Advertisment

এসেছিলে তবু আস নাই…

National Doctors' Day in India, July 1 2018: বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন আজ। আজ চিকিৎসক দিবস। কেমন আছেন চিকিৎসকরা! সবাই কি একইরকম আছেন? কেমন হয় চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতা? লিখলেন প্রখ্যাত চিকিৎসক অরুণাচল দত্ত চৌধুরী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
doctors day

বুদ্ধিউপজীবী আর শরীরউপজীবীদের একটা ব্যাপারে ভারি মিল। দু’ দলকেই নিজের দর নিজেকে ঘোষণা করতে হয়।

National Doctors' Day 2018: আজ ভারতবর্ষে চিকিৎসক দিবস।
লিখতে গিয়ে কত কথা যে মনে পড়ে যাচ্ছে। শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণে গিয়ে প্রায়শই শুনেছি, আলাপ করিয়ে দিয়েছেন মৃতের বাড়ির কেউ, ‘এই যে, এই ডাক্তারবাবু বাবাকে, মানে এনার হাতেই বাবা মারা গেছেন।’ আবার অন্তত একবার হলেও শুনেছি, ‘মায়ের শেষ কষ্টের দিনগুলোতে, আমাদের যুদ্ধের সেই দিনগুলোতে, এই ডাক্তারবাবুই আমাদের পাশে ছিলেন।’ দীর্ঘদিনের চিকিৎসক জীবনে দেখাশোনা তো হল কম না। পরস্পরবিরোধী এলোমেলো সেসব কথা বলার আগে একনজর দেখে নেওয়া যাক সারা পৃথিবীর ব্যাপারটা।
ডাক্তারদের সম্মান জানানোর জন্য চিকিৎসক দিবসের যে ধারণা সে’টা পৃথিবীর বহু দেশেই চালু আছে।
আমাদের দেশে ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিনটি (যা’ কি না আবার তাঁর মৃত্যুদিনও বটে) পয়লা জুলাই তারিখে চিকিৎসক দিবস। ১৯৯১ সালে ভারত সরকার এই দিনটিকে চিকিৎসক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
সম্ভবত পৃথিবীতে প্রথম, চিকিৎসক দিবস পালন শুরু করা হয় আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯৩৩ সালের ৩০শে মার্চ থেকে।  সেই তারিখটা বেছে নেওয়া হয়েছিল কারওর জন্মদিন বলে নয়। সুদূর ১৮৪২ সালের ৩০শে মার্চ শল্য চিকিৎসায় প্রথম ইথার অ্যানেস্থেসিয়া ব্যবহার করেছিলেন ডাঃ ক্রফোর্ড ডব্লিউ লং। সেই দিনটিকেই তাঁরা বেছেছিলেন। উদ্দেশ্য ডাক্তারি পেশাটাকে সম্মান জানানো। যাঁরা রোগে আর্তদের নিরলস সেবা দেন, এগিয়ে চলা আধুনিক চিকিৎসা জ্ঞানের আলোয় সারিয়ে তোলেন তাঁদের কে কার্ড বা ছোটো উপহার কিম্বা সংবর্ধনা ইত্যাদি দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ইত্যাদি ছিল এই দিনের উদ্দেশ্য।
ব্রাজিলে চিকিৎসক দিবস হচ্ছে ১৮ই অক্টোবর, যা’ হল সেন্ট লুক যিনি আদতে এক  চিকিৎসক  ছিলেন, তাঁর জন্মদিন।
কিউবা, আর্জেন্তিনা, স্পেনের মতো আরও কিছু স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলা দেশের চিকিৎসক দিবস হল ৩রা ডিসেম্বর। ডাঃ কার্লোস জুয়ান ফিনলের জন্মদিন। তিনি ইয়েলো ফিভার নামের প্রাণঘাতী রোগের জীবাণুর বাহক হিসেবে মশাকে চিহ্নিত করেন। দীর্ঘদিন অবহেলিত হবার পর তাঁর কাজটি স্বীকৃত হয় আর তার ফলেই বিশ্ব মানচিত্রের বিশাল এক এলাকা থেকে এই রোগকে নির্মূল করা সম্ভব হয়েছিল।
কানাডার চিকিৎসক দিবস পয়লা মে। সেদেশের প্রথম মহিলা চিকিৎসক ডাঃ এমিলি স্টোয়ের জন্মদিন সেটি।
ভিয়েতনামে ২৭শে ফেব্রুয়ারি জনস্বাস্থ্য কর্মীদের স্বীকৃতি দিতে এই দিবস পালিত হয়।
ইরান ২৩শে আগস্ট আভিসেন্না বলে এক মধ্যযুগীয় চিকিৎসা পণ্ডিতের জন্মদিনে চিকিৎসক দিবস পালন করে। এই রকমের বিভিন্ন তারিখে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন কারণে চিকিৎসক দিবস পালিত হয়।
অনেক দেশে আবার আন্তর্জাতিক চিকিৎসক দিবস আর চিকিৎসকদের সংহতিদিবস বলে পালিত হয় অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবারটি।
এ’বার আবার নিজের দেশে ফিরি। আজ  চিকিৎসক দিবসে কী কী করা হবে সারা দিনে? রোগীদের বা সাধারণ মানুষের তরফে সম্মাননা, কার্ড দেওয়া বা ওইরকম কিছু, আমার চিকিৎসক জীবনে পাইনি। কেউ পেলে তা বিরল সৌভাগ্য বলেই ভাবব। তবে হ্যাঁ, ওষুধ কোম্পানির ছেলেরা মেসেজ করবেন, কেউ কেউ কার্ডও দিয়ে যাবেন। কেউ জাগতিক কোনও গিফট। মানে তাঁদের কোম্পানি, তাঁদের যা যা করতে বলেছে। এই একদিনে এই ভাবেই ব্যবসায়িক কারণে ইনবক্স উপচে পড়বে ডাক্তারদের।
চিকিৎসকদের সংগঠন এই দিনে বিধান রায়ের ছবিতে মালা চড়িয়ে, ধূপ জ্বালিয়ে, নানা ভাষণ দিয়ে, নিজেদের পিঠ নিজেরা চাপড়াবেন। কোথাও তাঁরা রোগীদের জন্য বছরে এই এক দিন ফ্রি ক্যাম্প করবেন, রক্তদান শিবির হবে সংগঠনের উদ্যোগে। ব্যাস, চিকিৎসক দিবস শেষ।
আর সেই লোকটা, মানে সেই ছেলেটা কী করবে? যে সত্তর দশকের শুরুতে ডাক্তারি পড়তে ঢুকেছিল? একবারও ফেল না করে সেই ছেলে নির্ধারিত সময়ের আড়াই বছর পরে ডাক্তারি পাশ করেছিল? পরীক্ষা খুব পিছিয়ে যেত সেই সময়ে। বাবা ছাপোষা কেরানি। বিলেত যাবার সুযোগ ছিল কি না খোঁজ নেয়নি সে। নিজের প্রাইভেট প্র্যাক্টিসের চাইতে সরকারি চাকরিকে নিরাপদ জ্ঞান করেছিল, সেই গড়পড়তা মধ্যমেধার ছেলেটার কী হল? অবসৃত হতে চেয়ে অপসৃত তার কথা পরে কোনওদিন সবিস্তার বলা যাবে এখন।
আজ বরং বলি তার বন্ধুদের কথা। তার আগে-পরে পাশ করা অনেক ডাক্তারদের কথা। হালে পাশ করা সন্তানপ্রতিম ডাক্তারদের কথা। তাদের কী হল? তারা এই চিকিৎসক দিবসে কে কোথায় কী করছে? কী পাচ্ছে?
দু’চার জন বিদেশে। বাকিরা প্রায় সবাই-ই দেশে। কেউ আছে একেবারে আটপৌরে নিজস্ব প্র্যাক্টিসে। কেউ প্র্যাক্টিসের সঙ্গে সরকারি চাকরি। কেউ আছে বেসরকারি হাসপাতালে। তার সঙ্গে প্র্যাক্টিস। রোগীরা বা রোগীর বাড়ির লোকেরা তাদেরকে আজকের দিনে খুব সমাদর, যত্ন সম্মান এই সবে ভরিয়ে দিল কি? না, দেয়নি। ব্যবসায়ীকে কেউ দেয় নাকি ওইসব! যতই গালভরা নাম দাও। চিকিৎসক দিবস! হুঃ...। ডাক্তারি ব্যাপারটাই আসলে ব্যবসা। ডাক্তারি পাশ করার আগে ছাত্র ভাবত সে চিকিৎসাবিজ্ঞানী হবে। পাশ করার পর ভাবত বিজ্ঞানী হওয়া গেল না। ঠিক আছে তাই। সে তবে চিকিৎসা বৃত্তিধারী হবে। আজ সে পাকেচক্রে সাফল্য পেয়েছে। সে আজ চিকিৎসা ব্যবসায়ী। যেমন আইন ব্যবসায়ী, অস্ত্র ব্যবসায়ী ইত্যাদি।  প্রশ্নটা অনেক পুরনো।
প্রাইভেট হাসপাতালের ব্যাপারটা অবশ্যই ব্যবসা। মুখে বললেও… না বললেও। মানবিকতা জিনিসটা খায় না মাথায় দেয় ব্যবসা করার সময় মনে রাখতে গেলে চলে না। বিশেষ করে ব্যবসা যেখানে কর্পোরেট, সেখানে স্বচ্ছতার অবকাশ নেই। ঘোলা জলেই লাভের মাছ ধরার সুবিধে। তা এত ব্যবসা যেখানে সম্মান দেওয়ার অবকাশ কোথায়?
খেয়াল করে দেখবেন, হসপিটাল, হসপিটালিটি, শব্দগুলি একই উৎস থেকে আগত। যিনি হোটেল না খুলে হাসপাতাল খুলেছেন, বুঝতে হবে তিনি যথেষ্ট বুঝে শুনে লাভের কড়ির হিসেব করেই তা করেছেন। এই সহজ সত্যিটা ভুলে যাওয়ার ন্যাকামির কোনও মানে হয় না।
ব্যবসায়ী কর্তৃপক্ষ বোঝে শুধু নিজের মুনাফা। যে জানে কিছু মেধাবী চাকর (পড়ুন ডাক্তার) কে অন্যায় লভ্যাংশের কিছুটা ছিটিয়ে দিলেই কাজ চলে যায়। সেই চাকরকে রূঢ় অথচ মিষ্টি গলায় মাঝে মাঝে মনে করিয়ে দিতে হয় নতুন কেনা যন্ত্রপাতির প্রোজেক্টের ভায়েবিলিটি বজায় রাখার কথা।

Advertisment

কমিউনিকেশন না থাকার প্রশ্ন উঠেছে। কমিউনিকেশনই নেই। ডাক্তারির কথা ছেড়ে অন্য কথা বলি।

বলুন দেখি উকিল ব্যারিস্টাররা শামলা পড়ে বিশাল কালো প্রজাপতি সেজে আদালতের আনাচে কানাচে ওড়াউড়ি করেন কেন, এমনকী আমাদের মতো গরমের দেশেও? স্রেফ ইউনিফর্ম দেখিয়ে সম্ভাব্য মক্কেলদের থেকে একটা কাল্পনিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য, যাতে ঘাবড়ে দেওয়া যায়… আচমকা উঁচু দর বলতে কোনও অসুবিধে না হয়।
ডাক্তারিতেও তেমনই। ব্যবসার খাতিরেই কমিউনিকেশনটা কমিয়ে রাখা। একটা আপাত গাম্ভীর্য বজায় রাখা।
এমনিতেই বুদ্ধিউপজীবী আর শরীরউপজীবীদের একটা ব্যাপারে ভারি মিল। দু’ দলকেই নিজের দর নিজেকে ঘোষণা করতে হয়। চাহিদা অনুযায়ী, সুযোগ অনুযায়ী। ডিগ্রি কার কত সে যদি বিচার্য হত তা-ও একরকম বোঝা যেত। রাণাঘাটে একরকম ফি, কলকাতায় আর একরকম। এই খেলা তো হরবখত। আবার একই ডিগ্রির লোক নিজের প্রতিভা নিজেই বিচার করে বাজারদর (পড়ুন মক্কেলকে ভুল বোঝানোর সহনসীমা) ঠিক করে নিজের। একই এমডি। একই এমবিবিএস। কেউ দেড়শ’ কেউ পাঁচশ’। ফিজএর ওপর কোনও রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক নিয়ন্ত্রণ? না, নেই।
এখনকার অবস্থা আবার সেই চল্লিশ পঞ্চাশ বছর আগের থেকে অনেক বদলেছে। প্রতি বছর ব্যাচে ব্যাচে অনেক ছেলেমেয়েরা ডাক্তারি পাশ করছে। হায়ার সেকেন্ডারির রেজাল্ট বেরুলে ভাল রেজাল্ট করা ছেলেমেয়েরা গ্রামের মানুষের, গরিব মানুষের, এই পোড়া দেশের সেবা করার জন্য ডাক্তারি পড়বে বলছে। নাঃ, অনেক টাকা করবে, এই কথা একজনও বলছে না।
প্রথম যৌবনের সেই স্বপ্নকথা ভরা ফানুস পুড়ে যাচ্ছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনের বটল নেকে আটকে। ‘প্লেন এমবিবিএস’এর কদর কমেছে। চাই বিলিতি নইলে নিদেনপক্ষে ডিএম, এমসিএইচ অন্তত এমডি, এমএসএর তকমা। তদ্দিনে জীবনধারণের তাগিদে সে নার্সিং হোমের ঘণ্টাপিছু টাকার হিসেব শিখেছে। বছরে বছরে লাফ দিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা। সেই অনুপাতে ডাক্তারের সংখ্যা বাড়ছে না। যা-ও বা বাড়ছে, তারা সঠিক অনুপাতে গ্রামের দিকে যাচ্ছে না।

লাভ লোকসানের জটিল অঙ্কে জড়িয়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্ত কারুবাসনা।
বহুদিন ধরেই আবার বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে পঞ্চাশ লাখ থেকে এক কোটি টাকা খরচ করে সিট কেনা যায়। পাশও করা যায়। পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে আরও দু’এক কোটি। ম্যানেজমেন্ট কোটার মাহাত্ম্যকথা ব্যবসায়ীরা সবাই জানে। আপনি কোনওদিন চিকিৎসক কোত্থেকে পাশ করেছেন, জিজ্ঞেস করার সাহস পাননি। ডাক্তারি ডিগ্রি হাসিল করা যায় বিদেশি মেডিকেল কলেজ থেকেও। সবই টাকার খেলা। তো এত যে টাকা খরচ হল জীবনের শুরুতেই, সেই টাকা তুলে তবে না লাভের মুখ দেখা যাবে। কাজেই প্রথম থেকেই বাছারা…।
নাঃ, আজকের পুণ্য দিনে সেই সব টাকা তোলার  প্রকরণের কথা আলোচনা করব না। কিন্তু আমি আলোচনা না- করলেও সবাই জানে। পাড়ার সবাই। তাই পাড়ার ডাক্তারবাবুকে সম্মান দেখানোর প্রশ্নটা তোলাই অন্যায়। আর বেপাড়ার ডাক্তার আর কর্পোরেটের ডাক্তার? প্রশ্নই ওঠে না।
বেশির ভাগই ওই রকম নয়? হবে হয় তো। ‘অগ্নীশ্বর’ বলে একটা সিনেমা দেখেছিলেন ছোটোবেলায়। আপনার পাড়ার ডাক্তারবাবুটিও ওই রকমেরই হয়তো। সরকারি হাসপাতালের দিনরাত এক করে কাজ করতে থাকা অসংখ্য ডাক্তারকে আপনি দেখেছেন।
কিন্তু বিশ্বাস করতে, মানতে… মন চায় না। পারচেজেবল কমোডিটি। পয়সা থাকলে তবেই চিকিৎসা কেনা যায়। আইন সে’রকমই বলে দিয়েছে। কনজিউমার ফোরামের খাঁচায় পুরে দেওয়া হয়েছে প্রফেশনটাকে। ডাক্তার বাঁচার জন্য মোটা অঙ্কের বীমা করেছে। তার প্রিমিয়াম হয় তো উঠছে রোগীর চিকিৎসা, ওষুধ, আর ল্যাবরেটরির বিল থেকে। এই অবিশ্বাসের আবহে সম্মান বা আদরের জায়গা কোথায়!
একটু ফাঁকা লোকাল ট্রেনে গলা চড়িয়ে ক্লাস ফোর ফাইভের একটা অঙ্ক জিজ্ঞেস করুন। উত্তর পাবেন না। সবাই আপনাকে পাগল ভাববে। কিন্তু একটা অসুখের কথা বলুন। কামরার এ’মাথা থেকে ও’মাথা সবাই কিছু না কিছু জানে চিকিৎসা ব্যাপারটার। একটু শিক্ষিতরা অসুখে ডাক্তারের কাছে যাবার আগে ডঃ গুগলকে জিজ্ঞেস করে স্বয়ং শিক্ষিত হয়ে তবেই যায়। ডাক্তারও তার ‘এভিডেন্স বেসড্’ মেডিসিনের এভিডেন্স খুঁজছে আপনাকে ল্যাবে পাঠিয়ে। সার্জনকে খুঁজে বার করছে, টোপ দিচ্ছে অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত দালাল বাহিনী। অপরিষ্কার টাকার খেলার এ এক জব্বর গোলোকধাঁধা বটে।
তা’ সত্ত্বেও আমরা মানে বোকা চিকিৎসাকামীরা আর চিকিৎসাকর্মীরা এক অলীক দিনের স্বপ্ন (আজ্ঞে হ্যাঁ, স্বপ্নই) দেখব। যেখানে চিকিৎসক তার সত্যিকারের মর্যাদাপূর্ণ কাজের জন্য (হ্যাঁ কাজই, ‘সেবা’ নয়)  সমাদৃত হবে এই দিনে। সেই ‘চিকিৎসক দিবস’ এর স্বপ্নটা আমরা দেখেই চলব। অর্থাৎ,

স্বপন যদি মধুর এমন, হোক সে মিছে কল্পনা…
জাগিয়ো না আমায় জাগিয়ো না।

doctors day bidhan chandra roy
Advertisment