Advertisment

চিনের নবতম রূপ, ঘরের বাইরে নজর

চিনের আর্থিক সম্প্রসারণবাদের নেপথ্যে চিনের আক্রমনাত্মক বিশ্বনীতি দেখে ভারত প্রমাদ গুনছে। কারণ একটাই, ভারত-চিন সম্পর্কের মধ‍্যে জমে থাকা অবিশ্বাস।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
chinese expansion

অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস

একটা কথা আজকাল খুব মনে পড়ে। আমাদের মাস্টারমশাই সত‍্যব্রত চক্রবর্তী বলতেন, পৃথিবীর ইতিহাস যেন ঘড়ির একটা পেন্ডুলামের মতো। কখনও পেন্ডুলামটা বাঁদিকে যায়, আবার কখনও ডানদিকে। কখনও রাষ্ট্র ব‍্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের ওপর জোর দেয়, তখন সে নিজেকে নিয়ে ব‍্যস্ত থাকে। দেশের অভ‍্যন্তরীণ রাজনৈতিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন তখন তার লক্ষ্য হয়। আবার কখনও কখনও পেন্ডুলাম অন্য দিকে যায়। সে হলো সমষ্টিবাদ বা 'collectivism'-এর প্রবণতা।

Advertisment

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কখনও হয়েছে জাতিরাষ্ট্রের বিকাশ, যাকে বলে 'nation state', আবার কখনও কখনও জাতিরাষ্ট্র অন‍্য রাষ্ট্রগুলির উপর নিজের আধিপত্য কায়েম করে। যেমন একদা অ্যাডলফ হিটলার জার্মানির সম্প্রসারণ চেয়েছিলেন, যেমন একদা কাউন্ট অটো ভন বিসমার্ক ইতালির ঐক্য সাধনে ব্রতী হন।

সোভিয়েত ইউনিয়নে জোসেফ স্তালিন সাম্রাজ্য বিস্তারে সক্ষম হন। হিটলারকে পরাস্ত করে পূর্ব ইউরোপের ছোট ছোট দেশগুলিকে (আলবেনিয়া, রোমেনিয়া, বুলগেরিয়া, চেকোস্লোভোকিয়া, ইউগোস্লাভিয়া সহ সমস্ত) সোভিয়েত দেশের ছাতার তলায় আনা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আবার বরিস ইয়েলতসিন থেকে মিখাইল গর্বাচেভের সময় কী হলো? তাসের ঘরের মত লুটিয়ে পড়ল সোভিয়েত ইউনিয়ন। যাকে আমরা বলেছিলাম, 'বলকানাইজ়েশন'। টুকরো টুকরো হয়ে গেল সোভিয়েত দেশ।

আরও পড়ুন: ভারত-চিনে পরস্পরে দ্বন্দ্বে অমঙ্গল!

আবার আজ এত বছর পর রাশিয়ায় প্রাক্তন কেজিবি প্রধান ভ্লাদিমির পুটিন স্বপ্ন দেখছেন, কীভাবে রাশিয়াকে শক্তিশালী রাষ্ট্র করা যায়। মস্কো গিয়ে দেখেছি, সেখানে মানুষ পুটিনকে 'strong leader' বলে মনে করেন। কেন না পুটিন সে দেশে স্বপ্ন বিক্রি করছেন। সে স্বপ্নটা বৃহৎ রাশিয়া গঠনের স্বপ্ন। রাশিয়া দুনিয়ার নানা ছোট ছোট দেশকে ফের তাদের সার্বভৌম ভূখণ্ডের মধ্যে নিয়ে আসতে পারে, এমনটা ভাবছেন সে দেশের মানুষ। পশ্চিমী সংবাদ মাধ্যমে পুটিনের সম্প্রসারণবাদ (expansionism) নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে। বেশ কয়েকটি বইও প্রকাশিত হয়েছে। স্তালিনকে একদা মুছে ফেলার চেষ্টা হয়, যাকে বলা যায় 'বিস্তালিনকরণ'। আজ আবার স্তালিনকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু, একে বলা হয় 'Re-Stalinisation' - স্তালিন মানেই জাতীয়তাবাদী শক্তিশালী রাষ্ট্র, এবং শক্তিশালী নেতা।

এবার দেখা যাক, গণসমাজতন্ত্রী চিন কী করছে। শি জিনপিংও বেশ কয়েক বছর ধরে সার্বভৌম চিনের ঊর্ধ্বে উঠে গোটা পৃথিবীর মধ‍্যে তাঁর দেশকে প্রধান গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র করে তুলতে চান। যাকে বলা হয় 'central province of the world'। চিন তাই নিজেদের 'middle land' বলে‌। হেনরি কিসিঞ্জার ১৯৭১-৭২ সালে একথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, একটি দেশ সাধারণত তার নাম স্থানীয় জাতি, ভাষা বা ভৌগোলিক পরিচয় থেকে আহরণ করে, কিন্তু চিন তা না করে নিজেদের দেশকে পৃথিবীর 'middle land' আখ‍্যা দেয়। যেন চিন পূর্ব ও পশ্চিমের মধ‍্যে এক নিউক্লিয়াস।

চিনের একটা অন‍্যরকম বৈশিষ্ট্য হলো, স্থলপথে এ দেশের বিভিন্ন দিকে ১৪টি প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত। আফগানিস্তান (৭৬ কিমি), ভুটান (৪৭০ কিমি), মায়ানমার (২,১৮৫ কিমি), ভারত (৩,৩৮০ কিমি), কাজ়াখস্তান (১,৫৩৩ কিমি), উত্তর কোরিয়া (১,৪১৬ কিমি), কিরগিজ়স্তান (৮৫৮ কিমি), লাওস (৪২৩ কিমি), মঙ্গোলিয়া (৪,৬৭৭ কিমি), নেপাল (১,২৩৬ কিমি), পাকিস্তান (৫২৩ কিমি), রাশিয়া (৩,৬৪৫ কিমি), তাজিকিস্তান (৪১৪ কিমি), ভিয়েতনাম (১,২৮১ কিমি), এই হলো স্থলপথের সীমানা। জলপথে উপকূল রেখা আছে ১৪,৫০০ কিমি।

আরও পড়ুন: লাদাখে চিনের অনুপ্রবেশ যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে, তার মোকাবিলা করতেই হবে

চিনের সবচেয়ে বড় রূপান্তর আজ এটাই যে, ঘর হতে বাহিরে যেতে তারা সক্রিয়। এটা যে আজ হঠাৎ শুরু করেছে এমন নয়। আফিম যুদ্ধ থেকে সাংস্কৃতিক বিপ্লব - ১৪৮০ থেকে ১৯৬৯ - এ এক সাংঘাতিক রূপান্তর। অনেকে বলেন, ত্রিমুখী রূপান্তরের ইতিহাস। প্রথমে সমাজতান্ত্রিক চিন থেকে আধা সামন্ততান্ত্রিক, আধা ঔপনিবেশিক চিন, পরে সমাজ বিপ্লবের মাধ্যমে নয়া গণতান্ত্রিক চিনে রূপান্তর। তৃতীয় স্তরে সমবায় ও গণ কমিশন শিল্পের রাষ্ট্রীয়করণ, এবং সর্বোপরি সাংস্কৃতিক পরিবর্তন। এসব আজ ইতিহাস। আর সেই ইতিহাসের গর্ভে জন্ম নিচ্ছে আর এক চিন‌। সেদিনের চিন আর আজকের চিনেও আছে অন্তঃ সম্পর্ক।

ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির মধ‍্যে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ, সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বন্ধু হলো বাংলাদেশ। বরং আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনাকে আজ নয়, অতীতের ভোটের সময়ও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। খালেদা জিয়ার বিএনপি এবং জামাতদের এক বড় রাজনৈতিক হাতিয়ার হলো ভারত বিরোধিতা। চিন কিন্তু এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেও বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়।

পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সম্প্রতি ঢাকা সফরের জন্যও নানা বেসরকারি 'ট্র্যাক-টু'র মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়েছেন। এখনও বাংলাদেশ সরকার ইমরানকে কোনও সবুজ সংকেত দেয়নি। কিন্তু ইমরান সম্পর্কে উৎসাহ প্রকাশ না করলেও সম্প্রতি ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার আবার বেশ কয়েক বছর পর নিযুক্ত হয়েছেন। আর চিন? তারা তো পদ্মা সেতুর জন্য নানান ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা পাঠিয়ে অর্থ বিনিয়োগ এবং নির্মাণে সক্রিয় হয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সখ‍্য রচনার বার্তা ইতিমধ্যেই দিয়েছে।

পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক বির্তক হয়েছে অতীতে। বিশ্ব ব‍্যাঙ্কের সঙ্গেও এই সেতুর নির্মাণ নিয়ে ঢাকা সরকারের অনেক মতপার্থক্য হয়। শেষ পর্যন্ত এই সেতু নির্মাণ হওয়াটা শেখ হাসিনার পক্ষে বিশেষ জরুরি ছিল। পদ্মা সেতু না থাকায় মানুষের অসুবিধা কতটা, তা কিন্তু আমি নিজে গিয়ে ওখানে জেটিতে ভ্রমণ করে বুঝে এসেছি। তাই চিনা ইঞ্জিনিয়ারদের কাজে লাগিয়ে পদ্মা সেতুটি দ্রুত নির্মাণ করাটা প্রয়োজন ছিল। মালয়েশিয়ার মত অন‍্য কোনও দেশকে দিয়ে না করিয়ে চিনা প্রযুক্তির সাহায্যে সার্বভৌম বাংলাদেশ যে নিজেই এ কাজটা সেরে ফেলতে চাইছে, সে তো খুবই খুশির কথা।

শুধু তো বাংলাদেশ নয়, চিন নেপালের সঙ্গে সুসম্পর্ককে কতটা সুদৃঢ় করেছে, তা তো নেপালের সংসদে মানচিত্র সংশোধনের আইন পাস করানো দিয়েই বোঝা গেল। নেপাল আজ আর হিন্দু রাষ্ট্র নয়। সংবিধান অনুসারে নেপাল আজ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সংসদীয় নির্বাচনের মাধ‍্যমে গঠিত এক জনগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। তবে আজও সে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক হিন্দু। কমিউনিস্ট নেতা প্রচণ্ডও নেপালের প্রধানমন্ত্রী তথা সরকারের উপর সহযোগী হিসাবে চাপ সৃষ্টি করেন, কেন দ্রুত এই মানচিত্র গ্ৰহণ করা হচ্ছে না জানতে চেয়ে।

নেপালের প্রধানমন্ত্রী এখন অসুস্থ, কিন্তু ভারতের সংবাদমাধ‍্যমে গুজব, এই প্রবীণ প্রধানমন্ত্রী আজ চিনের বিশেষ ঘনিষ্ঠ। প্রয়াত রাজা জ্ঞানেন্দ্রও অতীতে চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা করতেন। এমন বহু রিপোর্ট ভারত সরকারের কাছে আসত, ভারত সেদিনও নেপালের রাজা ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিল।

আজও ভারতের রণকৌশল তাই। তবে রাজনাথ সিং কৈলাস মানস সরোবরে যাওয়ার সড়ক নির্মাণ করে নেপালের হাইওয়েতে বিশেষ সড়ক উদ্ধোধন অনুষ্ঠান করাতে নেপালের বহু সাংসদ তীব্র সমালোচনা করেন। এখন তো বিহার-নেপাল সীমান্তে এক নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে নদীর জল ছাড়া নিয়ে। নেপাল প্রতি বছর যা করে, এ বছরও তাদের নদীর জল ছাড়ায় বিহারের বেশ কিছু এলাকা ভেসে গেছে। অবিলম্বে বাঁধ নির্মাণ খুব জরুরি। তা সত্ত্বেও ভারত এই বিষয়টি নিয়ে সংঘাতের পথে যাচ্ছে না।

মায়ানমার সীমান্তেও চিন পরিকাঠামো নির্মাণে সে দেশের সরকারকে নানাভাবে সাহায্য করছে। শ্রীলঙ্কা থেকে ভুটান, সর্বত্র চিনের ছায়া। ডোকলাম কান্ডটাও ভুটানের জমিতে হয়েছিল। একথা ভুললে চলবে না।

OBOR (One Belt One Road) হলো চিনের সাম্প্রতিকতম প্রকল্প। এই সড়ক নির্মাণ হলে চিন এশিয়া তো বটেই, আফ্রিকা, ইউরোপ, এমনকি দক্ষিণ আমেরিকার সঙ্গেও যুক্ত হবে। বানিজ্য ক্ষেত্রে এর ফলে চিন এগোবে। প্রকল্পটির বাজেট ৯০০ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলার চিন ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ করে ফেলেছে। ভারত এই উদ্যোগে শামিল হয়নি। চিন আমন্ত্রণ জানালে মন্ত্রী তো দূরের কথা, কোনও আমলাকে পর্যন্ত পাঠায়নি। ২০১৩ সালে চিন এই উদ্যোগ শুরু করে। অনেকে এটাকে 'নিউ সিল্ক রোড' বলছেন।

আরও পড়ুন: করোনা আবহে চিনা অনুপ্রবেশ, অভিসন্ধি বোঝা জরুরি

২০১৫ সালে তৎকালীন বিদেশ সচিব জয়শঙ্কর (আজ তিনি বিদেশমন্ত্রী) বলেছিলেন, এই প্রকল্পটি চিনের জাতীয় প্রকল্প। আন্তর্জাতিক প্রকল্প নয়। যদি আন্তর্জাতিক প্রকল্প হতো, তবে চিন সমস্ত রাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলত। এটা যখন জাতীয় প্রকল্প, তখন অন্য রাষ্ট্রের এতে শামিল হওয়া বাধ্যতামূলক নয়।

একই ভাবে গদার পোর্ট নির্মাণ নিয়েও সমস্যা হচ্ছে ভারতের। গদার পোর্ট ভারত মহাসাগর এলাকায় প্রবেশের প্রধান গেটওয়ে হয়ে উঠবে চিনের। এই বন্দরকে চিনা নৌসেনা ভবিষ্যতে ব‍্যবহার করতে পারে। দক্ষিণ চিনের 'সমুদ্র নীতি'র মোকাবিলা করার জন্য তাই ভারত, জাপান থেকে শুরু করে ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম সহ নানা দেশকে পাশে পেতে তৎপর।

ভারতে চিনের বিদেশি বিনিয়োগ ছিল খুব বেশি, যা ক্রমশ কমছে। চিন জানে তাতে তাদের লোকসান। পাকিস্তানে এই বিনিয়োগ ২০১৪-২০১৫ সাল থেকে অনেক বেড়েছে। ঠিক যে সময়টা থেকে ভারতের ক্ষেত্রে তা কমেছে। বাংলাদেশে এই বিনিয়োগে এখনও কোন উত্থানও নেই, পতনও নেই। লেখচিত্রে এটি একটি আনুভূমিক রেখার মত। শুধু পাকিস্তান নয়, চিন বাংলাদেশ, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কাকে বলেছে যে, এই প্রকল্পে রাজি হলে এসব দেশে আর্থিক বিনিয়োগ
বাড়বে। ভারত মহাসাগরকে ব‍্যবহার করে চিন এমনটা করলে ভারত মনে করছে অন‍্য দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য মার খেয়ে যাবে। ভারত তাই উল্টে ট্রান্স-হিমালয়ান ইকনোমিক জোন অফ কোঅপারেশনের প্রস্তাব দিয়েছে, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে। এতে OBOR-এর সম্প্রসারণ হবে।

এছাড়া কলকাতা থেকে চিনের ইউনান প্রদেশের লিঙ্ক স্থাপনে রাজি ভারত, তাতে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের সঙ্গেও ব‍্যবসা হতে পারে। ভারত বলছে, চিনের উদ‍্যোগে ভারতে সড়ক ঢুকবে পাকিস্তানের সেই অংশ দিয়ে, যা নিয়ে ভারত-পাক বির্তক। চিন অবশ্য বিবৃতি দিয়ে বলেছে, OBOR-এর জন্য ভারত-পাক বিবাদের দ্বিপাক্ষিক ইস‍্যুতে
চিন ঢুকবে না।

২০১৭ সালে চিনে ১৯তম পার্টি কংগ্রেসে শি জিনপিং এক নতুন চিনের পথ নির্দেশিকা তৈরি করেন। তবে OBOR এবং অন্য দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করে চিনের আর্থিক সম্প্রসারণবাদের নেপথ্যে চিনের এই আক্রমনাত্মক বিশ্বনীতি দেখে ভারত প্রমাদ গুনছে। কারণ একটাই, ভারত-চিন সম্পর্কের মধ‍্যে জমে থাকা অবিশ্বাস। ডোকলামের পর লাদাখ, এই ধারাবাহিক China Syndrome কীভাবে সম্পর্কের অস্বস্তি ঘোচাবে?

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Delhi Theke Bolchi india china standoff
Advertisment