গাছ
তোমার অবসিত দেহের রং বুনোঝাড়
তোমার বনগন্ধের রং আশ্রয়
তোমার আশ্রয়ের রং ছায়াভেজা পদাবলি
যে ছায়ায় আমি দু’কুটো সমিধ ভাসিয়েছি সামান্য সময়
যদিও মুখচেনা, শ্বাসে জলে পুষ্ট হয়ে ওঠার আগেই
ভিক্ষাপাত্রে ফেলে রেখেছি কবরকরোটি, নগরকীর্তনময়
অথচ বশংবদ, মুহূর্ত বুকে স্থির তুমি অপেক্ষাবাঁকে
এরপর যদি ভুলক্রমেও মুখোমুখি হই কখনও
আমাকে পুড়িও হুতাশন
পুরোনো হন্তারক, কুশীলবের ঘর ডিঙিয়ে ভারি মন
যেন দাউ দাউ গিলে খেও আমায়
গলন্ত নাট্যকার, অজাতশত্রুর ছত্রখান চোখ
যেন লাঞ্ছিত আকুতিকে আছড়ে ফেল আশ্রয়ের উচ্চতম তল থেকে, প্রতারক
আশ্রয়- তোমার সারাজীবনের
জিঘাংসা...বিদ্বেষ...
সদ্য ঘুম ভাঙা আগ্নেয়গিরির লাভাকুণ্ডলাল
এমন দৃশ্য, তুমি কখনও দেখেছ, প্রগলভতায়, মহাকাল ?
ডেলিভারি বয়
আমরা যারা বিদূষক, পণ্য বিলি দীর্ঘ রোদে, হল্লা ও সন্তাপ
তাদের আবেগ ব্যাগবন্দি। রুটিরুজি খরস্রোতায় পুণ্য পাপ।
তোমার কাছে নজরবন্দি সম্ভাবনার তত্ত্ব, অসাবধানে
পিছল পথে পা বাড়ালে চাঁদমারি হই, পুত্তলি, সঙ্গোপনে
কখন বাঁধ পিছমোড়া, শনিভ্রমের বিকিকিনি দড়িটান
আমার খবর ফর্দাফাঁই, শূন্যে ভাসে নিশ্চিতের পরিত্রাণ।
বস্তুবিষয়ক অমৃতভোগ, মালিকমহল প্রাচীন বট
চৌষট্টি কলায় বিষের ফাঁদ, পুতুলনাচের কলুষ শকট
কিন্তু আমার শিরদাঁড়ায় হ্রেষার রাশ আর বিষক্ষয়
কত পথ পেরোলে পরে ছিন্নমূল মায়ের হাসি অনিশ্চয়?
তোমরা যাকে করুণা ডাক, হাওয়ায় ভাসাও অন্ধকালীন অবজ্ঞা
আমি তাকে স্বর্গ বলি, আলোদুয়ার, জীবনমুখী সমঝোতা।
ভিডিও গেম
এই রেখা। এ বরাবরই ক্ষমতাতন্ত্রের ভুজ্যি পরিসর।
একখানা আজ্ঞাচক্রে সভ্যতায় সন্ধ্যারতি হয়
শ্মশানবান্ধব, অথচ তুমি সম্বৎসর। রাষ্ট্রের দিকে পৃষ্ঠপ্রদর্শনে ধ্যানমগ্নময়।
আমাকে সুতোয় বেঁধেছ মেয়াদকালীন আর লাশের স্তূপ ডিঙিয়ে ছুটে চলেছি অক্লান্ত দৌড়বীর।
বেশ তো ডুবে আছি, আপাদমস্তক মরীচিকাজ্বর। সুষুম্না বন্ধক রাখার আগে আরও নাচাও
যেভাবে বাঁদরনাচ দেখে যাও উদ্ধত সংগতে, দ্বিপ্রহর।