/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/24/cats-2025-08-24-16-08-37.jpg)
মৃত সন্তানের কবরের পাশে সেলিনা!
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/24/erfr-2025-08-24-16-12-29.jpg)
সন্তানহারা মায়ের যন্ত্রণা!
অভিনেত্রী ও প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া সেলিনা জেটলি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক অধ্যায়ের কথা। ইনস্টাগ্রামে আবেগঘন পোস্টে জানালেন তাঁর নবজাতক পুত্র শমশেরকে হারানোর কাহিনি। জন্মগত বিরল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভূমিষ্ঠ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায় সেলিনার সদ্যোজাত সন্তান। একটি ছবি শেয়ার করেছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে সেলিনা তাঁর ছোট ছেলে আর্থারের সঙ্গে শমশেরের সমাধিস্থলে। হৃদয়বিদারক সেই মুহূর্ত সেলিনার ভক্তদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। সন্তানহারা মায়ের যন্ত্রণায় চোখে জল নেটিজেনদের।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/24/qwdewedw-2025-08-24-16-12-29.jpg)
কঠিন লড়াই
সেলিনা লিখেছেন, 'বাঁচাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। গর্ভে থাকা অবস্থায় আমার সন্তানের জন্য কিছুই করা সম্ভব ছিল না। কোনও ওষুধ নেই, কোনও অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা নেই। শুধু প্রার্থনা ও যন্ত্রণা নিয়ে সময় কাটিয়েছি।' মনের কষ্ট শেয়ার করে আরও লেখেন, 'এই ছবিতে আমাকে আর্থারের সঙ্গে দেখছেন। আমরা ওর যমজ ভাই শমশেরের কবরের পাশে। ১০ সেপ্টেম্বর আসছে, আর্থারের জন্মদিন। এই সময়ে মনে পড়ে যায় কতটা কঠিন পরিস্থিতিতে ওর জন্ম হয়েছিল।'
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/24/qwdwqedwdqw-2025-08-24-16-12-29.jpg)
যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায়
অভিনেত্রীর সংযোজন, ২০১৭ সালে যমজ সন্তানের গর্ভাবস্থাযতেই শমশেরের হার্টের জটিল সমস্যার কথা জানতে পারেন। গর্ভাবস্থার সময়ই সেলিনা বাবাকে হারান। একইসঙ্গে আরও এক কঠিন সত্য সামনে আসে। আর্থারের যমজ ভাই শমশের আক্রান্ত হয়েছে Hypoplastic Left Heart Syndrome (HLHS)এ। যেখানে হৃদপিণ্ডের বাদিক সঠিকভাবে গঠিত হয় না এবং রক্ত সঞ্চালন কার্যকর হয় না। দুবাই, লন্ডন ও ভারতের শীর্ষ চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/24/qwdwqed-2025-08-24-16-13-38.jpg)
মা হওয়ার প্রস্তুতি
অভিনেত্রী আরও জানান, তিনি এই গর্ভধারণের জন্য দুই বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। শরীরচর্চা, ডিটক্স, ভিটামিন সবকিছুই করেছিলেন। কিন্তু ফলাফল অকল্পনীয়। তবুও ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, 'ঈশ্বর আমাদের শূন্য হাতে ফেরাননি। আজ আর্থার ভালোবাসায় ঘেরা পরিবেশে বড় হচ্ছে। তবে আমি ওর যমজ ভাইয়ের অভাব অনুভব করি। আর ও দাদার অভাব বুঝতে পারে।'
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/24/wdwq-2025-08-24-16-13-38.jpg)
সেলিনার উপলব্ধি
সেলিনা আবেগঘন বার্তার শেষে লেখেন, 'জন্মগত চ্যালেঞ্জ পরিবারকে চিরদিনের মতো বদলে দেয়। তবে সেই পরিস্থিতিই মনকে শক্ত করার শক্তি জোগায়। প্রতিটি হারানো কিংবা বেঁচে থাকার গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয় বাবা-মায়ের ভালবাসা কতটা গভীর।'