সাকিন ফকিরি
শুধু ছাই জমা করি। বেদনার সাপ হিলহিলে
লাউডগা।
বেদানায় অলীক গোলাপি। রঙ সাবানের ফেনা
ততোধিক
সাকিন ফকিরি। তামাকের অধিক প্রশ্রয়
এই ধোঁয়া
বারুদে মোকাম। মাটি খোঁড়া জল খোঁড়া
কৃষিকাজ
কে বা কৃষ্ণ কোথায় রজনী আমি রজকিনী
অশ্বেতর
সকাল বিকেল এই দেহ ধুয়ে ধুয়ে তামারং
কশেরুকা
লিখি ক্ষয় লিখি ধাতু আরো লিখি বিকিরণ
মজ্জাগত
নিজেকে ঢাকতে এই রংকানা সুজনিতে বুনে
দিচ্ছি পাখি
হোক হোক পাখি লেখা হোক, সকাতর অনুনয়
ডানাহীন
পাখির ফসলে এই খেত ডুবে যায়, নিরাকার
পাখিসাজ
খুলে রেখে আমিও তো এসেছি হে দয়াময়
কোল দাও
এমত বায়না শুধু ছল। ছিনাল পতঙ্গভুক
মাংসাশী
লিবিডোর গাছ
আলো নামের একটা অনুভূতি
দিনকে রাত করে দিল আর
মুখোশ হারিয়ে ফেলার এই দিনে
কিছু গান এসে বসল প্রচ্ছদে
শুধু চামড়া নিংড়ে আর কতদিন
জল কোনো কথা শুনছে না
জল কোনো কথা বলবে না
আমার কোনও যতিচিহ্ন নেই
আমির কোনও যতিচিহ্ন নেই
কেবল বালি খসে পড়ে এই
দিনরাতে আমার আমিকে ধুয়ে
স্নানাগার লেখা হল কিছুটা সাবান
তবু লেগে থাকে কম জল মৃদু স্নান
সূর্য রঙের সেই হাসি কোনও এক
পুরানের থেকে উঠে এসে বসবে
এখানে এই দাওয়ায় মরাইঘরের
পাশে একটেরে ছায়া পড়ে আছে
তার সেই কোনও এক কাল থেকে
এখন শরীর এনে বসিয়েছি সেই
মাটির ওপর যেন স্কেচ করবার পর
ফেলে রাখা যেন খসড়া ছবির থেকে
তুলে আনা কঙ্কালে দু এক চাপড়া
ঢেলে দিয়ে মাংসের পসরা সাজানো
যেন ঘামতেল হাতে নিয়ে ইতস্তত
রোদ্দুরে জারিয়ে তোলা লেবুর আচার
লিবিডোর গাছে গাছে হরিণ ফলেছে
সেই ছুট লেখা হবে ভেবে সারাদিন
প্রণয়বিতানে জল ঢালা কৃষিকাজ
সারিন্দা বিহনে যেন একলা খমক
শুকপাখি সারিপাখি কুহক মাঠের
একপাশে জ্বালিয়ে রেখেছে বিরহের
খড়কুটো প্রতিদিনকার রেওয়াজ অভ্যাস
আরও কবিতা পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে
পাখিইচ্ছা
মাঝে মঝে আমিও কিছুটা পালক খেলি
কিছু পাখিইচ্ছা গান বিছিয়ে দিচ্ছে দেখেও
আবার সুর থেকে উড়ে গিয়ে বসি স্বরে
খেলা তো খেলাই শুধু শাদা জামা হাত থেকে
হাতে হাতে শব্দ বদল করে খিলানের গায়ে গায়ে
স্নিগ্ধ কবুতর এক সময় পেরিয়ে এসে দাঁড়িয়েছে
এই ফাঁকে স্নান সেরে নিই লাজবাব সুরের ফেনায়
সবটুকু মুলতুবি রেখে নিপাট ভাঁজের ভেতরে
পুরে দেওয়া এককুচি বালি নিয়ে ফেলে দেওয়া
এইটুকু দুপুর আমার এটাই রাত্রিকালীন অবসাদ
বৃষ্টি-ক্যানভাস
যে রাত গানের তাতে কিছু হাহাকার জুড়ে দিয়ো
পাখি খুলতে খুলতে খুলল না শুধু এই অসফল
প্রসাধন পুড়ে যায় খলনুড়ি ভেষজতা
তুলসী আসবে বৈকালিক
এমনই ঢ্যামনা আমি সাপ চিনি কুলোপানা
চক্কর চিনতে পারছি না
মূলাধারে বিষদাঁত ঢালো বেশ ঢালো ঢালো
সিরণি প্রসাদ ধাতুরূপ
ভণিতা বিষয়ে পটু লোহার পুতুল যেন
প্রমাদ গুণতে বাকি থাকে
সামুদ্রিক এই প্রাণ যত ঢেউ হাতে ওঠে
একমাত্রা ফাঁকিতে রয়েছি
জমা জলে বাঁচে নাকি নখরার এ দিনরাত্রি
ছায়া লিখতে ধূসর লিখেছি
পাণ্ডুরং শূন্যলিপি বজ্রের ইশারামাত্র
তাই ধুয়ে বৃষ্টিক্যানভাস