল, কাস্তের সঙ্গে কাস্তে হয়ে থাকো।  নইলে এই দুনিয়ায় টিকে থাকা মুশকিল। ছোঁ মেরে তুলে নেবার লোকের অভাব নেই। তারপর তুমি লা-পাতা হয়ে যাবে। মাঠের ওপর শিকরে বাজের ছায়া বুঝতে হয়, নইলে মুরগিছানা হাপিশ। ওপর-জলে সাঁতার কাটার সময় চিলের ছায়া বুঝতে হয়, নইলে জল ছেড়ে তীক্ষ্ণ নখে গগনে উঠে যেতে হয় রুইকাতলামিরগেলের। টিভিতে এসব আজকাল সবাই দেখতে পায়। ডিস্‌কভারি, অ্যানিম্যাল প্ল্যানেট, ন্যাশনাল জিও। ফুল ভেবে তুলতে গেলে, প্রজাপতি হয়ে উড়ে গেল। ছন্দে ছন্দে রং পাল্টাতে হয়, নইলে বনবন-ঘোরা দুনিয়া থেকে আউট হতে টাইম লাগে না। পলাশগুড়িতে কেবল লাইন চালায় মামুন রশিদ।

সকাল দশটার আলো এসে পড়েছে উঠোনে। সূর্য এখন অনেকটা দক্ষিণে সরে গেছে। সরাসরি নয়, অনেকটাই তির্যক ভঙ্গিতে রোদ পড়েছে বাসুদেবের ঘরের দেয়ালে। সজনে গাছের ঝিরিঝিরি ছায়ার নীচে জ্বালানির কাঠকুটো গুছিয়ে রেখেছিল বাসুদেব। তখন ওখানে রোদ ছিল। ভেবেছিল শুকিয়ে যাবে তাড়াতাড়ি। সূর্য আরও একটু সরতেই ছায়া পড়ল। সজনে গাছের বুটিদার ছায়া। বাতাস উঠলে নকশা বদলে যায়।

অঘ্রাণ পড়েছে সবে। সকালে আর সন্ধ্যায় পুকুরের জল থেকে ধোঁয়া ওঠে। ভোরের দিকে একটা চাদর গায়ে টেনে নিতে হয়। হাইওয়ের পাশে কতকালের পুরনো শিরিষগাছটা কেটে ফেলেছে, পথ আরও চওড়া হবে। সেই আসামটাসাম পার হয়ে আরও দূরে কোন বিদেশে নাকি চলে যাবে। পথের দু’পাশে গাছ কাটার অর্ডার এসে গেছে। সরকারি লোকজন এসেছে, বিশাল বড় হলুদ দৈত্যের মত গাড়ি এসেছে। লোকজন ভিড় করে সেই গাছকাটা দেখেছে। বাসুদেব বুঝতে পারছিল তার বুকের ভেতরে যখন কষ্ট হচ্ছে, আর সবারই নিশ্চয় তাই হচ্ছে। এ কী আজকের গাছ। এর নামই হ’ল বৃক্ষ। ছোটবেলায় যেমন দেখেছে, এখনও গাছ তেমনই আছে। কত পাখপাখালির বাসা, কী ঘন ছায়া, গরমের দিনের ঠা ঠা রোদে মানুষজন এর নীচে বসে শরীর শীতল করে। নীচের দিকে কান্ডের কী গোলাই। দশ জোয়ান হাতে হাতে ধরে বেড় পাবে না। সেই বৃক্ষ কেটে ফেলার কায়দাও কী সোজা নাকি। অনেক হিসেব কষে তাকে নিকেশ করা হচ্ছিল। ওপরের মোটা ডাল কাছি দিয়ে বাঁধা হচ্ছিল। মাথায় হলুদ টুপি পরা করাতিরা লোকজনকে ধমক দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছিল। মুখ থমথমে হয়ে ছিল সবার। ইলেক্ট্রিক করাতের শব্দে প্রথমে ভয়, তারপর বিস্ময়, তারপর ঘেন্না, তা থেকে এক রকম রাগ হচ্ছিল সবার।

সাতদিনে আকাশ পরিষ্কার হ’ল। ঠান্ডা ছায়াঘন অঞ্চলে এখন কত আলো। সেদিকে তাকিয়ে লোকজনের হঠাৎ ধাঁধা লেগে যায়। কী যেন নেই-কী যেন নেই। জায়গাটা প্রথমে নতুন মনে হয়। তারপর মনে পড়ে। বুকের ভেতরে হু হু করে ওঠে। আর এই হঠাৎ হঠাৎ অবাক হয়ে যাওয়ার অবস্থার ভেতরেই লোকজন যে যতটা পারছিল, কাঠ সরিয়ে ফেলছিল। করাতিরা প্রথমে একদম ওপরের ডালপালা ছেটে ফেলেছিল। আস্তে আস্তে নীচে মোটা শাখা-প্রশাখায় নেমে এসেছিল। খুব সাবধানে মোটা কাছি বেঁধে সেগুলো নামানো হচ্ছিল। সন্ধের পর লোকজন ছোট করাত, দা, কুড়ুল এনে জ্বালানির জন্য ফালতু ডালপালা কেটে নিয়েছে। বাসুদেবও এনেছিল। বাড়িতে এনে সাইজ মত কেটে প্রথমে রোদে শুকিয়েছে। তারপর বান্ডিল করে সাজিয়ে রেখেছে। কিছু সবুজ, কিছু খয়েরি পাতা, কালচে-খয়েরি ডাল – এ সবের আড়ালে কখন এসে লুকিয়ে রয়েছে খয়েরি খোলসের ওপর সাদাকালো ডটের সাপ, বাসুদেব বা টিয়া লক্ষই করেনি।

প্রথম বুঝতে পেরেছে টিয়া। মোটা ডালগুলো কুড়ুল দিয়ে চিরে ফালি ফালি করেছিল বাসুদেব। চ্যালাকাঠগুলো রোদে মেলে দিয়েছিল। কাঁচা কাঠে আগুন তো ধরবেই না, উলটে ধোঁয়া হবে বেশি। লক্ষ করে টিয়া দেখল গাছের ছায়া এখন অনেকক্ষণ থাকবে। সরাতে হবে ওগুলো। রোদ এখনই যা একটু চড়া। অঘ্রাণের প্রথম সপ্তাহ, গত সপ্তাহে গেছে কার্তিক পুজো। সূর্য আর একটু পশ্চিমে গড়ালেই রোদ্দুরের তেজ মরে যাবে।

সাপ কম দেখেনি টিয়া। সুধানিতে তার বাপের বাড়ির জলে-ডাঙায় হোক, আর এখানে এই পলাশগুড়ির ধানিজমির আলপথে হোক, এমন কিছু আঁতকে ওঠার মত ব্যাপার নয় তার কাছে। বরং বাসুদেবই কেমন যেন ভয়ে কাহিল হয়ে পড়ে। আজ চ্যালাকাঠের বান্ডিল থেকে কিছু কাঠ সরিয়ে রোদে মেলে দেবে বলে একটা মাঝারি সাইজের ডাল ধরে টান মারতেই একসঙ্গে অনেকগুলো ছোটবড় ডাল কাত হয়ে পড়ল। তখনই টিয়া দেখল খয়েরির ওপর সাদাকালো কিছু বিন্দু নিঃশব্দে সরে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে আলো পড়ছে সিল্কের মত মসৃণ খয়েরির ওপর। আলো পড়ছে বলেই সাদাকালো বিন্দুর সরে যাওয়া টের পেল টিয়া। আর এই প্রথম তার বুকের ভেতরে একটা ভয়ের গোল্লা ড্রপ খেতে লাগল। বৈজুর রবারের বলের মত। যে ডালের ওপর দিয়ে ওটা পিছলে যাচ্ছে, সেটাই টানতে চেয়েছিল সে। আর, এই ডিজাইন সে এর আগে কোনও দিন দেখেনি।

খুব আস্তে আস্তে সাপটা সরে যাচ্ছে। একবার বুঝতে না পারলে কেউ ধরতে পারবে না ওর অবস্থান। ক্রমশ আরও ভেতরের দিকে, আরও অন্ধকার, আরও আড়ালে যেতে চাইছে সাপটা। এই সময়ে, কড়া শীত পড়ার মুখে পেট ভরে খাবার খেয়ে নেয় ওরা। তারপর কোথাও গর্তের ভেতরে কুণ্ডলী পাকিয়ে শীতঘুমে চলে যায়। ইঁদুর কিংবা ব্যাঙের খোঁজেই হয়তো এদিকে চ্যালাকাঠের ফাঁকফোঁকরে ঢুকে পড়েছিল। কাঠের বোঝা নড়ে উঠতেই ভয় পেয়েছে। বুঝেছে জায়গাটা নিরাপদ নয়। আরও অন্ধকারে লুকোতে চাইছে।

কেমন যেন ঘোরের ভেতরে চলে গেল টিয়া। সাপটা অনন্তকাল ধরে উজ্জ্বল খয়েরি খোলসের ওপর সাদাকালো বিন্দুর সাজ নিয়ে খুব মৃদু একটা স্রোতের মত বয়ে যাচ্ছে। নেশা লাগছিল টিয়ার। ওই দৃশ্যে এক রকম মোহিনী মায়া ছিল। কিন্তু পরে সে বাপারটা বাসুদেবকে বোঝাতে পারেনি। সাপের চলন দেখে কারও নবমী দশা হতে পারে, বাসুদেব মানতেই চায়নি। সে ভেবেছিল টিয়া ফালতু কথা বলছে। যাকে দেখলে দুনিয়াসুদ্ধ মানুষ ভয়ে চমকে ওঠে, পালিয়ে যাওয়ার জন্য আপনা হতে পা’দুটো নড়ে ওঠে, দু’হাত দূরে তাকে দেখে বেবশ হয়ে বসে রইল টিয়া। সবার মত ভয়ে চিৎকার করে পালিয়ে যায়নি, বাসুদেবকেও ডাকেনি – ডাল পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে তার যাওয়া দেখতে নাকি টিয়ার খুব সুখ হচ্ছিল। আশ্চর্য কথা বলে টিয়া। তার নাকি তলপেটে কেমন শিরশির করছিল। তারপর একটু থেমে লজ্জায় মুখ নামিয়ে বলেছিল – আরও নীচে। সামান্য স্ফীত টিয়ার পেটের দিকে তাকিয়ে বাসুদেবের অস্বস্তি হচ্ছিল। কেমন আজগুবি কথা বলছে টিয়া। কিছু একটা অশুভ মনে হচ্ছিল তার। স্বাভাবিক নয় এসব কথা, এসব ভাবলক্ষণ। কিন্তু সাপটা শেষ পর্যন্ত গেল কোথায়। রাতবিরাতে লেজে পা পড়লে বিপদ ঘটতে পারে। টিয়ার এই পাঁচমাস চলছে।

বেশ দূর থেকে লম্বা একটা লাঠি দিয়ে কাঠের বোঝা সরিয়ে দেখল বাসুদেব। টিয়া যদি সত্যি বলে থাকে, তবে চিন্তার কথা। ঝোপজঙ্গলে ঘুরে বেড়ায়, সে সব চোখ সয়ে গেছে। কিন্তু একেবারে তকতকে নিকনো উঠোনে ঘরের সামনে ঘুরে বেড়াবে, অতটা রিস্ক নেওয়া যায় না। এখনও যদি ওখানে লুকিয়ে থাকে, তবে তাড়াতে হবে। ওখানেই আছে নির্ঘাত। যাবে কোথায়। টিয়ার কথা বিশ্বাস করলে বেশ বড় সাইজেরই হওয়ার কথা। ভয় পেয়ে সেটা যদি জ্বালানি কাঠের বান্ডিল ছেড়ে আরও নিরাপদ কোনও জায়গায় লুকোতে চায়, তবে তাকে বাইরে বেরিয়ে আসতে হবে। নির্জন জায়গা হলে, গাছপালার আড়াল থাকলে সাপটা বেরনোর সাহস পেত। কিন্তু এই ফটফটে আলো, তকতকে উঠোন – এত খোলামেলা জায়গায় সাপটা জানে তার বিপদ ঘটতে পারে। বেরোবে না। আরও আড়াল খুঁজবে। মানুষ যেমন সাপ দেখলে ভয় পায়, সাপও মানুষ দেখলে বিপদের গন্ধ পায়। তাড়াতাড়ি আড়াল খোঁজে। চেরা জিভ বার করে জলবাতাসের হালচাল বুঝে নেয়। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে ফোঁস করে ভয় দেখায়। আঘাত পেলে দংশন করে। সবাই বলে কালে কেটেছে। এত ভয় মানুষের, ঢ্যামনা সাপের কামড়েই মানুষ মরে যায়।

আশ্চর্য ব্যাপার ! প্রথমে ভয়ে ভয়ে দূর থেকে, পরে সাহস পেয়ে আরও কাছ থেকে কাঠকুটো সব সরিয়ে ফেলল বাসুদেব। টিয়া একটু দূরে দাঁড়িয়েছিল। তাকে ঘরে যেতে বলেছিল বাসুদেব। শোনেনি টিয়া। সে দেখতে চাইছিল সাপটা কোথায়। বাসুদেব কি ওটাকে দেখতে পেলে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলবে। লাঠি হাতে নিয়ে বাসুদেব সে রকম কথাই বলেছিল বীরত্ব দেখিয়ে। টিয়ার কথা বাসুদেব শুনবেই না। সাপটাকে মেরে ফেললে টিয়ার কষ্ট হবে, সে কথা বাসুদেব বুঝতে পারবে না। বরং সে যে কতবড় বীরপুরুষ, হাবেভাবে সেটাই দেখাবে টিয়াকে।

সত্যি করে বলো তো, ওখানে সাপ ছিল ? নিজের চোখে দেখেছ ?

সত্যিই তো। মা মনসার নামে মিছে কথা বলব কেন, আমার কি ভয় নেই। খোলসের ওপর লাইট পড়ে কী সুন্দর দেখাচ্ছিল, আমার চোখে ঝিলমিল ধরে যাচ্ছিল। কী মোটা, কী লম্বা। যাচ্ছে তো যাচ্ছেই। শেষ আর হয় না। কোথা থেকে যে এলো ...

এসব অনেক পুরনো কালের সাপ। ইংরেজ আমলের হতে পারে। ওরা তো শুনেছি এ দেশ থেকে অনেক কিছু যেমন নিয়ে গেছে, আবার রেখেও গেছে। বাস্তুসাপের কথা শুনিসনি, ওরা যাওয়ার পর ঘরে ঘরে ঢুকে পড়েছে সাপগুলো।

ধুস্‌, সাপের পরমায়ু কি অত হতে পারে ?

বড় বেশি কথা বলিস তুই। সব জেনে বসে আছিস যেন। অত জ্ঞান ফলাবি না। মেয়েছেলে, মেয়েছেলের মত থাকবি। নিজের চোখে দেখেছিস, তবে যাবে কোথায় ? জাদুর খেলা নাকি, এই ছিল ঘড়ি আর পাখি হয়ে উড়ে গেল ? আমার তো সন্দেহ হচ্ছে কী দেখতে কী দেখেছিস, আমাকে গালগল্প শোনাচ্ছিস। সব ব্যাপারেই তোর বাড়াবাড়ি। আমি হিসেব কষার আগেই তুই মুখে মুখে হিসেব কষে বলে দিস, তাও আবার বাইরের লোকের সামনে। পাড়ায় কোথায় কার কী হয়েছে, তোর আগ বাড়িয়ে গিয়ে বুদ্ধি দেবার কী আছে। বিদ্যের বড় বড়াই হয়েছে তোর। মাধ্যমিক ফেল, তারই দাপ দেখাস। মাথা গেছে তোর। সাপ দেখলে মানুষজন দৌড়ে পালায়, আর তোর নাকি দেখতে ভালো লাগে।

আমার দোষ কোথায় ? দেখতে ভালো লাগে, আমার শরীর কেমন অবশ হয়ে আসে, মনে হয় ধরে আদর করি, ভালোমন্দ খেতে দিই। আহা, কতদিন বুঝি উপোস করে রয়েছে।

কী খেতে দিবি ? দুধকলা ? তার পয়সা বুঝি তোর বাপের বাড়ি থেকে দিয়ে যাবে ? তোর মত পাগলছাগল নিয়ে আমি বলে সংসার করে গেলাম। আর কেউ হ’লে কবে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বিদায় করে দিত।

ওভাবে কথা বলছ কেন ? আর, সাপ দুধকলা খায় না, সে ক্ষমতা ওদের নেই। ইঁদুর, ব্যাং, এসব ওদের আহার।

চোপ, বজ্জাত মাগি। আবার জ্ঞান ফলাচ্ছিস। ফের যদি মুখে মুখে চোপা করিস, মুখ টিপে একদম রক্ত বের করে দেব।

রাতে ওরা দু’জন পাশাপাশি শুয়ে ছিল। উলটো দিকে মুখ ঘুরিয়ে। ওদের মাঝে অনন্ত শীতল স্রোতের মত অনেক পুরনো একটা অদৃশ্য সাপ শুয়ে আছে। এই সাপ উষ্ণতার বিপক্ষে, মিলনের বিপক্ষে কাজ করে যায়। ভয় পায়। যদি কোনও দিন এক চন্দ্রধর হেঁতালের লাঠি হাতে পাহাড়চূড়ায় এসে দাঁড়ায়।

Bengali Literature short story fiction Bengali Short Story
Advertisment