Advertisment

বাংলা ভাষার সমান বয়েসি আমি...

দাউদ হায়দারের কলমে ভাষা শহিদ এবং মাতৃভাষা দিবসের স্মৃতিচারণা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
২১ ফেব্রুয়ারি

ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার।

দাউদ হায়দার: বাঙালি হিন্দু পরিবারে ‘ঠিকুজি’ রাখার প্রচলন বহু পুরোনো। জন্মের পরেই ঠিকুজি, গণক- জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণীও উল্লেখিত। কে, কী হবে, কিংবা হতে পারে। মুসলিমদের এই বিশ্বাস নেই, হয়তো ধর্মীয় কারণেই। সব পরিবারই যে তাই ঠিকুজি মেনে চলেন, এমন নয়। বাংলার ৯৫ ভাগ মুসলিম ধর্মান্তরিত। ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও। আমাদের পূর্বপুরুষও হিন্দু থেকে মুসলিম। দেশভাগের পরেও অনেক মুসলিম পরিবারে বাঙালি হিন্দুর ‘আচার’ যথারীতি বহাল ছিল। এখনও কিছু আছে। যেমন একটি পৌষ পার্বণ। নবান্ন উৎসব, পিঠে খাওয়া। হিন্দু নয়, এসব বাংলার আদি সংস্কৃতির অঙ্গ। ধর্ম নেই এখানে। যেমন নেই বিয়ের অনুষ্ঠানমালায়। ভাবি না তখন, কোত্থেকে এই সংস্কৃতির উৎপত্তি। সবই 'আ মরি বাংলা'র।

Advertisment

আমাদের দোহারপাড়া, পাবনার বাড়িতে, শেখ পরিবারে ঠিকুজি চালু ছিল দেশ ভাগের এক দশক পরেও। দোহারপাড়ার ডাইনে-বায়ে-সামনে-পিছনে হিন্দুপাড়া। নামেই স্পষ্ট। ব্রজেন্দ্রনাথপুর। মহেন্দ্রপুর। কালাচাঁদপাড়া। রাধানগর। কৃষ্ণপুর। হরিতলা। রাঘবপুর। ইত্যাদি।
পূর্ব বাংলায় পঞ্চাশ ভাগের বেশি গ্রামগঞ্জের নাম হিন্দু দেবদেবী কিংবা হিন্দু পুরাণের কিংবদন্তির নামানুসারে। বাদ যায়নি পাবনাও।
ঠিকুজিতে লেখা হল, “রহিমা খাতুন ও শেখ মোহাম্মদ হাকিমউদ্দীনের অষ্টম সন্তান (পুত্র) শেখ আবু দাউদ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন হায়দার। জন্ম ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২, সকাল ১১ ঘটিকায়। স্বাস্থ্য মজবুত। চক্ষু উজ্জ্বল। গড়ন ১৪ ইঞ্চি।” এই বৃত্তান্তের পরে, কবে ডাকনাম যোগ, উল্লেখ নেই ঠিকুজিতে। পারিবারিক নাম ‘খোকন।’ সেজদি ঝর্ণা (মারা গিয়েছেন গত বছর জুনে, ২০২১) গোটা গুষ্টির ঠিকুজি মুখস্থ রাখতেন। আমরা বলতুম এনসাইক্লোপিডিয়া। দশ বছর বয়স যখন ( শেখ বংশে জন্মদিন পালনের প্রথা নেই), সেজদি দশটি গোলাপ দিয়ে বললেন, “আজ তোর জন্মদিন। বাংলা ভাষা আন্দোলনের শহিদ দিবসে জন্মেছিলি।”

বাংলা ভাষা আন্দোলন এবং ২১ ফেব্রুয়ারিতে কী ঘটেছিল, বড়দের মুখে কিছু শুনেছি। স্পষ্ট ধারণা হয়নি। কয়েকজন মারা গেছেন পুলিশের গুলিতে ঢাকায়, এই পর্যন্তই জ্ঞান। প্রতিবছর ১৪ অগাস্টে ছুটি, পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে। স্কুলের ছাত্রদের জন্যে বরাদ্দ কাগজের ঠোঙায় (প্যাকেটে) দু’টি লুচি, বাতাসা, খাগড়া, দু’টি জিলাপি, একটি পানতোয়া, একটি সন্দেশ, একটি প্যারা। আর, পাকিস্তানের কাগুজে পতাকা। মোহাম্মদ আলি জিন্নার ছবি। ছবির নীচে ‘কায়েদ-এ-আজম।’ মোহাম্মদ আলি জিন্না নয়। এও বাহ্য। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরগঞ্জের সিনেমা হলে পাকিস্তান আন্দোলনের গৌরবগাথা, ‘কায়েদ-এ-আজম’-এর বীরত্ব, ভূমিকা, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার একক কৃতিত্বর ছবি। মহাত্মা গান্ধী, নেহরুরা যেন পার্শ্বচরিত্র। এলেবেলে।

ছবিতে একটি দৃশ্যঃ জিন্না এক দৌড় প্রতিযোগিতায়, বাঁশি বাজানোর পরে, প্রতিযোগিতায় দৌড়চ্ছেন। জিন্না পিছনের দিকে দৌড়লেন। প্রতিযোগিতা শেষে জিন্নাকে জিজ্ঞাসা করা হল, ' কেন পিছনে দৌড়লে?’ জিন্নার উত্তর, ‘সামনে দৌড়তে হবে বলা হয়নি।’ ছবিতে ধারাভাষ্য- ‘জিন্নার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় শৈশবেই।’ ছবি উর্দু। ইংরেজি এবং বাংলা ডাবিঙে। ছবি দেখার লোভ পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের স্পেশাল ঠোঙা খেয়ে। পরে, পাকিস্তানের পতাকা, জিন্নার ছবি ছিঁড়ে ফেলতুম। পিতা শেখ মোহাম্মদ হাকিমউদ্দীন ভারতীয় (ভারত ভাগের আগে)। মুসলিম লিগে যোগদান। কট্টর পাকিস্তানপন্থী। আন্দোলনে অংশী। কলকাতায়। পাকিস্তানের স্বাধীনতার পরে পাবনায়। তখনও মুসলিম লিগ পাকিস্তানে উদ্বুদ্ধ। ‘কায়েদে আজম’ প্রিয়। পাকিস্তান নিয়ে মোহভঙ্গ আট মাস পরেই।

জিন্না ঢাকায় এলেন (২১ মার্চ, ১৯৪৮)। রেসকোর্স ময়দানের সভায় বললেন, ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।’ বললেন উর্দুতেই। তখনই তীব্র প্রতিবাদ, ‘নো নো’ আওয়াজ রেসকোর্সে। জিন্না জেদি, একগুঁয়ে। ওই প্রতিবারের পরও (২৪ মার্চ, ১৯৪৮) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের কনভোকেশনে একই কথার পুনরাবৃত্তি। ছাত্রদের প্রতিবাদ আরও জোরালো, ভয়ঙ্কর। মহম্মদ আলি জিন্না পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার অন্যতম নায়ক। জাতির পিতা উপাধি পেয়েছেন। পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর প্রথম ঢাকায় এসেছেন। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের পালস কি ধারায় প্রবাহিত, আদৌ ধরতে পারেননি। তিনি ভেবেছিলেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্রপিতা। যা বলবেন কেউ দ্বিরুক্তি করবে না, মাথা নিচু করে প্রত্যেকে মেনে নেবে। জানতেন না পূর্ব বঙ্গের মানুষ কতটা লড়াকু। পাবনায় মুসলিম লিগের এক নেতার (পরে আওয়ামি লিগে) মুখে শুনেছিলুম, ‘জিন্না পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা, কিন্তু ভাষার (বাংলা) জোর-জবরদস্তিতে পাকিস্তান ভাঙার নায়ক।’ মহাত্মা গান্ধী, পণ্ডিত নেহরুর সঙ্গে মতবিরোধ, বনিবনা না-হওয়ায় কংগ্রেস ছেড়ে মুসলিম লিগে যোগ দেন জিন্না। মুসলিম লিগ ঢাকায় তৈরি (১৮৮৫), ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহর বাড়িতে। পরে উত্তর ভারতের মুসলিম বুদ্ধিজীবী, নেতারা সেই সংগঠনকে কবজা করেন।

১৯৪০ সালে কৃষকপ্রজা পার্টির এ. কে. ফজলুল হক (আবুল কাশেম ফজলুল হক), একদা অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী, লাহোরে ‘পাকিস্তান’ রাষ্ট্রের প্রস্তাবক ছিলেন। লিখিত প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যা কিছু যোগ-বিয়োগ করে গৃহীত হয়।
লক্ষণীয়, মুসলিম লিগের জন্ম হয়েছিল পূর্ববঙ্গে। ‘পাকিস্তান’- খসড়ার মূল হোতা পূর্ব বাংলার বরিশাল জেলার এ. কে. ফজলুল হক। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সব কৃতিত্বই কি তাহলে জিন্নার? নিশ্চয়ই না। বাংলা ভাষার হাঁটুর বয়সিও নয় উর্দু। জিন্নার অহেতুক দাবি বাংলার মানুষ কেন মানবে? অসম্ভব। বাংলা ভাষা নিয়ে ষড়যন্ত্র বহু যুগ, শতাব্দীর। ১৪ শতকে বাংলার কবি আবদুল হাকিম কবিতায় লিখেছেন, ‘যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী/ সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় না-জানি।’ (যাঁরা বাংলায় জন্মেও বাংলাভাষার বিরুদ্ধে হিংসা (দ্বিচারিতা) করে, তাঁদের জন্ম নিরূপণ করতে অপারগ।) সোজা কথায় জারজ। ইতিহাস দীর্ঘ করব না। পাকিস্তানের নামগন্ধ নেই জলে-স্থলে, হাওয়ায়। ১৯১১ সালে রংপুর মুসলিম প্রাদেশিক শিক্ষা সম্মেলনে সৈয়দ নওয়াব আলি চৌধুরি বলেন, ‘বাংলা ভাষা বাঙালি মুসলমানের মাতৃভাষা। এ ভাষা আমাদের জাতীয় ভাষা।…………. বাঙালি মুসলমানের পক্ষে ফারসি ও উর্দু দু’টি ভাষার আবশ্যক নাই।’

পশ্চিমবঙ্গের বারাসত জেলার ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বহুভাষাবিদ। সংস্কৃত জানতেন হিন্দু সংস্কৃতি পণ্ডিতের চেয়েও ভালো। ১৯১৮ সালে বিশ্বভারতীতে ভারতের ভাষা নিয়ে সম্মেলন। রবীন্দ্রনাথ সভাপতি। ডঃ শহীদুল্লাহ লিখিত প্রবন্ধে জানান, ‘শুধু ভারতে কেন, এশিয়া মহাদেশেই বাংলা ভাষার স্থান হবে সর্বোচ্চ।’ (মুহাম্মদ শহীদুল্লাহকে চিঠি লিখেছিলেন বিশ্বভারতীতে অধ্যাপনার জন্য। শহীদুল্লাহ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা ছেড়ে যাননি)। ডক্টর শহীদুল্লাহ’র কেন এই যুক্তি? ১৯১৮ সালে ভারতের সাধারণ ভাষা (লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা-LINGUA FRANCA) কী হবে জানতে, চেয়ে গান্ধী চিঠি লেখেন রবীন্দ্রনাথকে। রবীন্দ্রনাথের পক্ষপাতিত্ব হিন্দি। রবীন্দ্রনাথের জবাব, “THE ONLY POSSIBLE NATIONAL LANGUAGE FOR INTER PROVINCIAL INTER-COURSE IS HINDI IN INDIA”, শহীদুল্লাহর আপত্তি।
বাংলা ভাষা আজ বিশ্বে স্বীকৃত। বিশ্বের সপ্তম ভাষা (বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসামের শিলচর-সহ কিছু অংশ নিয়ে বাংলাভাষা জনগোষ্ঠী)। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে প্রথম বাংলায় বক্তৃতা দিয়েছেন।
বাংলা ভাষার জন্যই ইউনেস্কোর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। যা পালিত হচ্ছে গোটা বিশ্বে। বাংলাদেশে সরকারি ছুটি। পশ্চিমবঙ্গেও মহাসমারোহে নানা অনুষ্ঠান।

দেশে- দেশে এথনিক ভাষার মরণ নিত্যদিন। ইউনেস্কোর রিপোর্টেই, এথনিক ভাষা, শব্দ লুপ্ত হচ্ছে হাজারাধিক। ভারতে বেশি। ভারতের নানা রাজ্যে। সংরক্ষণ না-করলে এথনিক কালচার ধ্বংস হবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে, স্বাধীনতায় বাংলা ভাষা ছিল পয়লা। রবীন্দ্রনাথও। ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ (বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত), ‘ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা’, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা। বাংলাদেশের মানুষের আত্মিক-গান। পুলিশের গুলিতে পাঁচ জন নিহত হওয়ার দুই দিন পরেই (২৩ ফেব্রুয়ারি) আশ্চর্য এই, শহিদদের স্মৃতি চিরজাগ্রত রাখার শপথে, ছাত্ররা রাতের অন্ধকারে  ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ-সংলগ্ন এলাকায় দশ ফুট বাই ছয় ফুট চওড়া শহিদ মিনার নির্মাণ করে। পুলিশ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি।

২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬ সালে আবু হোসেন সরকারের আমলে শহিদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। ৯ বছর পরে বিশাল শহিদ মিনার তৈরি। বাংলাদেশের সব আন্দোলনের পীঠস্থান শহিদ মিনার। শপথ গ্রহণ। সমাবেশ। মিটিং, মিছিলের অঙ্গীকার। ১৯৬৫ সাল থেকেই দেখেছি ঢাকায়, আজিমপুরে শহিদদের কবরস্থানে, খুব সকাল থেকেই মানুষের ভিড়। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন। সেই ট্রাডিশনে ভাটা পড়েনি এখনও। একুশে ফেব্রুয়ারি রাত বারোটা এক মিনিটে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা- নেত্রীরা হাজির, ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য।

বাংলা ভাষা আন্দোলন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল প্রেরণা, বাংলা ভাষাকে অন্য মাত্রায় উত্তীর্ণ করেছে। বাংলাদেশে এক হাজারেরও বেশি সংবাদপত্র প্রকাশিত (স্থানীয়, উপজেলা, জেলা, বিভাগ, রাজধানী-সহ) হয়। বিশ্বের বৃহত্তম বইমেলা বাংলাদেশে। এক মাসব্যাপী ঢাকায়। ভাষার মাস উপলক্ষে ছয় হাজারেরও বেশি বই প্রকাশিত। গল্প, কবিতা, উপন্যাস- নানা বিষয়ে। লেখার মান যাই হোক। বিস্তর নাট্যগোষ্ঠী, সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী শহর-গঞ্জে সরকারি অনুদানে চলে। এথনিক কালচার, এথনিক ভাষা সংরক্ষণে বিস্তর কর্মসূচি। ব্যবসা-বাণিজ্যে, পাকিস্তানকে লাথি মেরে বাংলা আজ বহুদূর পর্যন্ত অগ্রসর। এগিয়ে গিয়েছে। জন্মেছিলুম ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে রক্তঝরা ভাষা আন্দোলনের দিনেই। এ-বছর ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর। একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আর (বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই) শোকদিবস নয়। উৎসব আনন্দের মাস। নানা অর্থেই। ২১ ফেব্রুয়ারির ৬০-বর্ষ উপলক্ষে, কোয়েলি ঘোষের অনুরোধে লিখেছিলুম সিম্বলিক কবিতা।

১৯৫২, একুশে ফেব্রুয়ারি
ভুবন জুড়ে রক্তোত্থিত পলাশ,
গণমানুষের স্রোত।
পথের নিশানা ভুলে
শহীদ মিনারে একাত্মবোধ
বাংলা ভাষার সমান বয়েসী আমি
জন্ম ১৯৫২ একুশে ফেব্রুয়ারি।
পটভূমি আন্তর্জাতিকতাময়
দেশে- দেশে মেঘ যেমন সঞ্চারী
যে-প্রণোদনায় তুমি
সর্বদা আমার সহগামী
মূলে একটিই ঘটনা
বাংলা ভাষার সমান বয়সী আমি

অনুলিখন: সারজিল বারি
 

Bangladesh Bhasha Diwas
Advertisment