Advertisment

বাজার হোক বা সীমান্ত, চিনা রণকৌশল থাকবে অব্যাহত

বুদ্ধবাবু কিন্তু সেদিন রাষ্ট্রদূতের মুখের উপরই বলে দেন, "কমরেড, জাতীয় নিরাপত্তাটা রাজ‍্য সরকারের বিষয় নয়। এটা কেন্দ্রের ব‍্যাপার। আর নিরাপত্তা খুবই সংবেদনশীল বিষয়।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
india china ties

অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস

সিকিমের সীমান্তে নাথুলা পাস খুলে দেওয়া হলো। প্রধানমন্ত্রী তখন মনমোহন সিং। ২০০৬ সালে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন সিকিমের তৎকালীন মুখ‍্যমন্ত্রী পবন কুমার চামলিং। চিনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত করা হলো সীমান্ত। সিকিমের ওপর নিজেদের অধিকার চিন প্রত‍্যাহার করে যখন ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের মানচিত্রে সিকিমের অন্তভুর্ক্তি ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। কিন্তু চিন তখন থেকেই ভারতকে বলছে, নাথুলা পাস দিয়ে দু'দেশের মধ‍্যে বাণিজ্য হোক।

Advertisment

যেদিন এই অবাধ বাণিজ্যের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো, সেদিন আমন্ত্রিত হলেও যাননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ‍্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সিকিমের মুখ‍্যমন্ত্রীকে সামনে রেখে তা ছিল কেন্দ্র সরকারেরই অনুষ্ঠান। তখন মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বুদ্ধদেববাবুর সম্পর্ক খুবই ভালো। বুদ্ধবাবুর আর্থিক সংস্কার ও শিল্পায়নের দর্শনের জন্য শুধু দেশ নয়, বিদেশের পত্র-পত্রিকাতেও তাঁকে ভারতের সংস্কারবাদী ডেং শাওপিং বলে অভিহিত করা হচ্ছে। মনমোহন সিং নিজে সংসদে দাঁড়িয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ভারতের অন‍্যতম শ্রেষ্ঠ মুখ‍্যমন্ত্রী বলে অভিহিত করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এহেন সার্টিফিকেট, তাও আবার কোনও অ-কংগ্ৰেসি মুখ‍্যমন্ত্রীর জন্য। তা কিন্তু যে সে ব‍্যাপার নয়।

এরকম এক পটভূমিতে মনমোহন নিজে বুদ্ধবাবুকে সেদিনের আনুষ্ঠানে সিকিমে থাকার অনুরোধ করেন। বুদ্ধবাবু কিন্তু সে প্রস্তাবে রাজি হননি। বিনীতভাবে অপারগতা জানাতে দিল্লি এসে তিনি মনমোহনের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করেন। বুদ্ধবাবু প্রধানমন্ত্রীকে জানান, "আমাকে মাফ করবেন। আমি এই নাথুলা পাস সীমান্ত চিনের আমদানির জন্য খুলে দেওয়াকে একদম মেনে নিতে পারছি না। ভারত থেকে চিনে আমরা কতটা রফতানি করতে পারব তা আমার বিলক্ষণ জানা আছে।"

আরও পড়ুন: মধ্য এশিয়ায় চিনের সীমান্ত নীতি থেকে শিক্ষা নিতে পারে ভারত

বুদ্ধবাবু সেসময় আমাকেও বলেছিলেন, "দেখুন, আমি একজন ভারতীয় কমিউনিস্ট। আর যাই হোক, ভারতের মাটিতে চিনা পতাকা পোঁতা আমার কাজ নয়। আমি অমন কমিউনিস্ট নাই বা হলাম। ওরা ডাম্পিং করে উত্তরবঙ্গে আমাদের শেষ করে দেবে আর আমি নাথুলা পাস খুলতে ধেই ধেই করে সিকিম যাব।"  বুদ্ধবাবু না গেলেও প্রতিনিধি স্বরূপ কোনও মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার চাপ ছিল। কিন্তু যতদূর মনে পড়ছে, বুদ্ধবাবু সেদিন ওই অনুষ্ঠানে রাজ‍্য সরকারের কোনও প্রতিনিধিকেও পাঠাননি। বুদ্ধবাবুর কথা শুনে মনমোহন অবশ্য তাঁকে বলেন, "আপনার যুক্তি অকাট্য। চিন্তা করবেন না। নাথুলা পাস খোলাটা প্রতীকী পদক্ষেপ। দু'দেশের মধ‍্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষার জন্য এটি করা হচ্ছে, কিন্তু সীমান্তে কড়া প্রহরার ব‍্যবস্থা করছি। চিনকে ওখান থেকে ডাম্পিং করতে দেব না।" বুদ্ধবাবু মনমোহনকে বিশ্বাস করতেন।

আরেকটি ঘটনা। তখন ভারতের বিভিন্ন সমুদ্রবন্দরের আধুনিকীকরণ তথা বেসরকারিকরণ নিয়ে সরকারের শীর্ষস্তরে আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে। এই কাজগুলি পাওয়ার জন্য বেশ কিছু চিনা কোম্পানি ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছে। চিন সরকারও এসব কোম্পানির বরাত পাওয়ার জন্য জোরদার লবি করছিলেন। চিন দেশে তো বেসরকারি সংস্থাগুলিও আসলে রাষ্ট্রেরই নিয়ন্ত্রণে। বহু বেসরকারি শিল্পপতি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। সেসময় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রজেশ মিশ্র, এবং উপপ্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী। দুজনের মধ‍্যে মতপার্থক্য যতই থাক না কেন, চিনের এই আর্থিক আগ্ৰাসনের বিরুদ্ধে দুজনেই একমত ছিলেন। জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠকে এই চিনা বরাত আটকে দেওয়া হয়। মন্ত্রিসভার এই কমিটির আরেক সদস্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজ ও চিনের প্রকাশ‍্য সমালোচক ছিলেন।

অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানাতে চিন ছাড়পত্র পায়নি। কিন্ত এরপর মনমোহন সিং যখন প্রধানমন্ত্রী হন, তখন নতুন করে উদ‍্যোগ নেয় চিন। চিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাটের সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির 'বন্ধুত্ব'ও কোনও গোপন বিষয় নয়। তা এরকম এক সময়ে সেই রাষ্ট্রদূত বুদ্ধবাবু এবং প্রকাশ কারাটকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান। রীতিমতো চিনা সরকারের এমব্লেম সম্বলিত নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র এলো বুদ্ধবাবু ও কারাটের কাছে। কারাট বুদ্ধবাবুকে বলেন, নৈশভোজের আমন্ত্রণ রক্ষা করাটা উচিত। না যাওয়া অভ‍ব‍্যতা হবে। আর নৈশভোজ নৈশভোজই। কোনও আনুষ্ঠানিক অ্যাজেন্ডা বা রাজনৈতিক আলোচনার অবকাশ নেই। এ তো 'এক্সচেঞ্জ অফ আইডিয়াজ'।

আরও পড়ুন: চিনের নবতম রূপ, ঘরের বাইরে নজর

বুদ্ধবাবু রাজি হলেন‌। রাজ‍্য সরকারের সাদা অ্যামবাসাডার গাড়িতে দুজনে গেলেন চিনা দূতাবাসে। সেদিন রাষ্ট্রদূত নৈশভোজে কথায় কথায় বদ্ধবাবুকে অনুরোধ করেন, যাতে তিনি মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে এই বন্দরের বরাত নিয়ে কথা বলেন। চিনারা কাজটা ভাল করতে পারবে, এবং এতে দু'দেশের মধ‍্যে সম্পর্কটাও আরও ভাল হবে। অটলবিহারী বাজপেয়ীর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা যেভাবে এই বরাতের বিরোধিতা করেন, মনমোহন জমানায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আর.কে. নারায়ণনও একইভাবে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন।

মনমোহনের সঙ্গে বুদ্ধবাবুর সম্পর্ক মধুর জেনেই চিন চেয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে এই প্রকল্পের সবুজ সংকেত পাওয়ার জন্য ব‍্যবহার করতে। বুদ্ধবাবু কিন্তু সেদিন রাষ্ট্রদূতের মুখের উপরই বলে দেন, "কমরেড, জাতীয় নিরাপত্তাটা রাজ‍্য সরকারের বিষয় নয়। এটা কেন্দ্রের ব‍্যাপার। আর নিরাপত্তা খুবই সংবেদনশীল বিষয়। আমি একজন মুখ‍্যমন্ত্রী হয়ে কখনোই এসব ব‍্যাপারে নাক গলাতে পারি না।"

তাই ডেং শাওপিং-এর আর্থিক উদারবাদ ও শিল্পায়নের তত্ত্বে আস্থা রাখলেও চিনের ভারতের ভেতর ঢোকার যে রণকৌশল, তাকে বুদ্ধবাবু কোনওদিন সমর্থন করেননি। আজ এত বছর পর সেসব পুরনো গল্প মনে পড়ে গেল। চিন কিন্তু তার এই সম্প্রসারণবাদ থেকে আজও সরেনি। সম্ভবত ১৯৪৯ সালে সমাজতন্ত্রী চিন গঠনের সময় থেকেই ভারতের ভিতরে ঢোকার রণকৌশল একই রকম থেকে গেছে। মাও জে দং থেকে ডেং শাওপিং - চিনের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে এক বিরাট রূপান্তর হয়। কিন্তু ডেং-এর জমানাতেও ভারতের ব‍্যাপারে চিনা রাষ্ট্রনীতি বদলায়নি। ডেং অবশ্য সীমান্তে হানার চেয়ে বেশি জোর দেন ভারতের বাজারে চিনের সম্প্রসারণে। সাদা বাংলায় বলা যায়, চিন ভারতের বাজার দখলে একই ভাবে আক্রমণাত্মক। সেকাল থেকে একাল। একে অনেক বিশেষজ্ঞ নাম দিয়েছেন, 'The China Syndrome'.

ভারত আর চিনের মধ্যে এই উত্তেজনা, সাম্প্রতিক আকসাই-চিন ও তারপর লাদাখ কান্ডের পর আরও তাৎপর্যপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। ২০১২ সালে ভারতীয় গোয়েন্দারা রিপোর্ট দেন, চিন ভারতে আক্রমণ হানতে পারে। এই রির্পোটের ভিত্তিতে ভারতীয় সেনাও সীমান্তে আক্রমণাত্মক ফরোয়ার্ড নীতি গ্ৰহণ ক‍রে। চিন তখন জানিয়েছিল, ভারত 'China will attack India' লাইন নিয়ে আসলে সীমান্তে নিজেদের সেনাবাহিনী বাড়াতে চাইছে। এ হলো এক ধরনের 'প্রিটেক্সট' বা অজুহাত। সুতরাং তখন আক্রমণ না হলেও দু'দেশের মধ‍্যে অবিশ্বাস-অনাস্থা ক্রমশ বাড়তেই থাকে।

আরও পড়ুন: ভারত-চিনে পরস্পরে দ্বন্দ্বে অমঙ্গল!

বারাক ওবামা যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তখন তিনিও চিনের সঙ্গে স্ট্রাটেজিক সম্পর্কের উন্নতি করতে সচেষ্ট হন। এমন একটা সময়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এলাকা, বিশেষত অরুণাচল প্রদেশের উন্নতির জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব‍্যাঙ্ক থেকে ভারত ঋণ চায়, কিন্তু যেহেতু চিন অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে মানতে নারাজ, তাই এ ব‍্যাপারে আপত্তি তোলে তারা। সে সময়ে কূটনৈতিক ধারণা ছিল, ওবামার চিনের প্রতি নরম মনোভাবের জন্যই এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব‍্যাঙ্ক ভারতকে সেবার অর্থ দিতে রাজি হয় নি।

আমেরিকা-প‍্যাসিফিক ফ্লিট কমান্ডারকে চিন জানায়, ভারত মহাসাগরকে চিন প্রভাবিত এলাকা হিসেবে মেনে নেওয়া প্রয়োজন, যেহেতু ভারতের মনোভাব হলো নামটা ভারত মহাসাগর বলে এই এলাকা যেন ভারতের নিয়ন্ত্রণে। ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তিতে চিনের আপত্তি ছিল। পরমাণু সরবরাহ গোষ্ঠীতে (NSG) চিনের আপত্তি নথিভুক্ত হয়। এরপর ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে মুম্বইয়ে পাক সন্ত্রাসের যে ভয়াবহ ঘটনা হয়, ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারনা ছিল, সেই ঘটনার নেপথ্যেও ছিল চিন।

এই কারণেই চিন যে ভারতের সীমানা পেরিয়ে আক্রমণ হানতে পারে, তা অনেকদিন ধরেই মনে করছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা, এবং হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের অরুণাচল প্রদেশ সফর নিয়েও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে চিন। এবং তখনও অরুণাচল সীমান্ত দিয়ে চিনা সেনার অনুপ্রবেশ ঘটায়।

ভারত-জাপান আঁতাত এবং ভারতকে এই এলাকায় চিনের বিরুদ্ধে ভারসাম্য রচনার জন্য ব‍্যবহার করার মার্কিন কৌশলেও আপত্তি চিনের। যে চিনকে একদিন জওহরলাল নেহরু নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য করানোর জন্য নিজেদের, অর্থাৎ ভারতের দাবি উত্থাপন করা থেকে সরে আসেন, সেই চিনই আজ ভারত এবং জাপানের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হওয়ার ঘোরতর বিরোধিতা করছে।

২০০৭ সালে আমেরিকার সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্স এজেন্সি (CIA) দ্বারা প্রস্তুত ভারত-চিন সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট 'ডিক্ল‍্যাসিফায়েড' হয়, অর্থাৎ জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়। রিপোর্টটির শীর্ষক ছিল 'ফ‍্যামিলি জুয়েলস'। তাতে বলা হয়, ১৯৬২ সালে নেহরু গোটা বিশ্বের কাছে ভারতকে যেভাবে তুলে ধরেছিলেন এক সফল রাষ্ট্রনেতা হিসেবে, তার ফলে শুধু সীমান্ত সমস্যা সৃষ্টি করা নয়, নেহরুর ভাবমূর্তিকে দুনিয়ার সামনে হেয় করাও ছিল চিনের এক বড় উদ্দেশ্য। সিআইএ-র রিপোর্টে বলা হয়, "The Chinese aim was not only to demolish Nehru's rising stature in the developing world but also to make sure that India's rise as challenger to Chinese primacy in the region was nipped in the bud."

এই রিপোর্টে আরও লেখা আছে, চিনের তৎকালীন কৌশল হয়, ভারতীয় কমিউনিস্টদের মাধ্যমে এই প্রচার গড়ে তোলা যে নেহরু আসলে আমেরিকার বন্ধু।

আজ এত বছর পর মনে হচ্ছে, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তিই হলো প্রকৃতির আইন। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ২০১৪ সাল থেকে পৃথিবীর সামনে ভারতকে মাথা তুলে দাঁড় করানোর যে চেষ্টা করেন, এ ব‍্যাপারে তো কোনও সন্দেহ নেই। চিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলেও তিনি 'হিন্দি-চিনি ভাই-ভাই' রোমান্সে বিগলিত হয়ে যান নি। চিনের হ‍্যাঁ-তে সর্বদা হ‍্যাঁ মেলাতে রাজি হননি। এতদিন চিন যুদ্ধ না করলেও বারবার অনুপ্রবেশ করে নিজেদের সার্বভৌম স্বার্থের হুঙ্কার দিয়ে স্নায়ুর চাপ তৈরি করত। চেষ্টা ছিল, মোদীর নেতৃত্বে ভারতের উত্থানকে ফের দুনিয়ার সামনে মসীলিপ্ত করার। এ যাত্রা চিন সফল না হলেও আবার যে আক্রমণ হবে না, তা কেউ বলতে পারে না। এবার ভারতীয় সেনাবাহিনী তার যোগ্য জবাব দিতে সচেষ্ট হয়েছে। হীনমন‍্যতার শিকার হয়নি ভারত।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

manmohon singh narendra modi Delhi Theke Bolchi india china standoff
Advertisment