Advertisment

সংক্রমণ না কমলেও অবশেষে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা হয়েছে

একটা রোগকে ঘিরে গড়ে ওঠা আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে কীভাবে একটা সম্প্রদায় বা শ্রেণির দিকে নিজেদের ব্যর্থতার দায় ঠেলে দেওয়া যায়, তার আদর্শ উদাহরণ হয়ে উঠছে ভারত রাষ্ট্র।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Covid-19 Social Distancing

উপযুক্ত জ্ঞান ও তথ্যের অভাবে করোনা নিয়ে মানুষের আতঙ্ক সামাজিক অস্পৃশ্যতার এক বাতাবরণ তৈরি করেছে, যা সামাজিক সংহতির পক্ষে খুবই বিপজ্জনক

লকডাউনের একেবারে শুরুর দিকের কথা। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার মিছিল সবে শুরু হয়েছে। সেসময় মহারাষ্ট্র থেকে ১৯/২০ বছরের এক আদিবাসী পরিযায়ী শ্রমিক জঙ্গলমহলে তাঁর নিজের গ্রামে ফিরলে, করোনা আতঙ্কে গ্রামবাসীরা তাঁকে গ্রামে থাকতে দেননি। লাঠি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেন। সৌভাগ্যক্রমে অন্য একটি গ্রামে সৎ-মার কাছে তাঁর আশ্রয় জোটে। তাঁর নিজের আদিবাসী সমাজ হঠাৎ তাঁর কাছে অচেনা হয়ে যায়। এই অচেনা সমাজ তাঁর নিজের মা ও অন্যান্যদের সান্নিধ্য ও আশ্রয় থেকে তাঁকে বঞ্চিত করে।

Advertisment

বাইরে থেকে আসা মানুষ মানেই সাক্ষাৎ করোনা – এ কথা তখন দানা বাঁধতে শুরু করে দিয়েছে, যা এখন পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য এক নির্মম সত্য। করোনা নিয়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচার মানুষের মনে যে আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে তা বর্তমানে শ্রেণি-সম্প্রদায়ের ককটেলে এক কুৎসিত চেহারা নিয়েছে। আতঙ্কের পরিবেশ যত শক্তিশালী হয়ে উঠছে, শ্রেণি বৈষম্য ও শ্রেণি অবমাননার প্রকাশও তত বেশি বেশি করে উৎকটভাবে দেখা দিচ্ছে। বীরভূম ও মালদা জেলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতের আঙুলে কালি লাগানোর সিদ্ধান্ত তেমনই এক ঘটনা। প্রাচীনকালে ক্রীতদাসরা পালিয়ে গেলে ধরা পড়ার পর তাঁদের কপালে যেমন চিহ্ন এঁকে দেওয়া হত, কোয়ারাণ্টিন (নিভৃতবাস) সেন্টারের শ্রমিকদের জন্যও তেমনই এক বর্বর পদ্ধতির কথা ভাবা হল। চিন্তার বিষয়, করোনাকে মোকাবিলার রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপগুলি আতঙ্কের ঘেরাটোপে প্রায় সময়ই বিনা সমালোচনায় সামাজিক মান্যতা পেয়ে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও তথ্যের অভাবে কী করণীয় আর কী নয়, তা নিয়ে মানুষের বিচারবোধ ‘কোভিড ১৯’-এর ক্ষেত্রে এক রকম লোপ পেতে বসেছে।

করোনা বদলে দিল শিক্ষার রূপরেখা

‘কোভিড-১৯’ নিয়ে সরকারি/বেসরকারি প্রচারে, সামাজিক দূরত্বের মত অনৈতিক শব্দবন্ধের মাধ্যমে শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করার যে আবেদন করা হচ্ছে, তা কার্যত করোনা ভাইরাসে আপাতদৃষ্টিতে আক্রান্ত নন এমন মানুষদের উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। লকডাউন শুরু হওয়ার পর টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে দিনরাত প্রচার চলেছে যে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হল লকডাউনকে সঠিকভাবে সফল করা। প্রচারমাধ্যমগুলিতে নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পদ্ধতি বা সংক্রমণের মাত্রা নিয়েও অনেক আলোচনা হয়েছে, কিন্তু তার সিকিভাগও ‘কোভিড ১৯’ রোগের বৈশিষ্ট্য বা এই রোগে আক্রান্ত রোগী ও নিভৃতবাসে থাকা ব্যাক্তিদের সমস্যা নিয়ে হয়নি।

‘কোভিড ১৯’ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার নামে যা চলেছে তাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বা নিভৃতবাসে থাকা ব্যাক্তিদের প্রতি বাকি সমাজের সহানুভূতি গড়ে ওঠা তো দূরের কথা বরং তাঁদেরকে বাদের খাতায় ঠেলে দিয়ে সাক্ষাৎ যম হিসাবে দেখার রাস্তা প্রশস্ত হয়েছে। ‘আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে’ বা ‘মৃত্যু মিছিল চলছে’ – প্রচার মাধ্যমে এই কথাগুলির পুনরাবৃত্তি তাতে আরও মাত্রা জুগিয়েছে। ফলে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর উপর করোনা সন্দেহভাজনের ছাপ্ লাগা মাত্র, সমাজে তাঁরা ভিলেন হয়ে যাচ্ছেন। বহু সময়ই করোনা সন্দেহভাজনের প্রতি ‘আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ’ মানুষদের ব্যবহার তাঁদের বিচ্ছিন্নতার যন্ত্রণাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সচেতনতার মোড়কে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার সমাজের উপর এতটাই কুপ্রভাব ফেলেছে যে ‘কোভিড-১৯’ রোগীদর সেবায় নিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীরাও বহু সময় মানুষের বৈরী আচরণের শিকার হয়েছেন।

‘কোভিড ১৯’ নিয়ে যথোচিত আলোচনা ও প্রচার থাকলে এমনটা হত কিনা তা ভেবে দেখা দরকার। বিশেষত যে দেশে যক্ষ্মা রোগের মত সংক্রামক রোগের আতঙ্ক মানুষ কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন, যে দেশে মানুষ জলবসন্তের রুগীকে নিয়ে ঘরে বাস করেন, সে দেশে করোনা আতঙ্কে মানুষ নিজের আত্মীয়, পরিজন, প্রতিবেশী সকলকে দূরে ঠেলে দেবে, এটা সহজ কথা নয়। ‘কোভিড ১৯’ সংক্রান্ত গবেষণা থেকে দেখা যায় যে এই রোগে আক্রান্তদের মাত্র ৬ শতাংশ আশংকাজনক পরিস্থিতির শিকার হন; ৮০ শতাংশেরই বিশেষ কোন সমস্যা হয় না। অথচ এই তথ্যগুলি অনেকেরই জানা নেই। এই রোগ বয়স্ক মানুষ, হাঁপানি রোগী, হৃদরোগী, ডায়বেটিস রোগী বা কিডনির সমস্যা আছে এমন মানুষদের জন্য যতটা বিপজ্জনক অন্যদের জন্য ততটা নয় – এই প্রচারও যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। মৃত্যু আতঙ্কে, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আতঙ্কে মানুষ ৩/৬ ফুট দূরত্বের বিধি, মাস্কের ব্যবহার বা সাবান জলে হাত ধোওয়ার মত স্বাস্থ্যবিধিগুলিকে করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যথেষ্ট মনে করছেন না। সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে তথাকথিত সুস্থ মানুষদের কাছে আরও একটি বিধি হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা সন্দেহভাজনদের গ্রামের ত্রিসীমানায় ভিড়তে না দেওয়া। যার প্রতিফলন হিসাবে গ্রামে/পাড়ায় কোয়ারাণ্টিন সেন্টার গড়ে তোলার বিরোধিতা করা হচ্ছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

এখনও সময় আছে, গরীবের হাতে নগদ টাকা ধরিয়ে দিক সরকার

এর ব্যতিক্রম নেই তা নয়, তবে সাধারণভাবে বলা যায় যে, শহর-গ্রাম সর্বত্র আক্ষরিক অর্থেই সামাজিক দূরত্ব কার্যকর হয়ে উঠছে। অথচ ‘কোভিড ১৯’-এর মত মানুষ থেকে মানুষে প্রায় একইরকম ভাবে সংক্রমিত হয়ে যক্ষ্মাতে প্রতি বছর আনুমানিক কয়েক লক্ষ মানুষের মৃত্যু হলেও, তা নিয়ে মানুষের আতঙ্ক নেই। এটা ঘটনা যে যক্ষ্মার ওষুধ আবিষ্কার হওয়ার ফলে এই রোগ নিয়ে মানুষের আতঙ্কের ভিত্তি দুর্বল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতির দৌলতে ‘কোভিড-১৯’-এর হাত থেকে মানুষের নিজেকে রক্ষা করার উপায়ও খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জানতে পারা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, এখনও পর্যন্ত ভারতে ‘কোভিড-১৯’-এর যে আপাত মৃত্যুহার দেখতে পাওয়া যাচ্ছে (৩ শতাংশ), ২০১৮–য় ‘সোয়াইন ফ্লু’ বা ‘এনকেফেলাইটিস’-এ ভারতে তার থেকে বেশি মৃত্যুহার দেখা গিয়েছে (যথাক্রমে ৭ ও ৫ শতাংশ)। অথচ ঐ রোগগুলি নিয়ে আমাদের মধ্যে বিশেষ আতঙ্ক লক্ষ্য করা যায় না। পশ্চিমবঙ্গের মত রাজ্যে পর্যাপ্ত টেস্টের অভাবে শুরুর দিকে আক্রান্তরা অনেকেই চিহ্নিত না হওয়ায় ‘কোভিড ১৯’-এ মৃত্যুহার বেশি দেখা গেলেও (৫ শতাংশ) ‘সোয়াইন ফ্লু’র মৃত্যুহারকে তা পার করতে পারে নি।

এটা সত্যি যে ‘কোভিড ১৯’-এর মৃত্যুহার অন্যান্য অনেক রোগের থেকে কম হলেও সংক্রমণের হার বেশি বলে ভারতের মত দুর্বল চিকিৎসা পরিকাঠামো ও বিশাল জনসংখ্যার দেশে এই রোগে বড় সংখ্যায় মানুষের মৃত্যু ঘটা বিচিত্র নয়। কিন্তু আতঙ্কের পরিবেশ দানা বাঁধতে শুরু করেছে আক্রান্ত বা মৃতের সংখ্যা বেশি হওয়ার অনেক আগে থেকেই। দেশজোড়া লক-ডাউন ঘোষণার (২৪শে মার্চ) পরে পরেই জঙ্গলমহলে পূর্বে উল্লেখিত ঘটনাটি ঘটেছিল; যখন সারা দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৪৩৪ ও ৯ জন মাত্র। আসলে শুধু যথোচিত প্রচারের অভাবেই নয়, আচমকা লক-ডাউনের ঘোষণাও ভারতে মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। খুবই বিপজ্জনক একটি রোগের আগমন হয়েছে – লক-ডাউনের ঘোষণায় এমন ধারণা শক্তিশালী হয়েছে। ফলে উপযুক্ত জ্ঞান ও তথ্যের অভাবে করোনা নিয়ে মানুষের আতঙ্ক সামাজিক অস্পৃশ্যতার এক বাতাবরণ তৈরি করেছে, যা সামাজিক সংহতির পক্ষে খুবই বিপজ্জনক। ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের দ্বন্দ্বের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি তারই বহিঃপ্রকাশ।

শ্রেণি সম্প্রদায়ে বিভক্ত সমাজে আতঙ্ক ও অস্পৃশ্যতার এই পরিবেশ কিছু আলাদা মাত্রা পাবে তা স্বাভাবিক। তাই আমার পাশের পাড়ার সব্জিবাজারে এক ফল বিক্রেতা ‘কোভিড ১৯’ পজিটিভ জানার পর, বহু ক্রেতা তাঁর মাধ্যমে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে অনেকে আলোচনা করেন। অথচ মানুষটা নিজে কোনো ক্রেতার কাছ থেকেই যে রোগটা আমদানি করে থাকতে পারেন তা নিয়ে কেউই আলোচনা করেন না। যে মানুষটা করোনার শিকার হয়ে বিচ্ছিন্নতার শিকার হল তাঁর প্রতি সহানুভূতি নয় বরং তাঁর উপর রোগ ছড়ানোর দায় চাপানো হল।

তবে উত্তর প্রদেশে পরিযায়ী শ্রমিকদের শরীরে জীবাণুনাশক স্প্রে করার যে ঘটনা তা সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে গেল। পরিযায়ী শ্রমিক মানেই সংক্রমণের আঁতুড়ঘর – এই অপবাদকে চূড়ান্ত রূপ দিতে বাড়িঘর সংক্রমণমুক্ত করার মত, তাঁদের সারা শরীরে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হল। মানবতার চূড়ান্ত অবমাননার বিনিময়ে লক-ডাউনের সময় সে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরে আসা মেনে নেওয়া হল। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের আপত্তিতে (সংক্রমণ ছড়ানোর যুক্তিতে) সেই সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের বেশির ভাগেরই আর বাড়ি ফেরা হয় নি, যদিও রাজস্থানের কোটা থেকে উচ্চবিত্তের সন্তানদের বাড়ি ফেরার ক্ষেত্রে তা কোনো বাধা হয়নি। রোগ ছড়ানোর বিপদ হিসাবে একতরফা পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিত করা হল। এক মাসের উপর পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মঠ হাতকে ত্রাণের সাহায্য নেওয়ার জন্য মেলে ধরতে বাধ্য করে, যখন তাঁদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হল তখন তাঁরা অনেকেই করোনার শিকার হয়ে পড়েছেন।

লকডাউন করোনাকে বাঁধতে পারেনি: তাই মুম্বাই, আমেদাবাদ বা দিল্লিতে আটকে থাকা শ্রমিকরা নিজের রাজ্যে ফিরতে শুরু করলে তাঁদের শিরোপা মিলল করোনা বাহকের। ১ মে শ্রমিক বিজয় দিবসে সরকারি অনুমতিতে তাঁদের যাত্রা শুরু হল – তবে পরিজনের কাছে ফেরার আনন্দ নিয়ে নয়, পরাজয়ের গ্লানি ও অস্পৃশ্যতার যন্ত্রণা নিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরে আসার ট্রেনগুলিকে ‘করোনা এক্সপ্রেস’ নাম দিয়ে তাতে শেষ পেরেক ঠুকলেন। অথচ ওই বড় শহরগুলি থেকেই উচ্চবিত্তরা ট্রেনে বা বিমানে ফিরতে শুরু করলেও তাঁদের জন্য তেমন কোন শিরোপা জোটে না।

পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর ‘কোভিড-১৯’ রোগ ছড়ানোর দায় চাপিয়ে, করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারার রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতাকে আড়াল করার প্রচেষ্টা শুরু হল। যেমনটা শুরুর দিকে চেষ্টা হয়েছিল তবলিগির জমায়েতকে কাজে লাগিয়ে ব্যর্থতার দায় মুসলিমদের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার। একটা রোগকে ঘিরে গড়ে ওঠা আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে কীভাবে একটা সম্প্রদায় বা শ্রেণির দিকে নিজেদের ব্যর্থতার দায় ঠেলে দেওয়া যায়, তার আদর্শ উদাহরণ হয়ে উঠছে ভারত রাষ্ট্র। ট্রাম্প সাহেব নিজের ব্যর্থতার দায় চিনের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে, আর এখানে তাঁর সহোদররা একই কাজ করার জন্য বেছে নিয়েছে দেশের মানুষেরই একটা অংশকে।

আমরা সাধারণ/অসাধারণ মানুষরা ‘লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে’ বা ‘মৃত্যু মিছিল চলছে’ শুনতে শুনতে বিবশ হয়ে গেছি। রাষ্ট্র তার নিজের খেলায় মত্ত।

(মানবেশ সরকার প্রতীচী ইন্সটিউট’এ কর্মরত, মতামত ব্যক্তিগত)

COVID-19
Advertisment