Advertisment

নারী ও চিকিৎসাবিজ্ঞান

মেয়েরা নিজেদের কষ্ট বা রোগলক্ষণের যে বিবরণ দেন, তাকেও অবিশ্বাস করার বা লঘু করে দেখার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় চিকিৎসক মহলেও। অনেক রোগের কারণ ধরতে না পেরে তাদেরকে বিশুদ্ধ মানসিক সমস্যা, এমনকি নাটক বলেও দাগিয়ে দেওয়া হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Womens Health

প্রতীকী ছবি

দুর্গাপূজা এল এবং গেল  বাৎসরিক নিয়মে। আবার আমরা শক্তির আরাধনায় মেতে উঠে দেবীর পূজা সারলাম। নারীকে শক্তি হিসেবে চিত্রিত করে প্যান্ডেল সাজালাম। সমাজে নারীর বাস্তব অবস্থানের তাতে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হল না, সেকথা সকলেই জানেন। আমরা আজ দেখতে চাইব, চিকিৎসা বিজ্ঞান নারীকে কেমন চোখে দেখেছে এবং নারীর বর্তমান অবস্থা নির্মাণে "মেডিক্যাল গেজ"-এর ভূমিকা কী? নারী-রূপে শক্তিপূজার প্রসঙ্গ থেকে যেহেতু শুরু হল, তাই উল্লেখ করা উচিত যে প্রাচীন চীনের চিকিৎসাশাস্ত্রে  শক্তির ('চি') প্রবাহ দিয়ে মানব শরীরের অবস্থাকে বোঝা হত। সেই পদ্ধতিতে পুরুষ ('ইয়াং') ছিল ধনাত্মক শক্তি আর নারী ('ঈন') ছিল ঋণাত্মক শক্তি। বলা বাহুল্য, এই ধনাত্মক ও ঋণাত্মক ঠিক আধুনিক তড়িৎবিদ্যার আধান বোঝাত না, বরং শক্তির বৃদ্ধি ও ঘাটতি বোঝাত। দুই নিকট প্রতিবেশী সভ্যতার (ভারত ও চীন) শক্তিচিন্তায় এই পার্থক্য লক্ষণীয়। বর্তমান প্রবন্ধের প্রেক্ষিতে সুপ্রাচীন চিকিৎসা ভাবনায় জননাঙ্গ পেরিয়ে শক্তির স্তরে নারী-পুরুষের বৈপরীত্যের ধারণাটি বিশেষভাবে কৌতূহলোদ্দীপক। তবে আজ আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকবে মূলত ইউরোপে, অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা আধুনিক হতে থাকার সময়টিতে।

Advertisment

আধুনিক মননের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হল সবকিছুকে কেটে-ছিঁড়ে বিশ্লেষণ করে বোঝার চেষ্টা। আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার প্রথম ও মাঝের দিকে এই ব্যাপারে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভূমিকা ছিল অগ্রপথিকের। এই যুগের বৈজ্ঞানিক দর্শনকে যথেষ্ট প্রভাবিত করেছিল শব ব্যবচ্ছেদের দ্বারা অ্যানাটমি চর্চার দ্বারা মানুষকে চামড়া ছাড়িয়ে অস্থিমজ্জায় বুঝে ফেলার পদ্ধতি। ভবিষ্যতে এই বিশ্লেষণের পদ্ধতি বদলেছে, কিন্তু মূল মনোভাব একই থেকেছে। বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখাতেও এরকম অন্তরভেদী বিশ্লেষণের  পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। ব্যবচ্ছেদভিত্তিক এই প্রচেষ্টাকে তাই বৈজ্ঞানিক আধুনিকতার হলমার্ক বলা যেতেই পারে।

আরও পড়ুন, ঋতু, নারী ও আমরা

শুধু বিজ্ঞানের দর্শনকেই নয়, সমাজ-দর্শনকেও প্রভাবিত করেছে চিকিৎসাবিজ্ঞান। একইভাবে সে নিজেও প্রভাবিত হয়েছে সামাজিক ভাবনা এবং বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার ধ্যানধারণার দ্বারা। এই পারস্পরিক সম্পর্ক ও চিন্তার সামগ্রিক বিবর্তনের ইতিহাসটি দীর্ঘ ও জটিল। আমরা শুধুমাত্র এর লিঙ্গায়িত দিকটিকে দেখব। দুটি মূল সমস্যার কথা প্রথমে বলা দরকার।

প্রথমত, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান জগতে সাদা-কালোর মতো দ্বৈততাকে (binary) ধ্রুব ধরে নিয়ে বহু বিষয়কে দুটি বিপরীত মেরুর সাহায্যে ব্যাখ্যা করেছে। সেই কারণেই মানুষের উচ্চতা, ওজন, দেহের তাপমাত্রা, রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের পরিমাণ ইত্যাদি অনেককিছুই বাস্তবে একটি দীর্ঘ ছেদহীন 'কন্টিনিউয়াম' হলেও পরিমাপযোগ্য সবকিছুর জন্য নর্মাল বনাম অ্যাবনর্মালের একটা সুনির্দিষ্ট (যেন দৈবনির্দিষ্ট) বিভাজন-রেখা টেনে দেওয়া হয়েছে। এভাবেই পুরুষ ও নারীকে দুটি আদর্শ বিপরীত হিসেবে গঠন করা এবং তাদের যাবতীয় লক্ষণের (শারীরিক, মানসিক, সামাজিক) মধ্যে অলঙ্ঘ্যনীয় বেড়া বেঁধে দেওয়া ছিল এই প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

দ্বিতীয়ত, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষা ও গবেষণা পদ্ধতি অনেকাংশে লিঙ্গায়িত (sexualized), যা বিষয় (subject) কে বস্তু (object)-এ, বস্তু বা অব্জেক্টকে নারীতে এবং নারীকে বস্তুতে পরিণত করে। এভাবে আধুনিক চিকিৎসার দৃষ্টি (medical gaze) যেন পুরুষের চোখে (male gaze) পরিণত হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে শব ব্যবচ্ছেদের কথাই ভাবা যাক। আগেকার দিনে মানুষের শরীরে সুস্থতা ও বিবিধ রোগের বাহ্যিক লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে রোগনির্ণয়ের চেষ্টা চলত। আধুনিক চিকিৎসা শরীরের বর্ম ভেদ করে তার ভিতর প্রবেশ করে নিজের ইচ্ছেমতো তাকে নেড়েচেড়ে, কেটেছেঁটে দেখে ও জেনে নিতে চায়। তারই প্রথম ধাপ ব্যবচ্ছেদ শিক্ষা। এক আদ্যন্ত নিষ্ক্রিয় ও নির্বিরোধী (paasive) বস্তুপিণ্ডবৎ শুয়ে থাকে শব আর সার্জেনের ছুরি তার খোলস ছাড়াতে ছাড়াতে ভেতরে প্রবেশ করতে থাকে। নারীবাদী তাত্ত্বিকেরা চিকিৎসাবিজ্ঞানীর এই পদ্ধতিকে বলেছেন পুরুষের যৌনতার মতো অনুপ্রবেশকামী (penetrative) আর ব্যবচ্ছিন্ন শবের অবস্থানকে তুলনা করেছেন পিতৃতান্ত্রিক সমাজে তথা শয্যায় নারীর ইচ্ছা-অনিচ্ছাহীন, অংশগ্রহণ বা প্রতিরোধহীন, স্বকীয়তা হারানো 'প্যাসিভ' অবস্থার সঙ্গে।

এই তুলনাকে রাজনৈতিক বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে, কিন্তু বহুসংখ্যক বাস্তব উদাহরণের ভিত্তিতেই এই তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা রচিত হয়েছে। অষ্টাদশ বা ঊনবিংশ শতকের অ্যানাটমি শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত পুরুষ ও নারীদেহের চিত্রায়ণ মনোযোগ সহকারে দেখলেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়। চিত্রের পুরুষেরা দণ্ডায়মান, পেশীবহুল। মহিলারা অর্ধশায়িত, আত্মসমর্পণের ভঙ্গিমায়। নারীদেহের মূর্তিগুলিও সেই ভঙ্গিতে। উপরন্ত দর্শক বা শিক্ষার্থী সেই দেহগুলিকে খুলতে পারেন, তাদের ভেতরে প্রবেশ করে তাদের জননাঙ্গগুলি হাতে করে বের করে আনতে পারেন, যে ব্যবস্থা পুরুষ মূর্তিতে নেই। একটি বিখ্যাত জার্মান চিত্রে দেখা যায় ডিসেকশন টেবিলে শুয়ে আছে দীর্ঘকেশী পীনস্তনী এক নারীর শব। তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে এক প্রখ্যাত অ্যানাটমি অধ্যাপকের নেতৃত্বে একদল পুরুষ। একজন ব্যবচ্ছেদ শুরু করেছেন। ছুরি দিয়ে চেঁছে ঠিক স্তনের উপর থেকে তিনি তুলে ধরেছেন মসলিনের মতো ফিনফিনে ত্বকের এক স্তর… যেন ঘোমটা সরানো হচ্ছে, বৈজ্ঞানিকভাবে নগ্ন করা হচ্ছে রমণীয় রহস্যকে। পারীর চিকিৎসাবিজ্ঞান বিভাগে এক নগ্নবক্ষা নারীমূর্তি নিজের মুখ থেকে উড়নি সরাচ্ছে। তার সামনে লেখা, "বিজ্ঞানের সামনে নিজের নির্মোক মোচন করছে প্রকৃতি।"

নারীত্বকে প্রকৃতি এবং পৌরুষকে কৃষ্টি ও বিজ্ঞানের সঙ্গে এক করে ভাবার প্রবণতা আধুনিক হতে থাকা বিজ্ঞান, সমাজদর্শন, কাব্যের সর্বত্র। চিকিৎসাবিজ্ঞানেও এই ভাবনার প্রভাব বিস্তর। চিকিৎসাবিজ্ঞান ধরে নিয়েছে যে প্রকৃতির মতোই নারীকে বুঝে ফেলার এবং তার ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার বিজ্ঞানের (পুরুষের) আছে। উপরন্তু এই সময়ে যুক্তিবাদী (rationalist) শিবিরের যোদ্ধারা ধর্ম ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়ার তাগিদে যুক্তিহীনতা, আবেগপ্রবণতা, অন্ধ বিশ্বাস ইত্যাদিকে নারীর সহজাত বৈশিষ্ট্য হিসেবে চিহ্নিত করে নারীর সামাজিক অবস্থানের চূড়ান্ত অবনমন ঘটান। এই মনোভাবের প্রভাব চিকিৎসায় পড়েছিল। প্রসবের কাজে দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ধাত্রীদের উপর আস্থা হারায় ইউরোপ এবং তার উপনিবেশগুলি। আধুনিকতর পদ্ধতি ও প্রযুক্তিতে এই ধাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেবার বদলে পুরুষ সার্জনদের উপরেই ভরসা রাখতে শিখলেন সকলে, এমনকি স্বাভাবিক প্রসবের জন্যেও। সন্তানপালনেও মায়ের বুদ্ধি-বিবেচনায় ভরসা না রেখে বাবাদের নজরদারি করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আবার নারীর বুদ্ধিবৃত্তি সম্বন্ধে এই মনোভাবকে ন্যায্য প্রমাণ করতেও চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। পুরুষের মস্তিষ্ক নারীর তুলনায় বড়, পুরুষেরা মস্তিষ্কের বামদিক বেশি ব্যবহার করে (যা ভাষা, গণিত, যুক্তি ইত্যাদির কারখানা) আর মেয়েরা ব্যবহার করে ডানদিক (যা সঙ্গীত, শিল্প, অনুভূতি  ইত্যাদির আধার)... এরকম অজস্র আধা-বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের জন্ম দিয়েছেন স্নায়ুবিজ্ঞানীরা, যেন নারী-পুরুষের মগজ সম্বন্ধে পিতৃতান্ত্রিক যুক্তিবাদের অন্ধ বিশ্বাসকে সত্য প্রমাণ করার তাগিদেই।                                                    

পুরুষ ও নারীকে সর্বক্ষেত্রে দুই বিপরীত মেরু হিসেবে ভাবার (আধুনিক) প্রচেষ্টার আগে পর্যন্ত নারী-পুরুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভূমিকার মধ্যে বেশ কিছু মিল বা 'ওভারল্যাপ' ছিল। অষ্টাদশ শতকে ক্যাবানিস প্রমুখ চিকিৎসাবিজ্ঞান লেখকেরা নারীর শারীরিক (পেশীগত) দুর্বলতা, গর্ভধারণের উপযোগী শারীরিক গঠন ইত্যাদিকে চিহ্নিত করে ঘোষণা করলেন প্রকৃতি নারীকে নির্দিষ্ট কিছু কাজের জন্যই গড়েছেন এবং অন্যান্য কাজ তাঁদের উপযুক্ত নয়। মানুষের স্বাস্থ্যের উপর পরিবেশগত প্রভাবের প্রমাণ পাওয়ার পর স্বাস্থ্য ও প্রজননের স্বার্থে অধিকাংশ ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নারীর প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়ে গেল। এভাবে নারী-পুরুষের আর্থসামাজিক পার্থক্যকে বিপুলায়তন করে তোলার পিছনে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান এক নির্ণায়ক ভূমিকা নিয়েছে।

স্বাস্থ্যের অজুহাতে নারীর কর্মক্ষেত্রকে সংকুচিত করলেও প্রকৃত অর্থে নারী-স্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নতির জন্য সৎ প্রচেষ্টার অভাব বেশিরভাগ দেশের চিকিৎসা প্রকল্পের এক উল্লেখযোগ্য ব্যর্থতা। এর দায় শুধু সরকারের নয়, চিকিৎসাবিজ্ঞান নিজেই নারীর শরীর নিয়ে অবৈজ্ঞানিকভাবে ভেবেছে। নারী-পুরুষের পার্থক্য নির্মাণের সময় যেমন জননাঙ্গ পেরিয়ে সমগ্র সত্তাকেই ভিন্ন ভাবা হয়েছে, বাস্তব প্রায়োগিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে ঠিক তার বিপরীত। নারীদেহকে আলাদাভাবে বোঝার চেষ্টা সীমাবদ্ধ থেকেছে স্তন ও যৌনাঙ্গের মধ্যেই। নারীর শরীরে কোনো ওষুধের বিশেষ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া আছে কিনা, তার চর্চাও দীর্ঘদিন সীমাবদ্ধ থেকেছে যৌন স্বাস্থ্য এবং গর্ভকালে ভ্রূণের উপর তার কুপ্রভাবের গবেষণাতেই। বাকি সব ক্ষেত্রে পুরুষের উপর পরীক্ষিত চিকিৎসাকেই নারীর জন্য প্রযোজ্য ধরে নেওয়া হয়েছে যথেষ্ট গবেষণা ছাড়াই।

এমনকি মেয়েরা নিজেদের কষ্ট বা রোগলক্ষণের যে বিবরণ দেন, তাকেও অবিশ্বাস করার বা লঘু করে দেখার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় চিকিৎসক মহলেও। অনেক রোগের কারণ ধরতে না পেরে তাদেরকে বিশুদ্ধ মানসিক সমস্যা, এমনকি নাটক বলেও দাগিয়ে দেওয়া হয়। এভাবেই প্রচলিত হয়েছিল 'হিস্টেরিয়া' শব্দটি, যা এসেছে জরায়ুর গ্রীক প্রতিশব্দ 'হিস্টেরা' থেকে। প্রাচীন গ্রীকরা মনে করতেন জরায়ু মেয়েদের শরীরময় ঘুরে বেড়ায় এবং শ্বাসকষ্ট জাতীয় রোগের (hysterical suffocation)  সৃষ্টি কর। আধুনিক অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসায় হিস্টেরিয়া শব্দটি অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা আতঙ্কজনিত কিছু শারীরিক অনুভূতিকে বোঝানোর জন্য প্রচলিত হলেও মাইগ্রেনের মাথাব্যথা থেকে মৃগীরোগ অব্দি মহিলাদের অনেক সমস্যাকেই হিস্টেরিয়া বলে লঘু করার চেষ্টা হয়েছে তিন শতাব্দী ধরে।

এসব ক্ষেত্রে শুভ পরিবর্তন আসছে। হিস্টেরিয়া শব্দটি বাতিল হয়েছে। বদলে চালু হয়েছে কনভার্সন বা ডিসোসিয়েটিভ ডিজর্ডার, সোমাটাইজেশন ইত্যাদি নির্দিষ্ট লক্ষণভিত্তিক রোগের নাম, যা নারীপুরুষ নির্বিশেষে সমানভাবে প্রযোজ্য। বিভিন্ন রোগে বা পরিস্থিতিতে নারী শরীর পুরুষের থেকে আলাদা প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে, সেই সম্ভাবনা মেনে নেওয়া হয়েছে। নারীর রোগলক্ষণ বা অনুভূতি/ অভিজ্ঞতা ভিন্ন হলে তাকে উড়িয়ে না দিয়ে সম্মানের সঙ্গে নিরীক্ষণ করার প্রয়োজনীয়তা বুঝেছি আমরা। সমাজের সর্বস্তরে নারীস্বাস্থ্যের উন্নতি করার প্রচেষ্টাও শুরু হয়েছে নানা দেশে। নারী সম্বন্ধে প্রচলিত 'মেডিক্যাল মিথ'গুলিকে প্রশ্ন করার, প্রকৃত সত্যকে নতুন চোখে খুঁজে দেখার উদ্যোগও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই আরম্ভটি শুভ, কিন্তু বিগত কয়েক শতকের পাপস্খলন করতে চিকিৎসাবিজ্ঞান ও পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সকলকে কঠিন লড়াই লড়তে হবে আরও অনেকদিন।

(কৌশিক দত্ত আমরি হাসপাতালের চিকিৎসক, মতামত ব্যক্তিগত)

Jon O Swasthyo
Advertisment