Advertisment

জারিফা জাহানের এক গুচ্ছ কবিতা

তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মরত জারিফা জাহান আক্ষরিক অর্থেই তরুণ কবি। লেখালিখির দুনিয়ায় তাঁর কদম বেশিকাল পড়েনি বটে, তবে তাঁর লিখনশৈলী নজর কেড়েছে। জারিফার তিনটি কবিতা আজ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ZARIFAH ZAHAN Poetry

অলংকরণ- অরিত্র দে

বইমেলার কবিতা

Advertisment

তরুণ সাহিত্যিক এক সাজিয়েছে আখ্যান: ক্ষতবিষয়ক
আত্মজৈবনিক পেরেকসমূহ থেকে রক্ত মুছে ক্রুশের অবনমন।

নবীন বান্ধব এক অপেক্ষারত সুযোগ চৌষট্টি কলার
এযাবৎ হাহাহিহি-খিলখিল যত ছদ্ম পরিবেশনা গুছিয়ে: নামমাত্র অর্থবিনিময়।

মুখোশের আড়ালে যত্নে রাখা 'শুভাকাঙ্ক্ষী' কিছু মুখ থাকে বিশদ ভিড়ে
শেষট্রেনের শীৎকারের মত
নিজেদের বিক্রি করে - মিথ্যে এবং লিখন হত্যালিপি ঘৃতাহুতি দিয়ে।

স্টেশন

আগমন ও প্রত্যাবর্তনের মাঝে যতটুকু অনুভূতি-বিভাজন
সেসব পেরোবার সাধ্য নেই এই কোলাহলের
স্থিতিস্থাপকতাহীন হঠাৎ সুড়ঙ্গ, তাই
সময়ে বাড়িয়ে দিচ্ছে, অযথা, মধ্যবর্তী দূরত্ব...।

আরও বাংলা কবিতা পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে

আনুফুফু

হেতনেয় সোনা রোদ সকাল-নরমে কখনও পরী হলে

আনুফুফু তজবিহ্ কপালে ছুঁত প্রগাঢ় বিশ্বাসে : 'পাক-নসিব'।

সে আলো মুঠোয় করে ভরত, ভরে ভরে উঠত

ফুফুর অদৃশ্য দুই ডানা।

হেতনে কিনা দালান। পা ছড়িয়ে ফুফু আকাশ দেখত আতিপাতি।

কাকে খুঁজত? পরী? ডানা? নসিব?

'কবুল' পরবর্তী ডানা রঙিন শাড়িমুখী হল

তবু একটা একটা চুড়ি খসে। ঠুনকো কাঁচ। দিবারাত।

ডানা দু'টো রোদে মেলতেই মেঘ নেমে এল শাড়ি জুড়ে।

কাঁথা শাড়ি। কলকা তোলা। আঁচল থেকে ভারী পাথর সরে ফনফন করে গিলে খাচ্ছে ফোস্কা।

মাতাল স্বামীর চড়, দগদগে, দৃশ্যবিজকুড়ি।

এদিক ওদিক সরে আলো ধরতে হাত বাড়াতেই এক ডানা জোৎস্না হল। অন্য ডানা আলোমুগ্ধস্রোত।

পূর্ণচাঁদ সাদা রং ছুঁড়ে ভেসে নামছে অযুত অভিসারে। সঙ্গিনী পরী....

তার জিভের নিচে লকলকে কলঙ্ক, দাপিয়ে বেড়াচ্ছে খানাখন্দ রং

আর বলছে -

“পাক হ' , নসিবওয়ালি, পাক হ' তুই

সমস্ত রঙিন পোকা মৃত্যুর পর দ্বিধাহীন, ব্যথাহীন

অথচ ফ্যাকাশে...

ভদ্রবেশী সিসিফাস পুষ্ট হওয়ার আগেই তাই

ঝর্ণা হ', কাঁচপোকা।”

bengali poetry Bengali Literature
Advertisment