সৌন্দর্য
আবার উঠেছে জেগে আকাশের অসামান্য নীল
তারাদের উল্টো পিঠে এই সন্ধে হাওয়া
যেন সে তাকিয়ে আছে প্রণয়ীর ছল ...
জলপিপাসার মতো পথিকের কণ্ঠরোধ করে
সম্পর্ক -ছিন্নাকে
আয়ুর অমৃত শুধু তিষ্ঠে ক্ষণকাল
তুমি যদি তাকে একবার ছোঁও,আর
তাকে না-ছোঁও দুবার
ক্ষয়
ভাবি আমি মিলনের শ্বাসরুদ্ধ তিল
যেখানে ঘুমাও পাশে ব্যাঙ্ককর্মী ক্লার্ক
আত্মগোপনের কালে অসহায় সাক্ষ্যগুলি মিথ্যা মিথ্যা
ব্যথা নিরোধক চাঁদ এসে স্বপ্নে বলে যায়
রাষ্ট্র
না বোঝার প্রশ্নে ম্লান, যেন মৃত, যেন সে বধির
রহস্যের খুব কাছে এসে ফিরেছে মানুষ আজ
নতমুস্ক
তার গ্লানি বেতন -বাহিত প্রাণধারণের
ফলত মশক ওড়ে ,মুখে মুখে
শোষণের ইতিহাস নিয়ে
বাঁচে আরো অন্ধকার ,ম্যালেরিয়া বেঁচে থাকে
ভোরের মেথর এসে কচুবনে কামান চালায়
আরও পড়ুন, সবর্না চট্টোপাধ্যায়ের একগুচ্ছ কবিতা
সিন্ধু সৈকত
ঘোরে দৃশ্য রুপোরং বরেণ্য আঁধারযান
চকিত মৃত্যু লাস্য হাস্যময় মানি সিন্ধুতীর
ভোর ভোর হেঁটে গেছি ...
পথ প্রান্তে উষাদেবী প্রত্যুষ সঙ্গম সেরে
খোকা সূর্য জন্ম দিলেন
ও পথেই একদিন মৃত অশ্ব
কাঁচা রক্ত পায়ু ঠান্ডা পড়ে আছে
আত্মরতি
একটি চুম্বনের মানে নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়াই ভাবি
হয়তো কখনো পাবো, হস্তে ধৃত প্রিয় পুরুষার্থটির মতো
একান্ত নিজের করে, শুধু এই বোধ, বিরহের কোনো প্রান্তে
ভ্রান্তি হয়ে জ্বলে, যদি মানো, এই জ্বলা নিরর্থক
দিবসে মোমের মতো
তবে আজ তোমাকে গোপনে বলি, শোনো
আমার সকল প্রেম মুকুরের উল্টো পিঠে ন্যস্ত হয়ে আছে
অবসরে কখনো তাকাও ,দ্যাখো আহত মাছের চোখ
ভাসে দর্পণের সুকঠিন জলে
পৃথিবী
আমার মৃত্যুর কাল কিছুকাল মনে রাখে ধ্রুবতারা
বাকি ছায়া শিকারীর । চন্দ্রের কিরণ লেগে
নিহতের বেদনায় বাতাস উঠেছে জেগে
প্রেতের প্রত্যাশা নিয়ে, নিচু হিম টিলাটির পাশে
উঁচু গোবরাটে
যদি আজ থেমেছ নিশীথ শীতের পোশাকে
বলো বলো এইভাবে এজীবনে কতআর উপমা সম্ভভ
দূরে দূরে ওরা কারা? পাণিপ্রার্থী ? ছদ্মবেশ
যেভাবে লুকোয় নখ বাঘের থাবায়
মনে হয় ধর্ষিত সুন্দর তুমি খনন চেয়েছ
চেয়েছ সিঞ্চনের মতোন প্রতিভা ব্যাধের
মাধবী
মাধবী, সহজ লতা, ফুলেদের জটিলতা ক্রমে
জীবনে এসেছে
আক্রোশে প্রেমের বশে,ছিঁড়েছি তোমার পাতা
মাধবী, হত্যার পর, বৃতির বেদনা যেন
আমাকে বিঁধেছে
মাধবী, গ্রহের টানে,অনেক ভ্রমণ হল
এ বছরে প্রেম হল আমাদের, যার -পর -নেই
হিন্দিতে
অভিজ্ঞতাগুলি, আরব সাগর জলে
মিশে আছে
মাধবী, সহজ লতা, জটিলতা থেকে শুধু ফুলগুলি
তুলে নিতে চায়