Advertisment

চিকিৎসা পরিষেবা বনাম হেলথ ইন্ডাস্ট্রি

রোগী-চিকিৎসক সম্পর্কটিকে ভেঙে দেবার, তার গোড়ায় বিষ ঢেলে দেবার সুনিপুণ প্রচেষ্টা চলছে বহুদিন ধরে। এই বিষপ্রয়োগের মূল লক্ষ্য একটাই… স্বাস্থ্য ব্যবসার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী বা ব্যবসায়ীর ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Health Service, Health Industry

অলংকরণ- সি আর শশীকুমার

চিকিৎসা ব্যবস্থার সমস্যা বা সংকট নিয়ে আলোচনার তৃতীয় পর্বে আমরা। গত দুই পর্বে চিকিৎসার অঙ্গনে মানবিকতা বনাম বিজ্ঞান নিয়ে এবং বিজ্ঞানের ছদ্মবেশে লুকিয়ে থাকা বিশ্বাস নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। আলোচনাটা শুরু হয়েছিল চিকিৎসা পরিষেবা ক্রমশ দুর্মূল্য হয়ে ওঠার কারণ খুঁজতে গিয়ে। সেই সূত্রেই আধুনিক তথাকথিত বিজ্ঞান-নির্ভর চরিত্রটিকে ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করছিলাম আমরা। আলোচনা করা হয়েছে তথ্যের বিস্ফোরণ এবং চিকিৎসকের জ্ঞান আহরণ করার ক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কথাও। এবার আলোচনা করা যাক, আধুনিক চিকিৎসার ব্যবসায়িক চরিত্রটি সম্বন্ধে। তারপর দেখা যাবে প্রথম দুই পর্বে আলোচিত চিকিৎসাবিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্যগুলিকে বাজার কীভাবে কাজে লাগায়।

Advertisment

প্রথমে একটা বিষয়ে খোলা কথা বলে নেওয়া ভালো। 'মানবসেবা', 'সেবাব্রত', 'বিবেক', 'হৃদয়বত্তা' ইত্যাদি বিষয়ে সুললিত বাক্যালাপ রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে হতে পারে, কিন্তু বণিকের কানে এসব অর্থহীন ধ্বনি মাত্র। ধনতান্ত্রিক অর্থনীতিতে অর্থই একমাত্র অর্থযুক্ত শব্দ। সুতরাং চিকিৎসা পরিষেবার নিয়ন্ত্রণ যদি রোগী, চিকিৎসক, চিকিৎসক-সহায়ক কর্মী, স্বাস্থ্য আন্দোলনের কর্মী এবং কল্যাণকামী রাষ্ট্রের হাত থেকে বেরিয়ে বণিক বা উদ্যোগপতিদের হাতে চলে যায়, তবে চিকিৎসা পরিষেবার চরিত্র পরিবর্তিত হয়ে আর পাঁচটা ব্যবসার মতোই হবে। হবেই। অন্যরকম হতে পারে না, কারণ সোনার পাথরবাটি হয় না।

চিকিৎসা, বিজ্ঞান ও বিশ্বাস

ব্যবসায় বিনিয়োগকারীর উদ্দেশ্য হল মুনাফা অর্জন। সর্বাধিক সময় ধরে সর্বাধিক পরিমাণ মুনাফা অর্জন করতে পারাই সাফল্য। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সময়ের চেয়েও মুনাফার পরিমাণের উপর জোর দেওয়া হয়, কারণ ভবিষ্যতে ব্যবসার চরিত্র বদলাতে পারে, তখন আজকের দিনের মুনাফাটি পকেটস্থ করে ব্যবসা বন্ধ বা বিক্রি করে দিয়ে নতুন ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। ভারতের মতো দেশে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী তাৎক্ষণিক লাভকেই মোক্ষ মনে করেন। এই লাভটুকুর জন্য যাবতীয় সৎ ও অসৎ উপায় অবলম্বন করা প্রায় স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে সব ধরনের ব্যবসার ক্ষেত্রেই।

স্বাস্থ্য ব্যবসা এর ব্যতিক্রম হতে পারে না। এক্ষেত্রে অর্থাগম হবে রোগীর সূত্রে। সুতরাং রোগীকে বেঁধে রাখার তাগিদে মিষ্টি কথা বলা হবে, নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে অবশ্যই, কিন্তু পাশাপাশি অধিক মুনাফার জন্য রোগীকে খরিদ্দার হিসেবে ব্যবহার করাও চলতে থাকবে। তাঁদের মনে আশঙ্কা সৃষ্টি করা হবে, প্রতিযোগিতার বাধ্যবাধকতা মেনে যতটা সম্ভব বেশি দামে এবং বেশি সংখ্যায় পরিষেবাগুলি বিক্রি করা হবে।

স্বাস্থ্য পরিষেবার বদলে 'স্বাস্থ্য ব্যবসা' শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা যেতে পারে অতএব। ব্যবসায়ী মহলে ইতিমধ্যে 'হেলথ ইন্ডাস্ট্রি' শব্দটি বহুল প্রচলিত এবং বিনিয়োগ করার একটি লোভনীয় ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত। অবশ্যই এই ইন্ডাস্ট্রি থেকে মোটা লাভের স্বপ্নই তাঁরা দেখছেন। সুতরাং স্বাস্থ্য পরিষেবা নামক ক্ষেত্রটিকে ব্যবসায়িকভাবে লাভজনক করার জন্য যা যা করা দরকার, সবই তাঁরা করবেন। না, শুধু হাসপাতালের বিলে কারচুপির কথা বলা হচ্ছে না, ওসব ছেঁদো ব্যবসায়ীরা করে। বড়দের কাজ বড় মাপের। এমন অনেক কিছু করা হচ্ছে এবং হবে, যা সহজে কল্পনাও করা যায় না। তার কিছু উদাহরণ দেব ক্রমশ। বাকি অনেককিছু আমাদেরও বুদ্ধির নাগালের বাইরে।

কম্পিউটার বা অন্যান্য প্রযুক্তির ব্যবসার মতোই আধুনিক চিকিৎসার ব্যবসাতেও ব্যবসায়ীর মূল হাতিয়ার হল বিজ্ঞান। অপরদিকে ক্রেতার (অর্থাৎ আপনাদের) দুর্বলতম জায়গাটি হল বিশ্বাস। স্বভাবতই ব্যবসা বাড়াতে ক্রেতার দুর্বল স্থান লক্ষ্য অস্ত্র ক্ষেপণ করতে হয়। যেমন লটারি বা জুয়ার ব্যবসায় ক্রেতার দুর্বলতম স্থান হিসেবে চিহ্নিত হয় লোভ ও নিয়তিবাদ। দামি টিভি, দামি স্মার্ট ফোন, দামি ফ্ল্যাট ইত্যাদি বিক্রি করার ক্ষেত্রে টার্গেট আপনার অভিলাষ। চিকিৎসাপ্রার্থী বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে লোভ বা অভিলাষ সেই মুহূর্তে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। দুটি জিনিসের ভার আপনি তখন বয়ে বেড়ান… আশঙ্কা আর আশা। দুটোকেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় আপনার বিশ্বাসকে প্রভাবিত করে এবং  তাকে নিজের পছন্দমতো পুনর্নির্মাণ করে।

চিকিৎসা এবং মানবিকতার মাঝে দাঁড়িয়ে যে দেওয়াল, তার নাম বিজ্ঞান

চিকিৎসা ব্যবসায়ে বিনিয়োগকারী বৃহৎ শক্তিরা তাই বিজ্ঞানের হাতিয়ারটি প্রয়োগ করে আপনার বিশ্বাসকে বিদ্ধ করবে, বিক্ষত করবে, স্থানচ্যুত করবে এবং পুনরায় নির্মাণ করবে নতুন চেহারায়। আপনি কী আশঙ্কা করবেন আর কী আশা করবেন, তা নিয়ন্ত্রণ করা হবে প্রতিনিয়ত। সেই নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি হবে এমনই বৈজ্ঞানিক, এমনভাবে বিজ্ঞানের জ্যোতি ফুটে বেরোবে তার সর্বাঙ্গ থেকে, যে বিজ্ঞানমনস্ক আধুনিক আপনি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অলৌকিক ক্ষমতায় বিশ্বাসী আপনি সেই নিয়ন্ত্রণকে যুক্তিসঙ্গত আধুনিক নিয়তি বলেই ভাববেন এবং মেনে নেবেন।

আরও একটি অর্থনৈতিক সত্য মাথায় রাখতে হবে। বাজারে সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের প্রচেষ্টায় মালিক বা কর্পোরেট শুধুমাত্র খরিদ্দারদের শোষণ করে না। বস্তুত মনোপলি ব্যবস্থা না থাকলে বা বিশেষভাবে রাজানুগ্রহ না পেলে একজন ব্যবসায়ী বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের সর্বাধিক কতটা নিংড়ে নিতে পারে, তার একটা সীমা আছে। খুব বেশি দাম নিতে গেলে প্রতিযোগিতায় হেরে যেতে হবে, কারণ সমমানের জিনিস অপেক্ষাকৃত সস্তায় যে বিক্রি করবে, ক্রেতারা তার কাছেই যাবেন। এই বাধা অতিক্রম করে দাম বাড়ানোর একটা উপায় হল ব্র‍্যান্ডিং এবং ব্র‍্যান্ডের গরিমা বৃদ্ধি।

কিন্তু বস্ত্রশিল্প, চর্মশিল্প ইত্যাদির তুলনায় চিকিৎসা শিল্পে ব্র‍্যান্ডের গরিমায় ভর করে পণ্যের (এক্ষেত্রে পরিষেবার) মূল্য একই পরিষেবা-পণ্যের অন্য ব্রাণ্ডগুলির (অর্থাৎ সমমানের অন্য হাসপাতাল বা একই ওষুধের অন্য ব্র‍্যাণ্ডের) দামের তুলনায় পাঁচ-দশগুণ বাড়িয়ে দেবার সুযোগ কম। ওষুধের ক্ষেত্রে যেমন দেখা যায়, যতদিন আন্তর্জাতিক কোম্পানির হাতে পেটেণ্টের সুরক্ষা থাকে, ততদিন তারা স্বর্ণমূল্যে একটি নতুন ওষুধ বিক্রি করে। পেটেণ্ট উঠে গেলে বাজারে যে প্রতিদ্বন্দ্বীরা নেমে পড়ে, তারা তুলনায় কম দামে ওদুদটি বিক্রি করে। তখন প্রধান বিক্রেতা বা আবিষ্কারক সংস্থা হয় দাম কমায় বাজার ধরে রাখার জন্য, অথবা তাদের ব্র‍্যাণ্ডটির বিক্রি কমে। আন্তর্জাতিক ব্র‍্যান্ডটিকে তুলনায় উচ্চতর গুণমানের বলে মনে করার অভ্যাস সত্ত্বেও এমনটা ঘটে। হাসপাতালের ক্ষেত্রেও প্রতিযোগিতা প্রবল।

সুতরাং এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সর্বাধিক মুনাফার জন্য অর্থনীতির সাধারণ নিয়মেই মালিকপক্ষ স্বাস্থ্য পরিষেবার কর্মীদেরও শোষণ করে থাকে। হাসপাতালের ফ্রন্ট ডেস্কে বসে থাকা যে সুবেশা তরুণীটিকে গতকাল গালি দিয়ে এলেন, সে হয়ত মাস গেলে মাইনে পায় হাজার দশেক টাকা এবং দুপুরের খাবারটুকুও তাকে কিনে খেতে হয় হাসপাতালের ক্যান্টিন থেকে। অবশ্যই গালি খেয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে আপনার ক্রোধের হাত থেকে মালিককে আড়াল করাও তার পেশাগত দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এই শোষণ অনেকটা উপর পর্যন্ত পৌঁছয়, যদিও তার মাত্রা আর চরিত্র খানিক বদলাতে পারে।

বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের নার্সেরা অতি বিশ্রীভাবে শোষিত। তাঁদের অধিকাংশের মাসিক বেতন বেশ কম এবং কাজের চাপ অত্যধিক। চিকিৎসকেরা আর্থিকভাবে অপেক্ষাকৃত সচ্ছল, কিন্তু সরাসরি মালিকপক্ষ হয়ে ওঠা অল্প কয়েকজনকে বাদ দিলে কর্পোরেট হাসপাতালগুলির অধিকাংশ চিকিৎসকও এই ব্যবসায় কর্মচারী মাত্র এবং (অবিশ্বাস্য মনে হলেও) শোষিত। অস্বাভাবিক কাজের চাপ ছাড়াও অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, চিকিৎসকদের কাজ এবং নাম ভাঙিয়ে যে পরিমাণ অর্থ এই সংস্থাগুলি আয় করে, সেই অনুপাতে বেতন দেয় না, এমনকি চিকিৎসকদের 'ফি' বাবদ যে অর্থ আদায় করা হয় রোগীদের থেকে, সেটুকুও না।

অবশ্যই একথা মানতে হবে যে চিকিৎসকেরা এই শোষণটুকু সত্ত্বেও আর্থিকভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে নেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে (যদিও অর্থাভাবে ক্যান্সারের কেমোথেরাপি কিনতে না পেরে মধ্যবয়স্ক চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনা কদিন আগেও ঘটেছে)। তাছাড়া চিকিৎসকদের শোষণ বা নিয়ন্ত্রণ করা অপেক্ষাকৃত কঠিন, কারণ দর কষানোর কিছুটা ক্ষমতা চিকিৎসকদের হাতে এখনও আছে। এই ক্ষমতাটি কাজে লাগিয়ে চিকিৎসকেরা এখনও ব্যবসায়িক হাসপাতালগুলির বা ইনশিওরেন্স সংস্থার সঙ্গে রোগীদের হয়েও কিছুটা লড়াই করতে সক্ষম এবং অনেকেই করে থাকেন। কর্পোরেট স্বাভাবিকভাবেই এই স্পর্ধা সহ্য করতে রাজি নয়। এতে ব্যবসার অসুবিধেও হয়।

এই কারণে চিকিৎসকদের শক্তি হ্রাস করার প্রচেষ্টা আটঘাট বেঁধে শুরু হয়েছে কয়েক দশক ধরেই। তার একটা অংশ হল ব্যক্তি চিকিৎসকের বদলে বড় কর্পোরেট হাসপাতালগুলিকে ক্ষমতার কেন্দ্র করে তোলা, যাতে চিকিৎসকের বদলে হাসপাতালের নামে (অর্থাৎ হাসপাতালের ওপর বিশ্বাস রেখে) রোগী আসেন এবং রোগীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হাসপাতালের (অর্থাৎ তার উদ্যোগপতি মালিকের) হাতে থাকে এবং সেই নিয়ন্ত্রণকে মুনাফা বৃদ্ধির কাজে লাগানো যায়।

এনকাউন্টার: কে ফ্যাসিবাদী, কে নয়?

বিভিন্ন আইনি ও অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে স্বাধীন প্র‍্যাকটিসে যুক্ত চিকিৎসকদের নিজস্ব ক্লিনিক বন্ধ করে কর্পোরেটের কর্মচারী হতে বাধ্য করার চেষ্টা চলছে আমেরিকার মতো বিভিন্ন দেশ সহ ভারতেও। এই প্রচেষ্টা একটু একটু করে সাফল্যের মুখ দেখছে। অথচ দেখা যায় যে এত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও চিকিৎসা চলতে থাকাকালে রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে একটি সম্পর্ক বা আঁতাত তৈরি হতে থাকে, যা ব্যবসার মালিকের পক্ষে সুখকর নয়, কারণ এর ফলে রোগী-চিকিৎসক অক্ষটির একটি 'এজেন্সি' তৈরি হয়, তাঁদের হাতে ক্ষমতা বাড়ে, যা হঠাৎ কখনো কর্পোরেট ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বসতে পারে। সুতরাং রোগী-চিকিৎসক সম্পর্কটিকে ভেঙে দেবার, তার গোড়ায় বিষ ঢেলে দেবার সুনিপুণ প্রচেষ্টা চলছে বহুদিন ধরে। এই বিষপ্রয়োগের মূল লক্ষ্য একটাই… স্বাস্থ্য ব্যবসার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী বা ব্যবসায়ীর ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করা।

এই প্রচেষ্টা বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থার চরিত্রানুগ, অতএব আইনত এবং সাংস্কৃতিকভাবে (জনমানসে) একপ্রকার অনুমোদিত। অথচ এর ফলশ্রুতিতে মানুষের ক্লেশ লক্ষণীয়, বিক্ষোভও কম নয়। এ এক প্যারাডক্স। আমরা প্রচেষ্টাটিকে আটকাতে চাই না, অথচ তার পরিণতি থেকে মুক্তি চাই। এমন হবার সম্ভাব্য কারণ হল এই যে আমাদের বিশ্বাস ও প্রত্যাশাগুলিকে অবলম্বন করেই এই বাণিজ্য প্রকল্পটি গড়ে উঠেছে, তার চাকচিক্য ও যুক্তিজাল সম্মোহক এবং তার খুঁটিনাটি গোলোযোগগুলি আমরা বুঝতে পারি না। এর প্রথম অংশটি নিয়ে কথাবার্তা হল। দ্বিতীয় অংশটি নিয়ে পরবর্তী পর্বে আলোচনা করার ইচ্ছে রইল।

(কৌশিক দত্ত আমরি হাসপাতালের চিকিৎসক, মতামত ব্যক্তিগত)

health Jon O Swasthyo
Advertisment