ইচ্ছে
ইচ্ছে, নতুন ইচ্ছে মানেই দুয়ো
তা’ও যদি খুব ইচ্ছে করে, ছুঁয়ো।
কেউ ছোঁবে, কেউ প্রতিস্থাপন ভেবে
অহংকারে মুখ ফিরিয়ে নেবে
কেউ শুচিবাইগ্রস্ত হওয়ার ভয়ে
কেউ স্তোকে, কেউ খানিকটা বিস্ময়ে
দেখবে আবার অনেক দিনের পর
আজ অবকাশ শব্দ-স্বয়ম্বর।
সফর
হাতেকলমে, বেতের ডগায় নিয়মিত শেখাচ্ছে জীবন।
বাধ্য ছাত্রের মতো শক্ত করে ঘাড়, অসফল ট্যাগ নিয়ে
আমরা যারা মাঝেমাঝে অস্বীকার করে চলেছি পাঠ
একদিন স্বপ্নে দেখেছিলাম, খাওয়া-পরা’র চাহিদা মিটে যাওয়ার পর
উদ্বৃত্ত জমিতে
মেটে রঙের তরুণীরা পুঁতে দিচ্ছে হলুদ গাঁদার চারা!
রঙ্গনের মতো লাল আকুতিগুলো
এক আধ ছত্র কবিতা-বিলাস হয়ে
ঝরে পড়েছিল হিসেবের খাতায়।
আপাত স্বৈরাচারী; যারা বলেছিলাম, ভাল হবে... একদিন... সব ভাল হবে
তাদের কাঁচা কুয়াশায় আজও চকোলেটের গন্ধ
থেমে থাকা বাস, চীনা খেলনার স্টল, পোস্টারের সারি, ফুটপাথে
নরম পালকের মতো মেয়েদের ঢল...
মৃত্যু-চিন্তা সরে গেলে মুগ্ধ হতে আর কী কী লাগে!
ডাকটিকিটের মতো ছোঁয়াটি জমানো আছে তার
মেঘলা দুপুর। গার্লস স্কুল ছুটি হলে, ছায়াহীন মেয়েদের ভিড়ে
সুদে বেড়ে ওঠে প্রেম। মনে হয়, বারবার মনে হয়
হায়! বড় বেশি বাঁচা হয়ে গেল!
শীতের সন্ধ্যায় মাথার ভেতরে ঠিক হামা দেয় ক্ষণজন্মা চাঁদ।
শেয়ালের ডাক, অজ্ঞাত শীৎকার-ধ্বনি
হাত ধরাধরি প্রদীপের বুকে থেকে পোড়া-গন্ধসহ
উঠে আসে দীর্ঘ অবসর।
এত ছুটি আমার তো প্রয়োজন নেই
এই ভেবে লোভ থেকে খুঁটে-খুঁটে দু একটা প্রীতি উপহার
ডেস্কে সাজিয়ে রাখি।
ভয় হয়, যদি আর চাঁদই না ওঠে!
ইউথেনেশিয়া
সব চুপ। সমস্ত ব্যথা উপশম।
দুপাশে ছড়িয়ে আছে ওষুধ, মলম।
বিছানা, বালিশে জ্বরো ঘ্রাণ...
শুধু সেই ব্যধি নেই যে ব্যধির ছিল না নিদান।