Advertisment

আমাদের রাজনীতি: সমালোচনার অধিকার

প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলি এই চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে যদি নিজেদের নীতিতে স্থিত হয়ে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন, তবে পরিস্থিতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Amader Rajniti

অলংকরণ- অরিত্র দে

গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হল শাসকের সমালোচনা করার স্বাধীনতা। সাধারণত "বাকস্বাধীনতা" নামক যে শব্দটি এই প্রসঙ্গে আমরা শুনতে অভ্যস্ত, তার অর্থ নিরূপণের প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল। দাঙ্গায় উস্কানি দেবার জন্য বক্তৃতা দেওয়া বা সোশাল মিডিয়ায় খুন-ধর্ষণের হুমকি বা কটূক্তি বাকস্বাধীনতা হিসেবে গণ্য হতে পারে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। সুতরাং ওই জটিল বিষয়টি সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা আপাতত এড়িয়ে যাচ্ছি। ধোঁয়াশার আড়ালে না লুকিয়ে বরং স্পষ্ট বলা যাক যে ক্ষমতার (শাসক, অভিভাবক, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রভৃতির) সমালোচনা করার অধিকার হল বাকস্বাধীনতার সবচেয়ে দামি অংশ, যা গণতন্ত্রের সুস্থতার মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
আবার একথাও ঠিক যে যে কোনও প্রশাসনিক কাঠামো (কোনো সংস্থার কর্তৃপক্ষ থেকে দেশের সরকার) গঠিত হয় কিছু মানুষের দ্বারা এবং তাঁদেরও কিছু ভাবনা, পরিকল্পনা, নীতি, লক্ষ্য ও স্বার্থ আছে। উদারমনা হলে কিছু গঠনমূলক সমালোচনা থেকে তাঁরা শিক্ষা গ্রহণ করে উপকৃত হতে পারেন, কিন্তু সকলের সব সমালোচনা সমানভাবে শিক্ষামূলক হবে বা সবটাই তাঁদের ভালো লাগবে, তা হতে পারে না। আমরা যখন ব্যক্তি হিসেবে সমালোচনার মুখোমুখি হই, তখন পাত্র ও বক্তব্য ভেদে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া হয়। কিছু সমালোচনা রীতিমত গায়ে লাগে।  কিছু ক্ষেত্রে আমরা মেনে নিই, কিছু ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা দিয়ে নিজেকে সঠিক প্রমাণ করার চেষ্টা করি, কখনো প্রতিবাদ করি। কর্তৃপক্ষ বা সরকার গঠিত হয় যে ব্যক্তিদের দ্বারা, তাঁদের কাছ থেকেও একই অনুভূতি এবং প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশিত। কিছু সমালোচনা তাঁদের গায়ে লাগবে এবং প্রতিবাদে প্রণোদিত করবে।

Advertisment

আরও পড়ুন, সংসদে বাংলার বাজার চড়া

এই পর্যন্ত মেনে নিতে কোনো অসুবিধে নেই। এর পরের ধাপে কয়েকটি প্রশ্ন থাকে।
১) অনুভূতি বা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া যেমনই হোক, আমরা কীভাবে তা ব্যক্ত করব, কেমন আচরণ করব, তা আমাদের দর্শনের উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। গণতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী মানুষ কি সমালোচনার মোকাবিলা করতে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি অবলম্বন করবেন? যদি ঘটনাচক্রে তা করে ফেলেন, তবে প্রথম সুযোগেই কি নিজেকে শুধরে নেবেন, নাকি সেই পদ্ধতিই আঁকড়ে থাকবেন এবং তাকে সঠিক প্রমাণ করার চেষ্টায় আরও বেশি অগণতান্ত্রিক কাজ করবেন?
২) ব্যক্তি মানুষের মধ্যে মানসিকতার তফাত থাকবেই, কিন্তু গণতান্ত্রিক দেশে সরকার তো নির্বাচিত কতিপয়ের সমন্বয়। অনেকের মধ্যে থেকে মাত্র কয়েকজন প্রতিনিধি সেখানে যাচ্ছেন। কোন ধরনেণের মানুষদের আমরা নির্বাচন করে সরকারে পাঠাব? নির্বাচিত সরকারে সাধারণ ভোটারদের মনোভাবের প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। আমরা যদি নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত রাখার ব্যাপারে উৎসাহী হই, তবে নিজেদের তরফে এমন প্রতিনিধি নির্বাচন করে পাঠাতে হবে, যাঁরা গণতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী। সমগ্র নির্বাচনী প্রক্রিয়াটিতে সাধারণ মানুষের আরও সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং নিয়ন্ত্রণ কায়েমে ছাড়া এই কাজ সম্ভব নয়৷
৩) মসনদে আসীন ব্যক্তিবর্গ ব্যক্তিগত স্তরে সমালোচনার প্রতিক্রিয়া যেভাবেই ব্যক্ত করুন না কেন, সরকার বিভিন্ন সমালোচনার উত্তর কীভাবে দেবে, তা সাংগঠনিক স্তরে গৃহীত সিদ্ধান্ত, যা সংগঠনটির নীতির উপর নির্ভরশীল। এখানেই রাজনৈতিক দলের গুরুত্ব। আমরা কোন দলকে কোন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের জন্য ক্ষমতায় আনছি, তার উপর নির্ভর করবে আমরা কতটা গণতান্ত্রিক পরিসর পাব।
একটি গণতান্ত্রিক দেশে এটুকু প্রত্যাশিত যে নির্বাচিত সরকার সকলের সাংবিধানিক অধিকারগুলিকে সম্মান দেবেন। সমালোচনার উত্তর তাঁরা দিতে পারেন, জোরালো প্রতিবাদ করতে পারেন, পাল্টা সমালোচনাও করতে পারেন, কিন্তু সমালোচকদের কথা বলার সুযোগটুকু অন্তত দেবেন। ভয় দেখিয়ে, কয়েদ করে অথবা ভাতে মেরে সকলকে চাটুকার বানানোর অপচেষ্টা করবেন না। যদি এই সামান্য নীতিটুকুও কোনো সরকার বিসর্জন দেন, তবে দেশটি আর গণতান্ত্রিক থাকে না। দুর্ভাগ্যক্রমে ভারত সহ পৃথিবীর বহু দেশ সেই গণতন্ত্রহীনতার দিকে এগোচ্ছে।

আরও পড়ুন, মুজফফরপুরের মহামারীর রাজনীতি

ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিভিন্ন রাজ্যের সরকার বিরুদ্ধ বাচনের প্রতি চরম অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছেন, যা গণতান্ত্রিক সরকারের চেয়ে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার সঙ্গেই বেশি মানানসই। সরকারি কর্মচারীদের রাজনৈতিক কথাবার্তা বলার বা মিটিং মিছিলে অংশগ্রহণ করার অধিকার রীতিমত নির্দেশিকা জারি করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে আমাদের রাজ্যেও। সরকারের সমালোচনা করা যাবে না বলে নির্দেশ। মুখ খুলে ফেলা বা এমনকি নিজেদের কর্মী সংগঠনের মিছিলে পা মেলানোর অপরাধে সাসপেন্ড হতে হচ্ছে। চিকিৎসক অরুণাচল দত্ত চৌধুরী বা রেজাউল করিমের কথা আমরা জানি। সাধারণ কর্মীদের অনেকের খবর আমাদের কাছে পৌঁছয় না, যতক্ষণ না তাঁদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপের সৌভাগ্য হয়। গত সপ্তাহেই যেমন এক সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী জানালেন, মহার্ঘভাতা নিয়ে কথা বলায় তাঁকে সাসপেন্ড হতে হয়েছিল এবং ১৯৭১ সালের "মিসা" (MISA) আইনে কয়েদ করার ভয়ও দেখানো হয়েছিল। এইসব ঘটনা ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় জানার পরেও কিছু বলার থাকে না আমাদের, কারণ প্রশাসন কী অভিযোগ নথিভুক্ত করেছেন বা কীভাবে কেস সাজিয়েছেন, তার সবটা জানা বা সত্যতা যাচাই করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় না।

সরকারের কাজের সমালোচনা করা, কোনো মন্ত্রী বা প্রভাবশালী ব্যক্তি কার্যকলাপের প্রতি বক্তৃতা, ব্যঙ্গচিত্র বা হাস্যকৌতুকে কটাক্ষ করার মতো কারণে সাধারণ নাগরিকদের গ্রেপ্তার হবার ঘটনা নিয়মিত ঘটছে গত কয়েক বছর ধরে। যে দেশে খুন, ধর্ষণের আসামি সহজে গ্রেফতার হয় না, সে দেশে কৌতুক শিল্পী বা অধ্যাপকদের এহেন গ্রেফতারের ঘটনা ক্রমাগত ঘটতে থাকা নিশ্চিতভাবে এই বার্তা দেয় যে ভালো কাজ করে প্রশংসা আদায় করা নয়, কাজের যাবতীয় সমালোচনার সম্ভাবনাকে গলা টিপে মারাই শাসকদের লক্ষ্য। ভারতের এবং ভারতীয় রাজ্যগুলির শাসকদের এই আচরণগত পরিবর্তন নতুন ও লক্ষণীয়। বিদ্রূপের শিকার হয়ে স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু শিল্পীকে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে তাঁর শিল্পকলার তারিফ করেন। অবশ্যই এর পিছনেও রাজনীতি ছিল। শ্রী নেহেরু শত্রুকে মিত্রে পরিণত করে সমালোচনা বন্ধ  করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর পদ্ধতি ছিল গণতান্ত্রিকভাবে গ্রহণযোগ্য। একথা বলাই যায় যে নাগরিকের অধিকারের প্রতি সম্মানবোধ ছাড়াও নেহেরুজী জনগণের মন জয় করতে পারার ব্যাপারে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। এই বোধ আর বিশ্বাসটুকু আজকাল দলমত নির্বিশেষে কারও মধ্যেই বিশেষ দেখা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন, চিকিৎসক আন্দোলন: বিনায়ক সেনের কী বক্তব্য?

গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের আরেকটি বড় প্রক্রিয়া সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা। এর জন্য আইনের প্রয়োগ যেমন আছে, তেমনি আছে অর্থনৈতিক অস্ত্রের প্রয়োগ। বরিষ্ঠ সাংবাদিক পরঞ্জয় গুহঠাকুরতার বিরুদ্ধে বিশাল অঙ্কের ক্ষতিপূরণের মামলা করে চাপ সৃষ্টি করা এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ সাময়িক পত্রকে তাঁর লেখা সরিয়ে নিতে বাধ্য করার কথা এখানে ধরছি না, কারণ তা রাষ্ট্রের ক্ষমতার প্রকৃত উপভোক্তা বণিকগোষ্ঠী করলেও সরাসরি সরকার করেননি। গৌরী লংকেশের মতো দু-চারজনকে হত্যা করে সব সাংবাদিকের মনে ত্রাস সৃষ্টি করার প্রবণতাকেও ধরছি না, কারণ এসব কাজের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হলেও তাতে সরকারি শিলমোহর নেই (অন্তত এখনও)। সরকার বড়জোর আততায়ীদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু গুপ্তহত্যাকে সরাসরি সমর্থন জানানোর পরিস্থিতি এখনও আসেনি।

সরকার সরাসরি যেটুকু করছেন, সেটুকুও ভীতিপ্রদ। আইন করে সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা যে নানাভাবে ধাক্কা খাবে, যতক্ষণ না ভারতের সংবিধানটিকে বদলে ফেলা যায়, তা মসনদে আসীন নেতারা বুঝেছেন। অন্য কৌশলে তাঁরা সংবাদমাধ্যমের জগতে এক অভূতপূর্ব মেরুকরণ ঘটাতে সফল হয়েছেন। আজকাল কিছু টেলিভিশন চ্যানেল বা সংবাদপত্র দেখা যায়, যারা প্রায় নির্লজ্জভাবে জাতীয় বা আঞ্চলিক স্তরে নির্দিষ্ট একটি দল বা সরকারের স্তাবকতা করে। এঁরা পেশাদার স্তাবক। এই কাজটুকুর বিনিময়েই অর্থ ও অন্যান্য অনুগ্রহ পান। এঁদের সংবাদ পরিবেষণের কায়দা অতি উগ্র এবং কিছু ক্ষেত্রে বিরোধীদের প্রতি ব্যবহৃত ভাষাকে কুৎসিত বললেও কম বলা হয়। এর বাইরে যে সংবাদমাধ্যমগুলি, যাঁরা বিভিন্নরকম খবর পরিবেষণ করে কখনও সরকারের প্রশংসা করেন, কখনও সমালোচনা, তাঁদের ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা মাত্রা ছাড়িয়েছে। আমাদের রাজ্যে একসময় দেখেছি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত পাঠাগারগুলিতে কোন সংবাদপত্র রাখা যাবে বা যাবে না, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, যাতে অপছন্দের পত্রিকাকে সাধারণ পাঠকের নজরের বাইরে রাখা যায়। আরও সূক্ষ্মভাবে যেটা হয়ে চলেছে, তা হল ভাতে মারার চেষ্টা। সাম্প্রতিক হিসেবনিকেশে দেখা গেছে নির্দিষ্ট কয়েকটি নামজাদা সংবাদগোষ্ঠীর কাগজ ও চ্যানেলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞাপন লক্ষণীয়ভাবে কমে গেছে। অপছন্দের তালিকায় থাকার ফল। অর্থাৎ ঘুরিয়ে বলা হচ্ছে যে বিজ্ঞাপন বা অন্যান্য সরকারি আনুকুল্যের ন্যায্য অংশটুকু পেতে হলে সরকারের স্তাবকতা করতে হবে। এই প্রবণতা ভয়ানক।

আরও পড়ুন, আমি এবং শম্ভু মিত্র

এই পরিস্থিতি থেকে দেশ আবার ঘুরে দাঁড়াবে কিনা, তা অনেকের শুভবুদ্ধির উপর নির্ভর করছে। প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলি এই চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে যদি নিজেদের নীতিতে স্থিত হয়ে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন, তবে পরিস্থিতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে। এই লড়াইটা চালিয়ে যাবার জন্য তাঁদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান, বোঝাপড়া ও ঐক্য প্রয়োজন। নাহলে রাষ্ট্রশক্তির সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন, কারণ রাষ্ট্র যে বণিকগোষ্ঠীগুলোর স্বার্থ দেখতে দায়বদ্ধ, তাদের বেশিরভাগই সংবাদপত্রগোষ্ঠীগুলোর চেয়ে বেশি ধনী এবং ক্ষমতাবান। সংবাদমাধ্যমের ক্ষমতার উৎস জনগণের মনকে প্রভাবিত করতে পারা। এই ক্ষমতাটির সুনিয়ন্ত্রিত এবং সুস্থ ব্যবহার প্রয়োজন। জনগণের মধ্যে ফাটল ধরানোর কাজে, মানুষের বিরুদ্ধে মানুষকে লড়িয়ে দেবার কাজে এই ক্ষমতার অপব্যবহার হলে ক্রমশ তা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যাবে। "হলুদ সাংবাদিকতা"র অভিযোগ সংবাদমাধ্যমকে জনবিচ্ছিন্ন করে ফেলছে একটু একটু করে। নিষ্ঠাবান সাংবাদিকদের দায়িত্ব নিয়ে এই দুর্নাম কাটানোর চেষ্টা করতে হবে, তবেই রাষ্ট্র ও বৃহৎ পুঁজির যৌথ আক্রমণের মুখে তাঁরা টিকে থাকতে পারবেন জনগণের সমর্থন নিয়ে।

রাজনেতাদেরও একটা কথা অন্তর থেকে বুঝতে হবে। সব সমালোচনা নিরীহ হয় না, ভালো লাগার মতো হতে পারে না। সমালোচনার উত্তরে হিংস্র না হয়ে সুস্থ গণতান্ত্রিক জবাব নেতাকে শাসক হবার উপযুক্ত করে তোলে। সমালোচনার প্রতি সহনশীল হবার একমাত্র উপায় এই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস দৃঢ় করা, যে সমালোচনা করার অধিকারটি মানুষের মৌলিক অধিকার। সমালোচনার জবাব দেওয়া যায়, কিন্তু অধিকারটুকু কেড়ে নেওয়া যায় না।

(কৌশিক দত্ত আমরি হাসপাতালের চিকিৎসক। মতামত ব্যক্তিগত।)

Advertisment