Advertisment

গুরুগিরি: বাঙালি ও ভারতীয়দের ঐতিহ্য

কেউ জেল খাটে। কেউ দেশ ছেড়ে পালায়। তার আগেই অবশ্য যা হওয়ার হয়ে যায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
গুরুগিরি: বাঙালি ও ভারতীয়দের ঐতিহ্য

অলংকরণ- অভিজিত বিশ্বাস

দেশের পুলিশ তাঁকে খুঁজছে। বহু অপরাধ ও বিতর্কের জনক। সে হোক, এই মুহূর্তে গুরুগিরির বাজার বেশ গরম করে রেখেছেন ইনি। স্বামী নিত্যানন্দ। নারী ও শিশুদের প্রতি রীতিমতো যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে তামিলনাড়ুর এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে। নিজের স্ত্রীকে খুন করেছেন, এহেন অভিযোগে এফআইআর করেন তাঁর শ্বশুর। ধর্ম-কর্ম, যাগযজ্ঞ, ধ্যান-সাধনার ছলে বিস্তৃত তাঁর চক্র। তাঁর শিষ্যদের বক্তব্য, তিনি গরুকে তামিল ও সংস্কৃত ভাষায় কথা বলাতে সক্ষম। তাঁদের আরও দাবি, ইনি নাকি এতটাই ক্ষমতাসম্পন্ন যে কয়েকজন অন্ধকে তৃতীয় নয়নও দিয়েছেন। শিষ্যরাই তো গুরু বানান। গুরু থেকে ভগবান। আপাতত দেশ থেকে পলাতক এই গুরুজি 'কৈলাশ' নামে নয়া হিন্দু রাষ্ট্র গঠন করে আরও একবার খবরের শিরোনামে।

Advertisment

আমাদের শৈশবে এত গুরুবাদের রমরমা দেখিনি। বাবা-মায়ের পর শিক্ষকই গুরু, এমনটাই আমাদের শেখানো হতো। প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম, গৌড়ীয় মঠ ইত্যাদি সংস্থায় দীক্ষিত হতেন অনেকেই। তবে তাতেও এত বাহুল্য ছিল না। অনেকেই হয়তো ধর্মাচরণ, সমস্যা-সংকটে পড়ে বা নিছক শান্তিলাভের আশায় গুরুর শরণাপন্ন হতেন। কিন্তু এই গুরুদের খুব বেশি প্রচারের আলোয় আসতে দেখিনি। মোটামুটি ব্যক্তিগত স্তরেই যোগাযোগ হতো। একজনের মুখ  থেকে শুনে আর একজন হয়তো শিষ্যত্ব গ্রহণ করতেন। পারিবারিক ভাবেও গুরুরা ছিলেন। তবে, এও একপ্রকার ব্যক্তিগত চর্চার মধ্যেই পড়ে। বাড়িতে পূজার্চনা থেকে বিয়েশাদি এবং সমস্যা-সংকটে এঁরা গৃহস্থের সহায় হতেন। পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতেন।

আরও পড়ুন: জাতের নামে বজ্জাতি আর কতদিন?

গুরু প্রসঙ্গে তিনটি নাম একটু আলাদা করে বলবো। দুই সাঁইবাবা ও লোকনাথ ব্রহ্মচারী। প্রথমত সিরদির সাঁইবাবা। এঁকে ঘিরে এক বিরাট ভক্তকুল যেমন আছে। তেমনই ওঁকে নিয়ে সাহিত্য, লোককথা, সিনেমা, টিভি সিরিজ পর্যন্ত তৈরি হয়েছে। সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা বলেছেন উনি, যেখানে ধর্মের পাশাপাশি একটা সামাজিক বার্তাও মেলে। সত্য সাঁইবাবার আবির্ভাব অনেকটা পরে। ইনি নিজেকে সিরদির সাঁইবাবার অংশ বলে দাবি করেন। এনারও  বিপুল জনপ্রিয়তা। সঙ্গে বিতর্কও আছে। লোকনাথ ব্রহ্মচারীরও এক বিপুলসংখ্যক শিষ্যকুল আছে। তাঁকে নিয়েও তৈরি হয়েছে উপকথা, সিনেমা, টেলি সিরিজ। বলা বাহুল্য এই নামগুলিও আজ প্রতিষ্ঠানের সামিল। এঁদের মধ্যে সিরদির সাঁইবাবা ও লোকনাথ ব্রহ্মচারী পৃথিবী ত্যাগ করেছেন বহুদিন। ওঁদের অবস্থান আজ প্রায় পৌরাণিক স্তরে। তুলনায় সত্য সাঁইবাবার আবির্ভাব ও প্রয়াণ অনেক পরে। তিনি প্রয়াত হন ২০১১ সালে। অর্থাৎ প্রচার মাধ্যমের দাক্ষিণ্য অনেকটাই পেয়েছেন ইনি।

এঁদের সময় বা এঁদের আগে-পরে এমন অনেক আধ্যাত্মিক গুরুর নাম পাওয়া যায়, যাঁদের অবদান হয়তো কোথাও কোনও অংশে কম নয়। কিন্তু আড়ালেই থেকে গেছেন চিরকাল। শিষ্যকুল ব্যতীত আম জনতা সেভাবে এঁদের চেনে না বললেই চলে। দেখা যায়, যাঁদের ঘিরে এক প্রাতিষ্ঠানিক আবর্ত সৃষ্ট হয় জনপ্রিয়তার শীর্ষে যান তাঁরাই। সেখানে মিডিয়ার ভূমিকা বৃহৎ। নিছক অঞ্চল বা সম্প্রদায় ভিত্তিক, বংশ পরম্পরায় শিষ্যত্ব গ্রহণে এটা সম্ভব নয়। এটা পুরোপুরি সাংগঠনিক একটি পরিকাঠামো। এই পরিকাঠামো ও পরিমণ্ডল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কেউ কেউ শুধু জনপ্রিয় হয়েই খুশি থাকেন। বলা ভালো ছিলেন। এখন আরও চাই। এখনকার ওই গুরুরা ত্যাগ নয় ভোগের আদর্শে বিশ্বাসী।

সাধারণ মানুষ থেকে 'গুরু' , তারপর গুরু থেকে ভগবান হয়ে ওঠা। আমাদের চোখের সামনে একেবারে প্রচার ও বিপণনের অঙ্ক মেনে প্রথম যাঁকে এমন গুরু থেকে জ্যান্ত ভগবান হয়ে উঠতে দেখলাম, তিনি বালক ব্রহ্মচারী। তাঁকে ঘিরে এক সময় সমগ্র রাজ্যে এক প্রবল পাগলামির ঝড় বয়ে গিয়েছিল। ধর্ম ও রাজনীতির বেশ মাখো মাখো এক ব্লেন্ডিং দেখেছিলাম এই রাজ্যে সেই প্রথম। গুরুরা যে বেশ রসেবশে থাকেন সেটাও চোখের সামনে প্রথম দেখা। যাই হোক ওঁর মৃত্যু ঘিরে ওঁর শিষ্যকুলের চূড়ান্ত পাগলামি বা নাটকের বিতর্কে শেষ হয় এই ধর্মগুরুর গুরুগিরির অধ্যায়। 'আমরা বাঙালি', 'রাম নারায়ণ রাম' ইত্যাকার পোস্টার, দেওয়াল লিখন হারিয়ে গেছে বাঙালির স্মৃতি থেকে।

কলকাতা যদি সত্যিই সাইকেল বান্ধব হয়ে ওঠে!

জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে এরপরই বেশ জমকালো ভাবে যে নামটি মনে আসছে, তিনি আচার্য রজনীশ। ইনিও আধ্যাত্মিক গুরু থেকে ভগবান হয়ে ওঠেন দ্রুত। বিশাল সংখ্যক তো বটেই তাবড় ধনী মানুষজন থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রের সেলিব্রিটির দল রজনীশকে ঘিরে এমন এক বলয় তৈরি করে, যেখানে অর্থ, প্রভাব, প্রতিপত্তি, যৌনতা থেকে অপরাধ কিছুই বাকি নেই। প্রসঙ্গত, এই গুরু থুড়ি ভগবানগণের সকলেই বেশ আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী। অসাধারণ বাচনভঙ্গি। লোকজনকে মুগ্ধ করার যাবতীয় গুণ (বা দোষ) নিয়েই জন্মেছেন ওঁরা। ব্র্যান্ড রজনীশ এক্ষেত্রে সকলকে ছাড়িয়ে যান তাঁর গুরুগিরির শুরুতেই। অন্যদের মতো বাকি গুণগুলির পাশাপাশি তাঁর মধ্যে ছিল ক্ষুরধার বুদ্ধি, বিভিন্ন বিষয়ে পাণ্ডিত্য, ধর্ম ও দর্শন নিয়ে জ্ঞান, সামাজিক ও রাজনৈতিক বোধ।

খুব তাড়াতাড়ি স্বদেশে, বিদেশে সর্বত্র  নামী-দামি লোকজন তাঁর আকর্ষণের আগুনে পতঙ্গের মতো ঝাঁপ দেয় একটা সময় । তাঁকে ঘিরে আর বেশি বিস্তারে না গিয়ে এটা বলা যায়, পরম শক্তিশালী মার্কিন প্রশাসনের পর্যন্ত ঘুম ছুটে গিয়েছিল একদা রজনীশের শিষ্যকুলকৃত অপরাধের মোকাবিলা করতে গিয়ে। একটা সময়ের পর আমেরিকা ছাড়তে হয় তাঁকে। একই সঙ্গে সেসময় বিশ্বের ২১টি দেশ অস্বীকৃত হয় রজনীশকে নাগরিকত্ব প্রদানে। অগত্যা দেশে প্রত্যাবর্তন। পুনের আশ্রমে গুছিয়ে বসা, আজ যা 'ওশো' নামে সারা বিশ্বে খ্যাত। এখন এই ব্র্যান্ডেই ভগবান রজনীশের জীবন, বাণী বা বিতর্ক যেটাই বলি প্রচারিত সর্বত্র। পুনের এই আশ্রমেই প্রয়াত হন রজনীশ। গুরু হিসেবে তিনি যে বেশ রঙিন, রহস্যময় ও চমকপ্রদ এক ভাবমূর্তি তৈরি করেছিলেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই, নিন্দুকেরা যাই বলুক। গুরু-সংস্কৃতির সঙ্গে অর্থের প্রাচুর্য ব্যাপারটির মেলবন্ধনও ব্যাপক হারে ঘটে তাঁর সময় থেকেই।

এদেশে ধর্মের রাজনীতি নতুন নয়। কিন্তু একেবারে কর্পোরেট আকারে এর শ্রীবৃদ্ধির সঙ্গে এই 'গুরু'সংস্কৃতির রমরমা যে প্রবলভাবে সম্পৃ্ক্ত, সেটা সহজেই বোঝা যায়। জীবনযাপন যত অন্তঃসারশূন্য হয়ে যাচ্ছে, ততই আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছে মানুষ। আর তত এমন কাউকে আঁকড়ে ধরতে চাইছে সে, যার হাতে আছে সব সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি। গুরুতন্ত্র আমাদের সেই অধরা প্রাপ্তির সোনার হরিণ সামনে রেখে এক বিস্তৃত নেটওয়ার্ক তৈরি করে। দেশ-বিদেশে পসার বাড়ে গুরুদের। তারপর কখন যেন গুরুরা ভগবান হয়ে ওঠেন। আমরা সভা-সমিতি থেকে রেডিও, টিভি সর্বত্র তাঁদের বাণী শুনি। বাণীর রেকর্ডও কিনতে পাওয়া যায় । সেটা নাকি আবার ম্যাজিকের মতো কাজ করে।

গুপ্তচরবৃত্তিতে সহায়তা করেছিল কে?

শুরুতে যত্রতত্র দেখা পেলেও কর্পোরেট স্তরে পৌঁছে যাওয়ার পর এই গুরুদের কাছে যেতে রীতিমতো অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয় শুনেছি। তখন আর আম নয়, খাস জনতাই আসর আলো করে গুরুবাদকে প্রচারের শিরোনামে নিয়ে আসে। সম্পদশালী ও প্রভাবশালী মানুষজন শিষ্যত্ব গ্রহণ করে। কী পরিমাণ অর্থের বিনিময় বা বিনিয়োগ ঘটে একালের এই এক-একজন গুরুকে কেন্দ্র করে, তা এক বাবা রামদেবকে দিয়েই তো বোঝা যায়। নিজেকে শুধু আধ্যাত্মিক নয় যোগগুরুও বলেন তিনি। সেই যোগ বা অধ্যাত্মবাদের পথ ধরেই একটি পণ্যের বিপুল আকারে ব্র্যান্ডিং করে ফেললেন রামদেব। আজ শহরে ও গ্রামে-গঞ্জে চলতে ফিরতে চোখে পড়ে তাঁর পণ্যের চেন শপ। মাল্টিপ্লেক্সগুলিতে পর্যন্ত শো-রুম আছে এই ব্র্যান্ডের। প্রসাধনী ও রূপচর্চা থেকে খাদ্যবস্তু, কী নেই সেখানে! শোনা যায় একটি দ্বীপের মালিক তিনি। কী পরিমাণ অর্থ গুরুগিরির আনুকূল্যে ভাণ্ডারে এসেছে তাঁর বুঝুন তাহলে।

প্রচ্ছন্নভাবে হলেও এই গুরুদের রাজনৈতিক সংযোগ এখন অতি স্পষ্ট। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে শ্রী শ্রী রবিশঙ্করজি'র যোগাযোগ এক সময় যথেষ্ট বিতর্ক রচনা করেছিল। যদিও অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে অতি দ্রুত তিনি এই বিতর্ক মুছে ফেলেন। একজন আধ্যাত্মিক গুরুর ভাবমূর্তি রক্ষার ক্ষেত্রে ঠিক যে পরিমান পেশাদারি মানসিকতা থাকা প্রয়োজন, সেটা যথেষ্টই আছে ওঁর মধ্যে। ফলে বিতর্ক দানা বাঁধার আগেই মুছে ফেলতে সক্ষম হন রবিশঙ্করজি। বলাই বাহুল্য ওঁর 'আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশন' ঠিক এই নিরিখেই একশো ভাগ কর্পোরেট। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে  সম্পর্ক স্থাপনার জন্য রীতিমতো পৃথক জনসংযোগ  বিভাগ রয়েছে এই সংস্থার। খুবই সুষ্ঠু ও সুগঠিত পথে কাজ করে রবিশঙ্করজি'র 'আর্ট অফ লিভিং'। সেখানে গিয়ে লোকজন উপকৃত বলেও শোনা যায়। দেশবিদেশ জুড়ে নিজের চূড়ান্ত এক গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছেন। প্রশ্ন, একটাই তাঁর ভক্তরা সমাজের কোন স্তরের প্রতিনিধি ? তারাই, যারা কর্পোরেট কালচারের সঙ্গে পরিচিত। তাঁর ভাবনা, দর্শন ও শিক্ষণ পদ্ধতি অনুসরণ করে কে কতটা আধ্যাত্মিক উত্তরণে পৌঁছেছেন জানি না। তবে, শরীর ও মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে একশ্রেণীর মানুষ নিঃসন্দেহে উপকৃত হয়েছেন। উপকৃত তিনিও। এক বিস্তৃত নেটওয়ার্ক জুড়ে তাঁর প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড চলে। যার আর্থিক মূল্যও সেই অনুপাতেই ঈর্ষণীয়।

ধর্ষণ, মৃত্যুদণ্ড, খাপ পঞ্চায়েত কালচার

আধ্যাত্মিক উত্তরণে পৌঁছনোর তাগিদ না স্থূল জীবনচর্চার উপকরণ লাভ , উদ্দেশ্যের জায়গাটাই গুলিয়ে গেছে আজ। গুরু নির্বাচন করতেও  বিপুল পরিমান পরিণতমনস্ক ভাবনার প্রয়োজন। আমরা সেটা পারি না বলেই মাথায় যে কেউ এসে কাঁঠাল ভেঙে চলে যায়। আজকের এই আধ্যাত্মিক গুরু, যাঁরা বার বার বিতর্কের শিরোনামে, আর্থিক কেলেঙ্কারি থেকে নারী নির্যাতন , কিছুই বাদ দেয়না এরা। এরা কি করে কাউকে পথ দেখাবে ? এক্ষেত্রে যে কুখ্যাত নামটি উল্লেখ না করলেই নয়, সে হলো আশারাম বাপু। একটা সময় চূড়ান্ত সাড়া ফেলে দিয়েছিল এই স্বঘোষিত গুরু । আন্তর্জাতিক স্তরে জাল ছড়িয়ে, রাজনীতির অন্দরে-কন্দরে ছক্কা-পাঞ্জা খেলে এখন জেল খাটছে  এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অপরাধে ।

কেউ জেল খাটে। কেউ দেশ ছেড়ে পালায়। তার আগেই অবশ্য যা হওয়ার হয়ে যায়। লোকজন আজকাল আর গুরুকে কলাটা-মুলোটা দিয়ে কাজ সারে না। গুরুরাও এত সহজে বাণী থুড়ি প্রসাদ বিতরণ করেন না। এখন টিকিট কেটে, গুরুদের নিরাপত্তার বেড়াজাল পার করে পৌঁছতে হয়। সেই গুরুর স্বরূপ প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত চোখে পট্টি বেঁধে বসে থাকে অগণিত হতভাগ্য মানুষ। এর সঙ্গে এখন আবার রাজনীতি, মিডিয়া ও টাকা লগ্নিকারক লোকজন জুটেছে। অর্থাৎ এই চক্রের বিনাশ নেই ততক্ষণ, যতক্ষণ সাধারণ মানুষ সচেতন হচ্ছে। ভক্তি আর অন্ধভক্তির মধ্যে ফারাক তাকেই নির্ধারণ করতে হবে। বাকিরা কিন্তু ওই পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙার পথ ধরেই চলছে, চলবে।

Advertisment