আস্ফালন
একা জানালার কাছে দাঁড়িয়ে আছি নিরক্ষর
সব অক্ষরগুলি মার্জিত নিবেদনে প্রজাপতি
ঘুমিয়ে পড়েছে কৌতূহলের নিবৃত্তি পেয়ে
একাকী স্বমেহনে চাঁদ পার করে রাত
দৈবহীন দুয়ারে কেবল আমার নীরব আস্ফালন
জলতল থেকে ওঠে কুমুদের ডাক
নিঃসঙ্গ শালুক শুধু খায় ঠাণ্ডা পাঁক
আজ কোনও বাক্যের ব্যত্যয় নেই, মৌন কৃপাণে
অস্তিত্ব খণ্ড হয় নিষিক্ত নির্বাসনে
যারা যারা ফুটিয়ে রাখে ফুলের সংরাগ
সেখানে প্রজন্ম ঢালুক সৃষ্টির পরাগ
বাঁকা চোখ, অনর্গল বিভ্রম দৃষ্টি হানে চতুর্দিক
আস্ফালন সেরে নিয়ে অশরীরী আমিও
মায়ার শরিক
অযথা বারান্দা ঘিরে আছি
আজ একটা নতুন চশমার কাচে
দূরকে নিকটে ডাকা হল
তার সন্নিধানে চলো উৎসর্গ করি সব আলো
নশ্বর চৌকিতে সব বদল হচ্ছে ঘর
লোকে লোকে বেড়ে উঠছে
অলৌকিক কন্যা ও বর
ডানাকাটা জ্যোৎস্নার দ্বীপে শুয়ে শুয়ে
রাত যায়
সন্ধানের বিহর্গিত আলোয় দৈবাৎ পীড়িত হয়
মেঘভাষা
মেঘভাষা জানি নাকো কলরোল সার
নৈবেদ্যের অসীম প্রান্ত ছুঁয়ে বাঁশি বাজে
তার
যা জেনেছি দূরের সান্নিধ্য তটে চশমার গান
ভাঙা বিদ্যার ডাঙায় হৃদয়ের কারু সন্ধান
কিছু নেই, পৃথিবীর আরোগ্য খুঁজে
বুঝে যাই অসত্য প্রলাপ
দাউ দাউ আগুনের কোপে পুড়ে যায়
লাল যোনি
সমূহ বিলাপ
তারতম্য
সব মুশকিলগুলি এসেছে আমার ঘর
আজ ওদের বসতে দাও, আপ্যায়ন
ত্রুটিহীন চাই
আর
যে নামে নামুক জলে, নিজে খাই বিষফল
অযোগ্য যদিও আজ, যোগ্যতা কোথা পাই ?
নীল মাধুর্যের খাটে বশংবদ পাখি
ওর মাংসে রুচি আছে ? বলে দ্যাখো দেখি!
সূর্যহীন দিনকাল, প্রত্যয়হীন পাড়া
ব্যাকরণ না বুঝেই পড়ে যায় ওরা
তাদের গান্ধর্বজলে কী ছায়া ফোটে ?
ছায়ায় মাধুর্যময় বৈরাগ্য কাটে
অহংয়ের নবলিপি প্রাচুর্যের পাঠে
জলীয় কষ্টের মতো অন্তহীন ছোটে
আজ সব শিকল বাজুক, শিকলহীন ঘরে
উন্মীলিত হোক সাধু, মাসতুতো যেমন চোরে চোরে
সান্ধ্য আহ্নিক
দু একটি দাঁড়কাক নির্ভেদের কালে
চৈতন্যে মগ্নতা পায় গার্হস্থ্য বিকেলে
ঐশ্বর্যের সন্নিকট পারম্পর্য দাবি
ক্ষয়ের মুলুকে খুঁজি অক্ষয়ের চাবি
দারুণ নিহিত চোখ , পর্ব ভাঙা হাসি
নিমিত্তের নৌকায় পার হয়ে আসি
হে নতুন দিব্য জ্বর , অকথিত ভাষা
চর্যাপদ থেকে এই সান্ধ্যলোকে আসা
তারপর শিকড়ে শিকড়ে রস গল্পে কাঙাল
তীব্র লোনা ঢেউ থেকে সমুদ্র কল্লোল
ভিজে যায় শ্রদ্ধা ম্যাডাম, একসা হৃৎপিণ্ড
এ বর্ষায় করুণা নাবি, রুদ্ধ জড়পিণ্ড
কে বোঝে আলোক সাম্য, অলকের দীপ্তি
নির্ভেদ জাগাক দণ্ড, ভাঙুক সুষুপ্তি…