RBI আজ তার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে চলেছে, রেপো রেট 6.5% রাখার সম্ভাবনা রয়েছে। গত এক বছর ধরে ক্রমাগত বেড়েছে সুদের হার। গৃহঋণের সুদ বেড়েছে ২.৫ শতাংশ। সাধারণ মানুষের উপর EMI-এর বোঝাও বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ আশাবাদী যে RBI এবার কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) মুদ্রানীতি কমিটি (এমপিসি) আজ তার নীতিগত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। ২০২৩-২০২৪ আর্থিক বছরের জন্য দ্বিতীয় দ্বি-মাসিক মুদ্রানীতি সভা ৬ থেকে ৮ জুন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং এর ফলাফল আজ ঘোষণা করা হবে।
গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের নেতৃত্বে মুদ্রানীতি কমিটি মূলত রেপো রেট 6.5% এ অপরিবর্তিত রাখবে বলেই আশা। এমন অবস্থায় সকলের নজর আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের দিকে। আশা করা হচ্ছে এবার রেপো রেট অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)-এর মুদ্রানীতি কমিটি (এমপিসি) আজ মূল নীতির হার, রেপো রেট বা যে হারে আরবিআই ব্যাংকগুলোকে ধার দেয়, সেই হার অপরিবর্তিত রাখবে বলেই আশা।
গত এক বছরে দেশে সব ধরনের ঋণের দাম বেড়েছে। হোম লোন হোক বা কার লোন, পার্সোনাল লোন বা অন্য কোন ইএমআইয়ের ক্ষেত্রে বেড়েছে বাড়তি বোঝা। আজই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সামনে আসতে চলেছে। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।
বিশ্বজুড়ে রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছে যাওয়া মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার বৃদ্ধির আশ্রয় নিয়েছে। ভারতও এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয় এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দ্রুত সুদের হার বাড়িয়েছে (RBI Repo Rate Hike)। গত বছরের মে মাসে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মুদ্রানীতি কমিটির জরুরি বৈঠক করে সুদের হার বাড়ানো শুরু করে। এরপর এক বছরে রেপো রেট 2.50 শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার কমে যাওয়ার কারণে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, অর্থাৎ আরবিআই ৮ জুন রেট রেপো 6.5 শতাংশে অপরিবর্তিত রাখতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যদি এই হারে কোন বদল না এনে এটিকে স্থিতিশীল রাখে তবে এটি নির্দেশ করবে যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এখন যে পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলি যথেষ্ট কার্যকর।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের মনিটারি পলিসি কমিটি বা MPC-এর সভা মঙ্গলবার, ৬ জুন থেকে শুরু হয়েছে। বৈঠক চলবে ৮ জুন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্তগুলি সম্পর্কে জানাবেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। চলতি অর্থবছরে এটি হবে আরবিআই-এর মুদ্রানীতি কমিটির দ্বিতীয় এবং ৪৩তম বৈঠক।