অক্ষরের দুনিয়ায় ক্ষতি হয়ে গেল, এ ভাবেই ভি এস নইপালের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ৮৫ বছরের নোবেলজয়ী লেখকের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে টুইট করেছেন তিনি।
এর আগে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমনও নইপলের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘নইপালের সঙ্গে সহমত বা দ্বিমত হওয়া যেতে পারে, কিন্তু অনবদ্য গদ্য রচনা করে গেছেন তিনি।’’
বিবিসি নইপলের স্ত্রী নাদিরার একটি বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মৃত্যুর সময়ে তাঁকে ঘিরে ছিলেন প্রিয়জনেরা। ২০০১ সালে নোবেল পুরস্কার পান ভি এস নইপল।
ত্রিনিদাদে জন্মেছিলেন নইপল। অর্ধশতাব্দীব্যাপী লিখনের দুনিয়ায় রাজত্ব করেছেন তিনি। গ্রামীণ শৈশব থেকে উচ্চবিত্ত ব্রিটিশ জীবনের যাত্রাপথের অভিজ্ঞতা সঞ্চারিত তাঁর ছন্দোময় গদ্যের ঝংকার আপ্লুত করেছে তাঁর সমালোচকদেরও। উপনিবেশ, নির্বাসন, উন্নয়নশীল দুনিয়ায় সাধারণ মানুষের লড়াই- এ সকলই প্রতিভাত হয়েছে তাঁর জাদু লেখনীতে।
নইপল ছিলেন উপনিবেশের সমালোচক। তবে কোনও সামাজিক সংগ্রামের সঙ্গে জড়াননি কোনওদিন। ধর্ম, রাজনীতি অথবা সমস্তরকমের আদর্শবাদ থেকেই নিজেকে দূরে রাখতেন তিনি।
নইপালের সাহিত্যের থেকেও অনেক বেশি সংখ্যক তাঁকে জানেন তাঁর আক্রমণাত্মক, রূঢ় বচনের জন্য। সলমন রুশদির ওপর আয়াতোল্লা খোমেইনির ফতোয়া সম্পর্কে হেসে বলেছিলেন, ‘সাহিত্য সমালোচনার চূড়ান্ত রূপ’। ভারতকে তিনি একবার ‘দাস সমাজ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, ভারতীয় মহিলারা কপালে রঙিন টিপ পরে এ কথা বোঝাতে যে ‘আমার মাথায় কিছু নেই’। আফ্রিকা সম্পর্কে নইপালের মন্তব্য ছিল, ভবিষ্যতহীন।