মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েডের মর্মান্তিক মৃত্যু এবং তৎপরবর্তী তুমুল প্রতিবাদের আগুন বিশ্বজুড়ে ফের একবার প্রশ্ন তুলেছে বর্ণবিদ্বেষ বা 'রেসিজম' নিয়ে। এই প্রেক্ষিতেই জনপ্রিয় মার্কিন অভিধান মেরিয়াম-ওয়েবস্টার তাদের আসন্ন সংস্করণে বদলে দিতে চলেছে 'রেসিজম' শব্দটির সংজ্ঞা। এবং তা সম্ভব হয়েছে ২২ বছরের এক পাঠিকার দৌলতে।
সিএনএন-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মাসে মেরিয়াম-ওয়েবস্টারকে ই-মেইল মারফত কেনেডি মিচাম নামক ওই পাঠিকা জানান যে মেরিয়াম-ওয়েবস্টারে বর্ণবিদ্বেষের যে বিবরণ রয়েছে - "বর্ণই মানুষের সক্ষমতা ও চরিত্রের প্রধান নির্ণায়ক, এবং বর্ণের তারতম্য কোনও নির্দিষ্ট জাতিকে উন্নত করে, এমন বিশ্বাস" - তা সম্পূর্ণ নয়।
আরও পড়ুন: লাভের জন্য নয়, ক্ষতির হিসেব করতেই খুলছে বইপাড়া
তবে এর পরের ঘটনা তাঁকে অবাক করে দেয় - মেরিয়াম-ওয়েবস্টার সংস্থার এক সম্পাদক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং এই সংজ্ঞাটি সংশোধন করতে স্বীকৃত হন। আমেরিকার মিজুরি (Missouri) রাজ্যে ফ্লরিসাঁ শহরের বাসিন্দা ওই তরুণী সিএনএন-কে বলেন, "আমি ওদের বলেই যাচ্ছিলাম যে ওদের ডিকশনারিতে যে সংজ্ঞাটা রয়েছে, তা বর্তমান পৃথিবীতে যা চলছে, তার প্রতিফলন নয়। বাস্তব জীবনে বর্ণবিদ্বেষ স্রেফ একটা কুসংস্কার নয়, কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষ এদেশের প্রতিটি ব্যবস্থার মধ্যে গেঁথে রয়েছে।"
এর পর যে সংজ্ঞা তৈরি হবে, তা আরও সম্প্রসারিত হবে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-কে একটি ইমেইল করে অভিধানের এক সম্পাদক পিটার সকলোস্কি বলেছেন যে নতুন সংস্করণে যে সংজ্ঞা প্রকাশিত হবে, তা "দু'ভাগে ভাগ হবে, প্রথমত, বর্ণের ভিত্তিতে কারোর বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক পক্ষপাতিত্ব বোঝাতে; দ্বিতীয়ত, বৃহত্তর অন্তর্নিহিত পক্ষপাতিত্ব, যার ফলে অসম ক্ষমতার কাঠামো সৃষ্টি হয়"।
আগামী সংস্করণে এই পরিবর্তন দেখা যাবে। সিএনএন-কে মিচাম জানিয়েছেন, "আমি খুব খুশি হয়েছি, কারণ এর ফলে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে, যা দুনিয়ার বা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে সাহায্য করতে পারে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন