এই মুহূর্তে আর অন্য কোনো বিষয়ে লেখা গেল না। ঘরে আগুন লাগলে এমনিতেই ফুলের বাগানের পরিচর্যা করা কঠিন, উপরন্তু আমার (আমাদের) চিকিৎসক সত্তা দাঙ্গা-বিধ্বস্ত। প্রশ্ন উঠতেই পারে, চিকিৎসক সত্তার সঙ্গে দাঙ্গার সম্পর্ক কী? সম্পর্ক অতি গভীর। চিকিৎসক যা করেন সারাজীবন, দাঙ্গা তার বিপরীত কাজটি করে। চিকিৎসকের কাজ ব্যক্তির ও সমষ্টির জীবন বাঁচানো, রোগ ও আঘাতের উপশম করা। দাঙ্গার কাজ আঘাত দেওয়া, প্রাণ সংহার করা। দাঙ্গা সরাসরি চিকিৎসকের জীবন ও কর্মকে, তাঁর সাফল্যকে ধ্বংস করে। মনে করুন আমরা কোনো মানুষের জটিল রোগের চিকিৎসা করে দুই মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে তাঁকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠালাম। পরদিন তাঁর শহরে দাঙ্গা লাগল এবং তিনি হিন্দু বা মুসলমান বা শিখ হবার অপরাধে নিহত হলেন। তাঁকে হত্যা করার মাধ্যমে দাঙ্গাবাজেরা আমাদের পরাস্ত করল, যা রোগ-জীবাণুরা পারেনি। আমাদের দুই মাসের পরিশ্রমকে এক মুহূর্তে নস্যাৎ করে দিল তো বটেই, আমাদের যাবতীয় প্রচেষ্টাকেই যেন অর্থহীন ও হাস্যকর প্রতিপন্ন করল জীবনের উপর মৃত্যুকে জয়ী করার মাধ্যমে।
যেকোনো নরহত্যা… দাঙ্গা, যুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদী গণহত্যা, এমনকি খতম তালিকায় আস্থাশীল সশস্ত্র শ্রেণিসংগ্রাম… চিকিৎসকদের বিরাট প্রশ্ন ও চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করায়। ব্যক্তি চিকিৎসকের কথা শুধু নয়, চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং চিকিৎসা পরিষেবা সংক্রান্ত আবহমানকালের যাবতীয় মানবিক লড়াই, গবেষণা, উন্নতির প্রচেষ্টা, তার ভালো-মন্দ বিশ্লেষণ, এসব কলাম লেখা… সবকিছু চলে এটুকু ধরে নেবার ভিত্তিতে যে মানুষ মানুষকে বাঁচাতে চায়। মানুষ অসুস্থ হলে, আহত হলে, বিপন্ন হলে, মৃত্যুর মুখোমুখি হলে অন্য মানুষ তার পাশে দাঁড়াবে এবং সাধ্যে কুলোলে মৃত্যুকে রুখে দেবে, কষ্টকে সরিয়ে দেবে। এই শুশ্রূষু মনোভাব এবং শুশ্রূষা করার উন্নত ক্ষমতা মানুষকে প্রাণিজগতে বিশিষ্ট করে তোলে।
দিল্লি দাঙ্গার নৈতিক দায়িত্ব কেউ নিচ্ছেন না কেন?
প্রাণিজগতে মানুষই প্রথম গুরুতরভাবে আহত বা অসুস্থ হবার পর, অতিবৃদ্ধ হয়ে শারীরিক শক্তি হারানোর পর, এমনকি স্থায়ীভাবে শয্যাশায়ী হবার পরেও অনেকদিন বেঁচে থাকতে পারে। এটা মানুষ পারে শারীরিক বৈশিষ্ট্যের কারণে নয়, সমাজের দৌলতে, অপর মানুষের কারণে। শয্যাশায়ী হবার পরেও মানুষের খাদ্যের অভাব হয় না, কারণ পরিবার বা বন্ধুবান্ধব বা কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অথবা রাষ্ট্র তাঁর খাদ্যের জোগান দেয়। চিকিৎসা নামক একটি প্রচেষ্টা চলে, যা প্রাণিজগতে একমাত্র মানুষই এতটা সাফল্যের সঙ্গে নিজের এবং অপরের ওপর প্রয়োগ করতে পারে। আর থাকে সেবা ও ভালবাসা। মানুষকে বাঁচানোর, ভালো রাখার ও মর্যাদা দেবার এই ইচ্ছা ও চেষ্টাই মানবাধিকারের মূল ভিত্তি। চিকিৎসা নামক প্রচেষ্টাটির ভিত্তিও সেটাই।
অথচ যুদ্ধ, সন্ত্রাস, দাঙ্গার চিত্রনাট্যে দেখা যায় মানুষ মানুষকে বাঁচাতে চায় না, মেরে ফেলতে চায়। সেই মুহূর্তে মঞ্চে দাঁড়িয়ে চিকিৎসক নিজের পার্ট ভুলে যান, স্তম্ভিত হয়ে দেখেন যে নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে সেখানে তাঁর কোনো ভূমিকা নেই, তাঁকে এই নাটকের মাঝখানে জোকারের মতো দেখাচ্ছে এবং তাঁর নিজের জীবননাট্যটিও একটি প্রহসনে পরিণত হচ্ছে। চারপাশে নরমেধ যজ্ঞের আয়োজনের মধ্যে কতগুলো লোক হাত-পা ছুঁড়ে মানুষ বাঁচানোর চেষ্টা করছে, যাতে অন্য কোনো মানুষ সেই মানুষকে মারতে পারে।
যে সময় ব্যয় করে চিকিৎসক এক নবতিপর বৃদ্ধকে বাঁচালেন, হয়ত আরও দুই বছর পৃথিবীর মাথার উপর আকাশ দেখার জন্য, সেই সময়টুকুর মধ্যে পাঁচটি শিশুকে হত্যা করা হল সেই শহরেই, যাদের প্রত্যেকের হয়ত আরও আশি বছর পরমায়ু ছিল বা থাকতে পারত। এই যোগবিয়োগের ফেরে পড়ে মানুষের জীবন রক্ষার গাণিতিক হিসেবে চিকিৎসক পেলেন চূড়ান্ত পরাজয়। নিজে শারীরিকভাবে বেঁচে থাকলেও ক্ষতবিক্ষত হল তাঁর চিকিৎসক সত্তা।
আসলে চিকিৎসক মানুষের সঙ্গে শত্রুতা করতে অক্ষম। অবশ্যই ব্যক্তি চিকিৎসকের অনেকগুলো সত্তা থাকতে পারে, চিকিৎসক সত্তা যার একটা। ভারতীয় হিসেবে তিনি ব্রিটিশ বা পাকিস্তানিদের প্রতি বৈরী মনোভাব পোষণ করতে পারেন অথবা অহমিয়া হিসেবে বাঙালিদের প্রতি, কিন্তু চিকিৎসক হিসেবে তিনি এসবের ঊর্ধ্বে। একজন ইজরায়েল নিবাসী চিকিৎসক ইহুদি হিসেবে খ্রিষ্টান বা মুসলমানদের অপছন্দ করতে পারেন, কিন্তু চিকিৎসক অবতারে তা পারেন না। চরম শ্রেণিসচেতন মার্ক্সবাদী বিপ্লবী চিকিৎসক খনি শ্রমিকদের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে যদি হঠাৎ কোনো বড় ব্যবসায়ী বা শিল্পপতির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন, তবে সেই সময়টুকুর জন্য 'শ্রেণিঘৃণা' সম্পূর্ণ বিসর্জন দিয়ে রোগীকে শুধুমাত্র রোগী হিসেবে দেখতে বাধ্য হবেন। কোনো বর্গের মানুষের সঙ্গে পাকাপাকিভাবে শত্রুতা করতে চাইলে চিকিৎসক সত্তাটাকে বিসর্জন দিতে হবে।
চিকিৎসক কি রাজনৈতিক হত্যাকারী হতে পারেন? অথবা জল্লাদ? কিছু দেশে মৃত্যুদণ্ডকে 'মানবিক' করার জন্য (সোনার পাথরবাটির তাত্ত্বিক সংস্করণ) ফাঁসি, ফায়ারিং স্কোয়াড বা ইলেক্ট্রিক চেয়ারের বদলে ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলার পদ্ধতি চালু করার পরিকল্পনা ছিল। চিকিৎসকদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ইঞ্জেকশন দেবার। চিকিৎসকেরা প্রস্তাবটি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন। এভাবে একজন শারীরিকভাবে সুস্থ মানুষকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে ইঞ্জেকশন দেওয়া চিকিৎসকদের পক্ষে সম্ভব নয়।
দিল্লির অন্ধকার: আমাদের শাসকরা নির্মমতা, বিভাজন, ভয় আর হিংসা ভরা রাষ্ট্র চান
আরেকটা পরিস্থিতির কথা কল্পনা করা যাক। ধরা যাক কেউ আমার শত্রু (ধর্মীয়, জাতিগত, রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত কোনো কারণে)। সেই ব্যক্তির সঙ্গে আমার একচোট প্রাণঘাতী মারামারি শুরু হল এবং আমি তাকে কাবু করে ফেললাম। এবার পরিস্থিতিটা কী দাঁড়াবে? তাকে দু'ঘা মারার পর যখনই সে আহত হয়ে লুটিয়ে পড়বে, তখন তার রোগী সত্তাটি শত্রু সত্তাকে ছাপিয়ে প্রকট হবে। সেই সময় আমার কোন সত্তা জেগে উঠবে আর আমার ভূমিকা কী হবে চিকিৎসক হিসেবে? নৈতিক কারণে সেই সময়ে তাকে রক্ষা করার জন্য আমি চিকিৎসক হিসেবে দায়বদ্ধ। এমনকি কেউ যদি আজ আমাকে হত্যা করতে এসে ব্যর্থ হন এবং আগামিকাল নিদারুণ অসুস্থ হয়ে আপদকালীন পরিস্থিতিতে রোগী হিসেবে আমার কাছে আসেন, তাহলেও শত্রুতা ভুলে তাঁর চিকিৎসা করতে হবে। এই নৈতিক টানাপোড়েনের কারণে চিকিৎসা পেশাটি ছেড়ে না দিয়ে কোনো দলের হয়ে নরঘাতক যোদ্ধা হয়ে ওঠা সম্ভব নয়।
এই সমস্যা কি শুধু চিকিৎসকের? চিকিৎসা ব্যাপারটাই তো মানুষের শুভবুদ্ধির ফসল। তাই সমস্যাটা মানুষকে বাঁচাতে চাওয়া সব শুভবোধ-সম্পন্ন মানুষেরই। ক্রোধ, ক্ষোভ আসতেই পারে মনে। আত্মরক্ষার প্রয়োজনও হতে পারে, কিন্তু আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগ আর আত্মরক্ষা পেরিয়ে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের মধ্যে একটা স্পষ্ট পার্থক্য আছে। এই লক্ষ্মণরেখাটি সর্বদা চোখে পড়ে না, কিন্তু প্রত্যেক শুভমানসের মধ্যে সুপ্ত চিকিৎসক সত্তাটিকে জাগিয়ে তুললে আর দেখতে খুব অসুবিধে হবে না। শত্রু যখন মরণাপন্ন, তখন সে বিপন্ন মানুষ মাত্র। এই বোধটুকু জেগে উঠলে সমাজ সার্বিকভাবে মানুষকে বাঁচানোর দিকে এগোতে পারবে। তখনই শুরু হবে প্রকৃত চিকিৎসা অভিযান।
অতএব দাঙ্গা, যুদ্ধ, হিংসার বিরুদ্ধে না দাঁড়িয়ে চিকিৎসকের উপায় নেই। জীবাণুর হাত থেকে যেমন, মানুষের হাত থেকে মানুষকে বাঁচানোও একটা বড় কাজ এখন। এসব আগুনে উন্মাদনা আর ধ্বংসলীলার পর চিকিৎসক মানসিকভাবে যতই বিধ্বস্ত হয়ে পড়ুন না কেন, তাঁর কাজ বেড়ে যায়। আহত মানুষের চিকিৎসা, মরণাপন্ন মানুষের তরফে মৃত্যুর বিরুদ্ধে ব্যারিকেড গড়ে তোলা, ব্যথিতের শুশ্রূষা… এসব দায়িত্ব হঠাৎই অপ্রত্যাশিত দ্রুততায় এবং অতিরিক্ত পরিমাণে এসে পড়ে। এই দায়িত্ব সামলাতে হিমসিম খান চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীরা। দেখা যায়, এসব পরিস্থিতি মানুষের মানবিকতাকে জাগিয়েও তোলে কিছুটা। এমনিতে যে চিকিৎসক হয়ত একটু বদরাগী বা অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে নারাজ, 'ডিজাস্টার ওয়ার্ড'-এ কাজ করার সময় তাঁদের অনেককেই দেখেছি আন্তরিক ব্যাকুলতায় আহার-নিদ্রা ত্যাগ করে ছত্রিশ ঘণ্টা টানা কাজ করে চলেছেন। ভরসা হয়, মানুষের যন্ত্রণা মানুষের মর্মমূল ছুঁতে পারে এখনো, অর্থাৎ চিকিৎসা এই পৃথিবীতে সম্ভব।
শরীরের পরেই এসে পড়বে মনের চিকিৎসার প্রয়োজনও। বুলেটবিদ্ধ, দগ্ধ, হাত-পা ভাঙা রোগীদের চিকিৎসা সারতে না সারতেই চোখে পড়বে উপদ্রুত অঞ্চলের মানুষের চোখে বিপুল আতঙ্ক। বিশেষত শিশুদের উপর এর প্রভাব প্রবল। পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজর্ডারে ভুগবেন অনেকে। কারো বা ব্যক্তিত্বই যাবে বদলে। স্বজন ও সর্বস্ব হারানো মানুষের অবসাদ মামুলি অ্যাণ্টি-ডিপ্রেসাণ্টে সারানো কঠিন। ওষুধের পাশাপাশি চাই মানুষের উপস্থিতি, সাহচর্য, সহমর্মিতা।
শুধু কি মার খাওয়া মানুষের চিকিৎসা হবে? যারা মারে, তাদের চিকিৎসা প্রয়োজন নেই? সেই চিকিৎসা অবশ্য অন্যরকম, কারণ প্রথাগতভাবে তাদের মনোরোগী বলে দিলে রোগীদের অপমান করা হয়, পাশাপাশি লঘু করা হয় অপরাধকেও। শাস্তি ব্যাপারটা রাষ্ট্র বুঝবে, রাষ্ট্রবাসী হিসেবে আমি-আপনিও দাবি করতে পারি, কিন্তু শুভমানসে বসত করা চিকিৎসক সত্তা খুঁজে বেড়ায় চিকিৎসা করার উপায়। মানুষের মনের গভীরে কোথায় লুকিয়ে থাকে লোভ, অনিশ্চয়তা, আশঙ্কা, ঘৃণা বা হিংস্রতার বীজ? সেই বীজ কি উপড়ে ফেলা যায়? নিদেন পক্ষে জল সেচ বন্ধ করে শুকিয়ে ফেলা যায় বিষবৃক্ষের চারাগাছটিকে? এই পথে ওষুধের ভূমিকা বিশেষ নেই, ভূমিকা আছে শিক্ষার… বৃত্তিমূলক শিক্ষা নয়, মানবিক শিক্ষার। "ডক্টর" শব্দটার অর্থ শিক্ষক। চিকিৎসক দায় এড়াতে পারেন না। তিনি যখন মানুষকে বাঁচানোর স্বার্থে সামাজিক মানুষের মধ্যে এই শিক্ষার প্রসারে সচেষ্ট হন, তখন রাজনীতিবিদ হিসেবে নয়, চিকিৎসক হিসেবেই তা করেন।
আসলে চিকিৎসকের রাজনীতি তো খুব স্পষ্ট। আমরা মানুষের দলে, প্রাণের পক্ষে, মৃত্যুর বিপক্ষে। বিভিন্ন দেশ, ধর্ম, জাতি, শ্রেণি, দল বা মতের পক্ষ নিয়ে যেসব বীর যোদ্ধা যুগযুগ ধরে অপর মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন, তাঁদের বীরগাথা যতই সম্মাননীয় হোক, একটা কথা পরিষ্কার করে বুঝে নেওয়া দরকার… এঁরা সকলেই মৃত্যুর কাছে হাত পাতেন, মৃত্যুর সাহায্য নিয়ে লড়েন, মৃত্যুকে হাতিয়ার করেই অপরের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন অথবা নিজেরা মৃত্যুর কোলে চলে যান। নিজের অজান্তেই হয়ত এঁরা মৃত্যুর এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এসেছেন। সামনের মানুষটি মৃত্যুদূত ভেবে নিয়ে তাঁর চোখে চোখ রেখেছেন বীরের মতো, কিন্তু সরাসরি মৃত্যুর চোখে চোখ রেখে রুখে দাঁড়াতে পারেননি। আমাদের লড়াই সরাসরি মৃত্যুর বিরুদ্ধে। তার চোখের দিকে রোজ প্রতিস্পর্ধায় তাকানো আমাদের কাজ। মৃত্যুই আমাদের গব্বর সিং। আমাদের সিনেমায় মানুষ বাঁচিয়ে নায়ক হওয়া যায় না, মারতে হয়। যদি অন্যরকম হত, তাহলে দেখা যেত দাঙ্গা পরবর্তী ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডের দিকে ছুটে যাওয়া নার্স, ওয়ার্ড বয়, চিকিৎসক মনে মনে চিৎকার করছে গব্বরকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে, "আ রহা হুঁ ম্যয়। এক এক কো চুন চুন কে বাচাউঙ্গা।"
সবাইকে বাঁচানো হয়ে ওঠে না, কিন্তু লড়াই জারি থাকে। মৃত্যুর এজেন্সি নেওয়া কোনো দল তাই আমাদের বন্ধু নয়। বরং সেরকম সব বাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলছে ইতিহাসের দীর্ঘ পথ ধরে। চলতে থাকবে। চ্যালেঞ্জটা দেওয়া থাক প্রকাশ্যেই। আপনারা মারতে থাকুন, আমরা বাঁচাতে থাকব। দেখা যাক শেষ অব্দি কে জেতে?
(কৌশিক দত্ত আমরি হাসপাতালের চিকিৎসক, মতামত ব্যক্তিগত)
এই কলামের গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলি পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন