Advertisment

শোভন-বৈশাখী কি পদ্ম ছেড়ে জোড়াফুলে ভিড়ছেন?

বিজেপির বিভিন্ন সাংগঠনিক বৈঠকে হাজির থাকেন নি বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়। বরং তিনি 'কলকাতার বাইরে থাকায়' দল দক্ষিণ কলকাতায় গান্ধী সংকল্প যাত্রার দায়িত্ব দেয় সদ্য দলে যোগ দেওয়া সব্যসাচী দত্তকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
বঙ্গ বিজেপিতে বড় ভাঙন? মমতার বাড়িতে শোভন-বৈশাখী!

শোভন-বৈশাখী। ছবি: জগদীশ সাধুখাঁ।

শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে নিয়ে বিজেপির যেন বিড়ম্বনার শেষ নেই। ১৪ অগাস্ট দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শোভন-বৈশাখী জুটি। তারপর থেকে সংবর্ধনা ছাড়া তাঁরা দলীয় কর্মসূচিতে কতটা অংশগ্রহণ করেছেন? সেই প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির অন্দরে। বরং দলে তাঁদের নিয়ে তর্ক-বিতর্ক এমন পর্যায়ে গিয়েছিল যে তা থামাতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্দেশ দিতে হয়েছে। শনিবার বিজয়ার শেষ বেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে ফের অস্বস্তিতে ফেলেছেন শোভন-বান্ধবী বৈশাখী। তাহলে কি ঘর-ওয়াপসি?

Advertisment

এবার কিন্তু বিজেপি নেতারা একেবারে উল্টো সুরে কথা বলেছেন। নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়ায় একেবারে বিনয় মিশ্রিত 'সৌজন্য'। শোভন-বৈশাখী দলে যোগ দেওয়ার পর প্রকাশ্যে ও আড়ালে নানা বুলি আউড়েছেন পদ্মশিবিরের বঙ্গ ব্রিগেড। বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেই দলের অভ্যন্তরে বলতে শুরু করেছিলেন এভাবে এই দলে থাকতে পারবেন না। ব্যক্তিগত মান-অভিমান বা প্রতি পদক্ষেপে শর্ত আরোপ না করে তাঁরা দল ছাড়লে বিজেপির কোনও অসুবিধা হবে না, এমন কথাও কান পাতলে শোনা যাচ্ছিল ৬ মুরলীধর লেনে। বিজেপি যোগে একের পর এক ঘটনা ঘটে গিয়েছে রংমিলান্তি রাজনৈতিক জুটির। যা শুরু হয়েছিল দিল্লিতে দেবশ্রী রায়ের উপস্থিতিতে কেন্দ্র করে।

আরও পড়ুন: পার্থকে বিজয়ার প্রণাম করে বৈঠকে বৈশাখী, ‘অনেক কথা হয়েছে, সব কথা বলা যায় না’

বিজেপির বিভিন্ন সাংগঠনিক বৈঠকে হাজির থাকেন নি বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়। বরং তিনি 'কলকাতার বাইরে থাকায়' দল দক্ষিণ কলকাতায় গান্ধী সংকল্প যাত্রার দায়িত্ব দেয় সদ্য দলে যোগ দেওয়া সব্যসাচী দত্তকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর আগেও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ফ্লাটে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন। শনিবার বৈশাখী নিজে বলেছেন রাজনীতি নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তবে খোলসা করেননি। রহস্য জিইয়ে রেখেছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো বিশ্ব রাজনীতির ঘটনা বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিজেপিতে থেকেও নেই শোভন-বৈশাখী। তৃণমূল তো ছেড়েছেনই। এই পরিস্থিতিতে রাজনীতিতে নিজেদের প্রাসঙ্গিক করতে এছাড়া শোভন-বৈশাখী জুটির অন্য কোনও পথ নেই।

আরও পড়ুন: বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত শোভন-বৈশাখীর, ‘অপমান সহ্য করে পুরানো দলেই থাকা যেত’!

বিরোধী রাজনৈতিক দলের মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠককে প্রকাশ্যে গুরুত্ব দিতে চাইছে না বিজেপি। রাজনীতির এই অঙ্কে বিজেপি আর নিজেদের জড়়াতে চাইছে না। শনিবার রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতা এমন মন্তব্য করেছেন, এই বৈঠক যেন কোনও ব্যাপার নয়। বরং এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির একজনও তৃণমূল কংগ্রেস বা রাজ্যের অন্য কোনও বিজেপি বিরোধী দলের নেতাদের বাড়িতে গিয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন, এমন ঘটনা এবার অন্তত দেখা যায়নি। জানা গিয়েছে, বিতর্ক বন্ধ করতেই এই জবাব দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা।

আরও পড়ুন: দেবশ্রী রায়: ‘শোভন-বৈশাখী যাবে জানলে আমি পরের দিন যেতাম’

রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি ঘর-ওয়াপসি হচ্ছে শোভন-বৈশাখীর? এর আগে বিজেপিতে থাকা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন বৈশাখী। শোভন চট্টোপাধ্যায় শনিবার পার্থবাবুর বাড়িতে হাজির না হলেও একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, শোভনের বার্তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। ১৪ অগাস্ট থেকে ২৬ অক্টোবর। স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন বিজেপিতে যোগ। বিজয়ার শেষ দিন তৃণমূল মহাসচিবের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়। অভিজ্ঞ মহলের মতে, এই সময়কালের মাঝে গেরুয়া শিবিরের সৈনিক হয়ে ওঠার মত কোনও কর্মসূচিতে থাকেন নি শৌভন বা বৈশাখী। যার ফলে ফের নতুন ঘোষণা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

tmc bjp partha chatterjee
Advertisment