Advertisment

মানুষকে ভালো রাখা, না মানুষের শরীরকে ভালো রাখা?

একটি উপসর্গের জন্য দায়ী একটি নির্দিষ্ট রোগ এবং তার পিছনে আছে একটিই কারণ, এজাতীয় স্থির নিশ্চয়তা থেকে ক্রমশ সরে আসছে বিজ্ঞান, নতুন আবিষ্কারের আলোকেই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
medicine and anatomy

যান্ত্রিক চিকিৎসকের অযান্ত্রিক রোগী কীভাবে সম্ভব? অলঙ্করণ অভিজিৎ বিশ্বাস

গত সপ্তাহে আমরা আলোচনা করেছিলাম যন্ত্র চিকিৎসক নিয়ে। এমনকি মানুষ চিকিৎসককেও কীভাবে যন্ত্রের মতো কাজ করতে হয় আজকের বৈজ্ঞানিক চিকিৎসার নিয়ম ও কাঠামোর মধ্যে, সেই বিষয়েও আমরা কথা বলেছি। যন্ত্র-চিকিৎসকের আগমন বিজ্ঞানের গতি মেনেই। মানুষ চিকিৎসকের যন্ত্র হয়ে ওঠার পিছনে কিছু সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণ আছে অবশ্যই, কিন্তু তাদের ভূমিকা যতটা বড় বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, বাস্তবে ততটা নয়। বিজ্ঞান নিজেই মানুষ চিকিৎসককে ক্রমশ যন্ত্র হওয়ার দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। পুঁজির স্বার্থ এবং সেই স্বার্থ দেখার জন্য তৈরি আইন-কানুন যন্ত্র হয়ে যাওয়াকে ত্বরান্বিত করে। কয়েক সপ্তাহ আগেও একবার এই বিষয়ে কিছু আলোচনা করা হয়েছিল।

Advertisment

এই পর্যায়ে মনে প্রশ্ন জাগা উচিত, এই ব্যাপারটা এভাবে চলতে থাকা কী করে সম্ভব? যান্ত্রিক চিকিৎসক অযান্ত্রিক মানুষের চিকিৎসা করেন কীভাবে? এর মধ্যে কি তুমুল পরস্পরবিরোধী দুই সত্তা নেই? তাদের নিয়ে চিকিৎসার মতো একটা কাজ সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে কেমন করে? সমাজ, পুঁজি বা আইনের কথা বাদ দেওয়া যাক। বিজ্ঞান নিজে এই সমস্যাজনক অন্তর্দ্বন্দ্বকে অনুমোদন করে কী করে?

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরিষেবার সংকট ও সরকারের ভূমিকা

বস্তুত, বিজ্ঞান শুধু একে অনুমোদনই করে না, একে বাস্তবায়িত করে। বলা চলে, বিজ্ঞানই এমনটা হয়ে উঠতে বাধ্য করে। আসলে বিজ্ঞান যেভাবে বিষয়টিকে দেখে, তাতে এই অন্তর্দ্বন্দ্ব চোখেই পড়ে না। তা কেমন করে সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইলে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের পদ্ধতির মধ্যে গভীরভাবে মিশে থাকা 'রিডাকশনিজম'কে বুঝতে হবে। রিডাকশনিজমের বাঙলা হিসেবে সাধারণত 'খণ্ডতাবাদ', 'অপচয়বাদ' বা 'অবব্যখ্যাবাদ' শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়। সেগুলো একটু বেশি কঠিন বলে রিডাকশনিজম শব্দটাই ব্যবহার করছি।

খণ্ডতাবাদ বললে অবশ্য এর একটা দিক স্পষ্ট হয়। সেটা হলো সমগ্রের বদলে খণ্ডের উপর মনোনিবেশ করার প্রবণতা। বিজ্ঞান যেভাবে বিশ্লেষণ করে যেকোনো বিষয়কে বুঝতে চায়, তাতে প্রথমেই সমগ্রকে সার্বিকভাবে বুঝতে চাওয়া কঠিন। অতএব সমগ্রকে খণ্ডখণ্ড করে নিয়ে ছোট ছোট টুকরোগুলোকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা আবশ্যক। ঠিক যেমন মাইক্রোস্কোপের নীচে কোনো জিনিসকে পরীক্ষা করে দেখতে গেলে আগে 'মাইক্রোটোম' নামক যন্ত্রে অত্যন্ত পাতলা পাতলা টুকরো করে নিতে হয়, অথবা যেমনভাবে সিটি স্ক্যান যন্ত্র কম্পিউটারের সাহায্যে মস্তিষ্ক বা শরীরের কোনো অঙ্গকে টুকরো টুকরো করে তার ছবি তোলে। বিজ্ঞান যেভাবে এগোয় এবং বিজ্ঞানের কাছ থেকে আমরা সাধারণত যা প্রত্যাশা করি, তাতে এই পদ্ধতি অবলম্বন না করে উপায় নেই। ভুলটা হয় যখন আমরা খণ্ডকেই সমগ্র ভেবে নিই, বা খণ্ডাংশটিকে বুঝে ভেবে ফেলি যে সমগ্রকে চেনা হয়ে গেছে।

মানুষের চিকিৎসা যন্ত্র চিকিৎসক বা যান্ত্রিক চিকিৎসকের হাতে ছেড়ে দিতে বিজ্ঞানের কোনো অস্বস্তি নেই, কারণ বিজ্ঞানের চোখে রোগীও যন্ত্র। বিজ্ঞান মানুষের শরীরকে একটি জটিল জৈবিক যন্ত্র মনে করে। এমনকি মানুষের মনকেও সেই জটিল যন্ত্রের জটিলতম অংশ, মস্তিষ্কের মধ্যে ঘটে চলা অজস্র জৈবরাসায়নিক বিক্রিয়ার এক প্রতিফলন, মনে করে। এই মনে করার ভিত্তিতে শুরু হয় তার কাজকর্ম। কোনো নির্দিষ্ট অসুস্থতাকে (অথবা আরোগ্যকে) নির্দিষ্ট ভৌগোলিক বা জ্যামিতিক (শরীরের ক্ষেত্রে একে আমরা বলি 'অ্যানাটমিক') অঞ্চলে, অর্থাৎ অঙ্গ বা কলায় চিহ্নিত (লোকালাইজ) করার চেষ্টা শুরু হয়।

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য বিমা ও সরকার

কিছু রোগকে এভাবে একটি অঙ্গের মধ্যে আবদ্ধ করে ভাবা বা বোঝা যায়। যেমন, হার্টের ভালভ খারাপ হয়ে যাওয়া বা বাঁ হাতের একটি হাড় ভেঙে যাওয়ার মতো অনেক কিছু। বেশ কিছু রোগের ক্ষেত্রে আবার দেখা যায় যে অনেকগুলো অঙ্গ রোগের প্রকোপে পড়েছে, অর্থাৎ একটিমাত্র অঙ্গের মধ্যে রোগটির স্থানাঙ্ক চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। সেরকম ক্ষেত্রে খণ্ডতাবাদের প্রথম পর্যায়, অর্থাৎ শারীরসংস্থানবিদ্যা বা অ্যানাটমি রোগের ধারণাটিকে সম্পূর্ণ ধারণ করতে পারে না।

এরকম ধরণের রোগের ক্ষেত্রে 'মাল্টি-অর্গ্যান', 'মাল্টি-সিস্টেম' বা 'সিস্টেমিক' (অর্থাৎ শরীরের সমগ্র ব্যবস্থাটি জুড়ে) শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়। এরকম রোগকে বুঝতে তাই শুধু অ্যানাটমি যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন হয় শারীরিক ঘটমানতার চলচ্ছবি নির্মাণ, যা করতে কাজে লাগে শারীরবিদ্যা (ফিজিওলজি), জৈবরসায়ন (বায়োকেমিস্ট্রি), জীবাণুবিদ্যা (মাইক্রোবায়োলজি), প্যাথোলজি জাতীয় বিজ্ঞানের। অবশ্য একাধিক অঙ্গ রোগ প্রকোপিত হলেই যে অ্যানাটমি বিলকুল বাদ পড়ে যাবে, তেমন নয়। ধরা যাক, জ্বরের রোগীর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বিকল, কিন্তু রোগের উৎস খুঁজতে গিয়ে প্রাথমিক ইনফেকশন খুঁজে পাওয়া গেল ফুসফুসে বা মূত্রথলিতে। এটা খুঁজে পেলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা হয়।

তেমনি আবার রোগকে একটি অঙ্গ বা নির্দিষ্ট অ্যানাটমিক জায়গায় চিহ্নিত করতে পারলেই যে শুধুমাত্র অ্যানাটমিতে কাজ হবে, তাও নয়। ওইখানে ওই রোগটি কেন এবং কীভাবে হলো, কতটা বাড়তে পারে, আরও কী ধরণের ক্ষতি করতে পারে… এসব বুঝতে গেলে অন্যান্য বিদ্যাগুলোকে কাজে লাগাতেই হবে। শল্যচিকিৎসার ক্ষেত্রে অ্যানাটমি অনেকটা জায়গা জুড়ে থাকলেও যেখানে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা হচ্ছে, সেখানে অন্য বিষয়গুলোর গুরুত্ব উত্তরোত্তর বাড়ছে। এমনকি উন্নততর শল্যচিকিৎসাতেও আজকাল নিখুঁতভাবে কাটতে জানা ছাড়াও আরও অনেক কিছু জানা জরুরি।

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য বিমার বাস্তবতা

এর ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের চরিত্রে একটি অলক্ষিত অথচ গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটছে। এক কথায় বলতে গেলে, মানুষ ক্রমশ জীবন্ত হয়ে উঠছে। কীরকম সেটা? অ্যানাটমি চর্চায় মানুষ আসলে একটি মৃতদেহ। প্রাণহীন, স্থবির এবং জৈবপদার্থ দিয়ে তৈরি হলেও বস্তুত জড়পদার্থ মাত্র। অ্যানাটমি অধ্যয়নের চরিত্রও বদলাচ্ছে, কিন্তু সাবেকি অ্যানাটমি মানুষের যে ছবি দেয়, তা স্থিরচিত্র। তাতে মানুষের সঙ্গে মানুষের, অঙ্গের সঙ্গে অন্য অঙ্গের কিছু প্রভেদ থাকলেও একজন মানুষের একটি অঙ্গের জন্য ছবিটি একরকম সুস্থিত।

যখনই রোগের কারণ খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে অতীতে একবারে ঘটে যাওয়া ঘটনা বা অভিঘাতের বদলে শরীরের নিরন্তর ঘটমানতার মধ্যে, তখন বিজ্ঞানের থিয়েটারে মানব শরীর গতিশীল হয়ে উঠছে। শরীরের অভ্যন্তরের ক্রিয়াকলাপের এক চলচ্চিত্র বিজ্ঞানের পর্দায় ফুটে উঠছে। প্রায়োগিক বিজ্ঞান সেই সিনেমার গল্পে একটি বা দুটি প্রধান চরিত্রের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে পারলে খুশি হয়, কারণ তাহলেই সেই একজন বা দুজনকে মারার ওষুধ প্রয়োগ করা যায়। যেমন ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে প্লাজমোডিয়াম নামক অদ্যপ্রাণীর একটি নির্দিষ্ট প্রজাতিকে রক্তে খুঁজে বের করে তার দিকে বন্দুক তাক করা চলে।

কিন্তু প্রায়োগিক বিজ্ঞানই তো একমাত্র বিজ্ঞান নয়। মানুষ যাই চাক না কেন, বিজ্ঞানের চরিত্রের মধ্যে একজন সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ অধিষ্ঠিত। তাঁর কর্মপ্রণালী অন্য গোয়েন্দাদের সঙ্গে মিলে গেলেও তিনি নিজের মনে বলবেন, অপরাধী নয়, সত্যই আমার লক্ষ্য। এই সত্যান্বেষণের প্রবণতার ফলে বিজ্ঞানই কালক্রমে আবিষ্কার করে ফেলে যে অধিকাংশ সিনেমায় চরিত্র অজস্র, এবং তাদের একজনকে ভিলেন বা হিরো বলে দাগিয়ে দেওয়া বেশ কঠিন। এসব আবিষ্কার চলতে থাকে নিরন্তর। এসবের ফলে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে সবসময়ই যে সুবিধা হয়, তেমন নয়। কিছু ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা বেড়ে যায়, কিন্তু সেই অনিশ্চয়তার মধ্যে আগেকার অজ্ঞতাপ্রসূত নিশ্চয়তার চেয়ে বেশি সত্য থাকে।

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবার বেসরকারিকরণ ও বিমার প্রবেশ

বিজ্ঞানের এই চলার পথটি বেশ মজার। যদিও রিডাকশনিস্ট মনোভাব নিয়েই এখনও সে চলছে, তবু নিজের নিয়মেই সেই খণ্ডতাবাদের চরিত্র বদলে ফেলছে। খণ্ড, ক্ষুদ্র ও স্থবির করে নেওয়ার চরম পর্যায় অ্যানাটমি ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে। মানবদেহ ক্রমশ জটিল আর গতিশীল হয়ে উঠছে বিজ্ঞানের চোখে। আবার একটি উপসর্গের জন্য দায়ী একটি নির্দিষ্ট রোগ এবং তার পিছনে আছে একটিই কারণ, এজাতীয় স্থির নিশ্চয়তা থেকে ক্রমশ সরে আসছে বিজ্ঞান, নতুন আবিষ্কারের আলোকেই।

এভাবে নির্ধারণবাদ (ডিটারমিনিজম) একটু একটু করে পিছোচ্ছে। বর্ধিত জ্ঞান যে আমাদের সর্বদাই নিশ্চিত হতে সাহায্য করে না, বদলে অনিশ্চিতও করে দেয়, নতুন আলো যে শুধু আমার চলার পথটিকেই উদ্ভাসিত করে না, বদলে অন্য আরও পাঁচটা সম্ভাব্য পথকেও আলোকিত করে, যাদের কথা জানতামই না… এই সত্য আমরা ক্রমশ বুঝতে শিখছি। আর এসব ভাবনা যত বেশি স্থান পায়, রিডাকশনিজমের প্রভুত্ব তত কমে আসে। আগামী দিনের বিজ্ঞানের জন্য এ মস্ত সুখবর।

কিন্তু এখনো চিকিৎসা বিজ্ঞানের মুখটি নিদারুণভাবে রিডাকশনিস্ট। একজন মানুষ যে মুহূর্তে হাসপাতালে বা চিকিৎসকের ক্লিনিকে ঢোকেন, সেই মুহূর্তে তিনি মানুষের বদলে রোগী হয়ে যান। তাঁর সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, আর্থসামাজিক সব পরিচয় হারিয়ে যায়। বস্তুত রোগীর প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের এথিক্স নির্ভর করে এই হারিয়ে যাবার ওপরেই। চিকিৎসক রোগীকে শুধুমাত্র রোগী হিসেবে দেখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাঁর ধর্ম, জাত, দেশ, রাজনৈতিক আনুগত্য, আর্থিক ক্ষমতা… কিছুই বিচার্য নয়। এই অলিখিত চুক্তির মাধ্যমে রোগীর সঙ্গে চিকিৎসকের সম্পর্ক শুরু হয়।

আরও পড়ুন: বাণিজ্যমুখী নীতি ও আম-নাগরিকের চিকিৎসা

এখান থেকে সেই সম্পর্ক এগোয় রোগের রাস্তা ধরে। শুধুমাত্র রোগের রাস্তা ধরে। চিকিৎসক রোগীর মধ্যে খুঁজে নেন শরীর আর শরীরে খুঁজে নেন রোগের উপস্থিতি (বা অনুপস্থিতি)। রোগকে কোণঠাসা করতে করতে টর্চ হাতে পৌঁছে যান হার্টের একটি ভালভে অথবা মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট ধমনীর একটি নির্দিষ্ট অংশে, অথবা একটি গোলমেলে রাসায়নিকে বা কোষে… আরও এগোতে এগোতে পৌঁছে যান ভুলভাবে ভাঁজ হওয়া কোনো প্রোটিন অণুতে বা সতেরো নম্বর ক্রোমোজমের একটি নির্দিষ্ট জিনে, জিনের দৈর্ঘ্য বরাবর ৭২৯ নম্বর স্থানে একটু অদল-বদলে।

এভাবে এগোতে এগোতে তিনি রোগকে খুঁজে পান, বুঝতে পারেন রোগটির চরিত্র, বুঝতে পারেন এই রোগকে হারিয়ে দেওয়া সম্ভব কি না। শুরু হয় রোগের সঙ্গে চিকিৎসার দ্বৈরথ। রোগী শুয়ে থাকেন হাসপাতালের বিছানায় নির্বিরোধী প্রত্যাশায় উন্মুখ এক সত্তা হয়ে। প্রতিদিন তাঁকে ছুঁয়ে বা না ছুঁয়ে তাঁর বিভিন্ন পরিমাপযোগ্য শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার চার্ট ঘেঁটে, ল্যাবরেটরির রিপোর্ট ঘেঁটে আমরা এগোতে থাকি রোগীর দিকে নয়, রোগের দিকে। এভাবে এগোতে এগোতে রোগের কাছাকাছি যত আমরা পৌঁছতে থাকি, ততই হারিয়ে যেতে থাকেন রোগী। হারিয়ে যেতে থাকে মানুষ। অথচ সেই মানুষকে বাঁচানোর জন্যই এত লড়াই।

ভুল বললাম। মানুষকে বাঁচানোর জন্য নয়, মানুষের শরীরের জীবন রক্ষার জন্য এত লড়াই।

এই কলামের গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলি পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে

Jon O Swasthyo
Advertisment