রহস্য
নতুন লেখায় যেতে হবে।
সামনে বিশাল নদী। নৌকো।
স্নিজার চুলের ক্লিপ খুলে সুদূর অরণ্য...
তারও একটু পরে খেলনা স্টেশন
ট্রেন এসে ভুল করে সেখানে থামবে কি?
মুহূর্তে বসব গিয়ে জানালার ধারে
রহস্যে পৌঁছে যাব পরের লেখায়
স্নিজা কি কাছেই থাকে?
ভাবতে ভাবতে দিন দূরে চলে যায়...
ডেটিং
খিদের অজুহাতে বসেছি কফিশপে
দেখছি চোখ তুলে তোমাকে যেই
সন্ধে নেমে এলে শহরে খুব আলো
হঠাৎ উড়ে যায় কথার খেই
ট্রাফিক সিগন্যালে ফেঁসেছে ওলা ক্যাব
আমার মন জুড়ে ধুন্ধুমার
পৌঁছে গেছ তুমি? আলোয় ভরে আছে
কফি ও কবিতার শ্যামবাজার
নখের জাদুবলে তুলছ কফিকাপ
তোমার আঙুলেও খাসতালুক
ঠোঁটের ওঠানামা কথার কারসাজি
দু’চোখে দাবানল, বাঘ-ভালুক!
সেই যে কথাখানা এখনও জমে আছে
সঠিক বলে দেব পরের দিন
তুমিও রাজি হলে, বলছি দেখে নিয়ো
তোমাকে নিয়ে যাব জাপান-চিন!
আরও বাংলা কবিতা পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে
গন্তব্য
অরণ্যে দাঁড়িয়ে আছে গাছের শিরদাঁড়া।
এইসব গাছ ছুঁয়ে তুমি চলে যেতে
সন্ধ্যার অফিসে।
এখনও এসব গাছে পাখির আশ্রয়।
তুমি তো আগুন জ্বালতে দেশলাই-বারুদে
জল হয়ে ছুঁয়ে যেতে সমস্ত শরীর...
নদীটি পেরিয়ে গেলে
আমিও তো হতে পারি গাছের একজন।
তুমি কি কাছেই থাকো?
জলের ওপরে আজ পেতে দাও আশ্চর্য সাঁকো!
অন্ধ
প্রথম থেকেই অন্ধ
সমুদ্র পান করো
মদ ঢেলে দাও চাঁদে
নারী নিয়ে নিক বন্ধু
বিষাদবালক ঝাপটায়
গান গেয়ে যাক রাস্তা
জেব্রা ক্রসিং ডাকছে
দু'জনে পেরোই আস্তে
পেরিয়ে গেলেই বন্দর
জাহাজ ভাসছে জলে
সেই জলে চাঁদ সাঁতরায়
নারী নিয়ে নিক বন্ধু
বন্ধুরা নিক ঢেউ সব
গান দূরে যাক আজকে
পুজোর ছুটির রেশ নেই
জাহাজ ডাকছে, ভাসছে...
তরঙ্গ
তোমাকে শাড়িতে দেখি।
যে-শাড়ি রাতের বেলা নদী হয়ে যায়
এ-চোখ লাফায় শুধু, তরঙ্গে তাকায়
তাকায় কেবল ওই টিলাটির দিকে।
সেখানে মেলেছে কারা রঙিনকাপড়?
ভুটানে যেমন ছিল বহুমন্ত্র লেখা--
সে-লেখা দেখেছো নাকি সাচিফুর গায়ে?
চুনাভাটি থেকে নেমে বাঁকের দু'পাশে?
ফিরে তো যাবই আমি দূর ওচলুমে
বাজারে, বাবার সঙ্গে, বনমধ্যে যাব
দেখে নেব মায়া-চোখে কামারের আশ্চর্য হাপর!