আমাদের দেশে সকলেই জানেন পড়াশোনার দাম। না না, মোটেই পড়াশোনা করে বড় হওয়া বা গাড়িঘোড়া চড়ার কথা হচ্ছে না। মানুষ হওয়া তো আরও অনেক দূরের কাহিনী। আপাতত আলোচনা পড়াশোনার বাজারি মূল্যের। প্রাচীন ভারতে গুরুগৃহে গিয়ে লেখাপড়ার চল ছিল। সেখানে অর্থ কিংবা সম্পদ খুব বেশি গুরুত্ব পেত না। তবে একটু সেবা করতে হত গুরুদেব আর গুরুপত্নীর। উদাহরণ হিসেবে জল তুলে আনা, ঘর মুছে দেওয়া, গাছ থেকে ফল পেড়ে আনা, ইত্যাদি অনেক গল্প শুনতে পাওয়া যায়।
তবে খুব পেছনে গিয়ে কাজ নেই। গত শতকে বাংলার রেনেসাঁর সময় থেকেই অর্থের বিনিময়ে গৃহশিক্ষকতার সংবাদ মেলে। রবীন্দ্রনাথের গল্প-উপন্যাসে সেই কথার উল্লেখ আছে। অর্থাৎ বিষয়টা স্বাধীনতার আগে থেকেই বিদ্যমান। তাই শিক্ষা বেচে রোজগারের মধ্যে ভীষণ একটা অপরাধ আছে, এমনটা মোটেই বলা যায় না। সারা বিশ্বেই এমনটা ঘটে। তা না হলে শিক্ষকরা খাবেন কী করে? অর্থাৎ, শিক্ষকতা যে একটা পেশা এবং শিক্ষা সংক্রান্ত ব্যবসায় যে আর্থিক লেনদেন থাকবে, এটা অস্বীকার করার কোন জায়গা নেই।
অর্থ থাকলেই পুঁজির প্রসঙ্গ আসবে। রাজমিস্ত্রির তুলনায় আবাসন মালিক অনেক বেশি রোজগার করেন। তেমনই পড়াশোনার একটা দোকান খুলে সেখানে কিছু শিক্ষক জুতে দিলে ব্যবসা চলে ভালোই, আর ধনতন্ত্রের সাবেকি নিয়মে সবচেয়ে লাভবান হন উদ্যোগপতি। তাঁকে পড়াতে হয় না, পড়তে হয় না, শুধু বিজ্ঞাপন দিয়ে পড়ুয়া যোগাড় করলেই ব্যবসায় সাফল্য। আর একবার সাফল্য এলেই সেই খবরে পরের বছরগুলোয় কিছু মেধাবী ছাত্রছাত্রী সেখানে পড়তে আসে। আর সঙ্গে থাকে প্রচুর মধ্যমানের পড়ুয়া। মেধাবীরা আবার ভালো ফল করে, মাঝারিরা মাঝারি। ভালোদের দেখিয়ে বিজ্ঞাপন হয়, আর সেই প্রলোভনে পা দিয়ে ব্যবসায় পুঁজি বাড়িয়ে চলে সাধারণ মান।
আরও পড়ুন: পিছিয়ে যাচ্ছে ফাঁসি, অপেক্ষায় অধীর জনতা
প্রজাতান্ত্রিক দিবসের প্রাক্কালে একথা বলতেই হয় যে অপ্রতুল হলেও আমাদের দেশে সরকার শিক্ষায় কিছুটা টাকা ঢালে। সেই জন্যেই প্রাথমিক শ্রেণী থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সরকারি শিক্ষালয়ের খুব অভাব নেই। সেখানকার শিক্ষক শিক্ষিকাদের গুণমান অবশ্যই বেসরকারি ক্ষেত্রের তুলনায় ভালো। তার কারণ আমাদের দেশে সরকারি শিক্ষকদের বেতন বেসরকারি ক্ষেত্রের তুলনায় বেশি, এবং চাকরির নিশ্চয়তাও অধিক। স্বাভাবিক ভাবেই সরকারি স্কুলে পড়ানোর স্থায়ী সুযোগ পেলে কেউ বেসরকারি ক্ষেত্রে উঁকি দেন না।
অন্যদিকে, বিদ্যালয় স্তরে দেশজুড়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের রমরমা। শহরের দিকে একেবারে নিম্নবিত্ত মানুষ ছাড়া বাকিরা নিজেদের সন্তান সন্ততিদের বেসরকারি ইংরিজি মাধ্যম স্কুলে পাঠান। যদিও সেখানকার শিক্ষক শিক্ষিকাদের মান নিয়ে আলোচনা প্রায় হয়ই না। এই চিত্র শুধু পশ্চিমবঙ্গের নয়, সারা দেশের। তবে পেছনে তাকালে দেখা যাবে, আমাদের রাজ্যে আশির দশক পর্যন্ত সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়েই পড়াশোনা করত। আজকের দিনে সেই ধারা একেবারেই অনুপস্থিত, যদিও ইস্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে এখনও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি পড়ুয়াদের আকর্ষণ বেশি।
সেখানেও বেসরকারি সংস্থাগুলি অর্থলগ্নি করছে, তবে দু-একটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া শিক্ষার উৎকর্ষ এখনও তেমন নেই। অদ্ভুত বিষয় হল, মানোন্নয়ন না হলেও সরকারের একটি অংশ সবসময়েই এই বেসরকারিকরণে উৎসাহ দেয়। সেই কারণেই বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার এমন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে সেরা প্রতিষ্ঠানের শিরোপা দিয়েছে যা কিনা এখনও চালুই হয় নি। উদাহরণস্বরূপ রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের জিও ইউনিভার্সিটির কথা বলতে হয়, যা আমাদের দেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের গ্রিনফিল্ড (অর্থাৎ যেখানে এখনও ফাঁকা মাঠ, আর কিছুই নেই, তবে ভাবনা প্রস্তুত) তালিকায় 'ইন্সটিটিউট অফ এমিনেন্স' এর তকমা পেয়েছে। সরকারের সঙ্গে পুঁজিপতির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে শিক্ষার তিন অবস্থায় (কঠিন, তরল, গ্যাসীয়) অসুবিধে কোথায়?
আরও পড়ুন: মিসাইল, ধানিপটকা এবং ডাণ্ডা – পক্ষবিচার পাঠকের
তবে ঐ যে বলছিলাম, এখনও বিজ্ঞান, চিকিৎসাশাস্ত্র এবং প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে পড়াশোনার জন্যে আমাদের দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিরই চাহিদা সবচেয়ে বেশি। স্বভাবতই উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর এই সমস্ত জায়গায় ঢুকতে চাইলে পড়ুয়াদের প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলিতে কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়। এর মধ্যে প্রযুক্তি সংক্রান্ত ক্ষেত্রে দেশের সবচেয়ে পরিচিত প্রবেশিকা জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন (মেইনস), যাকে কিনা সংক্ষেপে জেইই-মেইনস বলা হয়ে থাকে। গত শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রতি বছরে এই পরীক্ষা হচ্ছে দুবার, জানুয়ারি এবং এপ্রিল মাসে। এবারের জানুয়ারির পরীক্ষা হয়ে গেছে এবং ফল প্রকাশনাও সম্পন্ন। সারা ভারতের সফল ছাত্রছাত্রীদের ছবিসহ নাম ছাপা হচ্ছে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপনে।
গৃহশিক্ষকতা আগেও ছিল। সত্তর কিংবা আশির দশকের বহু ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারির সফল পড়ুয়ারা মনে রেখেছেন তাঁদের গৃহশিক্ষকদের। কিন্তু আশির দশক থেকে অনেক বেশি পেশাদারিত্বের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন কোচিং সেন্টারের মালিকেরা। এই সহস্রাব্দের শুরু থেকেই রাজস্থানের কোটা শহরের নাম সকলের মুখে মুখে। সেখানকার কোচিং সেন্টারগুলোর নামডাক অনেক বেশি। মাধ্যমিক পাশ করার পরেই অনেক বাবা-মা তাঁদের ছেলেমেয়েদের পাঠিয়ে দেন এইসব জায়গায়। আজকাল দেশের অন্যান্য শহরেও চালু এই কোচিং সেন্টার। কলকাতাতেও আছে।
বর্তমানে পড়াশোনায় ভালো ছেলেমেয়েরা আর নিয়মিত ইস্কুলে যায় না, বরং বেশি সময়টাই কাটে এইসব কোচিং সেন্টারে। এদিকে স্বাভাবিক নিয়মেই প্রবেশিকা পরীক্ষায় অসফল পড়ুয়ার সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু যেহেতু অধিকাংশ সফল পড়ুয়াই এই সমস্ত জায়গা থেকে পড়াশোনা করে ভালো প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পায়, তাই আজকাল ভালো-খারাপ নির্বিশেষে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের প্রায় সব পড়ুয়াই কোচিং সেন্টারে ছোটে। এই সমস্ত তথ্য এখন সকলের জানা। তাই গৌরচন্দ্রিকা শেষ করে এবার মূল বিষয়ে আসা যাক।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে পুরোনো দেশ, এবং নাগরিকত্বের বিদেশ গমন
যেমনটা বলছিলাম, প্রতিবার ফল প্রকাশের পর একেবারে শুরু দিকের স্থানাধিকারীদের ছবিসহ নাম ছাপা হয় খবরের কাগজে। তবে সংবাদ নয়, কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপন হিসেবে। একটু নজর করলেই দেখবেন যে একই স্থানাধিকারীর ছবি ব্যবহার করে একাধিক কোচিং সেন্টার। বুঝতে অসুবিধে হয় না, এই বিজ্ঞাপনে সততার ভাগ কতটা। এবারে কলকাতা শহরের যে ছাত্রী অত্যন্ত ভালো ফল করেছে, তার ছবি এর মধ্যেই ছেপেছে অন্তত তিনটি সংস্থা। অঙ্কের হিসেবেই বোঝা যায় যে একজন ছাত্রীর একইসঙ্গে স্কুল এবং তিনটি কোচিং সেন্টারে নিয়মিত পড়াশোনা করা প্রায় অসম্ভব।
কিন্তু বিজ্ঞাপনের টাকা পেলে যদি একজন সফল অভিনেত্রী মাথায় মাখার তেলে তাঁর কেশরাশি কতটা দীর্ঘ হল সেটা অভিনয় করে দেখাতে পারেন, তাহলে একজন সফল ছাত্রীর একাধিক কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপন দিতে অসুবিধে কী? অসুবিধে এইটাই যে, সরকারের নিয়ম না মেনে চলা অর্থলগ্নী সংস্থায় টাকা ঢাললে যেমন জীবনের সমস্ত সঞ্চয় এক ধাক্কায় মাটি হয়ে যেতে পারে, কোচিং সেন্টারে ঠিক সেইভাবেই নষ্ট হচ্ছে জীবনের অতি মূল্যবান দুটি বছর। মনে রাখতে হবে, সরকারি এবং বেসরকারি এই দুই ধরণের বিদ্যালয়েই সরকারের বিভিন্ন ধরণের নিয়ন্ত্রণ আছে, কিন্তু কোচিং সেন্টারগুলির ক্ষেত্রে তেমনটা নেই। এ যেন পড়াশোনার চিটফান্ড।
বিজ্ঞাপনের অন্য মাত্রাও আছে। কলকাতার একটি কোচিং সেন্টারের বিরাট হোর্ডিং-এ এই সমস্ত প্রবেশিকা পরীক্ষায় সফল হওয়া প্রায় একশো জনের ছবি আছে। সেখানে হয়ত বছরে পাঁচশো জন পড়াশোনা করে। বিজ্ঞাপন দেখে কেউ ভাববেন যে পাঁচশোর মধ্যে একশোজন এত ভালো ফল করেছে, তার মানে এখানে সাফল্যের হার কুড়ি শতাংশ। একটু খবর নিলে জানা যাবে যে, সেই সংস্থা গত দশ বছর ধরে সফল হওয়া সমস্ত ছাত্রছাত্রীর ছবি টাঙিয়ে রেখেছে, কিন্তু কে কোন বছরে সফল হয়েছে তা লেখেনি। অর্থাৎ গড়ে হয়ত মাত্র দশজন করে সফল হয়েছে প্রতি বছরে। সহজ পাটিগণিতে সাফল্যের হার মাত্র দুই শতাংশের মতো। কিন্তু সেটা চটজলদি বোঝার মত পরিণত হতে পারেন নি আজকের অভিভাবককুল। তাই পড়াশোনার চিটফান্ডে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন অসহায় বাবা-মা। ভুল সিদ্ধান্তে শুধু অর্থ নয়, জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান দুটি বছর নষ্ট হচ্ছে অসংখ্য কিশোর-কিশোরীর।
সবশেষে আসা যাক স্কলারশিপের কথায়। এই সমস্ত কোচিং সেন্টারের আর একটি বিজ্ঞাপন স্কলারশিপ। ধরুন এক বছরের পড়ার খরচ এক লাখ টাকা। এর আবার বিভিন্ন ভাগ আছে, যেমন নাম লেখানোর জন্যে (রেজিস্ট্রেশন ফি) কুড়ি হাজার, পরীক্ষার খরচ (এক্সামিনেশন ফি) তিরিশ হাজার আর পড়ানোর খরচ (টিউশন ফি) পঞ্চাশ হাজার। আপনার সন্তান সেখানে ভর্তি হওয়ার সময় এই ধরণের সংস্থাগুলি একটি পরীক্ষা নেয়। খুব ভালো করলে একশো শতাংশ স্কলারশিপ, তবে সেটা পড়ানোর খরচের ওপর। অর্থাৎ খুব ভালো ছেলেমেয়েকেও দিতে হচ্ছে পঞ্চাশ হাজার টাকা। কেউ যদি পায় ষাট শতাংশ স্কলারশিপ, তাহলে তার মোট খরচ পঞ্চাশ যোগ কুড়ি, মানে সত্তর হাজার। অর্থাৎ নাম লেখানো আর পরীক্ষার খরচ মিলিয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা আপনাকে দিতেই হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সেনাপ্রধানের বক্তব্য, এবং জরুরি অবস্থার কিছু কথা
তারপর যোগ হচ্ছে স্কলারশিপ বাদ দিয়ে বাকি অংশ। এদিকে স্কলারশিপের গল্প শুনে আপনি ভাবছেন আপনার মেয়ে বা ছেলে সত্যিই মেধাবী। কিন্তু সেই অনুসিদ্ধান্ত একেবারেই ঠিক নয়। বরং এই স্কলারশিপের লোভ দেখানো একেবারেই একটি ব্যবসায়িক এবং বিজ্ঞাপনী কৌশল। সকলকেই কিছু না কিছু জলপানির গল্প শুনিয়ে ফাঁদে পা দিতে বাধ্য করা হয়। বারবার আলোচনা করে একটি কথা বুঝতে হবে যে সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় সাফল্যের হার অসম্ভব কম। ফলে মেধাবী ছাত্রছাত্রী মানেই যে সে সফল হবে, এমনটাও নয়। সব মিলিয়ে বিষয়টা হয়ত চিটফান্ডের চেয়েও খারাপ, যেখানে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে লটারির টিকিট কাটছেন অভিভাবকেরা।
ছাত্রছাত্রীরাও এই মগজ ধোলাইয়ের খপ্পরে। কিছু বাবা-মা হয়ত বিষয়টি বুঝছেন। কিন্তু সহপাঠীদের দেখে একই রাস্তায় হাঁটতে চাইছে তাঁদের ছেলেমেয়েরা। অদ্ভুত এক দশচক্রে পাক খাচ্ছে এ দেশের উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থা। অনেকে একবার অসফল হওয়ার পর চেষ্টা করছে আরও একটা বছর। সেখানেও সফলতার হার নগণ্য। দেশের একেবারে প্রথম সারির শিক্ষাবিদেরা সবটাই জানেন। কিন্তু সমাধানের পথ কেউ বাতলাতে পারছেন না। তার মূল কারণ হলো, পুঁজিবাদের বেশ কয়েকটি মূল অস্ত্র ঢুকে পড়েছে ভারতের শিক্ষা ব্যবসায় - মিথ্যা বিজ্ঞাপন, মিথ্যা আশ্বাস, সরকারের উদাসীনতা আর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং স্কলারশিপের লোভ দেখানো চিটফান্ড।
নাগরিকত্ব সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের চেয়েও এই সমস্যা অনেক বেশি সংখ্যক মানুষকে বিদ্ধ করছে। সর্বস্বান্ত অভিভাবক-অভিভাবিকা এবং তাঁদের অসফল ছেলেমেয়েরাই এই অযৌক্তিক শিক্ষাব্যবস্থার নিরানব্বুই শতাংশ জুড়ে আছেন। সফলরা অবশ্যই মেধাবী, তবে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে দুবছরের অমানবিক পরিশ্রম এবং সম্ভাবনাতত্ত্বে এক শতাংশের মধ্যে থাকার নিয়ম মেনে। শিক্ষার চিটফান্ড সেখানে অনুষঙ্গ মাত্র।
(লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক, মতামত ব্যক্তিগত)