স্বাস্থ্যের অধিকার নিয়ে আমরা যখন কথা বলি, তখন একটা প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই ওঠার কথা… এই অধিকার সুনিশ্চিত বা সুরক্ষিত করবে কে? একটা কথা স্বীকার করে নেওয়া প্রয়োজন যে স্বাস্থ্যের অধিকার বা স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবার অধিকার কোনো প্রাকৃতিক ব্যবস্থা নয়। এটি একটি মানবিক, গণতান্ত্রিক বা সমাজতান্ত্রিক ধারণা। পরিচ্ছন্নতা, নিকাশি ব্যবস্থা, পুষ্টি, চিকিৎসা বিজ্ঞান ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমরা যা কিছু অর্জন করেছি (জ্ঞান বা প্রযুক্তিগত স্তরে) তা বহু মানুষের চেষ্টায় বহু সময় ধরে অর্জিত, অতএব তা ব্যক্তিবিশেষের নয়, বরং মানব জাতির সম্পদ। সুতরাং সেই অর্জনের সুফল সব মানুষের পাওয়া উচিত। সহ-মানুষকে বঞ্চিত করে একা ভালো থাকা কোনো মানবিক ভালো থাকা নয়। এই উপলব্ধির ভিত্তিতেই সকলের জন্য স্বাস্থ্য বা সুস্বাস্থ্যের মৌলিক অধিকার জাতীয় ধারণা গড়ে ওঠে, আলোচিত হতে থাকে, জনপ্রিয় হয় এবং ক্রমশ বিভিন্ন ঘোষণা, শপথ ও আইনের হাত ধরে স্বীকৃত ও বাস্তব হতে শুরু করে। এখনও অনেক পথ চলা বাকি, তবু অন্তত তাত্ত্বিকভাবে বেশিরভাগ দেশ এই ধারণাকে আজকাল মেনে নেয় বা মেনে নেবার ভান করে।
এই বিমূর্ত ধারণাটিকে মূর্ত করার বা বাস্তব প্রয়োগে আনার দায়িত্ব কার? এখানে রাষ্ট্রের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিশ্ব-মানবতার কথা বলতে পারি অবশ্যই, কিন্তু বর্তমান আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে থেকে "পৃথিবী" নামক একককে অবলম্বন করে কোনো আর্থিক বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা চালাতে পারি না বা কোনো নিয়মানুগ ও নিয়মিত পরিষেবা প্রদান করতেও পারি না। সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলোই এই মুহূর্তে এই গ্রহের প্রশাসনিক ব্যবস্থার গঠনগত একক। স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য জাতীয় ক্ষেত্রগুলোতে ধারাবাহিক দায়িত্বশীল পরিষেবা বজায় রাখার প্রশাসনিক এককও রাষ্ট্রই।
আরও পড়ুন, আসাম এনআরসি: উৎকণ্ঠার অবসান নাকি উৎকণ্ঠার সূত্রপাত?
"দায়িত্ব" শব্দটি এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বহু অসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সেবা প্রদান করে থাকেন। তাঁদের মনে অনেক সদিচ্ছা আর ভালবাসা থাকতে পারে, কিন্তু 'দায়িত্ব' শব্দটার বোঝা তাঁদের ঘাড়ে চাপানো চলে না, এমনকি তাঁরা যথেষ্ট দায়বদ্ধতার সঙ্গে কাজ করলেও। তাঁদের প্রচেষ্টা ও সাফল্যের প্রশংসা আছে, কিন্তু ব্যর্থতার জন্য তাঁদের নিন্দা করা চলে না, যদি না তাঁরা নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে থাকেন এবং সেই খাতে ভর্তুকি নিয়ে থাকেন। অর্থাৎ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ওপর দায় যদি চাপাতেই হয়, তবে সেই দায়িত্ব নির্দিষ্ট করার দায়ও ঘুরেফিরে সেই রাষ্ট্রের। শেষ অব্দি নাগরিকদের স্বাস্থ্যের অধিকার সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব আসলে রাষ্ট্রেরই, তার জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো যাকে দিয়েই করানো হোক না কেন।
রাষ্ট্র কার ব্যাপারে দায়িত্বশীল হতে পারে? নিজের নাগরিকের ব্যাপারে অবশ্যই। সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ভিসা নিয়ে আসা কোনো বিদেশি নাগরিকের ব্যাপারে একটি রাষ্ট্র সীমিত দায়িত্ব নিতে পারে আন্তর্জাতিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে। এই সীমিত দায়িত্ব নেবার পিছনে আছে এই বিশ্বাস যে সেই ব্যক্তি অন্য একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের বৈধ নাগরিক এবং তাঁর একটি অভিভাবক রাষ্ট্র আছে। অতএব সুস্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব যখনই রাষ্ট্রের হাতে এসে পড়ে, তখনই এই মানবাধিকারটি হয়ে যায় নাগরিকের অধিকার। রাষ্ট্র আপনাকে তখনই স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে পারবে, যখন রাষ্ট্র আপনাকে দেখতে পাবে, চিহ্নিত করতে পারবে এবং আপনার অস্তিত্ব স্বীকার করবে। অর্থাৎ স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন রাষ্ট্রের খাতায় সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত ও স্বীকৃত নাগরিকেরাই। এই ব্যবস্থাপনা আগে খানিকটা ঢিলেঢালা ছিল। ইদানিং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে ক্রমশ তা আঁটোসাটো হচ্ছে।
চিকিৎসক জীবনের প্রথমদিকে দেখতাম সরকারি হাসপাতালে ব্যবস্থা অপ্রতুল, অব্যবস্থা বিপুল, কিন্তু রাস্তা থেকে গৃহহীন অসুস্থ বা আহত কাউকে তুলে এনে পুলিশ বা অন্য কেউ ভর্তি করে দিলে হরেদরে কিছু একটা চিকিৎসা তাঁর হয়ে যায়। সেই চিকিৎসার গুণগত মান প্রশংসনীয় নয়, কিন্তু তা রোগীর পরিচয় নিরপেক্ষ। কিছুকিছু পরিষেবা বিনামূল্যে পেতে চাইলে বিপিএল কার্ড দেখাতে হত, কিন্তু যাঁদের কাছে কিছুই নেই, এমনকি কাগজও না, তাঁদের জন্য বিভাগীয় প্রধান, অধ্যক্ষ বা সুপারিন্টেন্ডেন্টকে সই করিয়ে আমরাই বিনা পয়সায় সব ব্যবস্থা করে ফেলতে পারতাম। যান্ত্রিক পদ্ধতির বাইরে মানুষের চোখ দিয়ে দেখার, মানুষ চেনার এবং মানবিক পদক্ষেপ করার এই পরিসরটুকু ছিল। কিছু অতিবুদ্ধিমান মানুষ অবশ্যই সরকারি দাতব্য ব্যবস্থাটিকে দোহন করে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করেছেন। হাতে ব্ল্যাকবেরি এবং পকেটে বিপিএল কার্ড সচক্ষে দেখেছি, কিন্তু সে অন্য প্রসঙ্গ। আপাতত বলার এটুকুই যে সরকারি ছাপ মারা কাগজের টুকরো ছাড়াও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে নিজেকে ন্যায্য রোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার একটা সুযোগ ছিল।
আরও পড়ুন, জন ও স্বাস্থ্য: পরিবেশ ও চিকিৎসকের দায় দায়িত্ব
পরবর্তীকালে সরকার বাহাদুর হাসপাতালে বিনামূল্যে 'সর্বপ্রকার' ওষুধ ইত্যাদির ব্যবস্থা করলেন। (নিন্দুকে বলে সামান্য যে কটি ওষুধ মজুত থাকে, তারই মধ্যে চিকিৎসাকে সীমাবদ্ধ রাখতে চিকিৎসকদের বাধ্য করলেন।) সে যাই হোক, আবিষ্কার করা গেল যে ভিনরাজ্য ও ভিনদেশ থেকে এসে বহু মানুষ সেটুকু সুযোগ নিয়ে যাচ্ছেন, ফলে এ রাজ্যের মানুষ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই আবিষ্কারের মর্মার্থ হচ্ছে চিকিৎসা খাতে সরকার যেটুকু খরচ করবেন, তা যদি এমন মানুষের সেবায় ব্যয় হয় যিনি এরাজ্যের বৈধ ভোটার নন, তাহলে ভোটের বাক্সে সেই সরকারি ব্যয়টুকুর সুফল প্রতিফলিত হবে না। সেক্ষেত্রে ব্যয় করার অর্থ কী? অন্যান্য রাজ্যের সরকারও নিশ্চয় একই পথে ভেবেছেন। এভাবে ক্রমশ রোগীর পরিচয়পত্র বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল।
শুধু সরকারি হাসপাতালে নয়, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পেতেও নাগরিকত্ব ও চিকিৎসা পাবার অধিকারের বৈধতা এখন গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশী কেউ যদি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসেন, তবু ট্যুরিস্ট ভিসা হলে চলবে না, মেডিক্যাল ভিসা চাই। যদি দৈবাৎ কেউ ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে এদেশে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন? তাহলে চিকিৎসা পাবার জন্য তাঁকে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। এসব ছাড়া কোনো অসুস্থ অনাগরিক চিকিৎসকের কাছে চলে এলে সমস্যা ঘনায়। আইনত তাঁর চিকিৎসা করা চলে না, আবার চিকিৎসা সংক্রান্ত নীতি ও আইনে তাঁকে বিদায় করে দেওয়াও চলে না। পরিস্থিতি কিছু ক্ষেত্রে কতটা নৈতিক সমস্যায় ফেলতে পারে চিকিৎসককে, তা বোঝাতে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে একটা ছোট উদাহরণ দিই। বছরখানেক আগে এক মধ্যবয়স্কা ভদ্রমহিলা ঢাকা শহর থেকে কোলকাতায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। খুব তাড়াতাড়ি তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। ঘটনাচক্রে তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব বর্তায় এই লেখকের ওপরে। তাঁকে পরীক্ষা করে "অ্যাল্টেপ্লেজ" নামক একটি ইঞ্জেকশন দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেওয়া কর্তব্য, কারণ তাতে স্ট্রোকের আক্রমণ থেকে মস্তিষ্কের রক্ষা পাবার সম্ভাবনা থাকে। সাড়ে চার ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে আর প্রয়োগ করা যায় না ওষুটি। ভদ্রমহিলার আমেরিকা নিবাসী পুত্রের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতেই তিনি তৎক্ষনাৎ এই চিকিৎসার অনুমতি দেন এবং আমরাও সেই মর্মে তাঁকে কথা দিয়ে ফেলি। এই পর্যায়ে দেখা গেল, ভদ্রমহিলা ট্যুরিস্ট ভিসায় এসেছেন বলে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নিয়ে আইনি জটিলতা আছে এবং ইঞ্জেকশনটি প্রয়োগ করার অনুমোদনও পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক চেষ্টা করে স্থানীয় থানার সহযোগিতায় শেষ অব্দি যখন তাঁকে ইঞ্জেকশন দেওয়া গেল, ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে। নেহাৎ ভাগ্যের জোরে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেলেন, নাহলে চিরকাল আক্ষেপ থাকত চোখের সামনে তাঁকে পঙ্গু হয়ে যেতে দেখার কারণে।
আরও পড়ুন, জল মাটি: ধরণীর গগনের মিলনের ছন্দে
বড় হাসপাতালে বা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার বাইরেও সরকারি ব্যবস্থাপনায় টিকাকরণ থেকে মিড ডে মিল প্রকল্প অব্দি অনেক পরিষেবা চলে, তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত। এগুলো দেশের নাগরিকদের জন্যই বরাদ্দ। বাস্তবিকই কোনো একটি দেশের পক্ষে পৃথিবীর সব দেশের নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। প্রতিটি রাষ্ট্র যেহেতু স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান, কর্মসংস্থান ইত্যাদির জন্য নিজের নাগরিকদের প্রতি দায়বদ্ধ, তাই অনুপ্রবেশ তথা অনাগরিকদের দ্বারা সম্পদের অপব্যবহার রুখতে চাওয়া রাষ্ট্রগুলির কাছে প্রত্যাশিত। অতএব স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে চাইলে নাগরিক হিসেবে নিজেকে সুনিশ্চিতভাবে চিহ্নিত ও নথিভুক্ত করতে হবে। আজকের জটিল রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পাঁচজন পরিচিতের মুখের কথা, দীর্ঘকালের বসবাস অথবা দেশপ্রেম... কোনোকিছুরই কোনো আইনগত মূল্য নেই। আপনার পরিচয় কতগুলো কাগজ, যেগুলো বৈধ কিনা তাও নিরূপিত হবে সাধারণ বুদ্ধির অতীত কিছু জটিল পদ্ধতিতে। সেই কাগজের ওপরেই নির্ভর করতে আপনার সুস্বাস্থ্যের অধিকার ও অন্যান্য মানবাধিকার।
যদি আপনি এক দেশের নাগরিক হয়ে অন্য দেশে বৈধভাবে কাজে যান, তাহলে আপনার অভিভাবক রাষ্ট্রের সঙ্গে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে অপর দেশ আপনাকে কিছু স্বাস্থ্য পরিষেবা দেবে, হয়ত অর্থের বিনিময়ে। যদি আপনি ভারতের নাগরিক হয়ে অবৈধভাবে পারী শহরে পাড়ি দেন কাজের সন্ধানে এবং ধরা পড়েন, তবে ফ্রঁস সরকার আপনাকে ফেরত পাঠাবে ভারতে। শাস্তি পেলেও আপনার নাগরিক পরিচয় ও অধিকার বজায় থাকবে কোনো এক দেশে। কিন্তু যদি একবিংশ শতাব্দীর পৃথিবীতে কোথাও আপনার নাগরিকত্ব না থাকে আদৌ? কোনো দেশে বহু বছর থাকার পর যদি হঠাৎ জানতে পারেন যে আপনি সে দেশের বৈধ নাগরিক নন, কিন্তু অন্য কোনো দেশও আপনি কখনও দেখেননি, তাহলে? সেক্ষেত্রে আপনার স্বাস্থ্যের দায়িত্ব কে নেবে? বিশ্বের কোনো রাষ্ট্র তো আর আপনার শরীর মনের প্রতি দায়বদ্ধ নয়! অথচ আধুনিক পৃথিবীতে আমরা এমন এক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তথা অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি, যেখানে অসংগঠিতভাবে রাষ্ট্রের অসম্মতিতে যথোপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়াও অসম্ভব। তাহলে?
এ কোনো কষ্ট কল্পনা নয়। পৃথিবী জুড়ে "অপর"দের বহিষ্কার করার ধূম পড়েছে ইদানীং। রোহিঙ্গাদের সমস্যা নিয়ে এক সময় উত্তাল হয়েছিল বিশ্ব-মানবিকতা। "পৃথিবী আমারে দিল যে ফিরায়ে" অবস্থায় তাঁদের যে বস্তুটি সবচেয়ে ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল বা হচ্ছে, তা হল স্বাস্থ্য। অথচ স্বাস্থ্য হল বেঁচে থাকার অধিকারের প্রধান শর্ত, যা মৌলিকতম মানবাধিকার। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকানদের ফেরত পাঠাচ্ছে। তাও না হয় তাঁরা মেক্সিকোয় নিজভূম খুঁজে পাবেন, কিন্তু অহমে জন্মানো ও বড় হওয়া যে কয়েক লক্ষ মানুষ সহসা জানতে পারলেন যে তাঁরা আর ভারতের নাগরিক নন, তাঁদের নিজভূম কোথায়? অপর কোন দেশ তাঁদের নিজের বলে মেনে নেবে? কেনই বা নেবে? কে তবে নেবে তাঁদের জীবন ও স্বাস্থ্যের দায়িত্ব।
২০১৯ সালে দাঁড়িয়ে নিজেদের প্রশ্ন করা উচিত, স্বাস্থ্য কি সত্যিই মানবাধিকার, নাকি স্রেফ নাগরিক অধিকার? যদি তা মানবাধিকার হয়, তবে তার সুরক্ষার জন্য রাষ্ট্রীয় এবং আন্তর্জাতিক নীতিমালা সুসংহত করতে হবে খুব তাড়াতাড়ি।
(কৌশিক দত্ত আমরি হাসপাতালের চিকিৎসক, মতামত ব্যক্তিগত)