অলীক তরঙ্গজাল
১
ক্লান্তিহীন ছায়াগুলি কেঁপে যায়
এ কাদের ছায়া সব?
রোদ মরে মরে মনে হয় আলতামিরারর কোনো গুহায় রয়েছি
গুহার দেয়ালে সব অশরীরী ছায়া
চিরস্থায়ী সত্য হয়ে ওঠে
অবসাদ মৃত আলোর মতো, আলোর শব,
অতিকায় শব এসে ঢেকে দেয় শেষ দৃষ্টিপথ ।
আর কিছু দেখছোনা তুমি
গুহার দেয়াল আর দেয়ালের নৃত্যরত ছায়া
যতদিন অনাবিষ্কৃত থেকে যাবে ছায়াদের জন্মের রহস্য
ততদিন লেখা হবে গুহাবন্দি মানুষের অন্ধ গল্পমালা
২
চলন্ত ট্রেনের গায়ে রোদ্দুর- রঙ এসে পড়েছে
ট্রেনটি তো ধাবমান, স্টেশনকে ছেড়ে ছেড়ে যায়
তাই রোদ্দুরও চলে যায়।
স্টেশনে বিছিয়ে থাকে ঘোর কালো ছায়া
হে অন্ধকার , তুমি সেই ছোঁয়াচে অসুখ ,
ইদানীং আমারও চুপে হয়ে যেতে ইচ্ছে করে অন্ধকার
তোমাতে চুমুক দিই , ডিকন্সট্রাকট করে নিই
গুঁড়ো গুঁড়ো হতে থাকা এই ব্যর্থ পাণ্ডুলিপিটাকে
আমি তোমার শরীরে পুঁতে রেখে যাবো
৩
কেউ চিৎকার করছিল আর
তার ভাঙা স্বপ্নগুলি ছড়িয়ে ছিল আকাশে
চারদিক নীল হয়ে আসা অপরাহ্নে
বেঁকে যাচ্ছিল দীর্ঘ সিল্যুট তারপর
মানুষের এইসব পরাবাস্তব , এইসব ক্লান্ত ডিলিরিয়াম
একটি একটি করে শরীরে ধারণ করে
সুনিবিড় অন্ধকারে সত্য হয়ে এলেন ঈশ্বর
৪
এসবই সূর্যের দিকে ছুঁড়ে দেওয়া মেঘ
জানি যেতে যেতে পথে মরে যাবে
প্রতিটি কথাই আজ এমনই অর্থহীন
প্রত্যেকটি কাছে যাওয়াও
এতকিছু জানবার পরে
প্রত্যহ নিয়ম করে তুমি
মৃত্যুকেই দানাপানি দাও !