Advertisment

NCERT সিলেবাস বদলের জের, উপদেষ্টামন্ডলী থেকে পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার

একতরফা এবং অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বলে ভয়ঙ্কর অভিযোগ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ncert textbooks row, ncert textbook deletion, ncert political science textbooks, pol science textbooks ncert, ncerts"

নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাস বদল নিয়ে এর আগেই বিতর্কের মুখে পড়তে হয় NCERT কে। এনিয়ে শিক্ষাবিদরাও সমালোচনায় সরব হয়েছেন। গত কয়েক বছরে, এনসিইআরটি তার পাঠ্যক্রমের বিষয়বস্তু এবং তত্ত্বে অনেক পরিবর্তন করেছে, যদিও ইতিহাস সম্পর্কিত বিষয়গুলিকে মুছে ফেলার জন্য বহুবার সমালোচনার মুখে পড়েছে NCERT। তবে সিলেবাস পরিবর্তন এটাই প্রথমবার নয়। এর আগে ইউপিএ সরকারের আমলেও সিলেবাসে রদবদল আনা হয়।

Advertisment

পড়ুয়াদের ওপর পড়াশুনার চাপ কমানোর পাশাপাশি ‘ডুপ্লিকেশন এবং ওভারল্যাপিং’ এর সমস্যা দূর করতে সিলেবাসে এই বদল করা হয়েছে। তবে সমালোচকরা দাবি করেন যে, মূলত সমাজ বিজ্ঞান এবং ইতিহাসের বইয়ে্র এই কাটছাঁটে রয়েছে রাজনীতির গন্ধ। এবার সুহাস পালসিকর এবং যোগেন্দ্র যাদব এনসিইআরটি-কে একটি চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বই থেকে তাদের নাম বাদ দিতে বলেছেন।

ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি) নতুন শিক্ষাবর্ষের জন্য ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ের সিলেবাসে বেশ কিছু রদবদল করে। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধীরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ইতিহাসের কারসাজির অভিযোগ তুলেছে।

সুহাস পালশিকর এবং যোগেন্দ্র যাদবকে ২০০৬-২০০৭ সালে প্রকাশিত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বইগুলির জন্য প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে মনোনীত করা হয়। সিলেবাস বদল বিতর্কের মধ্যেই এখন তাঁরা দুজনই পাঠ্যপুস্তক থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে পর্যদে চিঠি লিখেছেন।

এনসিইআরটি স্কুলের বই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে (এনসিইআরটি বিতর্ক)। অনেক শিক্ষাবিদ এবং রাজনীতিবিদ গত বছর করা ব্যাপক পরিবর্তনের সমালোচনা করছেন (যা এ বছর বাস্তবায়িত হয়েছে)। এনসিইআরটি বলেছে যে কোভিড ১৯ শিশুদের পড়াশুনার ওপর বড় প্রভাব ফেলেছে। এই কারণে সিলেবাস কমিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যদিও এই যুক্তি মানতে নারাজ বিরোধীশিবির ও শিক্ষাবিদদের একাংশ।

যোগেন্দ্র যাদব এবং সুহাস পালশিকর এনসিইআরটি-র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সিলেবাস বদল নিয়ে তাদের আপত্তি জানিয়েছেন। সংশোধনের নামে সিলেবাস ছেঁটে, আখেরে পড়ুয়াদের ক্ষতিই ডেকে আনছে সরকার। এমনটাই দাবি তাদের। তারা দাবি করেছেন অসম্পূর্ণ সিলেবাস অ্যাকাডেমিক স্তরে পড়ুয়াদের প্রকৃত শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে। এই যুক্তিতে উপদেষ্টা হিসেবে তাদের নাম বাদ কথা জানিয়ে ইতিমধ্যে তারা NCERT কে চিঠিও লিখেছেন।

তাঁদের অভিযোগ, সংশোধনের জন্য তাদের সঙ্গে কোনপরামর্শ করা হয়নি। চিঠিতে তাঁরা উল্লেখ করেছেন "আমরা দুজনেই এই পাঠ্যপুস্তকগুলি থেকে নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন করতে চাই,"  NCERT-কে লেখা এক যৌথ চিঠিতে এমনই আবেদন করেছেন তাঁরা। চিঠিতে বলা হয়েছে, "এই পাঠ্যপুস্তকগুলি যে আকারে দাঁড়িয়ে আছে তা রাজনৈতিক বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের রাজনীতির নীতি এবং সময়ের সঙ্গে রাজনৈতিক পরিবর্তনের বিস্তৃত নিদর্শন উভয় ক্ষেত্রেই শিক্ষার উদ্দেশ্য পূরণ করে না।"

ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি) এর সিলেবাস বদল নিয়ে ক্ষুব্ধ সুহাস পালশিকর এবং যোগেন্দ যাদব। দু'জনই এনসিইআরটি-কে চিঠিতে 'একতরফা এবং অযৌক্তিক' বইগুলি থেকে অধ্যায় বাদ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বই থেকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তাদের নাম বাদ দেওয়ার পক্ষেও জোরালো দাবি তুলেছেন তাঁরা। এনসিইআরটি ডিরেক্টর দীনেশ সাকলানিকে একটি চিঠিতে তাঁরা বলেছেন, "এই কাটছাঁট সম্পর্কে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। এনসিইআরটি যদি সিলেবাস ছেঁটে ফেলার বিষয়ে অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কোনরমক আলোচনা না করেই একতরফা সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা এটা স্পষ্ট করতে চাই যে আমরা এর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত নই'।

NCERT
Advertisment