বন্দিশ
তুমি তো শুধুই হেঁটে যাবে না
পায়ের গোছ খুলে দেবে
অর্থের সামনে
অর্থের বাহুল্য থেকে প্রকাশ ঝরিয়ে
ধুয়ে দেবে ভেপে ওঠা আবেগ
তারপর ইচ্ছেমত পলাশ
তুমিকে আমি
আমিকে তুমি
ওমুকের করজোড়ে আমার স্মৃতি
তমুকের ধাঁধায় আমার সম্ভার
একটি বিন্দুতে
নাকি ছড়িয়ে পড়ায়
আমাদের হতচকিত খুলে ফেলে আমরা
আমরা আর কেউ নই
বিস্তারিত দৃষ্টির
অচেতন স্মৃতি আর
নিজেকে ছড়িয়ে ফেলতে থাকা
আমির খেয়াল
আরও পড়ুন, দুটি কবিতা: ফেরদৌস নাহার
রেস
আমার রাঙে রোজ ছপটি এসে পড়ে
গাঢ় খোলস ফেটে নামে
অনিয়ম... নিভন্ত চোখ
ঘাড় ভাঙে রোজ
নালের ভেতর থেকে
উপড়ে যায় পাখা
নষ্ট গণকযন্ত্রের স্মৃতি
মেলায়নি আমিত্বপ্রবণ এলাকা
জীবাশ্ম খুঁটে চলি
নখ ভরে ওঠে মৃত দিনের ঘামে
রাস্তার ভার
হেঁটে যাওয়ার মুখে নিষেধ রাখে
আমি বিধি পিঠে বেঁধে
পেরিয়ে যাই আমাকে
আরও পড়ুন, সুমন মান্নার দুটি কবিতা
কাগুজে
আমার কাছে একএকদিন খবরেরা আসে
দুভাগ বিকেলের দেশে
অপরিপক্ক ঘটনার পোয়াতি বেলায়
সামাজিক ভান জ্বালিয়ে
তারা আসে
আসে আর বলে
সমাজের স্বরলিপির গল্প
জুয়ার ঠোঁটে জীবনের পেশির আঁচ
বদলের নাম সংখ্যা
নাকি পকেট অর্জন...
আমি তার... তাদের এইসব অর্জনকে
পকেটস্থ করি
গলা বিঁধিযে তেজ ভিজিয়ে
ছেঁড়ার গন্ধে পায়েস লিখি
আরও পড়ুন, তিনটি কবিতা: সৌম্যদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়