সত্যি, একা এত পারা যায়! মেয়ের স্কুল, পরীক্ষায় গ্রেড, বাজারঘাট, সংসারের যাবতীয় হ্যাপা এই একা সুস্মিতার কাঁধে। তার মধ্যে আবার রাজারহাটের ফ্ল্যাটের ইন্টিরিয়র ডেকরেশনের কাজ শুরু করতে হল। লেক-রোডে তাদের এই ফ্ল্যাটের লিজ দু-মাস পরই শেষ হয়ে যাচ্ছে। রাজারহাট থেকে যাতায়াত একটা সমস্যা, তবু অমিত আর সুস্মিতা ঠিক করেছে লিজ শেষ হলে তারা রাজারহাটের ফ্ল্যাটেই শিফট করে যাবে। লেক-রোডের এই ফ্ল্যাটটা জমজমাট জায়গায় বটে, তবে এরিয়া মোটে বারোশো-স্কোয়ার-ফিট, তুলনায় রাজারহাটে তাদের নিজেদের ফ্ল্যাটটা দু-হাজার-স্কোয়ার ফিটের, পূর্ব-পশ্চিম দু-দিকেই লম্বা টানা বারান্দা, লিভিং কমফর্ট অনেক বেশি।
কিন্তু ঝোপ বুঝে কোপ, ঠিক এই সময়ই অমিত হাওয়া, পুরো এক মাস হল ইটালিতে গিয়ে বসে আছে, অফিস ট্যুরে। তবে মেয়ে রিয়াকে নিয়ে সুস্মিতা একা আছে, তাই আউট অফ গিল্টি ফিলিংস রোজ ছবি পাঠায় অমিত। কিছুই না, সকালে শেভিং করতে করতে সাবানের ফেনা মাখা মুখের সেলফি তুলে পাঠিয়ে দিল হয়তো, নীচে ক্যাপশন মিসিং রিয়া, সঙ্গে স্যাড ফেস ইমোজি।
ছবি দেখে সুস্মিতা লিখলো, অহ, ওনলি রিয়া?
তত ক্ষণে শাওয়ার নিয়ে অফিসের পোশাক পরে ব্রেকফাস্টের জন্য দৌড়চ্ছে অমিত, কিছু লেখার মত হাতে সময় নেই, টাচস্ক্রিন সোয়াইপ করে শুধু ঠিকঠাক ইমোজি পছন্দের অবসর আছে, ব্যস একটা চুমু বা রেড হার্ট পাঠিয়ে দেয় সে। অমিতের চুমুটা রিসিভ করার মধ্যেই টুং করে আরও একটা মেসেজ ঢুকে পড়ে আইফোনে, সুস্মিতা বোঝে এ হল রাজারহাটের ফ্ল্যাটের ইন্টিরিয়র ডেকরেশনের সুপারভাইজারের কাজ। সুস্মিতা মনে মনে গজরায়, আবার কী বলছে রে বাবা, এত ভালো করে বুঝিয়ে দেওয়া হল, তবু সকাল বিকেল লোকটার মেসেজ করা চাই-ই।
আরও বাংলা গল্প পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে
সুস্মিতার নালিশ শুনে অমিত হাসে, আহা সুরেশকে হামদোমুখো লোকটা বলছ কেন, তুমি হলে সু-স্মিতা, শুধু হাসি নয়, এত সুন্দর মুখ ক-জনের হয়?
অমিতের প্রশংসায় সুস্মিতা গলে গেলেও সুরেশের প্রতি তার বিরক্তি যায় না, বরং সে আরও বেশি এড়িয়ে চলে।
এই যে সামনের সপ্তাহে রিয়ার জন্মদিন, অমিত ইটালিতে, সবই সুস্মিতাকে সেই একা সামলাতে হবে। গেস্ট লিস্ট তৈরি করা, ইনভাইটেশন, খাবারের অর্ডার দেওয়া, রিটার্ন গিফট কেনা, বাড়ি সাজানো, কাজের কী আর শেষ আছে। অবশ্য অমিত কথা দিয়েছে, ডি-ডে’র আগের দিনই সে পৌঁছে যাবে। আর অমিত এসে গেলে সুস্মিতা নিশ্চিন্ত, প্রয়োজনে একা অমিত একশো সুস্মিতার সমান সার্ভিস দিতে সক্ষম।
কিন্তু সুস্মিতার কাজও বাড়িয়ে দিয়েছে অমিত, নাহলে ছয় বছরের রিয়া অত জানতো নাকি!
আদিখ্যেতা করে মেয়েকে ফোনে জিজ্ঞাসা করেছে অমিত, হ্যালো প্রিন্সেস, তোমার বার্থ-ডে পার্টির কী থিম রাখছো?
দুর্গাপূজা প্যান্ডেলে থিমের কথা শুনেছে রিয়া, কিন্তু জন্মদিনেও থিম রাখা হয় তা তার জানা ছিল না। তবে থিমের প্রসঙ্গে রিয়া খুশিই হয়, সে কলকল করে বলে, নাহ ড্যাডি, তুমি নেই, মাম্মা ওসব জানে না।
অমিতের গলা থেকে আদর ঝরে পড়ে, আচ্ছা, আমি মাম্মাকে বলে দেব, কিন্তু কী থিম রাখা যায় প্রিন্সেস?
ছোট্ট রিয়া পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করে, গ্রীন-হাউস থিম কেমন ড্যাডি?
অমিত বলে, ধুর, ওসব নয়, নতুন কিছু চাই, সামথিং ভেরি ট্রেন্ডি।
তারপরই অমিত চেঁচিয়ে উঠেছে, আইডিয়া আইডিয়া, স্মাইলি থিম রাখো।
সুস্মিতা আকাশ থেকে পড়েছে, স্মাইলি থিম?
অমিতের গলায় খুশি, ইটস ভেরি ইজি সু, স্মাইলি কেক হবে, রিটার্ন গিফটের জন্য স্মাইলি ডিজাইন ব্যাগের অর্ডার দিয়ে দাও, আজই, নাহলে জন্মদিনের আগে দিতে পারবে না।
এত ক্ষণে রিয়ার চোখমুখ থেকেও খুশি উপচে পড়ছে, ড্যাডি, বার্থ-ডে ক্রাউনেও স্মাইলি চাই।
অমিতকে সুস্মিতা নিজে পছন্দ করে বিয়ে করেছিল, তবু আইফোন, আইফোনে পরপর সাজানো ইমোজি দেখলেই সুস্মিতার মনে পড়ে ওয়ান-ইনফাইনাইট-লুপ, ক্যালিফোর্নিয়া, অ্যাপেলের অফিস আর সোহমদাকে। যে ইমোজি নিয়ে সুস্মিতা অমিত পুরো পৃথিবী সারাদিন নাড়াচাড়া করছে, তা তৈরির পিছনে কিছুটা হলেও সোহমদার অবদান আছে বৈকি।
সোহম সুস্মিতাদের পাড়ার ছেলে, লেখাপড়ায় ব্রিলিয়ান্ট, এখন সিলিকন-ভ্যালিতে থাকে, অ্যাপেলে কাজ করে।
সোসিওলজির মেয়ে সুস্মিতা বলেছিল, যাই বল সোহমদা, এই হয়েছে এক, মানুষের ইমোশন যত কমছে, ইমোজির সংখ্যা তত বাড়ছে। আগে ছিল গায়ে গতরে কষ্ট করে লোকের বাড়ি যাওয়াআসা। তারপর ঘরে ঘরে টেলিফোন এলো, শুধুমাত্র সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য যাতায়াত অনেকটা কমলো, পারস্পরিক খোঁজখবর নেওয়া বা নিয়মমাফিক লোকলৌকিকতা টেলিফোনেই সারা হত। এলো মোবাইল ফোন, শুরু হল মেসেজ বিনিময়। ফোনে কথা হলে, প্রয়োজনের সঙ্গে অপ্রয়োজনের প্রসঙ্গও এসে পড়ে, এই সময় নিয়ে টানাটানির বাজারে অত খেজুরে কথায় কাজ কী বাপু, তার থেকে ক্রিস্প মেসেজই বেটার, ঠিক যতটুকু প্রয়োজন। আর এখন হয়েছে ইমোজি, ভালোবাসা মন্দবাসা জানানোর জন্য দু-লাইন লেখারও সময় নেই, লিখতে গেলে তো ভাবতে হয়, অত ভাবে কে, তার থেকে সেফ এন্ড সিকিওর, জাস্ট সিলেক্ট এন্ড সেন্ড।
সুস্মিতার লেকচার শুনে সোহম মিটিমিটি হেসেছে, ইমোজি আসলে একটা জাপানিজ শব্দ, ‘ই’ অর্থ ছবি আর ‘মোজি’ অর্থ চিহ্ন, ইংরিজি শব্দ ইমোশন বা ইমোটিকনের সঙ্গে উচ্চারণ বা বানানের দিক থেকে মিল পুরোপুরিই কাকতালীয়। উনিশশো নিরানব্বই সালে প্রথম জাপানে ইমোজি তৈরি হয়, মোবাইল ফোনে ব্যবহার হত। ধীরে ধীরে ইমোজি এত পপুলারিটি পেল যে আজ গুগল, অ্যাপেল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক, টুইটার সবাই ইমোজি ব্যবহার করছে এবং নিজের মত তা রদবদলও করে নিয়েছে। পরিবর্তন তো আসবেই সুস্মিতা, এবং সেটা পজিটিভ সেন্সে গ্রহণ করাই ভালো। প্রতি বছর কত নতুন নতুন ইমোজি বাজারে আসছে। মজার ব্যপার, একই ইমোজির অর্থ স্থান কাল পাত্র ভেদে ভিন্ন হয়ে যায়। আমি বলতে চাইছি, একই ইমোজি দেখে একজন বয়স্ক মানুষ যা চিন্তা করবেন, ছেলেছোকড়ারা হয়তো অন্যরকম মানে করবে।
সোহমকে থামিয়ে দেয় সুস্মিতা, তার মানে ইমোজি ক্যান ইভোক অনুভূতি এবং আবেগের এক বর্ণালীকে?
স্থির দৃষ্টিতে সুস্মিতার দিকে তাকিয়ে সোহম বলেছিল, হ্যাঁ।
সুস্মিতা যখন ক্লাস নাইনে, সোহম তখন হায়ার-সেকেন্ডারি দেবে। সোহমদার জন্য পাড়ার সব মেয়েই কমবেশি ফিদা ছিল। কিন্তু সব মেয়ের মধ্যে সোহমদা একটু অন্যরকম চোখে দেখত সুস্মিতাকে, অন্যরকম চোখে মানে সুস্মিতার ওপর খুব মাতব্বরি ফলাত।
যদিও সেরকম অর্থে সুস্মিতাকে কোনদিনই সোহম প্রেম নিবেদন করেনি, তবু সোহমের জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করেছিল সুস্মিতা। সোহম অ্যামেরিকা চলে যাওয়ার পর অমিতের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে নেয় সুস্মিতা। তবে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে সোহমের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে।
হ্যাঁ, এই হোয়াটসঅ্যাপেই সোহম হাত খুলে বিন্দাস ইমোজি পাঠায় সুস্মিতাকে, সুস্মিতাই সহজ হতে পারে না, রক্তলাল হৃদয়ের ছবি সোহমদাকে পাঠাতে আজও তার বাঁধো বাঁধো ঠেকে। সোহম যখন একগুচ্ছ ফুল পাঠায়, তার মধ্যে একটা লাল গোলাপের কুঁড়ি অবশ্যই সুস্মিতার চোখে পড়ে। যে লাল গোলাপ ষোলো বছরের সুস্মিতার চুলে দেখে সোহম বলেছিল, তোকে একদম নায়িকা নায়িকা লাগছে।
সোহমকে নিয়ে ভাবনার মাঝে রাজারহাট থেকে সুরেশের ফোন আসে, ম্যাডাম পর্দার রডের স্যাম্পেল এনেছি, আজ একবার আসুন।
রাজারহাট থেকে ফেরার পথে অমিতের পরামর্শ অনুযায়ী বার্থ-ডে রিটার্ন গিফটের অর্ডার দিয়ে দেয় সুস্মিতা।
কেকের ব্যবস্থাও সহজেই হয়ে গেল, সুস্মিতার এক বান্ধবী হোম-মেড কেকের বিজনেস করে, সেই কেক বানাবে।
নিউমার্কেট থেকে বেরিয়ে পার্ক-স্ট্রীটে ছেলেটিকে দেখতে পেল সুস্মিতা, একটা কালো রোগা-পাতলা দশ-বারো বছরের ছেলে, তার হাতে একগোছা বেলুন, রঙিন বেলুনের গায়ে রংবেরঙের মিষ্টি হাসির স্মাইলি।
ছেলেটাকে দেখেই সুস্মিতা গাড়িতে ব্রেক কষে, ইয়েস আইডিয়া।
মিষ্টি হাসি, দাঁত বার করা হাসি, আরও পাঁচ রকমের হাসি আঁকা বেলুনের অর্ডার দেয় সে। বাচ্চা ছেলেটা বেশ চালাকচতুর, নিজে থেকেই বলেছে, ঠিকানাটা দ্যান ম্যাডাম, আমি আপনার বাড়িতে বেলুন পৌঁছে দেব।
সুস্মিতা মেসেজ করে অমিতকে, নেমন্তন্ন শেষ, খাবারের অর্ডারও কমপ্লিট, রঙিন কাগজগুলো শুধু পড়ে আছে, তুমি এসে রিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বান্টিং ব্যানারগুলো করো, রিয়ারও হাতেকলমে শেখা হবে, আমি একা দশদিক আর সামলাতে পারছি না।
স্মাইলি থিমের জন্মদিন নিয়ে রিয়া খুব উত্তেজিত।
অমিত মজা করেছে, বন্ধুদের সঙ্গে হাসি প্র্যাকটিস করছ, টাটকা এবং বাসি? বন্ধুদের বলেছ যে জন্মদিনের থিম স্মাইলি?
ওপরের পাটির সামনের দুটো দাঁত সদ্য পড়েছে রিয়ার, সে ফোকলা হাসি হেসে বলে, ইয়েস ড্যাড।
সুস্মিতা জিজ্ঞাসা করে, একা ফ্লাই করছ, না আরও কেউ তোমার সঙ্গে ফিরছে?
শেষ অবধি একা দোকা কেউই ফ্লাই করেনি, বিশেষ কাজে অমিতকে টিকিট ক্যান্সেল করতে হয়েছে। রাগে দুঃখে গজগজ করতে করতে একা সুস্মিতাই রঙিন কাগজ কেটে বান্টিং ব্যানার তৈরি করেছে।
জন্মদিন সকালে অমিত স্কাইপ করেছিল, রিয়া মুখ দেখায়নি। দাদু দিদা এসেছে বাড়িতে, দিদার তৈরি পায়েসও রিয়া ব্যাজার মুখে খেল।
বেলুনওয়ালা ছেলেটি যথাসময়ে স্মাইলি বেলুন ডেলিভারি করে গেছে। অনেকগুলো টাকা একসঙ্গে হাতে পেয়ে ছেলেটা খুব খুশি হয়েছে আজ। অমিতের ওপর বিরক্তি এলেই সোহমদার কথা খুব মনে পড়ে সুস্মিতার। সোহমদা এত বড় চাকরি করে, সোহমদার তো আটটা পাঁচটা অফিস, অমিতের মত এত ট্যুর তো করতে হয় না সোহমদাকে!
অ্যামেরিকাতে থেকেও সুস্মিতার মেয়ের জন্মদিন ভোলেনি সোহমদা, রিয়ার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে ঠিক মেসেজ করেছে। নাহ, আজ সোহমদার মেসেজের উত্তরের সঙ্গে একটা রেড-হার্ট অবশ্যই পাঠাবে সে।
জন্মদিনের ছবি তুলছিলেন সুস্মিতার বাবা। স্মাইলি কেক ঘিরে দাঁড়িয়ে এক ঝাঁক রঙিন প্রজাপতি, তাদের মাথায় স্মাইলি ক্যাপ, চারপাশে স্মাইলি বান্টিং, স্মাইলি বেলুন। বন্ধুর জন্মদিনে এসে বাচ্চাদের মুখেও ঝলমল করছে হাসি, শুধু রিয়ার মুখের হাসিটা ঠিক টাটকা নয়, কেউ তাকে বারেবারে প্রিন্সেস বলে ডাকছে না, ড্যাডির অনুপস্থিতিতে তা বাসি দেখাচ্ছে।
রিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে সুস্মিতার বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে, সোসিওলজির মেয়ে সুস্মিতা মনে মনে ভাবে, ইমোজি ক্যান ইভোক অনুভূতি এবং আবেগের এক বর্ণালীকে, এই মুহূর্তে বেলুনের গায়ে মিষ্টি হাসি নয়, অর্থ দিয়ে কেনা সুখের প্রতি ব্যঙ্গের হাসি দেখাচ্ছে যেন।
জন্মদিনের পার্টি থেকে সরে আসে সুস্মিতা, এখন সোহমদাই তার একমাত্র আশ্রয়।
সোহমদার মেসেজটা আবার পড়ছিল সুস্মিতা, টুং করে একটা আওয়াজ, ওহ সেই সুপারভাইজারের মেসেজ, ম্যাডাম আপনার পছন্দ করা পর্দার রড ঘরের রঙের সঙ্গে দারুণ মানিয়েছে, একবার এসে দেখে যাবেন।
অন্যমনস্ক সুস্মিতার আঙুল আইফোনের টাচস্ক্রিনে রক্তলাল হৃদয় খুঁজছিল। শিট, সুপারভাইজারের মেসেজ খোলা ছিল, রক্তলাল হৃদয় চলে গেছে তার কাছে।
অন্যমনস্ক সুস্মিতা সজাগ হয়ে ওঠে, সে লেক-রোডে বসেও রাজারহাটে সুরেশের দেঁতো হাসি দেখতে পায়।
হৃদয় দেওয়ার ব্যপারে সুস্মিতার কেন যে এত ভুল হয়!
সোহমদাকে আর রেড-হার্ট পাঠানো হয় না সুস্মিতার, নিজের ভুল শোধরানোর জন্য সুরেশকে মেসেজ করতে সে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।