কব্বৰ খুইদ্যা আমি আমাৰ
পূর্বজন্মেৰ ফচিল বাইৰ কইৰা আনি
দেহি দুইশ বছৰেৰ গোলামিতে
বেহা অইয়া গেছে আমাৰ মেৰুদণ্ড
দেহি আমাৰ বুকেৰ ভিতৰে মাটিৰ ভিজা গোন্ধ
হাতেৰ মুঠায় নাঙ্গলেৰ ভগ্নাংশ
কব্বৰ খুইদ্যা আমি
বাইৰ কইৰা আনি আমাৰ অন্ধকাৰ অতীত
দেহি সবেৰই এক একটা ভ্রমণেৰ ইতিহাস আছে
মাথা নিইচ্চা কইৰা হাইটা যায় নিৰন্ন মানুষেৰ মিছিল
সবেৰই এক একটা কাহিনী আছে ভাইস্যা যাওয়াৰ
কব্বৰ খুদলে আমি একটা ৰক্তাক্ত নদী পাই
দেহি অথাই পানীত ভাসতাছে আমাৰ গুলিবিদ্ধ লাশ
কব্বৰ খুদলে
আগুন কি না আমি জানিনা
একটা লাল টকটক উত্তেজনা পাই
কব্বৰ খুইদ্যা আমি নিজেই নিজেৰ লাশ নিয়া
পৌছাইয়া যাই গোৰোস্থানে
ওৰা আমাৰে শ্বহীদ ঘোষণা কৰুইক আৰ না কৰুইক
এই জমিন বেচা যাওয়াৰ আগে এই বাতাস ফুৰাইয়া যাওয়াৰ আগে এইসব নদী বিষাক্ত হওয়াৰ আগে
একবাৰ অন্ততঃ একবাৰ আমি তুমূল যুদ্ধে বিধস্ত অইবাৰ চাই...
কবির ছদ্ম নাম কাজী নীল, আসল নাম কাজী সারোয়ার হুসেন। অসমিয়া হরফে লেখা কবিতা; “ৰ”-কে “র” এবং “চ,” “ছ”-কে ইংরিজি S-এর মতো পড়তে হবে। মান্য বাংলাতে অনুবাদ করে, বাংলা হরফে দিলাম না, কেননা ঠিক এভাবেই লেখা হয়েছিল। ভাষার নাম দেওয়া হয়েছে “মিঞা ভাষা”, কবিতার নাম “মিঞা কবিতা”। যদি পুববাংলার ভাষা সম্পর্কে ধারণা থাকে পড়ে দিব্যি বুঝতে পারবেন। অসমীয়ার ছোঁয়াও লেগেছে। মিঞা ভাষা কী বস্তু? কেন মিঞা কবিতার দায়ে আসামের বিভিন্ন থানায় দশজনের নামে এফ আই আর দায়ের হয়েছে? বুঝতে হলে একটু পিছিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন, আসামে এনআরসি-ই নাগরিকত্ব প্রমাণের শেষ কথা নয়
১৯ শতকের শেষদিকে সাহেবরা এক দীর্ঘসূত্রী প্রকল্পে হাত দেয়। কম জনসংখ্যার রাজ্য আসামের অনাবাদী জমিগুলোকে চাষের আওতায় আনা দরকার। চাষ করে পাট উৎপাদন হবে, যা বাংলাতে ব্যাঙের ছাতার মত বাড়তে থাকা চটমিলগুলোর কাঁচামালের খিদে মেটাবে। জমির ওপর কর বসিয়ে সরকার রাজস্ব কামাতে পারবে।
আসামে লোক কম, চাষ করবেটা কে? পূর্ববঙ্গ থেকে গরিব, প্রান্তিক চাষিদের এনে বসতি স্থাপনের সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হল।
শ্রম বাংলা থেকে আসবে, জমি আসামের, কাঁচামাল যাবে ফের বাংলায়, বৃটিশ বা মাড়োয়ারি মিলে ঢুকবে, মিলপণ্য রফতানি হবে দেশ-বিদেশের বাজারে। এই হল মুনাফা ও রাজস্ব কামানোর পুঁজির উপনিবেশি ছক। কিন্তু সমাজের মাটিতে নেমে পরিচ্ছন্ন ছকগুলো জটিল পরিস্থিতির জন্ম দেয়। জড়িয়ে যায় ধর্ম, ভাষা, জাতিসত্ত্বার তার।
ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার পশ্চিমপ্রান্ত দিয়ে অভিবাসী চাষিরা ঢুকতে আরম্ভ করেন ১৯ শতকের শেষে। নদীর ধার দিয়ে স্রোত পূর্বদিকে এগোলো। ১৯০৫ সালে কার্জনসাহেব বঙ্গভঙ্গ করে পূর্ববাংলাকে আসামের সঙ্গে জুড়ে দিলেন। একই রাজ্য হয়ে যাওয়ার প্রব্রজনের ঢল বাড়ল। মুসলমান অভিবাসী চাষিরা পশ্চিম ও মধ্য আসামে বসতি স্থাপন করলেন। সেকালে মৈমনসিংহ জেলার চাষিদের ভারী সুনাম ছিল। আসামের উর্বর নদী উপত্যকায় তাঁরা সোনার ফসল ফলালেন। উত্তরবঙ্গের অন্য জেলা যেমন রংপুর, দিনাজপুর থেকেও অনেকে এসেছিলেন অনুমান করা যায়। তবে অভিবাসী মুসলমানদের অসমিয়াতে “মৈমনসিংগিয়া” বলার চল ছিল।
অসমিয়া বৌদ্ধিক মহলে পূর্ববঙ্গীয় অভিবাসন নিয়ে অস্বস্তির সৃষ্টি হচ্ছিল। সেই সময়ে আসামে বাংলাভাষীরা যদিও সবচেয়ে বড় ভাষিক গোষ্ঠী বেশিরভাগ বাঙালির বাসভূমি বরাক উপত্যকাতে – মানে দক্ষিণ আসামের কাছাড় ও সিলেট জেলা। অভিবাসীরা কিন্তু অসমিয়াভাষীদের সাবেক বাসভূমি ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় সরকারি জমি দখল করে বসলেন। বহু জনজাতি সম্প্রদায়ের থিতু হয়ে বসবাসের অভ্যাস হয় নি। তাঁদের পরম্পরাগত জমিতে পূর্ববঙ্গীয়রা বসতি স্থাপন করলেন।
আরও পড়ুন, ভারতীয় নাগরিক কারা? কীভাবে তা স্থির করা হয়?
শুধু আর্থিক নয়, সাংস্কৃতিক উদ্বেগও ছিল। বাঙালিদের প্রতি তিক্ততার বীজ পুঁতেছিল ইংরেজরা। ১৮৭৪ পর্যন্ত আসামে অসমিয়া নয়, বাংলাকে সরকারি ভাষা বানিয়ে রেখেছিল। পরে জনবহুল গোয়ালপাড়া, সিলেট, কাছাড়কে পুরোনো আসামের সাথে জুড়ে দিল। ফল, বৃটিশ আসামে অসমিয়াভাষীরা সংখ্যালঘু। আরো আগে মোগলরা সুবা বাঙ্গাল মারফত ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা আক্রমণ করেছে; কোচ, আহোম রাজাদের সাথে দীর্ঘ যুদ্ধ হয়েছে।
আবার রবি ঠাকুরের মত প্রথিতযশারা বাঙালি চিন্তাবিদরা ভাবতেন অসমিয়া কোনও আলাদা ভাষা নয়, বাংলার অনেক উপভাষার মতই একটা। কাজেই অনেক অসমিয়াভাষী মনে করতেন, বাঙালিরা ভাষা-সংস্কৃতি নিয়ে উন্নাসিক বড়দাদাবিশেষ। অসমিয়া সংস্কৃতিকে হেয় করে এরা। আসামকে গিলে বৃহত্তর বাংলা তৈরির সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্র চলছে নির্ঘাৎ।
উপরন্তু, বিপুল সংখ্যায় বিজাতীয় চাষির আগমন। পরিসংখ্যাগত বাস্তব হচ্ছে, এই দুনিয়ায় অসমিয়াভাষীদের তুলনায় বাংলাভাষীদের সংখ্যা দশগুণেরও বেশি। বাঙালিরা হুড়মুড়িয়ে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় ঢুকে পড়লে অসমিয়া ভাষা-সংস্কৃতি ভেসে যাবে। জাতীয়তাবাদী অসমিয়াদের এই সাংস্কৃতিক সুরক্ষাহীনতাকে অনুধাবন করা দরকার, সমর্থন নাই বা করলেন। এই ভয় একশো বছরের অশান্তির মূলে রয়েছে। মিঞা কবিতা নিয়ে কাজিয়ার পেছনেও এক উদ্বেগ বর্তমান।
দেশভাগের পর ১৯৫১-এর জনগণনা হল। দেখা রাজ্যে বাংলাভাষীর সংখ্যা চট করে অনেকটা কমে গেছে। উদ্বাস্তু প্রবেশের ফলে বাঙালি সংখ্যা বাড়ার কথা, কমলো কেন? কেননা ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার অভিবাসী মুসলমানদের বড় অংশ নিজেদের অসমিয়া পরিচয় দিয়েছিলেন।
কেন দিয়েছিলেন বলা শক্ত। ১৯৪৭-এর পর আসামে বেশ কিছু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়। হয়তো অভিবাসী মুসলমানদের মনে ভয় ঢুকে গিয়েছিল, হিন্দুস্থানে থাকতে হলে ধর্ম ও ভাষা দুটোই রাখা যাবে না। বিপদে অর্ধেক ছাড়তে হয়। তাছাড়া, আসামে ভিনদেশীবিরোধী রাজনীতির ভিত আগের থেকে তৈরি হচ্ছিল। ভিনদেশীর প্রধান পরিচায়ক ভাষা। মাতৃভাষা অসমিয়া লিখিয়ে হিংস্রতার হাত থেকে যদি রক্ষা পাওয়া যায়। দেশভাগের হিংস্রতা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কী পরিমানে সন্ত্রস্ত করে তুলেছিল অভিবাসী মুসলমানদের ভাষাবদল তার দলিল হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন, ফরেনার্স ট্রাইবুনাল কী ভাবে কাজ করে
ভাষা বদলের দৌলতে ১৯৫১ সালের পর বহুদিন অসমিয়াভাষীদের অনুপাত ৬০%-এর কাছাকাছি ছিল। বাঙালিদের অনুপাত ২০%-এর সামান্য কম। কিন্তু হালে কয়েক দশক ধরে উলটো টান দেখা দিচ্ছে। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী আসামের ৪৮.৪% অসমিয়াভাষী, ২৮.৯% বাংলাভাষী। খবরের কাগজগুলোর সম্পাদকীয় পাতায় গুঞ্জন, নির্ঘাৎ “মিঞা”রা মাতৃভাষা বাংলা লেখাচ্ছে তাই বাঙালিদের ভাগ বাড়ছে। আটের দশকের আসাম আন্দোলনের পেছনে একই আশঙ্কা ছিল, অভিবাসী মুসলমানরা হয়তো ঘর ওয়াপসি করছে, অচিরে আসামের গতিক ত্রিপুরার মত হবে।
“মিঞা” বলতে কী বোঝায়? কাউকে হোসেনমিঞা বললে শব্দটি “বাবু” বা “জি” অর্থে ব্যবহার হয়। মিঞা মানে ভদ্রলোক। চলতি অসমিয়াতে মিঞার দ্যোতনা কিন্তু অন্য। মিঞা মানে পূববাংলা মূলের মুসলমান। চিত্রকল্পটি কোমরে লুঙ্গি, থুতনিতে দাড়ি, শ্রমজীবী মুসলমানের। রিক্সা চালান, বা সবজি বেচেন, বা বাবুদের বাড়ি জন খাটেন যার নাম কামলা। মিঞা সম্বোধনের মধ্যে ভাষা, ধর্ম, শ্রেণীগত শ্লেষ মিশে থাকে। উগ্র জাতীয়তাবাদীরা মিঞার থেকে এক পা এগিয়ে সরাসরি “বাংলাদেশী” বলেন।
“মিঞা মানে পূববাংলা মূলের মুসলমান” লিখলাম, বাঙালি মুসলমান লিখলাম না। কারণ সরকারি দস্তাবেজে ওঁদের ভাষিক সত্ত্বা অসমিয়া, বাঙালি নয়। তা অসমিয়া যদি হয়, মিঞা বলা কেন? কেন মনে করিয়ে দেওয়া, যতই মাতৃভাষা বদলাও খাঁটি অসমিয়া হওয়া সোজা নয়? মিঞা কবিতার প্রতিবাদের জায়গাটা এখান থেকেই। যে শব্দতে অপমান তাকেই ধারণ করেছেন ওঁরা। সাথে আছে খেটে খাওয়া জীবনের, শ্রমের, উদযাপন।
হাফিজ আহমেদ গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অসমিয়াতে ডক্টরেট করেছেন, সাহিত্যচর্চা করেন। ২০১৫ সালে ফেসবুকে “লিখে নাও, আমি একজন মিঞা” কবিতা লিখলেন, যার থেকে মিঞা কবিতার জোয়ার শুরু বলা যায়। প্যালেস্টাইনের কবি মাহমুদ দরওয়াইসের “আইডেন্টিটি কার্ড”-এর সাথে মিল পাওয়া যাবে। শুরুর স্তবকের অনুবাদ এরকম।
লেখ,
লিখে নাও
আমি একজন মিঞা
এন আর সি’র ক্রমিক সংখ্যা ২০০৫৪৩
দুটি সন্তানের বাবা আমি
সামনের গ্রীষ্মে জন্ম নেবে আরো একজন
তাকেও কি তুমি ঘেন্না করবে
যেমন ঘেন্না আমাকে করো?
…
নিজেকে মিঞা ঘোষণা করার মধ্যে মিশে আছে আত্মসত্তা প্রকাশের গর্ব, আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গরা যেমন “নিগার” শব্দ ব্যবহার করেন। একই সাথে মিঞা শব্দের উচ্চারণ জাতিহিংসার ইতিহাসকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। কাজী নীলের “মিঞা হয় নে নহয়” (মিঞা হ্যাঁ কি না?)-এর অংশ দেখা যাক, যেখানে সাদামাটা দৈনিক জীবন অভিবাসিক অস্তিত্বকে অতর্কিতে নিগূঢ় প্রশ্নের মুখে ফেলতে থাকে।
…
মাছ মাৰুম নামছি পাগাৰে
দুইটেহাৰ খেতাজাল আমাৰে হইছ কৰে
মিঞা হয় নে নহয়?
যামু বিয়াইন বাৰী সাইজা গুইজা বাইৰ হইছি
মৰাৰ লুঙ্গি আমাৰ মুহি আঙুল তোলে
মিঞা হয় নে নহয়!
শিৱসাগৰে চাইটে গেছি লেবাৰি কৰুম
জাতিৰ দালাল আমাৰ ফেলে খেইদা আহে
কেলা মিঞা হয় নে নহয়!
হয় বা নহয়েৰ কোনো বাইনাৰীতে আমি নাই
জবাব তো বাই উৰবো বাতাসে... হাওয়ায়...
তাৰপৰেও আমি বেভোৰে কিসব ভাবতাছি
হঠাৎ এ কি! আমি নিজেৰেই নিজে প্রশ্ন কৰি
মিঞা হয় নে নহয়!!
আমার পড়া মিঞা কবিতার অধিকাংশ পুববাংলার ভাষায় লেখা। মৈমনসিংগিয়ার প্রভাব বেশি। দীর্ঘদিন আসামে থাকার ফলে কথ্যভাষায় অসমিয়া শব্দ, বাগধারার প্রভাবও পড়েছে বিস্তর। মুখের ভাষা – অসমিয়ায় যার নাম “দোয়ান” -- তাতে লেখা হচ্ছে মিঞা কবিতা। কবিদের প্রথম অপরাধ এটাই। কয়েকজন প্রসিদ্ধ অসমিয়া বুদ্ধিজীবী মিঞা কবিদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। অভিযোগ, “আপনারা তো অসমিয়া, অসমিয়ায় লিখছেন না কেন? মিঞা ভাষা বলে কিছু হয় না।” যে সাংস্কৃতিক উৎকণ্ঠার কথা আগে বললাম সেটাই মিঞা কবিতা ঘিরে অস্বস্তির জন্ম দিচ্ছে।
তবে, গুরুতর অভিযোগ, কবিরা অসমিয়া সমাজের বিরুদ্ধে কুখ্যাতি রটাচ্ছেন। একটি এফ আই আরে নালিশ করা হয়েছে, দুনিয়ার সামনে এঁরা অসমিয়াদের ভিনদেশিবিদ্বেষী (xenophobic) বলে বদনাম করছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এফ আই আরে দু’জন অসমিয়াভাষীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওঁরা মিঞা কবিদের প্রতি সহমর্মিতা পোষণ করেছিলেন। জাতিরক্ষার যজ্ঞে বিভীষণদের ধরা চাই বই কী। ওঁদের পক্ষে আশার কথা, আজকের আসামে বিভীষণদের সংখ্যা বড় কম নয়।
পুববাংলার ভাষায় লেখা হলেও মিঞা কবিতার হরফ অসমিয়া। এর ব্যবহারিক কারণ, কবিরা অসমিয়াতে পড়াশোনা করেছেন, অসমিয়া হরফে স্বচ্ছন্দ। আর নীতিগত কারণ, ওঁরা যে অসমিয়া তা দ্ব্যর্থহীনভাবে জানানো হয়েছে। অসমিয়া সত্তার মধ্যে থেকে জাতিহিংসাকে শিল্পের ও প্রতিবাদের উপকরণ বানিয়েছেন। যে সমস্ত বাঙালি জাতীয়তাবাদীরা অভিবাসী মুসলমানদের ঘর ওয়াপসি করার লক্ষ্যে ইন্টারনেট কাঁপাচ্ছেন -- “চলো পাল্টাই” প্রকল্পে -- তাঁরা হয়তো ভাবছেন সবাই বাঙালি হওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। এ ধারণা সঠিক নয়।
বাঙালি জাতীয়তাবাদী ও অসমিয়া জাতীয়তাবাদী, উভয় শিবির মিঞাদের ও মিঞা কবিতাকে নিজের মতো করে বাঁচতে দিন, এটুকু চাওয়া অন্যায় হবে না।
(দেবর্ষি দাস গুয়াহাটি আইআইটি-র অধ্যাপক, মতামত ব্যক্তিগত)