মাঝেমাঝে কিছু ছোট ঘটনা বড় বড় প্রশ্ন তুলে ধরে। সেসব আপাত ক্ষুদ্র, আপাত অরাজনৈতিক ঘটনাকে তুচ্ছ করার ইচ্ছে থাকলেও, তার অভিঘাত পেরিয়ে নিত্যদিনের ছোট ছোট কাজে, আদানপ্রদানে, সামাজিক সম্পর্কে স্বচ্ছন্দ হওয়া যায় না। পৃথিবী জুড়ে এদিকে বড়বড় ঘটনা অনেক ঘটে চলেছে। চিলিতে দশ লক্ষ মানুষের সুনামিতে রাজধানী উথাল-পাথাল… নিহত ভিক্টর জারার সঙ্গীতে ভেসে যাচ্ছে ক্ষমতার কণ্ঠ। এই নিয়ে পঞ্চম বা ষষ্ঠবার নিহত হলেন আবু বকর আল বাগদাদী। স্বয়ং ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নিয়ে জানিয়েছেন যে এটাই ফাইনাল, এরপর থেকে অন্য কোনো জঙ্গি চরিত্রের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে না। কাশ্মীরের বাস্তব পরিস্থিতি কী, তা আমরা কেউ জানি না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল কেন্দ্রীয় শাসকদলের পক্ষে যায়নি।
আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ কাঁপছে এন আর সি আতঙ্কে। অমিত শাহ আর দিলীপ ঘোষ সাহেব তাল ঠুকে বলছেন, এনআরসি হবেই, আর সেই ফাঁকে এনআরসির ভয়ে আত্মহত্যা করছেন হনুমানজি সেজে গদা হাতে গাড়ির বনেটে বসে বিজেপির প্রচারে অংশ নেওয়া ছাপোষা বাঙালি ভদ্রলোক। বাস্তবিকই এসব বড়বড় ঘটনার মুহূর্তে সামান্য ব্যক্তিগত আক্রোশ, খুনখারাপি বা অভব্যতা নিয়ে লেখার যুক্তি নিয়ে অনেকেই সপ্রশ্ন। তবু থিয়েটারের মেয়েদের চেঁচিয়ে বলতেই হচ্ছে ব্যক্তিগত যৌন নির্যাতনের অভিজ্ঞতার কথা। অন্যান্য মহিলাদেরও গলা মিলিয়ে বলতেই হচ্ছে, "আমিও ভুক্তভোগী," কারণ এসব ছোট ব্যক্তিগত ব্যাপার পেরিয়ে তাঁদের পক্ষে বেঁচে থাকাই দায়। তেমনই কারণে আজ লিখতেই হচ্ছে বর্ধমানের একটি সাম্প্রতিক সামান্য ঘটনা নিয়ে।
ঘটনাটি কেন্দ্রে দু'তিনজন। একজন চিকিৎসক। সাধারণ সামাজিক বিচারে তিনি সফল, সুখী এবং সচ্ছল মানুষের প্রতিনিধি, যদিও তাঁর জীবনের বাস্তবতা তেমন নাও হতে পারে। সেই চিকিৎসকের গাড়ি চালাতেন একজন ভদ্রলোক, যিনি সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি অবশ্যই, খেটে খান এবং ন্যায্য পারিশ্রমিক ও সম্মান তাঁর প্রাপ্য। সেই চিকিৎসকের কাছে যাঁরা কাজ করতেন, তাঁদের কাছ থেকে জানা গেছে যে সকলের মাইনে হয় মাসের পয়লা তারিখে। অর্থাৎ "নেক্সট ডিউ ডেট" ছিল পয়লা নভেম্বর ২০১৯। ইতিপূর্বে কখনো সময়ে বেতন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেননি কর্মচারীদের কেউ।
অক্টোবরের ২৮ তারিখ ড্রাইভার সাহেব হঠাৎই এসে বেশ কিছু টাকা দাবি করেন। না, কিছু খবরে মাইনের টাকার উল্লেখ থাকলেও তিনি মাসিক বেতনের টাকা চাইতে আসেননি। কালীপূজার রাতে জুয়া খেলে তিনি বিপুল পরিমাণ টাকা (সম্ভবত লাখ দুয়েক) হেরে যান। সেই টাকাই দাবি করতে এসেছিলেন তিনি। এই দাবির প্রেক্ষিতে চিকিৎসকের স্ত্রী জানান যে আর তিনদিন পরেই মাসিক বেতনের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে নিয়মমাফিক। তখনই তাঁর পক্ষে জুয়া খেলার টাকা জোগান দেওয়া সম্ভব নয়।
এরপর ড্রাইভার একটি মোটা লাঠি দিয়ে সেই চিকিৎসক এবং তাঁর স্ত্রীকে মারতে শুরু করেন। একজন গৃহপরিচারিকা বাধা দিতে এলে তাঁর হাতে সজোরে বাড়ি মারেন তিনি। তারপর অন্য সবাইকে ওপরের ঘরে আটকে ছিটকিনি দিয়ে ডাক্তার ও তাঁর স্ত্রীকে নির্মমভাবে পেটাতে থাকেন এবং পরিশেষে ভদ্রমহিলার মাথায় আঘাত করে তাঁকে হত্যা করেন। আক্রান্ত চিকিৎসককে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। জানা যাচ্ছে যে খুন করতে যাচ্ছেন, এমন কথা নাকি আগাম ঘোষণা করে চিকিৎসকের বাড়িতে চড়াও হয়েছিলেন ওই চালক।
এই পুরো খবরটি কিছু চ্যানেলে সবিস্তারে দেখানো হয়, প্রত্যক্ষদর্শী গৃহকর্মচারীদের ইন্টারভিউ সমেত। বিভিন্ন খবরের কাগজ ও নিউজ পোর্টালেও প্রকাশিত হয়েছে। জানা গেছে যে এই গাড়িচালক আগেও মদ্যপান করে জুয়ায় টাকা হেরে বাড়তি টাকা আদায় করার জন্য এই চিকিৎসক দম্পতির উপর চড়াও হয়েছেন। চাকরি থেকে ছাড়িয়ে দেবার কথা উঠলে আবার তিনিই হাতেপায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে চাকরি বজায় রেখেছেন। যিনি খুন হলেন, সেই মহিলাই প্রতিবার নরম হয়ে তাঁকে ক্ষমা করেছেন। স্পষ্টতই ব্যক্তিগত নিরাপত্তার চেয়ে পুরনো কর্মচারীর সঙ্গে সম্পর্কের সেন্টিমেন্টকে তিনি বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন বারবার।
সেই সম্পর্কের অপমৃত্যু ঘটল। অপঘাতে নিহত হল মানুষের প্রতি মানুষের মানবিক প্রশ্রয় ও সহানুভূতিও।
কিন্তু সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যাপারটা ঘটল এর পরে। একজন চিকিৎসকের স্ত্রীর নিহত হবার খবরে বিবেকবান সংস্কৃতিবান সাধারণ মানুষ ফেসবুক ইত্যাদি সোশাল মিডিয়ায় যে উল্লাস প্রকাশ করলেন, তা হাড় হিম করে দেওয়ার মতো। দেখা গেল, প্রায় সকলেই খুনিকে সমর্থন করছেন, যেহেতু নিহত একজন চিকিৎসকের স্ত্রী। কিছু মন্তব্যের ভাষা এত নোংরা যে এখানে উল্লেখ করা যায় না। বাকি অনেকে বললেন "ঠিক করেছে", "বেশ করেছে"। একজন বললেন "দিওয়ালির সেরা উপহার।" অন্য কোনো পেশার সঙ্গে যুক্ত কোনো ব্যক্তি বা তাঁর পরিবার এভাবে খুন হলে এরকম গণ-উল্লাস চোখে পড়ত কিনা জানিনা।
অনেকগুলো প্রশ্ন আমাদের বিদ্ধ করছে, যা আমাদের প্রাত্যহিক জীবন ও সামাজিক সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত। প্রথম প্রশ্নটার জন্ম সোশাল মিডিয়ার মন্তব্যগুলি থেকে। একজন অপরিচিত চিকিৎসকের প্রৌঢ়া স্ত্রীর ভয়াবহ হত্যায় এত আমোদ পায় কেমন করে মানুষ?
প্রশ্নটার একটা অংশ প্রথমে দেখা যাক। চিকিৎসক সমাজের প্রতি এমন প্রবল ঘৃণা এল কোথা থেকে। এটি দীর্ঘ আলোচনার বিষয়। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক মহল ও প্রচার মাধ্যমের প্রচেষ্টায় জনমানসে চিকিৎসকদের ভিলেন বানানো হয়েছে দুটি প্রধান উদ্দেশ্য নিয়ে… সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার হাজার গলদের কারণে জন্মানো যাবতীয় গণরোষ চিকিৎসকদের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া, এবং রোগী-চিকিৎসক সম্পর্কের মধ্যে অবিশ্বাসের বিষ ছড়িয়ে ব্যবসাদার বড় কর্পোরেট এবং ইনসিওরেন্স কোম্পানিগুলোর চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রবেশ ও প্রসারে সুবিধে করে দেওয়া। এর খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত, কিন্তু আজকের শব্দসীমার মধ্যে তা সম্ভব নয়।
শ্রেণিচেতনার অপপ্রয়োগও চোখে পড়ল। অনেকের বক্তব্য, চিকিৎসকদের অনেক টাকা (এটাও একটা ধারণা, যা সব চিকিৎসকের ক্ষেত্রে বাস্তব নয়), তাই যে কোনো অঙ্কের টাকার দাবি যে কোনো মুহূর্তে তাঁদের মেটাতেই হবে। নইলে তাঁরা শ্রেণীশত্রু এবং হত্যার যোগ্য। শ্রেণীসংগ্রাম বিষয়ক কোনো স্বীকৃত ভাষ্য এইধরণের বক্তব্যকে সমর্থন করে বলে জানা নেই। সঠিক সময়ে বেতন না দিলে শোষণের প্রসঙ্গটি অবশ্যই আলোচ্য হত। সেক্ষেত্রেও নরহত্যা কোনো সমস্যার প্রাথমিক সমাধান হিসেবে গ্রাহ্য হতে পারে না বলেই মনে করি।
এক্ষেত্রে তেমন কোনো বঞ্চনার ঘটনাও ঘটেনি। জুয়ার টাকা জোগান দেওয়া চাকরিদাতার অবশ্যকর্তব্য, এমন কথা কোনো সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী কখনও বলেননি। উপরন্তু যাঁরা মন্তব্য করেছেন (কেউ কেউ ইংরেজিতে), তাঁরা ব্লু-কলার শ্রমিক নন দেখা যাচ্ছে। এঁরা আসলে হিংস্রতা দেখে আমোদ পেয়েছেন (সিনেমা বা কিছু মারামারি ভিত্তিক খেলার চ্যানেলে ভায়োলেন্স দেখে যেমন পান)। নিহত একজন চিকিৎসকের স্ত্রী হওয়ায় আনন্দ চূড়ান্ত, যাকে এঁরা শ্রেণির গল্প দিয়ে ন্যায্য প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন।
চিকিৎসকদের দিক থেকেও কিছু খামতি থেকেছে এই সামগ্রিক ভিলেন নির্মাণ প্রক্রিয়াটির কালে। সঠিক সময়ে বাধা দেওয়া হয়নি। চিকিৎসকদের জনসংযোগ অনেকের চেয়ে বেশি হওয়ার কথা, তবু চিকিৎসক সমাজ সেই গণভিত্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি, বদলে ভিত্তিটিই হারিয়েছেন।
ব্রিটিশ আমল থেকেই সাহেবি ডাক্তারি কেতার কবলে পড়ে বড় ডাক্তারেরা কোট-টাই পরা দূরের মানুষ হতে শুরু করেন। পরবর্তীকালে আধুনিক চিকিৎসায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অতি-দ্রুত বাড়বাড়ন্ত চিকিৎসাকে ক্রমশ যান্ত্রিক করে তার মানবিক মুখটিকে ঢেকে দেয়। কিছু সংখ্যক চিকিৎসকের কথা বলার কায়দা, ব্যবহার বা ঠাটবাট সাধারণ রোগীদের মনোজগতে চিকিৎসকদের সামগ্রিকভাবে 'অপর' বানিয়ে তোলার প্রক্রিয়াটিকে সহায়তা করেছে। এই দুর্ভাগ্যজনক সামাজিক বিষক্রিয়ার চিকিৎসায় চিকিৎসকেরা সচেষ্ট হয়েছেন ইদানিং, কিন্তু বেশ দেরি হয়ে যাওয়ার পর।
সমস্যা হলো, অজস্র চিকিৎসক-বিরোধী ঘটনার পর (এবং জনগণের প্রতিক্রিয়া দেখার পর) চিকিৎসকেরাও অনেকেই এখন সহনাগরিকদের কাছে মনুষ্যত্ব প্রত্যাশা করেন না। তাঁরা তাঁদের কর্তব্য করে চলেন, কিন্তু সচেতনভাবে মনে রাখেন কাদের চিকিৎসা করছি আসলে। ফলে মনের মধ্যে এক ধরণের 'ডিফেন্সিভ' বা গা-বাঁচানো ভাব এসে যাচ্ছে আজকাল চিকিৎসকদের মধ্যে, যা রোগীর চিকিৎসার পক্ষে খুবই খারাপ। এর ফলে চিকিৎসাব্যবস্থার যান্ত্রিকতা দূর করা আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।
চিকিৎসকের অস্তিত্ব ভুলে ঘটনাটির দিকে তাকানো যাক। এই গাড়িচালক ওই পরিবারের সঙ্গে বহুবছর ধরে পরিচিত, সেখানে কাজ করেছেন এবং বহুবার বহুভাবে ওই পরিবারের দ্বারা উপকৃত। তা সত্ত্বেও কিছু টাকা আদায়ের লোভে তিনি বহুদিনের পরিচিতা ক্ষমাশীলা প্রৌঢ়া 'বৌদি'কে খুন করলেন! এটার মধ্যে কি কোনো সামাজিক ব্যাধি চোখে পড়ছে না? কাল এরকম ঘটনা আপনার পরিবারেও হতে পারে এবং হত্যাকারী হতে পারে আপনার পুত্রটিও।
চরম ভোগবাদী সংস্কৃতি আমাদের এমনভাবে নেশাচ্ছন্ন করে ফেলেছে যে কোনো অপ্রাপ্তি বা প্রাপ্তির পথে সামান্য বিলম্বও সহ্য করতে পারছে না আমাদের মস্তিষ্ক। জন্ম নিচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত ক্রোধ বা ডিপ্রেশন। দামী স্মার্টফোন চাওয়ামাত্র না পাওয়ার ফলে আত্মহত্যা করছে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের তরুণী। দামী মোটরবাইক কিনে না দেওয়ায় বাবাকে খুন করছে যুবক সন্তান। ভোগ্যপণ্যের মোহের সঙ্গে অনলাইন জুয়া ইত্যাদি বিষের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সমাজে, বলি হচ্ছে মূলত যুবসমাজ। এই ভোগবাদী আগ্রাসন থেকে এদের বাঁচানোর কোনো সংগঠিত প্রচেষ্টা হয়নি।
অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা আর অসুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতিও মানুষকে ব্যক্তি হিসেবে অমানুষ করে তুলছে। এগরোলের স্বাদ পছন্দ না হওয়া বা গাড়ি ওভারটেক করার মতো তুচ্ছ কারণে হত্যার ঘটনা ঘটছে আজকাল। ক্রমশ বাড়ছে গণধোলাইয়ের প্রবণতা এবং সাম্প্রতিক গণধোলাইয়ের ঘটনাগুলোতে মেরে ফেলাই যেন লক্ষ্য! বিচার ব্যবস্থার উপর ভরসা নেই অথবা ততটা সময় অপেক্ষা করার মতো মানসিক স্থিরতা নেই। যুক্তিতে আস্থা নেই, আস্থা কেবল হিংস্রতায়। নিজের যাবতীয় অতৃপ্তিজনিত ক্রোধ সামনের অসহায় মানুষটির উপর শারীরিকভাবে ঢেলে দিতে পারাতেই তাৎক্ষণিক আরাম।
অধিকাংশ সময়ে দেখা যায়, যিনি গণধোলাইয়ের শিকার, তাঁর পরিচয়টুকুও জানে না হত্যাকারীরা। ব্যক্তি বা তাঁর অপরাধ গুরুত্বপূর্ণ নয়, রাম-শ্যাম-হাসিম-বক্তিয়ার যে কাউকে পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারলে স্যাডিজমে খানিক সুড়সুড়ি লাগে। যাঁরা একজন অপরিচিতা প্রৌঢ়ার নৃশংস হত্যাকাণ্ডে উল্লসিত হয়েছেন ফেসবুকে, তাঁরা কাল যদি আপনাকে কোনো গলির মধ্যে ঘিরে ধরেন ছেলেধরা সন্দেহে, অথবা আপনার থুতনিতে দাড়ি থাকলে আপনার বাজারের থলেতে গোমাংস আছে ধরে নিয়ে? নিজের মৃত্যুর জন্যে প্রস্তুত আছেন তো? বাঁচতে চাইলে এই সামাজিক ব্যাধির চিকিৎসাতেও সচেষ্ট হতে হবে সকলকে। জনস্বাস্থ্যের এও এক অঙ্গ, কিন্তু স্বাস্থ্যোদ্ধার একা চিকিৎসকের দ্বারা হবে না। জনমনের জাগরণ প্রয়োজন।